প্রিয় টেকটিউস এর বন্ধুগণ কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালোই আছেন। আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দারুন একটি ইন্টারনেট অফার নিয়ে। যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই অফারটি খুবই ভালো লাগবে বলে আমি আসাবাদি। বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরগণ দিচ্ছে নানান ধরনের ইন্টারনেট অফার। সাথে গ্রামীণফোনও পিছিয়ে নেই।
প্রিয় বন্ধুগণ আমি আপনাদের জন্য যে অফারটি শেয়ার করছি এটি সবাই নাও পেতে পারেন। তবুও আমি আপনাদের স্ক্রীণশর্ট আপনাদের মাথে শেয়ার করলাম।
বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের স্মার্টফোন বাজারের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। বর্তমান সময়ে এই দু’দেশেই মধ্য বাজেটে বেশ কয়েকটি বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোন রয়েছে। এদের দামও মোটামুটিভাবে কাছাকাছি। তবে যে বিষয়টি জেনফোন মাক্স প্রোকে অন্য সব প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোন থেকে বাজারে এগিয়ে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে তা হলো এই স্মার্টফোনটির দাম। নতুন এই স্মার্টফোনটির ৩ গিগাবাইট র্যাম এবং ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ ধারণ ক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১০, ৯৯৯ রুপি, যা বর্তমান বাজার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ চমকে দেবার মতোই। ফ্লিপকার্ট এক্সক্লুসিভ এই ফোনটি নিয়ে বাংলাদেশের মোবাইলপ্রেমীদের আগ্রহ এবং আলোচনা বর্তমানে বেশ তুঙ্গে।
অ্যাসুস তার গতানুগতিক নিজস্ব এন্ড্রয়েড স্কিন থেকে বেরিয়ে এসে ম্যাক্স প্রো স্মার্টফোনটিতে গুগলের ‘ষ্টক অ্যান্ড্রয়েড‘ ব্যবহার করেছে। প্রাথমিকভাবে ফোনটিতে এন্ড্রয়েড ওরিও’র (Android Oreo) হালনাগাদ সংস্করণ ৮.১ ব্যবহার করা হয়েছে।
স্মার্টফোনটির সামনের দিকটি গ্লাস এবং কাঠামোটি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। ৫, ০০০ মিলিআম্পায়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা সত্ত্বেও ৬.২৬ x ২.৯৯ x ০.৩৩ ইঞ্চির এই ফোনটির ওজন ১৮০ গ্রামের মতো। স্মার্টফোনটি এলটিই (VoLTE) সমর্থিত।
জেনফোন ম্যাক্স প্রোতে ৫.৯৯ ইঞ্চির ফুলভিউ পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। আইপিএস এলসিডি (IPS LCD) পর্দাটির রেজ্যুলেশন ১০৮০ পিক্সেলের কিছু বেশি (১০৮০ x ২১৬০ পিক্সেল)। পর্দার সাথে পুরো ফোনটির আয়তনের অনুপাত ৭৭ শতাংশ (93.1 cm2)। ১৮: ৯ অনুপাতের এই ফোনের পর্দার ঘনত্ব ৪০২ পিপিআই। অ্যাসুসের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ফোনটির পর্দা ১৫০০ : ১ কনট্রাস্ট অনুপাত এবং ৪৫০ নিট মানের ঔজ্জ্বল্য প্রদান করবে। পর্দাটি পুরোপুরিভাবে মাল্টিটাচ সমর্থিত।
কোয়ালকমের একদমই নতুন প্রসেসর সিরিজ ৬৩৬ (Qualcomm SDM636 Snapdragon 636) ব্যবহার করা হয়েছে। অক্টাকোরের এই প্রসেসর ১.৮ গিগাহার্জ (Kryo 260) ক্ষমতাসম্পন্ন। গ্রাফিক্সের বিষয়টি দেখাশোনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে আড্রিনো ৫০৯ (Adreno 509), যা বেশ ভালোমানের গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত।
অ্যাসুস জেনফোন ম্যাক্স প্রো তিনটি সংস্করণে বাজারে আসছে। ৬৪ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ ধারণ ক্ষমতায় ৪ গিগাবাইট এবং ৬ গিগাবাইট র্যামে দুটি সংস্করণ এবং একটি অপেক্ষাকৃত প্রান্তিক মডেল ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ সুবিধা এবং ৩ গিগাবাইট র্যামের সংস্করণ। ভারতের বাজারে এই সংস্করণগুলোর মূল্য হতে যাচ্ছে যথাক্রমে ১০, ৯৯৯, ১২, ৯৯৯ এবং ১৪, ৯৯৯ রুপি।
ফোনটির ৩/৪ গিগাবাইট র্যামের সংস্করণে রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে ১৩ মেগাপিক্সেলের বিএসআই (complementary metal-oxide semiconductor) সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। ২.২ অ্যাপাচারের এই সেন্সর ১.১২ মাইক্রনপিক্সেল সমৃদ্ধ। ‘ডেপথ অব ফিল্ডের’ জন্য রয়েছে আরেকটি ৫ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। এই সেন্সরটি ২.৪ অ্যাপাচার বিশিষ্ট এবং এটিতেও ১.১২ মাইক্রনপিক্সেল ব্যবহার করা হয়েছে।
স্মার্টফোনটির সেলফি ক্যামেরাটিতে সাধারণভাবে ৮ মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর থাকছে। এই সেন্সরটি ২.২ অ্যাপাচার বিশিষ্ট এবং আলট্রাপিক্সেল (১.০ মাইক্রনপিক্সেল) সমৃদ্ধ। সেলফি ক্যামেরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে ‘ফেস রিকগনিশন সুবিধা’ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ৬ গিগাবাইট র্যামের মডেলটিতে প্রধান রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেন্সর ব্যবহার করা হছে। এক্ষেত্রে সেলফি ক্যামেরায়ও বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন রয়েছে। ৬ গিগাবাইট মডেলে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়েছে।
আমি প্রত্যয় বিশ্বাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।