পৃথিবীটা হয়ে গেছে ছোট! ছোট বলতে মানে পৃথিবী এখন মানুষের হাতের মুঠোয় এসে পড়েছে। আগে দূরের কারো সাথে কথা বলতে হলে অথবা দূরের কারো সাথে যোগাযোগ করতে হলে দিনের পর দিন অথবা মাসের পর মাস যাতায়ত করে সরাসরি দেখা করতে হতো। কিন্তু পৃথিবী আর এখন সেই অবস্থায় নেই। বদলে গেছে পুরো পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা। হাইটেক প্রযুক্তি, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সুপার কমিউনিকেশন ব্যবস্থা। তাই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত, বাংলাদেশ থেকে সাইবেরিয়া অথবা ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেকোনো মানুষের সাথে যেকোন সময়, যেকোন অবস্থাতেই যোগাযোগ করা এখন হাতের মুঠোয়। আর সেই অর্থেই পৃথিবী হয়ে এসেছে অনেক ছোট!
পৃথিবীর ছোট হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ধৈর্য্যের মাত্রাও হয়ে এসেছে অনেক ছোট। বিশেষ করে ইউজারের কনটেন্ট কনজিউমিং এর ক্ষেত্রে ইউজারের ধৈর্য হয়ে এসেছে এখন ছোট।
ইন্টারনেটের প্রথমদিকে, ইউজাররা বড় বড় কনটেন্ট খুব পছন্দ করতো। বড় বড় কনটেন্টগুলো বেশ সময় নিয়ে পড়তো। তবে তখন অনেক সময় নিয়ে কনটেন্ট পড়ার কারণও ছিল। কারণ তখন পুরো ইন্টারনেটে সাইট এবং কনটেন্ট এর পরিমাণ ছিল খুবই অল্প। তাই অল্প কনটেন্ট বেশি সময় নিয়ে পড়তো। তাড়াহুড়ো নেই।
এখন সময় সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইন্টারনেটে এখন কনটেন্ট এর অভাব নেই। বরং প্রতি সেকেন্ডে তৈরি হচ্ছে সহস্র কোটি কোটি কনটেন্ট। টেক্সট কনটেন্টকে ছাড়িয়ে এখন অডিও কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট ইন্টারনেটে তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। টেকটিউনস, ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক, টিকটক মতোই ইউজার কনটেন্ট জেনারেটর প্ল্যাটফর্মের কারণে প্রতি সেকেন্ডে তৈরি হচ্ছে লক্ষ কোটি কনটেন্ট। সেই সাথে যোগ হয়েছে নানা ধরনের কনটেন্ট Aggregator এর। যার মাধ্যমে মাল্টি সোর্স থেকে এক জায়গায় সকল কনটেন্ট সেন্ট্রালি কনজিউম করতে পারছে ইউজার।
বেশিরভাগ ইউজার এখন বড় কনটেন্টগুলো পড়ার চাইতে ছোট কন্টেন্ট পড়তে বেশি আগ্রহ বোধ করে। কারণ ইন্টারনেটে কনটেন্টের পরিমাণ এখন সিমাহীন হওয়াতে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি কনটেন্ট পড়তে হয়। এখানে কিন্তু আমি বেশিরভাগ ইউজারের কথা বলেছি। সবার কথা কিন্তু বলিনি। সবাই বড় কোনটা পছন্দ করেন না বা বড় কনটেন্ট পড়তে চাননা এমনটি কিন্তু নয়। অনেক ইউজারই আছে, যত বড় বেশি কনটেন্ট, যত বেশিরভাগ ইনফর্মেশন, তাঁদের কাছে কন্টেন পড়তে তত বেশি ভালো লাগে। কিন্তু এখন যেহেতু পুরো ইন্টারনেটেই সীমাহীন কনটেন্ট তাই ইন জেনারেল বেশিরভাগই ইউজারই ছোট কিন্তু কাজের কন্টাক্ট বেশি পছন্দ করে।
আর এই ধারণা থেকেই আমি 'মাইক্রো টিউনার' নিয়ে এলাম মাইক্রোটিউনস।
মাইক্রোটিউন মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে খুবই অল্প কথায় কিন্তু কাজের দারুন দারুন ওয়েব অ্যাপ, মোবাইল অ্যাপ, কম্পিউটার অ্যাপ, সফটওয়্যার, অনলাইন টুলস, অনলাইন কোর্স, ওয়েব সার্ভিস, ব্রাউজার এক্সটেনশন, টিপস, ট্রিক্স, ট্রাবলসুটিং, নিউজ ইত্যাদি টিউন দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমার মাইক্রোটিউন গুলোর সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের হবে এর বেশি হবে না এবং টিউনের বর্ণনা হবে টু-দি-পয়েন্টে এ। আর তাই আমার এই মাইক্রোটিউন এর মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ে বেশি কিছু পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ্।
আপনাদের মতামত কী? আমার এই মাইক্রোটিউন নিয়ে? মাইক্রোটিউনে আপনার আর কি কি দেখতে চান? আমাকে টিউমেন্ট করে জানান।
আর একটি কথা অবশ্যই এবং অবশ্যই আমার টিউন জোসস করুন। আমার টিউন গুলো শেয়ার করুন। অন্যদেরকে জানান। সেই সাথে আপনি নিজেও জানুন।
আর অবশ্যই আমার টিউনার প্রোফাইলে গিয়ে ফলো বাটনে চাপদতে ভুলবেন না। তাহলে আমি নতুন টিউন প্রকাশ করলেই তা আপনার টিউন স্ক্রিনে চলে আসবে। আর না হলে নতুন টিউন কিন্তু শ্যাষ!
হ্যাপি মাইক্রোটিউনিং!
আমি মাইক্রো টিউনার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।