আপনি নিশ্চয় ডার্ক ওয়েব সম্বন্ধে শুনেছেন। এই ওয়েব নিয়ে মানুষের একটু বেশিই আগ্রহ রয়েছে। তবে, আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তোবা Dark web সম্পর্কে শুনে থাকলেও এই ওয়েবে প্রবেশ করেননি। শুধুমাত্র এই ওয়েব সম্পর্কে কৌতূহল রয়ে গেছে। অনেকেই বলে থাকেন যে, ডার্ক ওয়েবে অনেক অদ্ভুত ধরনের কাজ গুলো হয়ে থাকে এবং এই ওয়েব অনেক ভীতিকর। কিন্তু, এটি কি সত্যিই ভীতিকর এবং ব্যবহার করা বেআইনি, আপনি যেরকমটি মনে করছেন?
ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে আপনি নিজে থেকে কি জানেন? বেশিরভাগ লোকেরাই ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে মানুষের কাছ থেকে শুনে থাকেন। আর অন্যদের মত আপনিও হয়তোবা অন্য কারো কাছ থেকে এই ওয়েব সম্পর্কে শুনেছেন। Dark web সম্পর্কে মানুষেরা যা জানে, তার বেশিরভাগ অংশই অন্যের থেকে শোনা, পুলিশের রিপোর্ট অথবা খবর থেকে আসে। এখান থেকেই অন্যান্য প্রযুক্তির মতই গুজব ছড়ানো শুরু হয়।
আর এই গুজব গুলোর সমন্বয়েই ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে অনেক ইতিবাচক বা নেতিবাচক খবরগুলো অতিরঞ্জিত ভাবে প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ গুজব গুলোই পৌরাণিক কাহিনী গুলোর মত হয়ে থাকে। তবে, এসব কল্পকাহিনীতে ও সত্যের কিছুটা ইঙ্গিত থাকে। কিন্তু, ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে অনেক বেশি বাড়িয়ে বলে প্রচার করা হলেও, এটি আসলে অতটা বড় নয়।
তাহলে, Dark web এর আসল কাহিনী কি এবং এর সত্যটা কি? আজকের এই টিউনে আমি ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে কয়েকটি কল্পকাহিনীর কথা এবং এর আসল সত্য উল্লেখ করেছি। এতে করে, Dark web সম্পর্কে আপনার মিথ্যা ধারণা বদলে যাবে।
আপনি যদি ইন্টারনেটে খারাপ কোন কিছু করতে চান বা এমন কোনো বিষয়বস্তু বের করতে চান, তবে আপনাকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতে হবে, তাই না? আপনার এ ধারণাটি অবশ্যই ভুল। কেননা, ইন্টারনেটে খারাপ কাজগুলো করার জন্য সার্ফেস ওয়েব ব্যবহার করেও করা যায়। আর, ডার্ক ওয়েব হচ্ছে লুকায়িত একটি জায়গা, যেখানে একটু অধিক নিরাপত্তা থাকে। তবে, একজন অপরাধীর কাছে সার্ফেস ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েব একই ধরনের।
ডার্ক ওয়েবের অনেক ব্যবহার রয়েছে। এখানে রয়েছে অনেক অপরাধী, নিজের প্রাইভেসি সচেতন ব্যক্তি, অনেক রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, আরো অনেক অন্যান্য ব্যবহারকারী। অনেক ভালো লোকেরাও তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করার জন্য এই ওয়েবে প্রবেশ করে।
এবার আপনার আরও ধারণা থাকতে পারে যে, সমস্ত সাইবার অপরাধ গুলো ডার্ক ওয়েবে সংঘটিত হয়, তাই না? আসলে, আপনার এই ধারণাটি ও ভুল।
মূলত সাইবার জগতের বেশিরভাগ অপরাধগুলো ক্লিয়ার নেটে সংঘটিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, আমরা প্রতিদিন যে সার্ফেস ওয়েব ব্যবহার করি, এখানেই বেশিরভাগ অপরাধ সংঘটিত হয়। বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বেশিরভাগ অংশই যেহেতু এই অংশটি ব্যবহার করে, তাই অপরাধমূলক কাজ গুলো সংগঠিত করার জন্য সাইবার অপরাধীদের কাছে এটিই প্রাধান্য পায়। আর অন্যদিকে, ডার্ক ওয়েব হল সাইবার অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ এবং আদান-প্রদান করার একটি নিরাপদ এবং সহজ জায়গা।
বিভিন্ন সাইবার অপরাধীরা সার্ফেস ওয়েব থেকে বিভিন্ন উপায় মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে এটি হতে পারে হ্যাকিং কিংবা কারো ডিভাইসের ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে তথ্য সংগ্রহ। এরপর তারা সেসব তথ্য গুলো বিক্রি করার জন্য ডার্ক ওয়েব কে বেছে নেয়। যেখানে রয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড হ্যাকিং ফোরাম, ডার্কনেট মার্কেট এবং এই ধরনের অন্যান্য পরিষেবা।
যেখানে তারা খুব সহজেই কোন নজরদারী ব্যতীত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। আর এখানে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়। যার ফলে কোন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায় না।
তাহলে এখন এই বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার যে, ডার্ক ওয়েবের চাইতে সার্ফেস ওয়েবে বেশি সাইবার অপরাধের শিকার হতে হয়। আর, সার্ফেস ওয়েবের মাধ্যমেই সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিও অনেক বেশি থাকে। আর, সার্ফেস ওয়েব থেকে কোন ব্যবহারকারীর তথ্য হ্যাক করেই মূলত ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করা হয়।
আমরা ডার্ক ওয়েবের বিশালতা উপস্থাপন করার জন্য আইসবার্গ ব্যবহার করে থাকি। এরকম একটি উদাহরণ হিসেবে আপনি উপরের চিত্রটি দেখুন।
আমরা বিভিন্ন জায়গায় ডার্ক ওয়েবের এরকম অনেক উপস্থাপনা দেখেছে। যেখানে অনেক জায়গায় বলা হয়েছে যে, আমাদের ব্যবহৃত ইন্টারনেট এর চাইতে ডার্ক ওয়েবের পরিধি অনেক বেশি। কিন্তু, এরকম উপরের চিত্র দ্বারা Dark web-এর বিশালতা কিংবা এর সঠিকতা নির্ণয় করা যায় না। তাই আপনিও এটি ভাবা ছেড়ে দিন যে, ইন্টারনেটের বিভিন্ন অংশ, যেমন: সার্ফেস ওয়েব, ডিপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েব এরকম স্তর ভিত্তিক কাজ করে না।
আমরা প্রতিদিন যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি বা আমরা যে "ক্লিয়ারনেট" ব্যবহার করি, সেটি কোটি কোটি ওয়েবসাইট নিয়ে গঠিত। ইন্টারনেটে এরপরে অংশটি হচ্ছে ডিপ ওয়েব, যেটিও আপনি নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন। তবে, এই স্তরে থাকা ডেটাগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হয় না এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ দেখতে পায়না। এগুলোর মধ্যে যেমন: বিভিন্ন একাডেমিক ডাটাবেস, ব্যাংকিং পোর্টাল, অভ্যন্তরীণ কোম্পানির নেটওয়ার্ক, আপনার ওয়েব মেইল একাউন্ট এবং অন্যান্য ডেটা। এসব ডেটাগুলো কখনোই গুগলে সার্চ করে দেখা সম্ভব নয়।
আপনার কাছে আপনার গুগল ড্রাইভের তথ্যগুলো সবসময় নিরাপদ। কেননা, এগুলো আপনার জিমেইল এর পাসওয়ার্ড দ্বারা নিরাপদ করে রাখা হয়েছে। এসব তথ্যগুলো তখনই কেউ পেতে পারে, যখন কোন ব্যক্তি আপনার জিমেইল এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। এর বাহিরে, কোন ব্যক্তি এগুলো কোন সার্চ ইঞ্জিন অনুসন্ধান করে পাবে না। আপনার তথ্যগুলো ইন্টারনেট ড্রাইভে থাকার কারণে, এগুলো ডিপ ওয়েব এর অন্তর্ভুক্ত। আর এরকম ভাবে হাজারো কোটি মানুষের তথ্য ডিপ ওয়েবে রয়েছে, যেগুলোর খোঁজ কেউ জানে না। আর তথ্যের দিক থেকে ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে ডিপ ওয়েব।
ক্লিয়ার নেটের তুলনায় Dark web অসম্ভব ভাবে ছোট। এই ওয়েবে ওয়েবসাইটের পরিমাণ ২৫০০০০ থেকে ৪০০০০০ এর মত অনুমান করা হয়। ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করার প্রধান ব্রাউজার হচ্ছে "টর"। এটি হাজার হাজার Ransomwar notes এবং অন্যান্য Malware নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক Ransomwar Variants রয়েছে, যারা এটি দ্বারা আক্রমণের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তিপণ পরিশোধ করার জন্য ডার্ক-ওয়েবে আসতে বলে। এক্ষেত্রে, তারা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে।
আমরা প্রায়ই এমন কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই যে, "আমি কিভাবে ডার্ক ওয়েব খুঁজে পেতে পারি?" বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এমন প্রশ্ন করার কারণ হচ্ছে, তারা এটি সম্পর্কে জানেনা। এক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েবের ক্ষেত্রে তাদের ধারণা হলো যে, এটি সবার থেকে গোপন, সিক্রেট এবং সবার থেকে লক করা। কিন্তু বাস্তবতা হলো যে, আপনিও "টর" ব্রাউজার ব্যবহার করে ডার্ক ওয়েবে অ্যাক্সেস করতে পারেন। এক্ষেত্রে, যে কেউ এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার শুরু করতে পারে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
Tor ব্রাউজার হল একটি Modified Mozilla Firefox ব্রাউজার, যেটিতে রয়েছে বেশ কিছু অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা, গোপনীয়তার এক্সটেনশন এবং Tor Launcher। এই ব্রাউজারটি ডার্কওয়েবে অ্যাক্সেস করার জন্য সবচাইতে সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতি গুলোর মধ্য থেকে একটি।
মূলকথা হলো, ডার্ক ওয়েব নিজেই অবৈধ নয়। বরং, অন্যান্য ওয়েবের মত এটি ব্যবহার করাও বৈধ। তবে এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একটি কারণে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করা আপনার জন্য অবৈধ হতে পারে।
যাইহোক, ডার্ক ওয়েবসাইট গুলো তাদের পরিষেবা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শক্তিশালী এনক্রিপশন ব্যবহার করে সুরক্ষা প্রদান করে। কিন্তু, কিছু কিছু দেশে শক্তিশালী এনক্রিপশন ব্যবহার করা অবৈধ। আর আপনি যেহেতু কিছু ধরনের এনক্রিপশন ব্যবহার না করে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাই আপনাকে এই জন্য সেই দেশের আইন না মেনে সেখানে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যেটি আপনার জন্য বেআইনি হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, চীনে শক্তিশালী এনক্রিপশন ব্যবহার করা অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অতএব, এই দেশে থেকে টর ব্রাউজার এবং টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা একটি অপরাধমূলক কাজ। এছাড়া, বিভিন্ন ভিপিএন দিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য এনক্রিপশন করে আদান-প্রদান করা গেলেও, চীনা সরকার তাদের দেশে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।
এছাড়াও রাশিয়া, ইরাক, তুরস্ক, উত্তর কোরিয়া, বেলারুশ এবং আরো অনেক দেশের নাগরিক এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। অন্যদিকে, যেসব দেশে ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা বৈধ, সেসব দেশের সরকারও এটি ব্যবহার করার জন্য উৎসাহী করে না। কেননা, এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পেলেও নিজের তথ্যগুলো সেই ভিপিএন সার্ভিস প্রোভাইডার বা অন্য কারো কাছে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই এক্ষেত্রে অনেককেই ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার করা বাদ দিয়ে পেইড ভিপিএন ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও, আপনি যদি অধিক সচেতন হয়ে থাকেন, তাহলে ওপেন সোর্স ভিপিএন বাছাই করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ডার্ক ওয়েব এর ব্যবহার অবৈধ হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো: এখানে থাকা বিভিন্ন কন্টেন্ট বা উপকরণ। ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করে আপনি যদি এমন কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, যেখানে নিষিদ্ধ এবং অবৈধ সকল কার্যকলাপ হয়ে থাকে; তবে এটি ব্যবহার করা আপনার জন্য বেআইনি। মোট কথা, আপনি বর্তমানে যে ওয়েবে রয়েছেন সেটি যদি বেআইনি হয়, তাহলে ডার্ক ওয়েবে সেটি অবৈধ। আর আপনি আপনার অ্যাক্টিভিটি গুলো লুকানোর জন্য এনক্রিপশন ব্যবহার করলে এটি বৈধ হবে না।
ডার্ক ওয়েব নিয়ে মানুষের আরো একটি ভুল ধারনা হলো: এটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। Dark web ব্যবহারের সময় আপনার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বৃদ্ধি করার জন্য এটি ডার্ক ওয়েব এনক্রিপশন এবং স্ক্রিপ্ট ব্লকিং এক্সটেনশন ব্যবহার করে। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে, আপনি ডার্ক ওয়েবে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।
আমরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে রেগুলার ওয়েবসাইটগুলো অ্যাক্সেস করার ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হতে পারি। আপনি বরং টর ব্রাউজার ব্যবহার করেও রেগুলার ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। টর ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনি যখন কোনো একটি রেগুলার সাইটে অ্যাক্সেস করেন, তখন আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিক একটি Exit node এর মধ্য দিয়ে যায়।
আর একটি Exit node হল ডার্ক ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব এর মধ্যে একটি সেতুর মতো। এক্ষেত্রে যদিও আপনার ট্রাফিকের উৎস সুরক্ষিত থাকবে, কিন্তু তবুও আপনি যেই ওয়েবসাইটে লগইন করে রয়েছেন, সেটি আপনার অ্যাক্টিভিটি গুলো সংরক্ষণ করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কোন একটি সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে লগইন করেন, তাহলে আপনার সেই সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে এখন আপনার কার্যকলাপ গুলো দেখাবে।
এছাড়া ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে আপনি কোন একটি ওয়েবসাইটে অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়াতে চাইলে, আপনি এক্ষেত্রে গ্রেফতার ও হতে পারেন। কেননা, অনেক সময় দেখা যায় যে, ডার্ক ওয়েবের অনেক সাইট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রেখে দেয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি এই ওয়েবসাইটের কোনো অপরাধের চুক্তি করতে আসবে, তখনই তারপরিচয় সনাক্তের কাজ করা হয়। তাই, ডার্ক ওয়েব কে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বলার কোন উপায় নেই।
ডার্ক ওয়েবকে নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক কল্পকাহিনীর মতো কথা ছড়িয়ে রয়েছে। আর এটি নিয়ে আমাদের জানা কথাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই অন্যের থেকে শোনা। এই ওয়েব সম্পর্কে আমরা গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার কাহিনী গুলো শুনে থাকি। আপনি Dark web সম্পর্কে অনুসন্ধান না করেই বরং এটি সম্পর্কে অনেক তথ্য খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু, আপনার সেই জানা কথা গুলোর বেশির ভাগই সত্য নয়। তবে ডার্ক ওয়েব নিয়ে বলা অধিকাংশ কথাগুলোই সত্য হতে পারে।
আশা করছি, ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে আপনার ধারনা পাল্টে গিয়েছে এবং আপনি আজ থেকে এটি সম্পর্কে নতুন করে জানলেন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)