Internet Censorship – ইন্টারনেটের অদেখা দেয়াল! যেসব দেশে Online Freedom এক মরীচিকা!

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় টেকটিউনসবাসি! কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আপনাদের সামনে এমন এক বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। বিষয়টি হলো – Internet। এই Internet, যা আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে, সেই Internet -এর অবাধ ব্যবহার কি সত্যিই সবার জন্য সমান? এই প্রশ্নটি যেন আজ এক গভীর অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, প্রতি মুহূর্তে Internet-এর সাথে যুক্ত থাকি। Social Media-য় বন্ধুদের সাথে আড্ডা, জরুরি খবর জানা, পছন্দের গান শোনা, সিনেমা দেখা—সবকিছুই Internet-এর মাধ্যমে খুব সহজে হয়ে যায়। কিন্তু, বিশ্বের এমন অনেক প্রান্ত রয়েছে, যেখানে এই Internet যেন এক সোনার হরিণ, চাইলেই পাওয়া যায় না। যেখানে Online Freedom যেন এক মরীচিকা, যা ধরা দেয় না।

আজকের এই টিউনে আমরা বেশ কিছু Country-এর Internet Censorship-এর এক বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরব। শুধু ডেটা বা র‌্যাংক নয়, আমরা প্রতিটি Country-এর পেছনের গল্পটা জানার চেষ্টা করব। আমরা দেখব, কেন এই Restriction, কী এর কারণ, আর সাধারণ মানুষের জীবনে এর প্রভাবই বা কেমন। VPNs, Torrenting, Social Media, VoIP এবং বিভিন্ন Websites ও Apps-এর উপর Ban বা Restriction নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। শুধু তাই নয়, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নেওয়া বিভিন্ন INTERNET Censorship Decision, User Data এবং Facebook, Twitter, Google এর মতো Company-গুলোর কাছে করা Content Restriction Request নিয়েও আমরা আলোকপাত করব।

তাহলে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক এক অনুসন্ধানী যাত্রা, যেখানে আমরা দেখব INTERNET-এর অদেখা দেয়ালগুলো!

অদৃশ্য দেয়ালের আড়ালে, কোথায় বন্দী আমাদের Online Freedom?

আমরা সবাই জানি, কিছু দেশে INTERNET ব্যবহারের উপর কড়া নিয়মকানুন জারি করা হয়েছে। কিন্তু, কিছু দেশ, যাদের আমরা হয়তো উদারপন্থী বলে জানি, তারাও এই তালিকায় রয়েছে। এটা সত্যিই ভাবনার বিষয়, তাই না? বর্তমান বিশ্বে আমাদের ONLINE FREEDOM আগের চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকির মুখে। আমরা যেন এক অদৃশ্য দেয়ালের আড়ালে বন্দী হয়ে যাচ্ছি।

নিচে আমরা সেই ২০টি Country নিয়ে আলোচনা করবো, যেখানে INTERNET-এর উপর সবথেকে বেশি Restriction রয়েছে। প্রতিটি Country-এর Internet Censorship র‌্যাংকিং অনুযায়ী। এই র‌্যাংকিং Social Media Restriction থেকে শুরু করে Proxy বা Torrent ব্যবহারের উপর Ban সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি হয়েছে। শুধু র‌্যাংকিং নয়, বরং প্রতিটি Country-এর পেছনের কারণগুলোও ব্যাখ্যা করব, যাতে আপনারা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন।

১. North Korea এবং China: যখন INTERNET এক নিষিদ্ধ জগৎ

North Korea, যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে সাধারণ মানুষের জন্য Internet যেন এক নিষিদ্ধ ফল। শুধুমাত্র বিদেশী Traveler এবং উচ্চপদস্থ Government Official-রাই Internet ব্যবহার করতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে Kwangmyong নামক National Intranet Service, যেখানে খুবই সীমিত সংখ্যক WEB Service-এর Access পাওয়া যায়। North Korea-র মানুষের কাছে Internet যেন এক দুর্লভ স্বপ্ন, যা তারা ছুঁতে পারে না। এই Country-টির Government তাদের নাগরিকদের বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগ রাখতে দিতে চায় না, তাই INTERNET-এর উপর এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

অন্যদিকে, China, যেন এক বিশাল সাম্রাজ্য, যেখানে INTERNET-এর উপর কড়া নজরদারি। এখানে Google-এর মতো বিদেশী Websites, Facebook, Instagram-এর মতো Social Media Service, VPNs, VoIP Service সহ আরও অনেক কিছুর উপর কড়া Restriction জারি করা হয়েছে। China চায় তাদের Citizens-দের Internet Activity-র উপর সম্পূর্ণ Control রাখতে, তাই তারা Baidu-এর মতো Local Alternative ব্যবহারে উৎসাহিত করে। China-তে INTERNET যেন এক নিয়ন্ত্রিত বাগান, যেখানে সরকারই ঠিক করে দেয়, কোন ফুল ফুটবে আর কোনটা ঝরে যাবে। Government-এর এই ধরনের Control-এর মূল উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের উপর নজরদারি রাখা এবং তাদের মধ্যে কোনো রকম সরকারবিরোধী কার্যকলাপ রুখে দেওয়া।

২. Turkey: যেখানে Digital Freedom সংকুচিত

Turkey, এক আধুনিক দেশ, কিন্তু INTERNET ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে Websites এবং Social Media Platform-গুলোর উপর Censorship আরোপ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, Government Employee-দের জন্য WhatsApp-এর মতো Encrypted Messaging App-ও Ban করা হয়েছে। Turkey-তে যেন Digital Freedom ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। Government এখানে তাদের নাগরিকদের উপর তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ধরে রাখতে চায়, তাই INTERNET-এর উপর এই ধরনের Restriction আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং তথ্য জানার অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

৩. Russia এবং United Arab Emirates: ক্ষমতার ছায়াতলে Online জগৎ

Russia, এক শক্তিশালী দেশ, যেখানে Internet-এর উপর Government-এর নজরদারি সবসময় থাকে। Russia-র Censorship Policy অনুযায়ী Websites এবং IP Address Block করার ইতিহাস বেশ পুরনো। দেশটি VPN Service এবং Proxy Tools-ও Block করে। ২০১৮ সালে, Blacklisted Service না সরানোর জন্য Google-কে জরিমানাও করা হয়েছিল। Russia-তে যেন INTERNET একটি দুর্গ, যেখানে Online-এ কী হচ্ছে, তার উপর সবসময় নজর রাখা হয়। এখানে Government তাদের Political Power ধরে রাখার জন্য Internet-এর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।

অন্যদিকে, Middle East-এর দেশ United Arab Emirates। এখানে China বা Iran-এর মতো কড়া Censorship না থাকলেও, জুয়া, প্রতারণা এবং নগ্নতার মতো Immoral WEB Service Block করা হয়। UAE আবার WhatsApp-এর মতো Messaging Apps Block করে, কারণ এর End-To-End Encryption Feature রয়েছে। UAE-তে Internet এ কিছু স্বাধীনতা আছে, কিন্তু তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এই Country-টির Government তাদের Cultural Values এবং Religious Beliefs রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু Restriction আরোপ করে।

৪. Pakistan: যখন Online প্রতিবাদ স্তব্ধ করে দেওয়া হয়

Pakistan, এক জনবহুল দেশ, যেখানে INTERNET-এর উপর Restriction-এর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এখানে সেইসব Content Block করা হয়, যা National Security-র জন্য হুমকি অথবা Blasphemous। ২০১০ সালে, Facebook-এ একটি Blasphemous Contest-এর প্রতিবাদে Social Media Platform-টি Temporarily Block করা হয়েছিল। এছাড়াও, Anti-French Protest-এর সময় Social Media এবং Google-এর Access Block করা হয়েছিল। Pakistan-এ INTERNET যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে সরকার সবসময় Online প্রতিবাদ দমনের চেষ্টা করে। এখানে Government তাদের Power এবং Stability ধরে রাখার জন্য INTERNET-এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। এর ফলে সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার কমে যায়।

৫. Iran এবং Turkmenistan: Digital অন্ধকারে নিমজ্জিত দুই দেশ

Iran, যেন এক প্রাচীন সাম্রাজ্য, যেখানে Internet-এর উপর কড়া Restriction জারি করা হয়েছে। Censorship-এর দিক থেকে Iran, China-র পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখানে Google, Facebook, TikTok, HBO-এর মতো Popular WEB Service ও Social Media Platform Block করা হয়। Iran-এ Internet যেন এক নিষিদ্ধ বাগান, যেখানে প্রবেশ করা কঠিন। এই Country-টির Government তাদের Religious Values এবং Political Power রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

অন্যদিকে, Turkmenistan। এখানে Internet Censorship খুবই কঠোর। এখানে WhatsApp এবং Telegram-এর মতো Encrypted Application-এর ব্যবহার Ban করা হয়েছে। এমনকি Netizens VPNs বা Proxy Tools ব্যবহার করেও Block করা Websites-এ Access করতে পারে না। এই Country-টির Government তাদের নাগরিকদের উপর সম্পূর্ণ Control বজায় রাখতে চায়, তাই Internet-এর উপর এত কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

৬. India: গণতন্ত্রের দেশে Internet নজরদারি

India, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, কিন্তু এখানেও Internet Censorship-এর ছায়া পড়েছে। ২০০৮ সালের Bombings-এর পর থেকে India-র State Government Internet Censorship এবং Surveillance-এর উপর কড়া Control রাখে। India অনেক Websites এবং Social Media Service Temporarily ও Permanently Block করেছে। সম্প্রতি, Political Conflict-এর কারণে তারা ২৫০টির বেশি Chinese Websites, Games এবং Application Ban করেছে। India-তে Internet যেন এক জটিল ধাঁধা, যেখানে একদিকে গণতন্ত্রের দাবি, অন্যদিকে নজরদারির ভয়। এখানে Government তাদের National Security এবং Political Stability রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখে।

৭. Iraq: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে Internet Control

Iraq, এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, যেখানে Internet-এর উপর Government-এর কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন Extremist Party-র Threat কমাতে Iraq-এর কিছু প্রদেশে Internet Shutdown করা হয়েছিল। Facebook-এর মতো Social Media Platform-ও Block করা হয়েছিল। তবে Threat কমে গেলে Shutdown তুলে নেওয়া হয়। Iraq-এ Internet যেন এক ক্ষতবিক্ষত ভূমি, যেখানে শান্তি ফিরে আসার অপেক্ষায়। এখানে Government তাদের Country-র Security এবং Stability ফিরিয়ে আনার জন্য Internet-এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।

৮. Oman এবং Kuwait: আরব বিশ্বে Internet ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা

Oman, আরব সাগরের তীরে অবস্থিত এক দেশ, যেখানে Internet ব্যবহারের উপর কিছু Restriction রয়েছে। Security Concern-এর কারণে VoIP Service-এর উপর Ban জারি করা হয়েছিল, যা পরে Covid-19-এর কারণে তুলে নেওয়া হয়। Oman-এ Internet যেন এক সীমিত পরিসর, যেখানে কিছু স্বাধীনতা আছে, কিন্তু তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এখানে Government তাদের Cultural Values এবং Religious Beliefs রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু Restriction আরোপ করে।

Kuwait, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ, যেখানে কিছু Torrent Website Block করা হলেও Torrent-এর ব্যবহার Ban করা হয় না। VPN Service-এর ব্যবহারও এখানে Legal। Kuwait-এ Internet যেন এক মিশ্র অভিজ্ঞতা, যেখানে কিছু স্বাধীনতা আছে, আবার কিছু Restriction-ও আছে। এই Country-টির Government তাদের National Security এবং Cultural Values রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখে।

৯. Indonesia: বৈচিত্র্যের দেশে Digital Censorship

Indonesia, হাজার দ্বীপের দেশ, যেখানে Internet Censorship Moderate Level-এর। এখানে Nudity, Gambling এবং Hoax Promote করে এমন Platform-গুলো Block করা হয়। Facebook ও Instagram-এর মতো Social Media App-ও Ban করা হয়েছিল, যা পরে তুলে নেওয়া হয়। Indonesia-তে INTERNET যেন এক বহুরূপী, যেখানে একদিকে স্বাধীনতা আছে, অন্যদিকে কিছু Restriction-ও আছে। এই Country-টির Government তাদের Moral Values এবং Cultural Beliefs রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু Restriction আরোপ করে।

১০. Egypt: রাজনৈতিক অস্থিরতায় Online নজরদারি

Egypt, এক প্রাচীন সভ্যতা, যেখানে Internet-এর উপর রাজনৈতিক অস্থিরতার ছায়া পড়েছে। এখানে রাজনৈতিক কারণে Social Media Platform-এর উপর Restriction আরোপ করা হয়। এক সময়ে Government ৩৪, ০০০ এর বেশি Website Block করেছিল। Egypt-এ Internet যেন এক রাজনৈতিক দাবা খেলার ক্ষেত্র, যেখানে সরকার সবসময় Control রাখার চেষ্টা করে। এখানে Government তাদের Political Power এবং Stability ধরে রাখার জন্য Internet-এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।

১১. Nigeria, Saudi Arabia, Nepal এবং Qatar: বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রূপের Internet Censorship

Nigeria, আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, যেখানে Internet Censorship Policy দিন দিন কঠোর হচ্ছে। Anti-Social Media Bill-এর মাধ্যমে Law Enforcement Agency-গুলোকে Social Media Platform Ban করার এবং INTERNET Shutdown করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। Nigeria-তে Internet যেন এক জটিল পরিস্থিতি, যেখানে একদিকে উন্নয়নের স্বপ্ন, অন্যদিকে সেন্সরশিপের ভয়। এই Country-টির Government তাদের Security এবং Stability রক্ষার জন্য Internet-এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।

Saudi Arabia, মধ্যপ্রাচ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যেখানে Copyright, Blasphemy এবং Political Issue-গুলোর উপর Restriction দেওয়া হয়। VoIP Service-এর ব্যবহারও এখানে Prohibited। Saudi Arabia-তে Internet যেন এক সাংস্কৃতিক মিশ্রণ, যেখানে কিছু ঐতিহ্য আছে, আবার কিছু Restriction-ও আছে। এখানে Government তাদের Religious and Cultural Values রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখে।

Nepal, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এক দেশ, যেখানে Torrent-এর ব্যবহার কঠোরভাবে Ban করা হয় এবং Social Media Censorship-ও করা হয়। একটি Bill-এর মাধ্যমে Government-কে যেকোনো Social Media Platform Block করার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। Nepal-এ Internet যেন এক পাহাড়ি পথ, যেখানে কিছু বাধা আছে, আবার কিছু সুন্দর দৃশ্যও আছে। এখানে Government তাদের National Security এবং Stability রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখে।

Qatar, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ, যেখানে Torrent এবং VoIP Service-এর ব্যবহার Prohibited। Qatar-এ Internet যেন এক বিলাসবহুল জগৎ, যেখানে কিছু স্বাধীনতা আছে, কিন্তু তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এই Country-টির Government তাদের Cultural Values এবং Religious Beliefs রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু Restriction আরোপ করে।

১২. Thailand ও Myanmar: সামরিক শাসনের ছায়ায় Online Control

Thailand, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক জনপ্রিয় দেশ, যেখানে Social Media এবং WEB Content-এর উপর Censorship করা হয়। Wikipedia Page, Facebook Group এবং অন্যান্য Prominent Site-এর Content Block করার ইতিহাসও রয়েছে। Thailand-এ INTERNET যেন এক জটিল ধাঁধা, যেখানে একদিকে পর্যটনের হাতছানি, অন্যদিকে সেন্সরশিপের ভয়। এখানে Government তাদের National Security এবং Political Stability রক্ষার জন্য Internet-এর উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখে।

Myanmar, এক অস্থির দেশ, যেখানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে Internet Censorship বাড়ছে। Pro-Democracy Protest কমানোর জন্য Internet Blackout এবং Social Media Site Block করা হচ্ছে। Myanmar-এ Internet যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে সরকার সবসময় Online প্রতিবাদ দমনের চেষ্টা করে। এখানে Government তাদের Power এবং Authority ধরে রাখার জন্য Internet-এর উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: ইন্টারনেট সেন্সরশিপ ও অনলাইন ফ্রিডম এর অবস্থা

এতক্ষণ আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার চলুন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা একটু দেখে নিই। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, এবং এর সাথে সাথে বাড়ছে Internet Freedom নিয়ে আলোচনা।

বাংলাদেশে Internet Censorship-এর ইতিহাস খুব বেশি পুরনো না হলেও, বিভিন্ন সময়ে কিছু ঘটনা ঘটেছে যা আমাদের ONLINE Freedom নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সাধারণত, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক সংঘাত বা জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে Internet-এর উপর কিছু Restriction আনা হয়।

বাংলাদেশে কখন ইন্টারনেট সেন্সরশিপ করা হয়েছিল

২০১৩ সালে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের রায় ঘোষণার সময় কিছু সময়ের জন্য Social Media এবং Online Communication Platform-গুলোর উপর restriction আরোপ করা হয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল, রায় নিয়ে যেন কোনো গুজব বা উত্তেজনা ছড়িয়ে পরিস্থিতি খারাপ না হয়।

২০১৮ সালে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ও Internet-এর গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে Social Media Access-ও Block করা হয়েছিল।

বিভিন্ন সময়ে, Facebook এবং YouTube-এর মতো Social Media Platform-গুলোতে কিছু Content Block করার request government-এর পক্ষ থেকে করা হয়েছে।

এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা নির্বাচনের সময় INTERNET-এর উপর কিছু restriction দেখা যায়।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান

বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই-আগস্ট মাসগুলোতে বেশ কিছু রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়, যার ফলে বিভিন্ন সময়ে INTERNET-এর উপর Restriction আরোপ করা হয়েছিল। গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, এই সময় INTERNET-এর গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং কিছু এলাকায় INTERNET Access বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছিল, যাতে করে গণআন্দোলন এবং বিক্ষোভের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

বর্তমানে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেন্সরশিপের অবস্থা:

বর্তমানে বাংলাদেশে INTERNET Censorship পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত হলেও, সম্পূর্ণভাবে ONLINE Freedom এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, সরকার Social Media Platform-গুলোতে নজরদারি করে এবং বিতর্কিত বা আপত্তিকর Content Block করার চেষ্টা করে। তবে, দেশের INTERNET User-রা তাদের মতামত প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন Social Media এবং Online Platform ব্যবহার করে আসছে।

বাংলাদেশে INTERNET Freedom নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা এবং অধিকারকর্মীরা মনে করেন, INTERNET-এর উপর অযাচিত restriction আরোপ করা হলে, তা মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করে।

বাংলাদেশের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • বাংলাদেশে INTERNET-এর ব্যবহার বাড়ছে, তাই INTERNET Freedom নিশ্চিত করা জরুরি।
  • সরকারকে এমন একটি INTERNET Policy তৈরি করতে হবে, যা একইসাথে Security এবং Freedom of Speech রক্ষা করে।
  • সাধারণ নাগরিকদেরও DIGITAL Literacy এবং ONLINE Safety সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
  • INTERNET-এর উপর কোনো restriction আসলে, তার প্রতিবাদ করা উচিত।

VPN, Torrents এবং Social Media: কোথায় কোন নিষেধাজ্ঞা?

এবার চলুন, একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নিই, কোন দেশে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে:

VPNs

Uganda, China, Turkmenistan এবং Turkey-তে VPN-এর ব্যবহার সম্পূর্ণ Ban করা হয়েছে। Pakistan-এর মতো কিছু দেশে Unregistered VPN ব্যবহার করা Illegal। VPN ব্যবহার করে অনেক User তাদের Online Activity গোপন রাখার চেষ্টা করে, তাই এই দেশগুলোর সরকার VPN-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

Torrents

প্রায় সব দেশেই Torrent ব্যবহারের উপর কমবেশি Restriction আছে, কারণ এটি Copyright Content Download করার জন্য ব্যবহার করা হয়। Iran, Turkey, Germany, France, United Kingdom এবং South Korea-তে কিছু Torrent Website Ban করা হয়েছে। Torrents-এর মাধ্যমে Illegal Content Download করার প্রবণতা থাকায় এই দেশগুলোর সরকার Torrent ব্যবহারের উপর কিছু Restriction জারি করেছে।

Social Media

কোনো দেশেই Social Media Platform-এর উপর Permanent Ban খুব কমই দেখা যায়। তবে কিছু Restriction এবং Temporary Ban প্রায় সব দেশেই রয়েছে। যেমন Chad-এ ১৬ মাসের জন্য Social Media Platform-এর উপর Ban ছিল। Pakistan, India এবং Indonesia-তে Violence, Public Threat বা Political কারণে Social Media Platform Temporarily Block করা হয়েছে। Social Media Platform-গুলো বর্তমানে Information এবং Communication-এর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, কিন্তু অনেক সরকার Social Media-কে তাদের Control-এর বাইরে রাখতে চায়, তাই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা।

VoIP

অনেক দেশে VoIP Service-এর উপর Restriction আছে, কারণ এর End-To-End Encryption Feature-এর জন্য Investigative Procedure-এ সমস্যা হয়। VoIP Service-এর মাধ্যমে Encrypted Communication করা সম্ভব, যা অনেক দেশের Government-এর জন্য চিন্তার কারণ, তাই তারা VoIP Service-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • কিছু দেশ Gambling এবং Explicit Content-এর মতো Unethical Practice কমানোর জন্য Content Block করে। আবার কিছু দেশ Political বা Public Threat Impose করে এমন Websites Block করে। তবে, অনেক দেশ Freedom Of Speech Control করার জন্য Content Ban করে। এই বিষয়গুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, INTERNET-এর উপর Censorship-এর অনেক কারণ থাকতে পারে।

  • ২০১৯-২০২০ সালে অনেক দেশ Political Clash বা Religious Conflict-এর কারণে ONLINE Restriction-এর আশ্রয় নিয়েছিল। China-র Censorship Policy Revision-এর মাধ্যমে INTERNET-এ মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে ১ মিলিয়ন Yuan পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, Social Media ব্যবহার করার জন্য PII Data Share করতেও বাধ্য করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো INTERNET Censorship-এর ভয়াবহতা তুলে ধরে।

  • India Political Conflict-এর কারণে ২৫০টির বেশি Chinese Websites এবং Application Block করেছিল। এছাড়াও Kashmir-এ INTERNET Shutdown করতে বাধ্য হয়েছিল। এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় INTERNET-কে কীভাবে Control করা হয়।

  • Google এবং Facebook-এর মতো Company-গুলো প্রতি বছর Transparency Report প্রকাশ করে, যেখানে তারা User Data এবং Content Restriction Request-এর Details দেয়। এই Report-গুলো থেকে আমরা বিভিন্ন দেশের INTERNET Censorship Policy সম্পর্কে জানতে পারি।

আমাদের Online Freedom কি সত্যিই নিরাপদ?

প্রিয় বন্ধুরা, INTERNET আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু এর অবাধ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। China, Iran, Russia-র মতো দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ONLINE FREEDOM-এর উপর Censorship চলছে। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলোতেও একই ধরনের Restriction দেখে আমরা সত্যিই চিন্তিত। সারা বিশ্বে Censorship বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ONLINE FREEDOM এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংকীর্ণ। তাই, এখনই সময় সচেতন হওয়ার এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।

আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের ONLINE FREEDOM রক্ষা করি। এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিই। আমরা যেন ভুলে না যাই যে, INTERNET হলো Information-এর এক বিশাল ভাণ্ডার এবং আমাদের অধিকার হলো সেই Information-এ Access পাওয়া।

যদি এই টিউনটি আপনার ভালো লেগে থাকে, তবে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে Share করুন। আপনার মূল্যবান মতামত টিউমেন্টে এ জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ!

Level 8

আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 199 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস