আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা কি নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। বন্ধুরা, বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্মকে অনেক সহজ করে তুলেছে। এমনকি ইন্টারনেট প্রতিনিয়ত আরো সহজ করে দিচ্ছে। ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর বিশাল জাল, যেটা পুরো বিশ্বের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে আছে। যার ব্যবহারে সারা বিশ্বের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং প্রজন্মের অনেক অগ্রগতি হতেই আছে।
বর্তমান পৃথিবী উন্নত হওয়ার পেছনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ধীরে ধীরে ডিজিটাইজড হচ্ছে এই ইন্টারনেটের জন্য। ইন্টারনেট ছাড়া কিন্তু আমার এক মুহূর্তে চলতে পারি না। ইন্টারনেটের অসামান্য অবদানের কারণে আজ সারা পৃথিবী একটি পরিবারের মতো হয়েছে। কিন্তু আপনারা কি জানেন ইন্টারনেট কী? আপনি কি জানেন কার মাধ্যমে ইন্টারনেট আমাদের কাছে এসেছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিস্তারিত অজানা তথ্য। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের সম্পূর্ণ টিউন পড়ে আপনি নতুন কী কী জানতে ও শিখতে পারবেন?
ইন্টারনেট দুইটি কথার সমন্বয় যুক্ত একটি ইংরেজি শব্দ। ইথারনেট থেকে ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। আপনি কি জানেন ইন্টার অর্থ হলো ভিতরে। আর নেট অর্থ হলো জাল। ইন্টার + নেট এই দুইটি শব্দের অর্থ হলো "অর্ন্তজাল"। যা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি সহজ পদ্ধতিকে বোঝায়। সর্বোপরি ইন্টারনেট হচ্ছে একটি ইন্টারকানেক্টড নেটওয়ার্কের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলোকে একে অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়ে থাকে। ইন্টারনেটকে অনেকে শর্ট করে নেট বলে থাকে।
অন্যভাবে বলতে গেলে, অনেকগুলো কম্পিউটারকে একে ওপরের সাথে মুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়ে থাকে। তবে আপনি মনে রাখবেন ইন্টারনেট নিজেই একটি একক নেটওয়ার্ক নয়। পৃথক কম্পিউটার এবং লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টেলিফোন লাইন বা রেডিও তরঙ্গ বা উচ্চ গতির তারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে ইন্টারনেট। তাই আমরা সহজভাবে বলতে পারি, অনেক গুলো কম্পিউটার একটি নেটওয়ার্কে মুক্ত করাই ইন্টারনেট। যাকে ইন্টারনেট ওয়ার্কিংও বলা হয়।
আপনি কি জানেন ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি? এখানে অনেকেই আছে তারা হয়ত জানেন না! তাহলে চলুন জেনে আসি ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি? ইন্টারনেট এর পূর্ণ রূপ হলো ইন্টারকানেক্টড নেটওয়ার্ক (Interconnected network)। Inter শব্দটি এসেছে Interconnected থেকে আর net শব্দটি এসেছে Network থেকে। ইন্টারনেট এর অর্থ হল পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক। বাংলায় ইন্টারনেটকে অর্ন্তজাল ও বলা হয়। কারণ গোটা বিশ্বে একটা নেটওয়ার্ক জালের মত একে অপরের সাথে বা কোটি কোটি কম্পিউটারের সাথে Connected রয়েছে।
কোটি কোটি কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসকে একে ওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট হলো আধুনিক টেলিযোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক বা মাধ্যম। যা অপটিক্যাল ফাইবার, টেলিফোন লাইনের তার, ওয়্যারলেস বেতার সংযোগে ব্যবহার করে কম্পিউটার মোবাইলসহ অন্যান্য সকল ডিভাইসকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) এর সাথে সংযুক্ত করে। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের সব কম্পিউটার গুলো যেই নেটওয়ার্ক দ্বারা একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত হয়ে আছে, সেই নেটওয়ার্কটি হলো ইন্টারনেট।
যখনি আমরা, আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাই, তখন আমরা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের একটি বিশাল তথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে। এবং একে "Global network " বলা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দৈনন্দিন কোন পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। তবে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়। এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।
আধুনিক ইন্টারনেট প্রথমত ছয় প্রকার। আপনি কি জানেন এই ইন্টারনেটে ছয় ধরনের প্রযুক্তি সিস্টেমে সংযোগ কাজ করে। হয়ত জানেন না। তবে চিন্তা করবেন না। আজকের টিউনে সব জানতে পারবেন। আমরা যে এই ছয় ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এই ছয় ধরনের ইন্টারনেট নিচে আলোচনা করা হলঃ
ডিনটন জি কার্ফ হলো ইন্টারনেটের জনক। কত সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়, একক কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন নি অনেক বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে। পৃথিবীতে প্রথম ইন্টারনেটের সূচনা হয়েছিল ১৯৬০ সালে আরপানেট (অ্যাডভান্স রিসার্চ এজেন্সি নেটওয়ার্ক) এর হাত ধরে। এটি মূলত আমেরিকার ডিফেন্সের নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ ও একটি নেটওয়ার্ক ছিল। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়। তবে Bob khan ও vint cerf ইন্টারনেটের কাঠামো তৈরি করেন যা এখনও ব্যবহার হচ্ছে।
ইন্টারনেটের মূল অংশ Tcp / Ip protocol তারা তৈরি করেন Tcp / Ip এর পূর্ণরূপ হল Transmission control protocol / Internet protocol তাদের এই ইন্টারনেটের কাঠামোর উপর নির্ভর করে পরবর্তী কালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়। আরপানেট ১৯৬৯ সালে The University of California at loss Angeles, The University of California at Santa Barbara, Stanford research Institute এবং University of Utah এই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা -আলাদা কম্পিউটারের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হয় এবং যেকোনো তথ্য এই কম্পিউটার গুলির মধ্যে আদান প্রদান করা হয়।
১৯৭১ সালে আরপানেট আরো কতগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটারের সঙ্গে connect করতে সক্ষম হয় এবং ধীরে ধীরে নেটওয়ার্কের বিস্তার বাড়তে থাকে। ১৯৪১ সালে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয় যার নাম CSNET (Computer Science Network) এটি আসার পর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভাইসের সঙ্গে ডাটা Transmit করতে সক্ষম হয়। এইভাবে ইন্টারনেটের বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ১৯৮৬ সালে NSFNET নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট হয়। এটি National Science Foundation তৈরি করে। আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করে ডাটা Transmit করাই ছিল প্রধান কাজ।
তখন NSFNET (National science Foundation) এর স্পিড ছিল 56 kbps। ১৯৮৮ সালে একটাকে একটু আপডেট করা হয় এবং এর স্পিড বেড়ে দাঁড়ায় 1.5 mbps। ১৯৯০ সালে আরপানেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এটি অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছিল ডাটা ট্রান্সফার এর স্পিড খুবই কম। আরপানেট এর জায়গায় NSFNET কে Replace করা হয়। Tim Berners-Lee ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (Www) ও এইচটিটিপি আবিষ্কার করেন। এর ফলে অনলাইনে ডাটা আদান প্রদান করা সম্ভব হলো। বন্ধুরা, এবার আপনারা তো নতুন অনেক কিছুই জানলেন। এবার কিছু ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। এগুলো আপনার কাজে লাগবে।
উত্তরঃ ডিনটন জি কার্ফ।
উত্তরঃ World wide web.
উত্তরঃ টিম বার্নাস লি।
উত্তরঃ রে টমলি সন।
উত্তরঃ এলান এমটাজ।
উত্তরঃ মারটিন কোপার।
উত্তরঃ স্যার চালর্স ব্যাবেজ।
ইন্টারনেট আমাদের জীবনে চলার গতিপথকে পাল্টে দিয়েছেন, আমাদের জীবনকে কর্মচঞ্চল ও সহজ করে তুলেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্র ইন্টারনেটের অবদানের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমরা কি জানি কে এই ইন্টারনেট আবিষ্কারক যা আমাদের জীবনের গতিপথকে সহজ করে তুলেছে। যাকে আমরা ইন্টারনেটের জনক হিসেবে চিনি তার না হলো ডিনটন জি কার্ফ তবে এই বিশাল নেটওয়ার্ক এর অর্ন্তজাল ইন্টারনেট একদিনে তৈরি হয়নি, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাতদিন কাজ করে ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে। বন্ধুরা, চলুন এবার জেনে নেউ বর্তমানে ইন্টারনেটের কার্যকরী ৫ টি ব্যবহার। ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার -
বর্তমানে পৃথিবীতে দুই রকমভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। প্রথম স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় সমুদ্রের মধ্যে যে (Fiber Optics cable) বিছানো রয়েছে তার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ৯০% ইন্টারনেট পেয়ে থাকি আমরা সমুদ্রের মধ্যে যে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল রয়েছে সেখান থেকে আর ১০% ইন্টারনেট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই অপটিক্যাল ফাইবার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এর মাধ্যমেই ডাটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় Transmit করা হয়।
আপনার মোবাইলে তো ইন্টারনেট ক্যাবল সংযোগ করা হয় নাই। তাহলে আপনারা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এর উত্তর হচ্ছে আপনার এলাকায় যে মোবাইল টাওয়ার রয়েছে তার সাথে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ থাকে। এইটা আবার অপটিক্যাল ফাইবার থেকে আসা সিগন্যালকে Electromagnetic Signal এই convert করে। এভাবেই আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক পৌঁছে যায়। আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক পৌঁছানোর পরেই আপনি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। যার ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই আপনার ইন্টারনেট থেকে ডেটা আদান প্রদান করতে পারবেন৷ তাহলে এবার আপনাদেরমাঝে প্রশ্ন থাকতেই পারে বাস্তব জীবনে আমরা ইন্টারনেট কী কী কাজে লাগাতে পারি?
আমরা যারা প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা বেশিরভাগ মানুষই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং ডেটা আদান প্রদানের জন্য ব্যবহার করি। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে, ইন্টারনেট শুধুমাত্র তথ্য এবং ডাটা আদান প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনি চাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজ করতে পারবেন। আজকে টিউনে আমরা ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক তথ্যই জেনেছি। এবার আমরা ইন্টারনেটের ৫টি উপকারিতা সম্পর্কে জানব। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের ইন্টারনেটের ৫টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাঃ
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে দুনিয়া শুধুমাত্র উপকারী কাজেই ব্যবহার হয় না। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের খারাপ কাজগুলো সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। ইন্টারনেটের অপকারিতা আমাদের জীবনে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলেছে তা আমরা এই পর্বে জানতে পারবো। ইন্টারনেটের যত উপকারিতা আছে ঠিক ততই অপকারিতা ও রয়েছে। তা চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট এর ৫টি অপকারিতাগুলো কী কী?
বর্তমান সময়ের ডিজিটাল ইন্টারনেটের উপর নির্ভর হওয়ার কারণে জীবনের বেশ বড় একটি সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যয় করে থাকি। ডিজিটাল পৃথিবী হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে পড়াশোনার বিষয়টিও ইন্টারনেটের মাঝেই রয়েছে। বর্তমানে এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়াশুনার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আপনি যখন বাড়িতে টিউশনি পড়তেন তখন আপনাকে বাড়তি অর্থ প্রদান করতে হতো, তবে আপনি বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ভাবে কোন বাড়তি অর্থ প্রদান না করা ছাড়াই এন্টারটেইন ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনার পড়াশোনার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। তো চলুন এবার আমরা জেনে নেই শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার সম্পর্কেঃ
আজকের পোস্টটি আমরা ইন্টারনেটে ব্যবহার সম্পর্কে নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারলাম। টিউনের বিভিন্ন জায়গায় বাস্তব জীবন থেকে শুরু করে ফিউচার লাইফ পর্যন্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্টভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তবুও আমার মনে হয় আজকের টিউনে কিছুটা তথ্য না দেওয়ার কমতি রয়েছে। এবার আমরা ইন্টারনেটে ব্যবহার সম্পর্কে আর একটু আলোচনা করব। আশাকরি এই আলোচনাতে আপনারা ইন্টারনেটে ব্যবহার সম্পর্কে আরেকটু ধারণা পেয়ে যাবেনঃ
বন্ধুরা আজকের টিউনে আপনার ইন্টারনেট কী? ইন্টারনেট কাকে বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ইন্টারনেট সম্পর্কে আপনারা যারা নতুন আছেন অথবা ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেক বেশি জ্ঞান নেই এমন ব্যক্তি গুলো আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আমি মনে করি তারা নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারলেন। ইন্টারনেট শুধুমাত্র কল্পনাই নয়, আপনি ইন্টারনেটে সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার বাস্তব জীবনের পড়াশোনা থেকে চাকরির জীবন পর্যন্ত প্রায় সকল কাজ কর্ম করতে পারবেন। এমনকি আপনি চাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকেও অনেক পরিমাণ অর্থ করতে পারবেন। ইন্টারনেট সম্পর্কে আরো অনেক বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব। বিস্তারিত অধিক তথ্যের মধ্য থেকে খুব সামান্য পরিমাণ তথ্য আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি।
ইন্টারনেটের ব্যাপক তথ্য ভাণ্ডার থেকে আপনি আপনার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন, সঠিক বিষয়টি শিখার মাধ্যমে। আপনি যত জানবেন আপনার জ্ঞান তত বেশি বৃদ্ধি হবে। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই ইন্টারনেটকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করুন। তাহলে অনেক কঠিন কাজ গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়া আজকে টিউন নিয়ে আপনার মনে কোন মন্তব্য থেকে থাকলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা টিউমেন্ট গঠনমূলক হলে অবশ্যই আমি তা আমার টিউনে যুক্ত করে নেব।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, ইন্টারনেট কী? ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা কী! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।