আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে ঘরে বসেই টাকা আয় করার ১০ টি সহজ উপায় নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। আপনি কি ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলে আমি ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করার উপায় বা ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানাবো। আজকের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ পরে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় সম্পর্কে জেনে আপনি চাইলে এর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
মেইন আর্টিকেলে যাওয়ার আগে আমি আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে যেই ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানাবো সেগুলো আমি অনলাইনে অনেক রিসার্চ করে জেনেছি। আমি অনলাইনে ঘরে বসেই ইনকাম করার অনেক উপায় সম্পর্কে জেনেছি এবং এর মধ্যে আমার যে ১০ টি উপায় সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেগুলোই আজকে আমি আপনার সাথে এই আর্টিকেলে শেয়ার করেছি। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে নতুন কিছু জানবেন এবং শুরু করতে পারবেন। তো চলুন অনেক কথাই বলে ফেলেছি এবার চলে যাওয়া যায় মেইন আর্টিকেলে এবং দেখে নেওয়া যাক কী সেই ঘরে বসেই ইনকাম করার সেরা ১০ টি উপায় সেগুলো।
কথা যখন ওঠে ঘরে বসে ইনকাম করার তখন ফ্রিল্যান্সিং এর কথা তো বলতেই হবে। বর্তমানে ঘরে বসে ইনকাম মানেই আমরা সকলেই বুঝে থাকি এই ফ্রিল্যান্সিং কেই। আর তা বুঝবোই না কেন কারণ বর্তমানে যারাই শুধুমাত্র ঘরে বসেই ইনকাম করে তারা প্রায় সকলেই ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। আর বর্তমানে “ফ্রিল্যান্সিং” ঘরে বসেই ইনকাম করার বেস্ট একটি মাধ্যম। আর আপনি যদি ঘরে বসেই ইনকাম করতে চান তাহলে আপনিও এই ফ্রিল্যান্সিং কে অপশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আর এর জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সকল জায়গাতেই ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট পাওয়া যায়। যেখানে তারা নতুনদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাতে কলমে ফ্রিল্যান্সিং শিখায়। আবার এমন অনেক ইনস্টিটিউট ও আছে যারা মানিব্যাগ গ্যারান্টি দিয়েও নতুনদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকেন। তাই আপনি যদি ঘরে একদম বেকার বসে থাকেন তাহলে আপনিও আপনার আশেপাশের কোন ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট বা অনলাইনের মাধ্যমেও কোন ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট থেকে এই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন এবং কাজে লেগে যেতে পারেন। আর মজার ব্যাপার হল এখন আর আগের মতন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে অনেক বেশি টাকারও প্রয়োজন পড়ে না। আপনার কাছে যদি ১০ হাজার টাকার মত বাজেট থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় আপনার ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সম্পূর্ণ করে ফেলতে পারবেন।
আগে হয়ত আপনি রাস্তাঘাটে দেখে থাকবেন যে কোন একটি কোম্পানি থেকে লোক এসে লোকেদের থেকে তাদের পছন্দ সম্পর্কে জানতে চাই বা তাদের নাম ঠিকানা নাম্বার সংগ্রহ করে এরকম কিছু। কিন্তু বর্তমানে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে আগের মত আর এরকম ঘটনা খুব একটা বেশি দেখা যায় না। কেন এই পরিবর্তন তা কি জানেন? কারণ, বর্তমানে এই সার্ভের কাজগুলো শারীরিক পর্যায়ে প্রায় উঠেই গেছে এবং অনলাইন ভিত্তিক কাজ হয়ে গেছে। আর এই কাজটি অনলাইন ভিত্তিক হয় এখন চাইলেই যে কেউই এই কাজটি করতে পারছে এই কাজটি করার জন্য আর আগের মত কোন কোম্পানিতে চাকরি নিতে হচ্ছে না। এই ধরনের কাজকে মূলত সার্ভে বলা হয়।
যেখানে আপনাকে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে তাদের পছন্দ-অপছন্দ তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হয় এবং সেই তথ্যগুলো কোম্পানিকে বা নির্দিষ্ট সার্ভে সাইটে জমা দিতে হয়। আর মজার বিষয় হল এ ধরনের কাজ এখন চাইলেই যে কেউই করতে পারেন। আপনি যদি এই ধরনের কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে একটি সার্ভিস সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং তারপর থেকে আপনার কাজ শুরু। তবে এই কাজটিকে যদি আপনি পেশা হিসেবে নিতে চান তাহলে প্রথমে অনলাইন থেকে বিভিন্ন সার্ভে স্ট্যাটাসে আপনাকে শিখতে হবে এবং তারপর বড় কোন সার্ভে সাইটে আপনাকে কাজে লেগে যেতে হবে। আপনি চাইলেই খুব সহজেই ইউটিউবে এই সার্ভের কাজ সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারেন।
ঘরে বসেই টাকা ইনকামের আরো একটি সহজ মাধ্যম হলো ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ঘরে বসেই ইনকাম করা। এই কাজটি অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক সহজ কারণ এখানে শুধু আপনাকে এক জায়গা থেকে ডাটা সংগ্রহ করে আরেক জায়গায় বসাতে হয়। ধরুন কোন একটি দোকানে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করেন তাহলে এখানে আপনার কাজ হল প্রতিদিন কোন জিনিস কত টাকার বিক্রি হচ্ছে লেনদেন এইসব হিসাব কম্পিউটারে বা অন্য কোথাও লিখে রাখা। তবে, ডাটা এন্ট্রি কাজ এখন কেউ চাইলে তিনি অনলাইনেও করতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অনলাইনে ও ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করা যায়।
এই কাজে আপনাকে কোন একটি ডাটা দেওয়া হবে যেটিকে আপনাকে অন্য একটি জায়গায় বসাতে হবে। একটি অনলাইন ভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি কাজের উদাহরণ হল: ধরুন আপনাকে কোন একটি কাগজ দেয়া হলো এবং সেখান থেকে ডাটা নিয়ে আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে বসাতে হবে। ধরুন কোন একটি প্রোডাক্ট সেটি আপনাকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বসাতে হবে। সেই পণ্যটির নাম, পণ্যটির মূল্য ইত্যাদি এইসব তথ্য। এই কাজগুলো অন্যান্য কাজের তুলনায় একটু সহজ কারণ এখানে আপনাকে একটা জিনিস দেখে সেটি শুধু আরেক জায়গায় বসাতে হয়। তো আপনি চাইলে অনলাইন থেকে বা কোনো ইনস্টিটিউট থেকে এই ডাটা এন্ট্রি এর কাজ শিখে ঘরে বসেই ইনকাম শুরু করতে পারেন।
আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলেই সেই কাজটি অন্যদেরকে শিখিয়েও ইনকাম করতে পারেন। আপনি চাইলে এটি শারীরিক পর্যায়েও অন্যদেরকে শিখাতে পারেন বা অনলাইনেও তা অন্যদেরকে শিখাতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী সেটি চিহ্নিত করতে হবে এবং তারপর সেটি শিখানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেটির বিজ্ঞাপণ প্রচার করতে হবে।
তারপর যখন আপনি আপনার কাছ থেকে কাজ শেখার জন্য লোক পেতে থাকবেন তখন ধীরে ধীরে সেই কাজটি আপনি অন্যদেরকে শিখানো শুরু করতে পারেন। এবং শুরুতে লোক অল্প হলেও আপনি যদি অল্পসংখ্যক লোকদেরকেই সেই কাজে খুব ভালো পারদর্শী বানিয়ে দিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনার সুনাম তৈরি হবে এবং আপনার কাছ থেকে শেখার জন্য আরও লোকেরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এভাবে আপনি আপনার এই কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
আপনি যদি ভালো লেখালেখি করতে পারেন তাহলে আপনি ব্লগিং করে এবং কোন একটি পুণ্য সেই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অনেক বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। ব্লগিংয়ে শুধু আপনাকে কোন একটি পুণ্য সম্পর্কে লিখতে হবে অর্থাৎ ধরুন আপনি একটি ফ্রিজ নিয়ে ব্লগিং করতেছেন। এখন সেখানে আপনাকে সেই ফ্রিজের দাম, কোম্পানির নাম, ফ্রিজের ভালো দিক ও খারাপ দিক, ফ্রিজের গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি ইত্যাদি নিয়ে আপনাকে সেই ব্লগ এ লিখতে হবে এবং তারপর সবার নিচে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিতে পারেন সেই ফ্রিজটি কিনার জন্য।
আর আপনার ব্লগটি পড়ে যদি কেউ সেই আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে সেই ফ্রিজটি কিনে তাহলে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন। এভাবে আপনি ব্লগিং করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই। তবে বিষয়টি সহজ মনে হলেও ব্লগিং করতে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন। তবে আপনি যখন ভালো লিখতে শিখে যাবেন তখন আর আপনার লিখতে খুব একটা সময়ও পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়বে না। এক কথায় শুরুতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে এভাবে আপনি একজন ভালো লেখক হয়ে গেলে তখন আপনার কাছে ব্লগিং করা কোন বিষয় হবে না। আর তখন আপনি ব্লগিং করে নানা উপায় সহ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসেই ইনকাম করার উপায় নিয়ে যখন কথা হচ্ছে তখন ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করার কথা তো না বললেই নয়। বর্তমানে আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার চাহিদা বর্তমানে আমাদের মধ্যে কত রয়েছে। বর্তমানে ইউটিউব, টিকটক ও ফেসবুক সহ নানা ধরনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে ঘরে বসেই ইনকাম করা যায়। এখানে কিছু ভিডিও টপিক রয়েছে যেগুলো নিয়ে কাজ করা কঠিন আবার কিছু রয়েছে যেগুলো নিয়ে কাজ করা খুবই সহজ। আপনাকে শুধু শুরুতে আপনি কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন সে প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে কাজে লেগে পড়তে হবে।
ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের কনটেন্ট সম্পর্কে পারদর্শী এবং জ্ঞান রাখেন সে বিষয়ে জানুন ও সেই বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করুন। এভাবে সেই প্ল্যাটফর্মে নিজের একটি পরিচয় তৈরি করুন অনেকগুলো ফলোয়ার্স ও সাবস্ক্রাইবারস তৈরি করে ফেলুন তাহলেই ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। আর এই কাজে একবার সফলতা আসলে আপনি হঠাৎ করেই অনেক টাকা ইনকাম করতে শুরু করবেন। তবে শুরুতে ধৈর্য রাখতে হবে কারণ শুরুতেই কেউ আপনার ভিডিও অত দেখতে চাইবে না ধীরে ধীরে আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ান ভিডিওর মান বাড়ান তাহলেই ধীরে ধীরে আপনার কাজে আপনি উন্নতি দেখতে পাবেন।
আপনার যদি বিক্রি করার মত কোন পূর্ণ থেকে থাকে তাহলে আপনি সেটি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই। এর জন্য শুধুমাত্র আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ বা একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে হবে তারপর সেখানে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে সেই পূর্ণটি বিক্রি করতে পারবেন। বা আপনি চাইলে অন্য কারো পণ্য অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই বিক্রি করে দিয়ে সেখান থেকে কমিশনও ইনকাম করতে পারবেন। এই পদ্ধতিকে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা বলা হয়ে থাকে। যদিও এই আর্টিকেলে আমি পূর্বেই ব্লগিং করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার কথা উল্লেখ করেছি।
তবে আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার ব্লগিং একটি মাধ্যম মাত্র অনেকগুলো মাধ্যমের মধ্যে। আপনি যদি সত্যিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনি হাজারো রকম উপায় এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে আপনি অনলাইন থেকেও শিখতে পারেন বা কোন ফ্রিল্যান্সিং শিখায় এমন প্রতিষ্ঠান থেকেও শিখতে পারেন। আর কি বলবো আপনাকে এই কাজটি একবার আপনি শিখে গেলে আপনার ভবিষ্যতে এই কাজের চাহিদা আরো বাড়বে কারণ দিন দিন মানুষ তাদের কেনাকাটাকে অনলাইন ভিত্তিক করে ফেলছে। তাই আপনি চাইলে এখনই এই কাজে লেগে যেতে পারেন।
হ্যাঁ আপনি হয়ত শুনে অবাক হবেন যে বর্তমানেও অনুবাদের কাজ করে ঘরে বসেই ইনকাম করা যায়। তবে আপনি ভাবতে পারেন যে বর্তমানে হাজারো সফটওয়্যার রয়েছে যারা অনুবাদের কাজ ফ্রিতে করে দিয়ে থাকে তাহলে বাজারে এই কাজের চাহিদা কীভাবে হয়? এটা সত্য যে বর্তমানে অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যারা অনুবাদের কাজ করে দিয়ে থাকে তবে তারা সঠিকভাবে এই অনুবাদটি করতে পারে না। তাই এখনও এই কাদের চাহিদা মার্কেটের রয়েছে প্রচুর।
আপনি যদি একের অধিক ভাষা জেনে থাকেন তাহলে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন খুবই সহজে। এ কাজটি হল একটি ভাষা থেকে কোন একটি লেখাকে বা কোন একটি অডিও শুনে সেটিকে অন্য একটি ভাষায় রূপান্তর করে দেওয়া। তবে এই কাজটি করতে আপনার একের অধিক ভাষা জানা থাকতে হবে। তারপর আপনি খুবই সহজে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে এই ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি বর্তমান সময়ে অনলাইনের সবচেয়ে সহজ কাজ যা দ্বারা আপনি সহজেই সফলভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে এই কাজটির চাহিদা বাজারে প্রচুর রয়েছে। কারণ দিন দিন সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই তার ব্যবসাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। আর যার কারণে সেখানে সেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করার জন্যও লোকের প্রয়োজন পড়ছে। তা আপনিও চাইলে এই ধরনের কাজ করতে পারেন। এই কাজগুলোতে মূলত আপনাকে অ্যাকটিভ থাকতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন রকমের কাজ যেমন টিউমেন্ট এর রিপ্লাই করা, গ্রাহকদের মেসেজের রিপ্লাই করা ইত্যাদি এই ধরনের কাজ করতে থাকতে হবে।
এই ধরনের কাজ খুঁজতে হলে আপনাকে লিংকডিন এর মত চাকরির সন্ধান পাওয়া যায় এ ধরনের প্লাটফর্মে খোঁজ লাগাতে হবে। আর এ ধরনের কাজ করার জন্য আপনাকে অনলাইন সম্পর্কে একটু ভালো জ্ঞান রাখতে হবে ও পারদর্শী হতে হবে পাশাপাশি আপনার টাইপিং দক্ষতা ও ভালো থাকতে হবে। টাইপিং দক্ষতা ভালো থাকার পাশাপাশি আপনাকে একজন স্মার্ট এবং সোশ্যাল মানুষ হতে হবে। তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি সফলতা পাবেন। আর সফলতা যত বেশি হবে কাজ তত বেশি পাবেন আর ইনকাম তত বেশি হবে।
শুরুতেই বলে দেই ভার্চুয়াল সহকারে বলতে এমন ব্যক্তিকে বুঝানো হয় যিনি কোন একজনের বা একটি প্রতিষ্ঠান কোন একটি বা একাধিক কাজ দূরে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে করে দিয়ে থাকেন। আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে অভিজ্ঞ হন তাহলে আপনি সেই ধরনের কাজ যেখানে নেওয়া হয়ে থাকে সেখানে ভার্চুয়াল সহকারী হয়ে ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারেন। ধরুন আপনি প্রযুক্তি বিষয়ে খুবই পারদর্শী। এখন আপনি কোন একটি প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের কাজে তাদেরকে সাহায্য করেন এবং তখন তারা সেটির বিনিময়ে আপনাকে টাকা দিয়ে থাকে।
ধরুন সেই কোম্পানিটির হঠাৎ করেই কোন একটি সমস্যা হয়ে গেল তখন তিনি বা তারা আপনার থেকে ভার্চুয়ালি সহায়তা নিয়ে সে সমস্যাটির সমাধান করল এবং তখন তারা আপনাকে সেটির জন্য পেমেন্ট করল। মূলত এই ধরনের কাজ যারা করে থাকেন তাদেরকে ভার্চুয়াল সহকারী বলা হয়ে থাকে। তো আপনিও যদি কোন নির্দিষ্ট একটি কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে খোঁজ করুন কোথায় আপনি সে কাজটি দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং এভাবে একের অধিক ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে যুক্ত হন এবং ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম আপনি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আজকের টিউনের সর্বশেষে আমি সুন্দর একটি সহজ ইনকামের ওয়েবসাইট আমি আপনাদের জন্য বোনাস অথবা স্পেশাল গিফট হিসেবে শেয়ার করছি। এই ওয়েবসাইটটি কেন এত বেশি স্পেশাল তার আপনারা একটু পরেই জানতে পারবেন। আমাদের আজকের টিউনের এই স্পেশাল ওয়েবসাইটটি সবার শেষে শেয়ার করার একমাত্র কারণ হলো আপনি যেহেতু আজকে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ পর্যন্ত চলে এসেছেন তার মানে আমরা আজকে ধরে নিতেই পারি আপনার মাঝে অনলাইন ইনকামের চাহিদা এবং আগ্রহ দুটোই অনেক বেশি। আর আপনিই আজকে আমাদের এই স্পেশাল ওয়েবসাইট থেকে সহজ এবং সফলভাবে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
আমাদের আজকের সেই স্পেশাল অনলাইন আর্নিং ওয়েবসাইটটির নাম হল টেকটিউনস। টেকটিউনস বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাংলা সোশ্যাল ইন্টারনেট, আইটি এবং টেকনোলজি বিষয়ক সর্ববৃহৎ ওয়েবসাইট। আপনি যেমন প্রতিনিয়ত এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করে নানান ধরনের ইন্টারনেট এবং টেকনোলজি বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন ঠিক তেমনি নিজের মাঝের ইন্টারনেট এবং টেকনোলজি বিষয়ক জ্ঞানগুলো অন্যের মাঝে শেয়ার করেও সেখান থেকে একটি হিউজ পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। তবে টেকটিউনস থেকে ইনকাম করার শুরুটা আপনার জন্য একটু কষ্টদায়ক হতে পারে। কারণ যে কেউ চাইলেই টেকটিউনস থেকে ইনকাম করতে পারবে এমনটিও নয়। টেকটিউনস থেকে ইনকাম করার একটি মাত্র উপায় হল লেখালেখি করে বা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা।
হ্যাঁ বন্ধুরা, লেখালেখি করাটাকে আপনি যতটা সহজ ভাবে নিচ্ছেন ততটাও সহজ নয়। কারণ আপনি যদি টেকটিউনস থেকে লেখালেখি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আইটি এবং ইন্টারনেট বিষয়ক সামান্য এক্সপার্ট হতে হবে। সেই সাথে একটি ভালো কোয়ালিটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল কীভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে ও পারদর্শী হতে হবে। তবেই আপনি টেকটিউনস থেকে বাংলা আর্টিকেল লেখালেখির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ শুরুতেই আপনি টেকটিউনসে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন না। টেকটিউনস থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে হবে। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার পর থেকেই আপনি টেকটিউনস থেকে আর্টিকেল পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
এবার হয়ত আপনাদের মনে অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার কীভাবে হবো? টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার জন্য টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন অনুযায়ী সর্বপ্রথম আপনাকে টেকটিউনসে কোয়ালিটি সম্পন্ন ১০ টি টেক বিষয়ক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। তারপর আপনাকে টেকটিউনস ডেস্ক পেজে টেকটিউনসের ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর টেকটিউনস অফিসিয়াল সাপোর্ট টিম আপনার পাবলিশ করা আর্টিকেলগুলো ভালোভাবে চেক করবে। তারপর আপনার পাবলিশ করা কোয়ালিটিফুল আর্টিকেলগুলোর জন্য আপনি যদি টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার যোগ্য হন তাহলে টেকটিউনস অপস্ টিম আপনাকে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেওয়া ও সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে তারা আপনাকে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার ব্যাজ প্রদান করবেন।
টেকটিউনস থেকে ট্রাস্টেড টিউনার ব্যাজ পাওয়ার পর থেকে আপনি আপনার প্রতিটি বাংলা আর্টিকেলের জন্য সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। এই বিষয়ে আপনি আরো বিস্তারিত জানতে অবশ্যই টেকটিউনসের ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইনের সকল নিয়মকানুন ভালোভাবে পড়ে নিবেন। আশাকরি আপনি সেখান থেকে আরো বিস্তারিত অনেক কিছুই জানতে পারবেন। টেকটিউনসে আর্টিকেল পাবলিশ করার পর প্রতি মাসের ১৫ তারিখে আপনার পাবলিশ করার সর্বমোট আর্টিকেলের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট অটোমেটিক ভাবেই আপনাকে প্রদান করা হবে। টেকটিউনস থেকে আপনি আপনার উপার্জন করা অর্থগুলো কয়েকভাবে নিতে পারবেন সেগুলো হলোঃ
উপরে আমার উল্লেখ করা ১০ টি + ১টি বোনাস ঘরে বসেই ইনকাম করার উপায়গুলো অনেকগুলো ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়গুলোর মধ্যে ১১ টি মাত্র। এগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোন একটিতেও আগ্রহ থাকে তাহলে সেটি নিয়ে আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন। শুরুতে কোন কিছু শুরু করা একটু কঠিন হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সেই বাধাগুলো পেরিয়ে একবার সফলতার দিকে চলে যান তাহলে ধীরে ধীরে আপনার সেই কাজে উন্নতি বাড়বে। তাই শুরুতে অল্প কিছু থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার কাজের পরিমাণ বাড়ান। দোয়া করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফলতা পান।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, ঘরে বসেই টাকা আয় করার ১১ টি সহজ উপায়! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।