দেখুন ব্লু হোয়েল গেমস কি – কেন এই গেমস কে সুইসাইড গেমস বলা হয় – কোথাই আছে এর ডাউনলোড লিংক

ব্লু হোয়েল আসলে কি? social media তে উঠেছে এই ব্লু হোয়েল নিয়ে ঝড়। কেউবা বলে এটি একটি গুজব। আবার বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেছেন যে এটি একটি মরণ গেম। অনেক অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানের হাতে এখন মোবাইল কম্পিউটার ইন্টারনেট দিতেও ভয় পাচ্ছেন এই গেমস এর কথা শুনে।

বহুতলের ছতলা থেকে এক কিশোরকে ঝাঁপ দিতে দেখে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। শনিবার সন্ধেবেলা মুম্বইয়ের শহরতলি পূর্ব আন্ধেরির শের-এ-পঞ্জাব এলাকার সেই ঘটনা আপাত ভাবে আত্মহত্যার হলেও তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, অনলাইন গেমের হাতছানিতেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কিশোর। আপাতত ওই কিশোরের মোবাইল আর কম্পিউটার ঘেঁটে দেখছে পুলিশ। কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কতটা সক্রিয় ছিল, তা ও দেখা হচ্ছে।

মনপ্রীত সিংহ। বছর 12 ক্লাস নাইনের ওই ছাত্র এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। তার পরিবারের সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারেনি পুলিশ। তবে মনপ্রীতের বন্ধু-বান্ধবদের প্রশ্ন করতে শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ব্লু হোয়েল নামে এক অনলাইন গেম নিয়ে চর্চা করত ওই কিশোর। এই গেমের চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মনপ্রীত। সেই এ দেশে এই খেলার প্রথম শিকার বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু ব্লু হোয়েলই নয়, অনলাইন দুনিয়ায় এ রকম সুইসাইড গেম আরও রয়েছে।

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুবছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ব্লু হোয়েল।

 

blue Whale আলো চিত নিচের ভিডিও টি দেখতে পারেন ঃ- 

 

 

৫০ দিনে খেলতে হয় খেলাটি। অ্যাডমিনের নির্দেশে খেলোয়াড়কে নানা ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। যার শেষতমটি হল আত্মহত্যা। প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা। তার পর খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আকঁতে হয় সেই তিমির ছবি। একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়। চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে। এই খেলায় প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন, এমনটা নয়। মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জাও লড়ছেন অনেকে।

 

কী এই ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম?

• এটি একটি অনলাইন গেম। এই গেমে প্রতিযোগীদের মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক লেভেল কমপ্লিট করতে হয়। সেই সমস্ত লেভেল ও তার টাস্কগুলি খুবই ভয়ঙ্কর। গেম যত এগোতে থাকবে টাস্কগুলি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হতে থাকবে। কিন্তু প্রথম দিকের ধাপগুলি অপেক্ষাকৃত কম ভয়ঙ্কর হওয়ায় টাস্কগুলি বেশ মজার। আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়েন কিশোর-কিশোরীরা। পরে আত্মনির্যাতনমূলক বিভিন্ন টাস্ক সামনে এলেও কিশোর-কিশোরীরা এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে, গেম ছেড়ে বেরোতে পারে না।

• কেমন সেই আত্মনির্যাতনমূলক টাস্ক? কোনও লেভেলে হয়তো নির্দেশ দেওয়া হয় নিজের শরীরে একাধিক সূচ বিঁধতে। কোনও লেভেলে নির্দেশ দেওয়া হয় নিজের হাতকে রক্তাক্ত করতে। তবে গেমের শেষ ধাপ অর্থাৎ ৫০তম ধাপে ইউজারদের এমন কিছু টাস্ক দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ করা মানেই আত্মহত্যা।

• এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি টিউন করতে হয় এর গেমিং পেজে। প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হল আত্মহনন।

• এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনও ভাবেই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে।

 

ভয়ঙ্কর এই অনলাইন গেমগুলি থেকে সাবধান থাকুন

 

Level 0

আমি শোআইব ইমরান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 55 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভুয়া পোষ্ট, ব্লু হোয়েল গেমস এর কিছুই জানেন না আপনি