২০ থেকে ৩০ বছর আগে, আপনার যখন কোন তথ্য খোঁজার প্রয়োজন পড়তো—তখন চলে যেতেন কোন বইয়ের লাইব্রেরী আর সেখানে প্রায় যেকোনো বিষয়ের উপর তথ্য পাওয়া যেতো। কিন্তু আজকের দিনে আমরা কি করছি—বসে পড়ি কোন কম্পিউটার ডিভাইজের সামনে আর অনলাইনের সাথে যুক্ত হয়ে যেকোনো তথ্য খুঁজে বেড় করি, যা পৃথিবীর যেকোনো লাইব্রেরী থেকে অনেক বেশি পাওয়ারফুল। আপনি প্রায় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়, যেকোনো অবস্থায় এই তথ্য গুলো অ্যাক্সেস করতে পারেন—আর এটিই হলো দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। বর্তমানে আমরা ওয়েবের উপর এতোটাই বেশি নির্ভরশীল যে, আমরা ওয়েব ছাড়া বাঁচতে পারবো না। যাই হোক, এইতো মাত্র ২০ বছরের আগের কথা—যখন ওয়েব উদ্ভাবিত হয়েছিলো। কিন্তু অনেক কম সময়ের মধ্যে এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়। তো চলুন বন্ধুরা, দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সম্পর্কে সকল জানা-অজানা তথ্যের খোঁজ করতে আরম্ভ করি।
অনেকেই মনে করেন ওয়েব এবং ইন্টারনেট হলো একই বিষয়। আর যতক্ষণ আপনি এই ব্যাপারটি সম্পর্কে পরিষ্কার না হতে পারবেন, ততোক্ষণ টিউনটির সামনে এগোনো সম্ভব হবে না। তাই চলুন আগে এই বিষয়টি ভালকরে জেনে নেওয়া যাক।
দ্যা ইন্টারনেট—হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কম্পিউটারের একটি সুবিশাল নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটে অনেক কাজ হতে পারে (এগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন বলা হয়) এবং ওয়েব হলো তার মধ্যে একটি কাজ। যখন আপনি কাওকে কোন ইমেইল পাঠান, তখন আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন—কেনোনা আপনার ম্যাসেজটি একটি সংযোগের মাধ্যম দিয়ে অন্য কম্পিউটারে গিয়ে পৌছাচ্ছে। আবার আপনি যখন কারো সাথে চ্যাট করছেন তখনও আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন—কেনোনা আপনার ম্যাসেজ বারবার নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে প্রেরন এবং গ্রহন হচ্ছে। কিন্তু আপনি যখন আপনার ব্লগ আপডেট করেন বা গুগলে কোনকিছু অনুসন্ধান করেন, তখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ওয়েব। ইন্টারনেট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমার লেখা “ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে?” আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো পৃথিবী জুড়ে টেক্সট পেজস, ডিজিটাল ফটোগ্রাফস, মিউজিক ফাইলস, ভিডিওস, এবং এনিমেশনের এক বিরাট সম্ভার, যা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে পারেন। দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর সবচাইতে স্পেশাল বিষয়টি হলো, এর প্রত্যেকটি তথ্য একে অপরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকে। ওয়েব তৈরির সবচাইতে বেসিক উপকরন হলো টেক্সট পেজ (যেমন এই পেজটি), যা ওয়েবপেজ নামেও পরিচিত। একটি কম্পিউটারে থাকা অনেকগুলো ওয়েবপেজ সংগ্রহমালাকে বলা হয় ওয়েবসাইট। প্রত্যেকটি ওয়েবপেজে (সাথে এই পেজটিও) হাইলাইট করা বাক্যাংশ থাকে যাকে লিঙ্কস বলা হয় (অথবা হাইপার টেক্সট লিঙ্কস)। যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করার মাধ্যমে আরেকটি ওয়েবপেজে প্রবেশ করা যায়, আর এভাবে এই প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকে।
ইন্টারনেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো—ইন্টারনেটে থাকা প্রত্যেকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে পারে। আর এটাই হলো ইন্টারনেটের সবচাইতে খাস ব্যাপার। যদি পেছনের দিনের কম্পিউটার গুলোর দিকে ফিরে দেখা যায়, ১৯৬০, ১৯৭০, ১৯৮০ সালের কম্পিউটার গুলো নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করার ক্ষমতা ছিল বিরল ঘটনা। প্রত্যেকটি মেশিন আলাদা আলাদা প্রস্তুতকারী কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত ছিল এবং কেউই অন্য মেশিনের ভাষা বুঝতে সক্ষম ছিল না। ১৯৭০ সালের দিকের ব্যক্তিগত কম্পিউটার গুলোর একটি সাধারন প্রোগ্রাম চালানর মতোও ক্ষমতা ছিল না। প্রত্যেকটি কম্পিউটার শুধু সেই প্রোগ্রাম গুলোই চালাতে পারতো যা বিশেষভাবে তাদের জন্য লেখা হতো। ইমেইল এবং চ্যাটের মতো জিনিষ গুলো ছিল তখন অসম্ভব।
কিন্তু ১৯৮০ সালের দিকে আইবিএম নামক একটি বৃহৎ কম্পিউটার কোম্পানি তাদের নতুন ব্যক্তিগত কম্পিউটার উদ্ভবনের জন্য বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কম্পিউটার ক্লোন করে নেন এবং খুব শীঘ্রই বেশিরভাগ ব্যক্তিগত কম্পিউটার একই পদ্ধতিতে কাজ করতে আরম্ভ করে দেয়। এর পরে মাইক্রোসফট তাদের একটি সফটওয়্যার উদ্ভবন করে যার নাম হলো উইন্ডোজ। আইবিএম কম্পিউটার গুলোতে উইন্ডোজ চালু করানোর ফলে সকল কম্পিউটার গুলো একই প্রোগ্রামে চালানো সম্ভব হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন কম্পিউটার গুলোর একে অপরের সাথে কথা বলা এতটাও সহজ ছিল না। যেমন ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সাথে বড় কম্পিউটার মেশিন গুলো এবং বিজ্ঞানের গবেষণার কম্পিউটার গুলো সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতো না। তাহলে কীভাবে এই বিভিন্ন ভাষার কম্পিউটার গুলোর একে অপরের সাথে কথা বলানো সম্ভব হয়েছিল?
এই বিরাট সমস্যার সমাধান ঘটান একজন ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানিক—যার নাম টিম বার্নারস-লী। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি একটি ইউরোপিয়ান পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারে কাজ করতেন, যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আগত ব্যক্তিরা কাজ করতো এবং প্রত্যেকেই আলাদা ভাষার বেমানান কম্পিউটার দিয়ে কাজ করতো। ফলে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য গুলো শেয়ার করা সম্ভব ছিলনা। কারন তাদের কম্পিউটার গুলো একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম ছিল না। আর তখনই টিম বার্নারস-লী এক আশ্চর্য আবিষ্কার করলেন, যার ফলে প্রত্যেকটি কম্পিউটারের মাঝে কথা বলানো সম্ভব হলো।
যাই হোক, পূর্বের কম্পিউটার গুলো অনেক বেমানান ছিল এবং তারা ASCII (American Standard Code for Information Interchange) পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষন করে রাখতো। আর একে “plain text” নামেও জানা যেতো। ASCII তে 0-255 নাম্বার গুলো বিভিন্ন অক্ষর, নাম্বার, এবং কীবোর্ড অক্ষর যেমন A, B, C, 1, 2, 3, %, &, এবং @ এর রুপান্তর হিসেবে কাজ করে। টিম বার্নারস-লী ASCII এর দুইটি বেসিক সিস্টেম ব্যবহার করে যা কম্পিউটার পরিভাষায় প্রোটোকল বলা হয়। এরপর তার ল্যাবের সকল কম্পিউটার এই দুই নিয়ম অনুসরন করাতে লাগলো এবং তিনি উপলব্ধি করলেন যে, কম্পিউটার গুলো তাদের মধ্যে সহজেই তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম হয়েছিলো।
তিনি প্রথম নিয়মটিকে নাম দিলেন এইচটিটিপি (হাইপার টেক্সট ট্র্যান্সফার প্রোটোকল) (HTTP)। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে দুইটি কম্পিউটার তাদের মাঝে কিছু আলাপ করে যেকোনো তথ্য বিনিময় করতে পারে। একটি কম্পিউটার (যাকে ক্লায়েন্ট বলা হয়, এবং যে প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলা হয়) আরেকটি কম্পিউটারের (যাকে সার্ভার বা ওয়েব সার্ভার বলা হয়ে থাকে) কাছে কোন তথ্য চেয়ে জিজ্ঞাসা করে একটি সাধারন ম্যাসেজের রূপে। এরপরে ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার একে অপরের সাথে কয়েক সেকেন্ড চ্যাট করে, ব্রাউজার সার্ভারের কাছে কোন তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে এবং সার্ভার যদি তা খুঁজে পায় তবে তা ব্রাউজারকে পাঠিয়ে দেয়। ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভারের মধ্যে এই এইচটিটিপি আলাপ অনেকটা “খাবারের টেবিলে লবণ পাস করার মতো”। অনেক সময় আপনার লবনের প্রয়োজন পড়ে এবং আপনি টেবিলে বসা অন্য কাউকে লবণদানিটি পাস করতে বলেন আর সে বলে “এই নাও তোমার লবণদানিটি”। এইচটিটিপি এই একইভাবে কাজ করে, এটি এমন একটি ভাষা যা প্রত্যেকটি কম্পিউটার জানে, এবং এর মাধ্যমে আলাপ করে কম্পিউটার গুলো একে অপরেরর সাথে ফাইলস শেয়ার করে।
এইচটিটিপির মাধ্যমে কোন ফাইলট কম্পিউটারের কাছে আসলে সেই ফাইলটিকে প্রদর্শন করানোর জন্য অবশ্যয় কম্পিউটারকে সেই ফাইলটি চিনতে হয়। তাই এখানে টিম বার্নারস-লী তার জিনিয়াস হওয়ার আরেকটি উদাহরণ দেখিয়েছেন। তিনি তথ্য শেয়ার করার জন্য একটি কমন ভাষার ব্যবহার করে যা এইচটিএমএল (HTML) নামে পরিচিত। এইচটিএমএল ASCII সিস্টেমের উপর নির্ভর, তাই যেকোনো কম্পিউটার এটি বুঝতে পারে। এইচটিএমএল এ রয়েছে কিছু স্পেশাল কোড যা ট্যাগ নামে পরিচিত। ওয়েব ব্রাউজার এই ট্যাগ গুলো পড়ে এবং বোল্ড ফন্ট, ইটালিক, হেড লাইনস, টেবিল, এবং ইমেজেস পরিদর্শন করে। আপনি চাইলে আমার এই ওয়েবপেজটির গোপন এইচটিএমএল কোড গুলো দেখতে পারেন। আপনার ওয়েব ব্রাউজার থেকে পেজটির উপরে View page source অপশনটিতে ক্লিক করুন, ব্যাস আপনি দেখতে পেয়ে যাবেন।
এইচটিটিপি (HTTP) এবং এইচটিএমএল (HTML) হলো ঐ সিস্টেম যার উপর নির্ভর হয়ে দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কাজ করে। এইচটিটিপি হলো একটি সাধারন উপায়—যার মাধ্যমে কম্পিউটার গুলো একে অন্যের কাছে ওয়েবপেজ চেয়ে অনুরোধ করে এবং এইচটিএমএল হলো সেই ওয়েবপেজ যা সকল কম্পিউটার পড়তে পারে এবং প্রদর্শন করতে পারে। আশা করি এই ব্যাপারে আর বুঝতে কোন অসুবিধা নেই। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে তা টিউমেন্টে বলতে পারেন।
ওয়েব ব্রাউজার (ক্লায়েন্ট) এবং সার্ভার একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে না তো ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে আর নাইবা বাংলা ভাষা ব্যবহার করে—এরা ব্যবহার করে এইচটিটিপি ভাষা। আপনি যখন এই পেজটি আপনার ব্রাউজারে লোড করেছেন তখন আপনার ওয়েব ব্রাউজার এবং সার্ভারের মধ্যে কি কথা হয়েছিলো তা নিচে দেখুন।
GET /world-wide-web-explained HTTP/1.1
Host: bn.techubs.net,
User-Agent: Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; WOW64; rv:47.0) Gecko/20100101 Firefox/47.0
Accept: text/html, application/xhtml+xml, application/xml;q=0.9, */*;q=0.8,
Accept-Language: en-gb, en;q=0.5,
Accept-Encoding: gzip, deflate,
Accept-Charset: ISO-8859-1, utf-8;q=0.7, *;q=0.7,
Keep-Alive: 300,
Connection: keep-alive,
HTTP/1.1 200 OK
Date: Mon, 08 Aug 2016 04:38:02 GMT
Server: nginx
Content-Encoding: gzip
Content-Type text/html; charset=UTF-8
Location https://bn.techubs.net/world-wide-web-explained
এই ম্যাসেজ গুলোর মানে নিশ্চয় জানতে চাইবেন? এখানে ব্রাউজার বর্ণনা করছে যে সফটওয়্যারের নাম ফায়ারফক্স। আমি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম রান করছি। তাছাড়া ব্রাউজার বঝাচ্ছে যে সে কি ধরনের ফাইলস সমর্থন করে এবং কোন ভাষা সমর্থন করবে। তাছাড়া আরো বোঝানো হচ্ছে কোন কম্প্রেস করা ফাইল এটি সমর্থন করবে (যেমন gzip)। এবং বোঝানো হচ্ছে (/world-wide-web-explained) এই পেজটি ব্রাউজারের প্রয়োজন। ব্রাউজারের উত্তরে সার্ভার বলছে যে সে nginx সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং সে একটি কমপ্রেসড ফাইল পাঠাচ্ছে (gzip)। তাছাড়া সার্ভার আরো বোঝাচ্ছে যে সে text/html ফাইল পাঠাচ্ছে আর যা UTF-8 দ্বারা তৈরি।
সার্ভার রিপ্লাই করার প্রথমেই দেখতে পারছেন যে, HTTP/1.1 200 OK ম্যাসেজটি পাঠিয়েছে। “200” হলো স্ট্যাটাস কোড—যার মানে সার্ভার বোঝাচ্ছে ব্রাউজার থেকে রিকোয়েস্ট করা ফাইলটি খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সার্ভার আরো কোড প্রদান করতে পারে। যেমন- যদি কোন ওয়েবপেজ বা ফাইল খুঁজে না পাওয়া যায় তবে সার্ভার 404 “Not Found” কোড পাঠিয়ে দেয়। আবার যদি কোন ওয়েবপেজ এক লিঙ্ক থেকে আরেক লিঙ্কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তখন 301 “Permanently moved” কোড সেন্ড করে। সার্ভার যদি ঠিক করার জন্য ডাউন থাকে তবে 503 “Service Unavailable” কোড পাঠিয়ে দেয় এবং ব্রাউজার তখন বুঝে যায় যে তাকে আবার ট্রাই করা প্রয়োজন।
টিম বার্নারস-লী আরেকটি ব্রিলিয়ান্ট উপায় তার মাথায় ভেবে রেখেছিলেন—সেটি হলো যেকোনো কম্পিউটার থেকে যেকোনো কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষিত করা। তিনি টিউমেন্ট করেন যে, প্রত্যেকটি ওয়েবপেজের একটি আলাদা নাম থাকা দরকার (যেমন প্রত্যেকটি ঠিকানার জন্য আলাদা জিপ কোড থাকে), আর একেই ইউআরএল (URL) (a Universal or Uniform Resource Locator) বলে। ইউআরএল হলো কোন পেজের ঠিকানা যা, এই মুহূর্তে আপনি ব্রাউজারের বারে দেখতে পাচ্ছেন।
এই পেজের অ্যাড্রেসটি বা ইউআরএল হলো- https://bn.techubs.net/world-wide-web-explained/
চলুন এক সেকেন্ডে এর আশাকরি…
আর এই সকল বিষয় গুলোকে একত্রিত করে দিলে এটি কম্পিউটারকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, অনুরোধ করা পেজটি কোন স্থানে আছে, কি পদ্ধতি ব্যবহার করে তা বিনিময় করা যাবে এবং কীভাবে পেজটি প্রদর্শন করা যাবে। আর ঠিক এভাবেই দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কাজ করে।
একজন বিখ্যাত অ্যামেরিকান পাবলিশার “বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন” একদা বলেছিলেন যে, জীবনে দুটি জিনিষ অত্যাবশ্যক, একটি হলো মৃত্যু এবং আরেকটি ট্যাক্স পে করা। কিন্তু আজকের দিনে সেই লিস্টে—ওয়েবসাইট যুক্ত করা প্রয়োজনীয়। কেনোনা আজ বিজনেস থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজনীয়। আজকের দিনে একটি ওয়েবসাইট অনেক শক্তিশালী একটি হাতিয়ার হতে পারে (টেলিভিশন থেকেও শক্তিশালী)। মানুষ এখন তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সকল খবরা খবর ইন্টারনেটে পাবলিশ করতে পছন্দ করে, নিজেদের ছবি, বিয়ের ছবি, কোন বিশেষ মুহূর্তের ছবি ওয়েবে সংরক্ষিত রাখতে পছন্দ করে (যেমন ফেসবুক ও টুইটার)। আপনি যদি মনে করেন যে, এসব থেকে আপনি পিছিয়ে রয়েছেন তবে এখনই সময় এসেছে আপনার নতুন একটি ওয়েবসাইট সেট করার। কিন্তু কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যেকোনো কারো জমা করে রাখা তথ্য যা আপনি যখন ইচ্ছা তখন অ্যাক্সেস করতে পারেন এবং যা সকল পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত থাকে বেসিক ভাষায় তাকে ওয়েবসাইট বলে। আপনি যদি কোন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন, তবে জানেন যে আপনার তৈরি করা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা সিভি ফাইল বারবার অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার কম্পিউটারের কোন ফোল্ডার বা ডিরেক্টরিতে সেভ করে রাখতে হয়। ওয়েবসাইটেও সকল ডকুমেন্ট গুলো একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডার বা ডিরেক্টরিতে সেভ করা থাকে, আর তা যেকোনো কেউ অ্যাক্সেস করতে পারে কোন প্রকারের বিশেষ পারমিশন ছাড়ায়। যে কম্পিউটারে ওয়েবসাইট কোন ডিরেক্টরিতে সেভ থাকে সেই কম্পিউটারকে সার্ভার বলা হয়। ওয়েবসাইটের মূল ডকুমেন্ট হলো এর টেক্সট পেজ। কিন্তু তাছাড়াও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ডকুমেন্ট (যেমন- ফটোগ্রাফ গুলো জেপ্যাক ফরম্যাটে, বিভিন্ন আর্ট ওয়ার্ক গুলো জিফ এবং পিএনজি ফরম্যাটে সেভ করা থাকে) সংরক্ষিত করা থাকে। অর্থাৎ বেসিক ভাবে ওয়েবসাইটে কোন তথ্য টেক্সট আকারে লেখা থাকে এবং সে তথ্য গুলোকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন গ্রাফিক্স সুন্দর ভাবে সজ্জিত করা থাকে (যেমন টেকহাবস!)—এবং সেগুলোকে একত্রে এমন একটি ফোল্ডারে রাখা হয় যা সকলে অ্যাক্সেস করতে পারে। আশা করছি ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে গেছেন।
তাত্ত্বিকভাবে বলতে গেলে আপনি আপনার টেবিলে থাকা কম্পিউটারটিতেই আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন, এবং সমগ্র পৃথিবীর কাছে তা অ্যাক্সেস অ্যাবলও করতে পারেন। আর এই সবকিছু করার জন্য আপনার কম্পিউটারের সিস্টেমে কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন আনতে হবে এবং আপনার ইন্টারনেট কানেকশান যাতে ইঙ্কামিং ট্র্যাফিক গ্রহন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে—আর আপনার কম্পিউটারকে ইন্টারনেট থাকা সকল সার্ভারের সাথে রেজিস্টার করতে হবে যাতে সার্ভার গুলো বুঝতে পারে যে আপনার ওয়েবসাইটটিকে ঠিক কথায় খুঁজতে হবে।
কিন্তু এখানে তিনটি প্রধান কারন রয়েছে, যার ফলে আপনি কখনোয় আপনার ওয়েবসাইট আপনার নিজের কম্পিউটারে হোস্ট করতে চাইবেন না। প্রথমত, আপনি আর নিজের কাজে কম্পিউটারটিকে ব্যবহার করতে পারবেন না। কেনোনা আপনার কম্পিউটার অন্য সকলের রিকুয়েস্ট পূরণ করতেই সর্বদা ব্যাস্ত থাকবে। দ্বিতীয়ত, আপনার কম্পিউটারকে সপ্তাহে ৭ দিন এবং দিনের ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট কানেকশানের সাথে চালু করে রাখতে হবে—যা আপনি কখনোয় চাইবেন না। এবং তৃতীয়ত, আপনার কম্পিউটার যদি পাবলিক করে দেন তবে হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ করে অন্যান্য ফোল্ডার বা ডিরেক্টরি অ্যাক্সেস করে ফেলতে পারে, এতে আপনার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নষ্ট হবে।
তাই মানুষ ব্যাস্তবিক ভাবে তাদের ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য কোন কোম্পানি থেকে কম্পিউটার ভাড়া নিয়ে থাকেন। আর এই কম্পিউটার গুলো কোন বড় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার বা আইএসপি নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। এর মানে হলো টাকার বিনিময়ে কেউ আপনার ওয়েবসাইট তার নিজের কম্পিউটারে হোস্ট করার সুযোগ করে দেয়। সাধারনত, আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট সেটআপ করতে চান তাহলে, আপনাকে যেকোনো একটি হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে। হোস্টিং প্যাকেজ হলো আপনার এবং আইএসপি এর মধ্যে একটি বেসিক কন্ট্রাক্ট যেখানে বর্ণিত থাকে—আপনি কত টাকার বিনিময়ে কতোখানি ডিস্ক স্পেস এবং ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতে পারবেন (ব্যান্ডউইথ হলো একটি নির্দিষ্ট পরিমান, যা নির্দেশ করে প্রতিমাসে ঠিক কতোখানি তথ্য ইউজাররা আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাক্সেস করতে পারবে)।
হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার পড়ে আইএসপি আপনাকে একটি ডিফল্ট ডিরেক্টরি প্রদান করে যেমন “www.largewebhostingisp.com/yoursite4321” কিন্তু এই ডিরেক্টরিটি একদমই মনে রাখার জন্য সহজ নয়। তাই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি সহজে মনে রাখার জন্য নাম নির্বাচন করতে হবে—যাকে ডোমেইন নেম বলা হয়ে থাকে। ডোমেইন নেম হলো একটি সাধারন মনে রাখার জন্য সহজ অ্যাড্রেস যা ইউজাররা সহজেই মনে রাখতে পারে। ডোমেইন নেমকে কাজ করানোর জন্য একে আপনার আইএসপি থেকে দেওয়া ডিফল্ট ডিরেক্টরি বা আইপি তে পয়েন্ট করাতে হয় (যেমন- http://www.largewebhostingisp.com/yoursite4321)। সুতরাং ইউজাররা যখন তাদের ব্রাউজার অ্যাড্রেস বারে আপনার ডোমেইন নেম প্রবেশ করাবে—তখন তারা আসল অ্যাড্রেসে বা ডিরেক্টরিতে বা আইপিতে চলে যাবে, আর এই প্রসেস সকল সিনের মধ্যে গোপন থাকে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে−তাই আপনার চিন্তা করার কোন কারন নেই।
কিছু কিছু আইএসপি ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ফ্রেন্ডলি সিস্টেম দিয়ে থাকে—যেখানে হোস্টিং প্যাকেজ এবং ডোমেইন নেম একসাথে সেটআপ করা যায়। এবং তাদের একটি বাৎসরিক ফী প্রদান করার মাধ্যমে এসকল সার্ভিস অ্যাক্সেস করা যায়, সাধারন ৩, ০০০-৬, ০০০ টাকা খরচ করে একটি সাধারন ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব। যখন আপনি কোন ডোমেইন নেম কেনেন তখন আপনাকে সেই ডোমেইন নেমের বৈধ মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়—এবং আপনার সকল তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষিত করে রাখা হয়, যাকে হুইজ বলা হয়। আর এই জন্যই একই নাম আরেকজন ব্যক্তি আবার কিনতে পারে না।
ডোমেইন নেম এবং ওয়েব হোস্টিং সেটআপ করা পাঁচ মিনিটের সমান কাজ। কিন্তু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে—কেনোনা এখানে আপনার অনেক তথ্য লেখার প্রয়োজন পড়বে (আপনি যে তথ্য গুলো সংরক্ষিত রাখতে চান), আপনাকে একটি চমৎকার পেজ লে-আউট তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে এবং আপনার তথ্য গুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ফটোগ্রাফ খোঁজার প্রয়োজন পড়বে। যাই হোক, সাধারনত তিনটি উপায়ে আপনি কোন ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন।
কোন ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য বেসিকভাবে নোটপ্যাড বা ওয়ার্ডপ্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে—যা উইন্ডোজে ডিফল্টভাবে থাকে, এখানে ইচ্ছা মতো কোডিং করার মাধ্যমে ইচ্ছা মতো ওয়েবপেজ তৈরি করা সম্ভব। আর এভাবে আপনি অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে, কোন ওয়েবপেজ ঠিক কীভাবে কাজ করে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ওয়েবপেজ তৈরি করা একটু মুশকিলের কাজ—যদি আপনার সঠিক কোড জানা না থাকে তবে আপনি ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন না। একেকটা ওয়েবপেজ তৈরি করার চেয়ে আপনি রেডিমেড পেজ থেকে ওয়েবপেজ ইচ্ছামতো সাজিয়ে নিতে পারেন—আর একে বলা হয়ে থাকে ট্যামপ্লেট। ট্যামপ্লেট হলো আগে থেকেই ডিজাইন করে থাকা একটি এইচটিএমএল ফাইল, যেখানে আপনার তথ্য প্রবেশ করাতে পারবেন। আর এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ইনস্ট্যান্ট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু ট্যামপ্লেট ব্যবহারে অসুবিধা হলো আপনার সাইটটি আরো হাজার সাইটের মতো দেখতে হয়ে যাবে।
ওয়েবপেজ তৈরি করার আরেকটি পদ্ধতি হলো কোন পেজ ইডিটর প্রোগ্রাম ব্যবহার করা, যা পেজ তৈরি করার জন্য গোপনে কোডিং করে। আর এই প্রোগ্রাম গুলোকে বলা হয়ে থাকে WYSIWYG (what you see is what you get) ইডিটর, কেনোনা এখানে আপনি ইচ্ছা মতো লে-আউট তৈরি করতে পারবেন, এবং সকল কোড আপনার পেছনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। অনেক জনপ্রিয় প্রোগ্রাম যেমন- ড্রিমওয়েভার ঠিক একই উপায়ে কাজ করে। তাছাড়া বেশিরভাগ ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ওপেন অফিস, ইত্যাদি আপনাকে কোন টেক্সট ডকুমেন্টকে সরাসরি ওয়েবপেজ কনভার্ট করার সুবিধা প্রদান করে থাকে, তাও মাত্র কয়েকটা মাউস ক্লিক করার মাধ্যমে।
ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য সর্বশেষ পদ্ধতিটি হলো কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) ব্যবহার করে তৈরি করা। এই পদ্ধতি সকল টেকনিক্যাল বিষয় গুলোকে একপাশে রেখে আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে সাহায্য করে। আপনি খুব সহজেই কোন পেজ ট্যামপ্লেট তৈরি করতে পারবেন এবং ভিজুয়াল পরিবর্তনের মাধ্যমে যেকোনো স্টাইল সেট করতে পারবেন—আর একে বলা হয়ে থাকে থিমস। আপনি সহজেই যেকোনো পেজ এবং টিউন তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার সাইটে পাবলিশ করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস, ড্রুপাল, জুমলা ইত্যাদি সিএমএস গুলো একই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার সাইটে অনেক প্রকারের এক্সট্রা ফাংশন যুক্ত করতে পারেন—আর একে বলা হয়ে থাকে প্ল্যাগিন্স।
একবার ওয়েবপেজ তৈরি করা হয়ে গেলে এবং ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা হয়ে গেলে, এখন প্রয়োজন পড়বে আপনার ওয়েবপেজ গুলো ওয়েব সার্ভারে আপলোড করার। ওয়েবপেজ গুলো ওয়েব সার্ভারে এফটিপি (FTP) (ফাইল ট্র্যান্সফার প্রোটোকল) ব্যবহার করে আপলোড করা হয়ে থাকে। এই প্রসেসটি অনেক সহজ, অনেকটা আপনার কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার হতে আরেকটি ফোল্ডারে ফাইল কপি করার মতো। ওয়েবপেজ গুলো আপলোড করার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইট কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাবলিক ভাবে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে। আপনি ইচ্ছা মতো যেকোনো ওয়েবপেজ ইডিট করতে পারবেন। কোন প্রকারের ভুল এড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার সম্পূর্ণ সাইটটি আপনার কম্পিউটারে ব্যাকআপ করে রাখতে পারেন। এতে আপনার সার্ভার ক্রাস করলেও আপনার তথ্য গুলো হারানোর ভয় থাকবে না।
আপনি অবশ্যই চাইবেন যে, অনেক মানুষ আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাক। তাই অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার সাইটের লিঙ্ক শেয়ার করার প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটটি নিবন্ধন করাতে হবে যেমন- গুগল, ইয়াহু, বিং, এবং আরো ডজন খানেক সার্চ ইঞ্জিন। কিছু সময়ের মধ্যে বা পরে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার সাইটটি গ্রহন করবে, যদি অন্যান্য সাইটে আপনার লিঙ্কটি এড করানো থাকে। কারন গুগলের রোবট সর্বদা সকল সাইট ভিসিট করতে থাকে নতুন কনটেন্ট গুলো ইনডেক্স করানোর জন্য।
তো মোটামুটি এই ছিল আজকের বিষয় গুলো। আপনি যদি ভালোভাবে বুঝতে এবং জানতে চান যে কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় বা কীভাবে কাজ করে তবে সর্বউত্তম উপায় হলো নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেখা। আপনি আপনার কম্পিউটারে ওয়েবপেজ গুলো হোস্ট করে সহজেই সাইট বানাতে পারেন এবং আপনি যদি প্রফেশনাল কিছু ভেবে থাকেন তবে ভালো আইএসপি থেকে হোস্ট এবং ডোমেইন কিনে সাইট বানাতে পারেন। আপনি যদি চান তবে আমাকে মেইল করতে পারেন, আমি আপনাকে সাজেস্ট করে দেবো। আপনার যেকোনো প্রশ্নে চাইলে নিচে টিউমেন্টও করতে পারেন।
ক্রেডিট; TecHubs.Net
ইউটিউব; TecHubs TV
ফেসবুক; TecHubs
আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!