সরকারের ৩ হাজার সেবা অনলাইনে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির সামগ্রিক কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের প্রায় ২০০ সেবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে দেয়া যাবে। এরপর ৩ হাজার সেবা অনলাইনে চলে আসবে।
পলক জানান, বঙ্গবন্ধু সিটির সঙ্গে স্থাপন করা ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার। এটির পরিপূর্ণ কার্যক্রম চলতি বছর জুন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন এই ডেটা সেন্টার থেকেই ডিজিটাল সেবার প্লাটফর্মগুলো পরিচালনা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, হাইটেক সিটি সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পণ্য রপ্তানির মূল কেন্দ্র হয়ে গড়ে উঠবে। প্রথম পর্যায়ে দেশে এ পর্যন্ত ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন করবে। আইটি শিল্পকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করতে সুলভ মূল্যে প্রতিটি পার্কে স্পেস দেওয়া হচ্ছে।
হাইটেক সিটি পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, বিনিয়োগকারীদের সব রকম সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪টি প্রনোদনা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এসব কার্যক্রম আরও সহজীকরণের জন্য বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি চালু করা ট্রেন সার্ভিস বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতের সময় ও খরচ কমিয়ে আনবে। ফলে তারা এখন নিশ্চিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির উপর স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’ বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রকল্প। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এ পার্কের প্রয়োজনীয় সকল অফসাইট ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ শেষ করেছে।
ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব মডেলে (পিপিপি) দুটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৪০ একর জমি দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে সামিট টেকনোলজিস ৬০ হাজার বর্গফুট ফ্যাক্টরি ভবন এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার বর্গফুট সিগনেচার বিল্ডিং নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে। অন্য ডেভেলপার কোম্পানি টেকনোসিটি ২ লাখ বর্গফুট মাল্টিটেন্যান্ট বিল্ডিং নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ করেছে।
পার্কটিতে একটি সার্ভিস বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ২৭ হাজার ২৬০ বর্গফুটের। এখানে দুটি আইটি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) প্রোডাক্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে। একটি প্রতিষ্ঠান প্রোডাক্ট বাজারজাত করছে।
চীনের সহযোগিতায় প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই হাইটেক পার্কেই গড়ে উঠছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টায়ার ফোর ডাটা সেন্টার। ইতোমধ্যে এই জাতীয় ডাটা সেন্টারের ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
১৯৯৯ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সরাসরি প্রথম পর্যায়ে ৯টি কোম্পানিকে ২০ দশমিক ৫ একর এবং ১০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৯টি কোম্পানিকে ২৮ একর প্লট বরাদ্দ দেয়।
যেখানে ৪০ বছরের জন্য রবি আজিয়াটা, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস এবং জেআর এন্টারপ্রাইজ বিনিয়োগ সুযোগ পায়। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানে কাজ শুরু করেছে।
কোম্পানিগুলো সেখানে প্রায় ১৪০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ ও ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্য ঠিক করেছে।
আমি ওয়েব মাস্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
আমি রাকিব। ভালো লাগে টেকটিউন কে ভালোবাসি বললে ভালো হয় , আর তাই বার বার ফিরে আসি। নতুন কে জানার টানে। নতুন কে জানানোর টানে।