বর্তমান যুগে ভিডিও কনটেন্ট দেখার জন্য YouTube একটি বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম। তবে, সবসময় একই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে করতে অনেকের মধ্যেই একঘেয়েমি চলে আসে, অথবা বিশেষ কিছু কন্টেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে YouTube এর বিকল্প খোঁজার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও এমন কিছু ভিডিও সিরিজ কিংবা নাটক থাকে, যেগুলো ইউটিউবে আপলোড করা যায় না, সেগুলো এসব প্লাটফর্ম গুলোতে পাওয়া যেতে পারে।
আজকের এই টিউনে আমরা আলোচনা করব ১১ টি ভিডিও সাইট সম্পর্কে, যেগুলো YouTube এর পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়।
Vimeo হলো একটি প্রিমিয়াম ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যা মূলত ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল এবং আর্টিস্টদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত যারা তাদের কাজের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল এবং হাই কোয়ালিটি ভিডিও পাবলিশ করতে চান। ইউটিউবের চেয়ে ভিমিওতে বিজ্ঞাপণ কম দেখা যায়। যার ফলে, অডিয়েন্সরা আরো মনোযোগ সহকারে ভিডিও দেখতে পারেন।
ভিমিওতে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারেন, যেমন শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি। তবে, এখানে একটি বড় সুবিধা হলো, ভিডিওর কোয়ালিটি এবং কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের উপর আপনি নিজেই কন্ট্রোল রাখতে পারবেন। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্স দেরকে টার্গেট করে কাজ করে থাকেন এবং তাদেরকে সরাসরি আপনার কনটেন্ট পৌঁছে দিতে চান, তাহলে ভিমিও আপনার জন্য ইউটিউব এর একটি সেরা বিকল্প হতে পারে।
এছাড়াও, ভিমিও ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রাইসিং প্ল্যান অফার করে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও গুলোকে পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রোটেক্ট করতে, ডাউনলোড করার অ্যাক্সেস কন্ট্রোল করতে এবং ভিডিওতে কাস্টমাইজড প্লেয়ার যোগ করতে পারেন। আপনি যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজে থাকেন, যা আপনাকে আপনার কনটেন্টের উপর আরও বেশি কন্ট্রোল এবং বিজ্ঞাপনমুক্ত এক্সপেরিয়েন্স দিতে পারবে, তাহলে ভিমিও আপনার জন্য একটি সেরা পছন্দ হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Vimeo
Dailymotion হলো একটি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যা ইউটিউবের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড এবং শেয়ার করার সুযোগ দেয়। Dailymotion-এর ইন্টারফেসটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি, যা নতুন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ও ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা হয় না।
ইউটিউবের বিকল্প এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও খুঁজে পাবেন, যেমন এন্টারটেইনমেন্ট, নিউজ, খেলাধুলা, মিউজিক ইত্যাদি। বিশেষ করে, ইউটিউবের মতোই এখানে আপনি আপনার নিজস্ব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার কনটেন্ট দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। Dailymotion ভিডিও আপলোডের জন্য একটি নির্দিষ্ট লিমিট রয়েছে। তবে, এটি বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য যথেষ্ট।
Dailymotion-এ আপনি বিজ্ঞাপনসহ ভিডিও উপভোগ করতে পারেন, তবে ইউটিউবের তুলনায় এই প্লাটফর্ম টিতে অনেক কম বিজ্ঞাপণ দেখতে পারবেন। যারা এই মুহূর্তে একটি ইউটিউব সেরা বিকল্প প্ল্যাটফর্ম খুঁজছেন, তাদের জন্য Dailymotion একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Dailymotion
Playeur হলো আরো একটি নতুন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট হোস্ট এবং শেয়ার করার সুযোগ দেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষ করে গেমিং, টেক রিভিউ, এবং ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। Playeur-এর অন্যতম প্রধান ফিচার হলো, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য Ads-Free এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে। আর ভিডিও দেখার সময় বিজ্ঞাপণ না থাকার কারণে ব্যবহারকারীরা ঝামেলা মুক্তভাবেই এখান থেকে যেকোনো ভিডিও দেখতে পারেন।
আর Playeur-এ ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং কাস্টমাইজড চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের কনটেন্ট মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। এছাড়াও, প্ল্যাটফর্মটি হাই-রেজোলিউশন ভিডিও স্ট্রিমিং সাপোর্ট করে, যা ভিডিওর কোয়ালিটির সাথে কোনো আপোষ করতে দেয় না। সেই সাথে, এই প্ল্যাটফর্মটির ইন্টারফেসটি বেশ ইজি এবং কমফোর্টেবল।
যারা ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে একটি নতুন এবং ভালো কোন প্ল্যাটফর্ম খুঁজছেন, বিশেষ করে গেমিং বা টেক কনটেন্টের জন্য, তাদের জন্য Playeur একটি অন্যতম বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Playeur
Rumble হলো একটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা মূলত ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ওপেননেস এবং বাকস্বাধীনতা প্রদানের কারণে এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষভাবে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলোর মতো Rumble-এ ব্যবহারকারীরা সহজেই ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং তাদের কনটেন্ট থেকে আয় করতে পারেন, যা অনেক ক্ষেত্রে ইউটিউবের বিকল্প বলা যায়।
Rumble-এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও গুলোকে শুধুমাত্র Rumble প্ল্যাটফর্মেই নয়, বরং বিভিন্ন পার্টনারশিপের মাধ্যমে আরও বড় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Rumble
PeerTube হলো একটি ওপেন-সোর্স ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা ডেসেন্ট্রালাইজড টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য অন্যান্য প্লাটফর্ম এর চাইতে একটি আলাদা এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে। যেখানে প্রতিটি ব্যবহারকারী তার নিজের সার্ভারে ভিডিও হোস্ট করতে পারে এবং অন্যান্য সার্ভারের সাথে কানেকশন স্থাপন করে একটি ফেডারেটেড নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে। PeerTube-এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভিডিও শেয়ারিংকে কেন্দ্রিভূত সার্ভারের কন্ট্রোল থেকে মুক্ত করা এবং ব্যবহারকারীদের হাতে এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেওয়া।
এই প্ল্যাটফর্মটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ভালো হতে পারে, যারা তাদের কনটেন্টের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল এবং প্রাইভেসি বজায় রাখতে চান। এখানে আপনি আপনার নিজের ভিডিও হোস্ট করতে পারেন, অন্যদের ভিডিও দেখতে পারেন, এবং ভিডিও গুলোকে যেকোনো জায়গায় শেয়ার করতে পারেন। আর, PeerTube কোনো বিজ্ঞাপণ বা ট্র্যাকিং টেকনোলজি ব্যবহার করে না, যা এর ভিজিটরদেরকে একটি সিকিউর ও পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে থাকে।
PeerTube-এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো, এর কমিউনিটি ভিত্তিক সুবিধা। যেখানে প্রতিটি ব্যবহারকারী তাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী সার্ভার ম্যানেজ করতে পারেন, এবং বিভিন্ন সার্ভার একে অপরের সাথে কানেক্ট হয়ে একটি বৃহত্তর ভিডিও শেয়ারিং ইকোসিস্টেম তৈরি করে। এই মুহূর্তে যারা ইউটিউবের বিকল্প একটি ডেসেন্ট্রালাইজড এবং ওপেন-সোর্স ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম খুঁজছেন, তাদের জন্য PeerTube একটি পাওয়ারফুল ও ইনোভেটিভ সলিউশন হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ PeerTube
Twitch হলো একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, যা মূলত গেমারদের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি গেমিং কমিউনিটিদের জন্য এক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার মতো কাজ করে। যেখানে গেমাররা তাদের গেমিং এর ভিডিও সরাসরি স্ট্রিমিং করতে পারেন এবং ভিজিটরদের সাথে রিয়েল-টাইমে কানেকশন স্থাপন করতে পারেন। তবে গেমিং ছাড়াও, Twitch এখন মিউজিক, আর্ট, এবং অন্যান্য লাইভ ইভেন্টের জন্যও জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
Twitch-এর একটি বড় সুবিধা হলো এর ইন্টারেক্টিভ চ্যাট ফিচার, যা স্ট্রিমার এবং এর ভিজিটরদের মধ্যে সরাসরি কমিউনিকেশনের সুযোগ তৈরি করে। এই চ্যাটের মাধ্যমে ভিডিওর ভিজিটররা স্ট্রিমারদের সাথে কথা বলতে পারেন, প্রশ্ন করতে পারেন, এমনকি সাবস্ক্রাইব বা ডোনেট করতে পারেন, যা স্ট্রিমারদের আয়ের একটি বড় উৎস। এছাড়াও, Twitch পার্টনার এবং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্ট্রিমারদের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুবিধার কারণে এটি গেমিং এবং অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছে।
আপনি যদি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আগ্রহী হন এবং গেমিং বা অন্য কোনো লাইভ ইভেন্টের জন্য একটি Active Audience Community সাথে কানেকশন সেট আপ করতে চান, তাহলে Twitch হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। এটি আপনাকে শুধু লাইভ স্ট্রিম করার ই সুযোগ দেয় না, বরং একটি বড় এটি আপনাকে গ্লোবাল কমিউনিটির অংশ হওয়ার ও সুযোগ করে দেয়।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Twitch
The Open Video Project হলো একটি ডিজিটাল ভিডিও আর্কাইভ যা Research, Education, এবং Informational উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত। এই প্রজেক্টটি মূলত বিজ্ঞানী, গবেষক, এবং শিক্ষাবিদদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যারা ভিডিও ডেটা নিয়ে কাজ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করে তাদের গবেষণা বা শিক্ষা কার্যক্রম করতে চান। The Open Video Project-এর সংগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও যেমন ডকুমেন্টারি, ঐতিহাসিক ফুটেজ, এবং শিক্ষামূলক কনটেন্ট।
এই প্ল্যাটফর্মের বিশেষ ফিচার হলো, এর ওপেন-অ্যাক্সেস পলিসি, যা ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে ভিডিওগুলো ব্যবহারের সুযোগ দেয়। The Open Video Project-এর ভিডিওগুলো সাধারণত নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি এবং মেটাডেটা সহ অর্গানাইজড থাকে, যার ফলে ব্যবহারকারীরা খুব সহজে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ভিডিও খুঁজে পেতে পারেন। এটি একটি ডেসেন্ট্রালাইজড এবং Open Source প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন শিক্ষামূলক এবং রিসার্চ মূলক কনটেন্ট অ্যাক্সেস করতে পারেন।
যারা গবেষণা বা শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করছেন এবং ওপেন-সোর্স ভিডিও কনটেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য The Open Video Project একটি ভালো রিসোর্স হতে পারে। যেখানে এটি শুধু ভিডিও কনটেন্ট শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি Knowledge ভিত্তিক Community অংশ হিসেবে কাজ করে, যা গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ The Open Video Project
9GAG মূলত একটি Entertainment বেসড অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা মজার ছবি, মেমস এবং ভিডিও শেয়ার করার জন্য বিখ্যাত। যদিও 9GAG সাধারণত ফানি কনটেন্টের জন্য পরিচিত। তবে, এটি ভিডিও শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর, 9GAG-এর ইন্টারফেসটি সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি, যেখানে ব্যবহার করে এরা খুব সহজে এবং দ্রুত কনটেন্টগুলা ব্রাউজ করতে পারেন। প্ল্যাটফর্মটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের ভিডিওগুলো খুব সহজেই দেখতে এবং Comment করতে পারেন, পাশাপাশি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
যারা মজার এবং হালকা বিনোদনের কনটেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য 9GAG একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। এটি শুধু ভিডিও দেখার জন্যই নয়, বরং নতুন মেমস এবং ফানি কনটেন্ট খুঁজে বের করার জন্য ও একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম। আপনি যদি বিনোদনমূলক এবং ভাইরাল ভিডিও কনটেন্টের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে থাকেন, তাহলে 9GAG হতে আপনার জন্য একটি পছন্দের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ 9GAG
TED Talks হলো একটি বিশ্ববিখ্যাত প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বের সকল চিন্তাবিদ, বিশেষজ্ঞ, এবং শিল্পীদের কাছ থেকে মোটিভেশনাল এবং শিক্ষামূলক বক্তব্যের ভিডিও গুলো সরবরাহ করে থাকে। TED-এর মূল উদ্দেশ্য হলো "আইডিয়াস ওয়ার্থ স্প্রেডিং" বা "যেসব ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত" এই ধারণার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরা। এখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, এবং আরও অনেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের জ্ঞান এবং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করেন, যা বিশ্বব্যাপী এর দর্শক ও মানুষদের অনুপ্রাণিত করে।
এই প্ল্যাটফর্মে আপনি বিভিন্ন থিম এবং বিষয়ের উপর আলোচিত লেকচার খুঁজে পাবেন, যা পার্সোনাল ইমপ্রুভমেন্ট থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। TED Talks-এর একটি বড় ফিচার হলো, এর হাই কোয়ালিটি প্রোডাকশন এবং Analytical কনটেন্ট, যা অডিয়েন্সদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে কাজ করে।
এই মুহূর্তে যারা শুধুমাত্র নতুন ধারণা এবং চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য TED Talks একটি আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। যেখানে এটি শুধু শিক্ষামূলক কনটেন্ট নয়, বরং এটি মোটিভেশনাল এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ TED Talks
DTube হলো একটি ডেসেন্ট্রালাইজড ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা ব্লকচেইন টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে, এই প্লাটফর্মটি তাদের জন্য ভালো হতে পারে, যারা সেন্সরশিপ-মুক্ত এবং বিজ্ঞাপনবিহীন একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজছেন। DTube-এ ভিডিওগুলো ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের কনটেন্টের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল প্রদান করে এবং ডেটা সিকিউরিটি নিশ্চিত করে।
DTube-এর অন্যতম বড় ফিচার হলো, এখানে কোন কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই, ফলে কনটেন্টের মালিকানা সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকে। এছাড়াও, DTube-এ ব্যবহারকারীরা ভিডিও আপলোড করে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করতে পারেন, যা স্টিম ব্লকচেইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যারা তাদের কনটেন্ট থেকে আয় করতে চান, এটি এই প্লাটফর্মটিতে এরকম সুযোগ রয়েছে।
DTube-এর ইন্টারফেসটি ইজি এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি, যার ফলে নতুন ব্যবহারকারীরা ও এটি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। আর এখানে ভিডিও দেখার সময় কোন বিজ্ঞাপণের ঝামেলা নেই। এর ফলে, অডিয়েন্সরা নির্ভীঘ্নে এই প্লাটফর্মে ভিডিওগুলো উপভোগ করতে পারবেন। আপনি যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজে থাকেন, যেখানে আপনি আপনার কনটেন্টের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল রাখতে পারবেন এবং সেন্সরশিপের ঝুঁকি ছাড়াই ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন, তাহলে DTube আপনার জন্য অন্যতম একটি সেরা বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ DTube
ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন সকলের কাছেই ফেসবুক অত্যন্ত পরিচিতি একটি নাম। Facebook Video হলো বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীরা অন্যান্য সুবিধা গুলোর পাশাপাশি ভিডিও আপলোড, শেয়ার এবং লাইভ স্ট্রিম করতে পারেন। ফেসবুক ভিডিও প্ল্যাটফর্মটিতে পার্সোনাল ভিডিও থেকে শুরু করে বিজনেস মার্কেটিং এবং এন্টারটেইনমেন্ট কনটেন্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ভিডিও শেয়ার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেক বড় একটি অংশ ফেসবুক ব্যবহার করার কারণে এখানে আপলোড করা সব ভিডিও খুব সহজেই বিশাল অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছাতে পারে।
Facebook Video-এর একটি বড় সুবিধা হলো এর ইন্টিগ্রেশন। যেখানে ভিডিওগুলো সরাসরি ফেসবুকের নিউজ ফিডে প্রদর্শিত হয়, যার ফলে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই সেগুলো শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও, এখানে Facebook Watch নামে একটি ফিচার রয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা কিউরেটেড ভিডিও কনটেন্ট, লাইভ স্ট্রিম, এবং শো উপভোগ করতে পারেন।
Facebook Video কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্যও আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যেমন ভিডিওতে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে এখান থেকে আয় করা যায়। একটি বৃহত্তর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আপনি যদি অনেক মানুষের কাছে আপনার ভিডিও কে পৌঁছাতে চান, তাহলে Facebook Video আপনার জন্য সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Facebook Video
ইউটিউব দীর্ঘদিন ধরে ভিডিও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে, বর্তমানে এর বিকল্প হিসেবে এরকম আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোর কথা আপনি হয়তো বা এখনো পর্যন্ত জানেন না। আজকের এই টিউনে আমি এরকমই ১১ টি ভিডিও সাইট নিয়ে আলোচনা করলাম, যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
যেখানে এই প্রতিটি প্লাটফর্মেরই নিজস্ব ফিচার এবং সুবিধা রয়েছে, যা কোন কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং অডিয়েন্সদের আলাদাভাবে ভালো লাগতে পারে। তাহলে আপনিও ইউটিউব সহ আরো অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহারের এক্সপ্রেরিয়াস নিতে কিংবা আপনার কনটেন্ট শেয়ারিং এক্সপেরিয়েন্স কে আরো বাড়াতে আজকের এই ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলো দেখতে পারেন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)