অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং কি আসলেই সম্ভব? অনলাইনে সত্যিই কি নিজেকে গোপন করা যায়?

টিউন বিভাগ ইন্টারনেট
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচিত এবং দোদুল্যমান প্রশ্ন “অনলাইনে অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং আসলেই সম্ভব কিনা?” সম্পর্কিত আমার আজকের মেগাটিউন।

আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক বন্ধ রয়েছে। দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারকে হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে ফেসবুক প্রেমিদের কাছে বিষয়টা ভালো না লাগলেও সরকারের এই পদক্ষেপ যে ফলপ্রসু হয়েছে এ কথা বলতেই হয়। কারন শুধুমাত্র ফেসবুক বন্ধ করার জন্য দেশে সহিংসতা অনেক মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। আর যদি হ্রাস নাও পেয়ে থাকে তাহলে অন্তত আমরা সে খবর ফেসবুকের মাধ্যমে দ্রুত জানতে পারছি না। যাহোক, ফেসবুক বন্ধ রাখার পর আমরা কিন্তু অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে ঠিকই ফেসবুক ব্যবহার করে আসছি। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে যারা ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহার করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এরই ফলশ্রুতিতে রাস্তাঘাটে চলমান পথিকের মোবাইলফোনগুলোতে পুলিশ ভিপিএন চেকিংও করছে। যাহোক, অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি তো ভিপিএন ব্যবহার করে নিজেকে গোপন করেই রেখেছি সরকার আমাকে দেখবে কীভাবে? আর কীভাবেই বা আমার উপর গোয়েন্দা নজরদারী সম্ভব? সরকারের পক্ষে আসলেই আপনাকে সনাক্ত করা যাবে কিনা এই ব্যাপারে নিঃসন্দেহ হতে টিউনের পরবর্তি অংশে আপনাকে স্বাগতম।

সব কিছুই শুরু হয় আপনার আইপি থেকে (IP :: Internet Protocol)

আপনারা হয়তো জানেন, আইপি এড্রেস হলো ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যের গেটওয়ে। প্রত্যেক ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইসের জন্য একটি করে নির্দিষ্ট আইপি এড্রেস আছে। যেখান থেকে ব্যবহারকারী সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বের করা যাবে। আমরা ইন্টারনেট চালনার জন্য যে সার্ভিস প্রোভাইডারের সেবা গ্রহণ করে থাকি তাদের কাছে আমাদের প্রত্যেকটি ডিভাইসের আইপি সংরক্ষিত থাকে। আইএসপি গুলো আমাদের এই আইপি সংশ্লিস্ট তথ্যগুলো কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখে। এবং সরকারের জন্য হয়তো এই মেয়াদ আরও বেশি থাকে। যার কারনে কোন কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করে ক্রাইম করলে সেই আইপি ব্যবহার করে অপরাধীকে সহজেই ধরা যায়।

আপনার আইপি, যার দিকে অনেকেরই প্রসারিত হাত | সেটা কি নিরাপদ?

আপনি যখন কোন ওয়েব সাইট ভিজিট করেন তখন ঐ ওয়েব সাইট হয়তো জানেনা আপনি কে। কিন্তু আপনি যে আইপি দিয়ে ঐ ওয়েব সাইট ভিজিট করেছেন সেই আইপি ওয়েব সার্ভারে রেকর্ড হয়ে থাকে। সেই ডাটা গুলো এতোটাই ক্ষুদ্র যে তারা চাইলে সেগুলো বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করতে পারে। এখন আপনি যাই করেন না কেন সরকার কিংবা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) চাইলে আপনার সকল তথ্য বের করে ফেলতে পারবে। আপনারা হয়তো ভাবছেন, ফাহাদ ভাই আমাদের বোকা মনে করেছে! আমরা তো পাইরেট ব্রাউজার, ভিপিএন কিংবা স্পেশালাইজড টর ব্রাউজার ব্যবহার করি। আমাদের সরকার কিংবা আইএসপি ধরবে কীভাবে? চলুন তাহলে এসব প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সম্পর্কে একটু জেনে নেই।

PirateBrowser – আপনার কাঙ্খিত অ্যানোনিমাস ব্রাউজার | আসলেই কি?

পাইরেট ব্রাউজার হলো অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং এর জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার। এটি মূলত ফায়ারফক্স ব্রাউজারের একটি কাস্টমাইজড ভার্সন যাতে টর ব্রাউজার এবং কিছু প্রক্সি প্লাগিং সংযুক্ত করা হয়েছে অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং এর জন্য। কিন্তু আসলেই কি এটা ততোটুকু করতে পারে? উত্তর হলো, না! কারন এটা যেকোন ব্লক সাইট এক্সেস করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে যেকোন দেশ বা বয়স রেসট্রিকটেড সাইট ভিজিট করা যায়। কিন্তু নিজেকে অ্যানোনিমাস করা যায় না। এটা কেবল ফায়ারওয়ালটাকে বাইপাস করতে পারে যেটা আপনার সরকার কিংবা আইএসপি ব্লক করে দিয়েছে। কিন্তু আপনার আইপি রিলেটেড তথ্যগুলো অবশ্যই উক্ত সাইটে রেকর্ড করা হয়।

 

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)

প্রাইভেট ব্রাউজিং এর জন্য ভিপিএন হলো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পথ। এটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং রিমোট সার্ভারের মাঝে একটি গোপন সংযোগ স্থাপন করে যাতে সরকার কিংবা আইএসপি নজরদারী করতে না পারে। কিন্তু ভিপিএন এর ক্ষেত্রে সমস্যা একটাই যে ভিপিএনগুলোকে বিশ্বাস করা যায় না। এগুলো এরকম যে ক্ষেতের বেড়া ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলে। মানে আপনি ভিপিএন ব্যবহার করলেন নিজেকে অ্যানোনিমাস করার জন্য অথচ ভিপিএন নিজেই আপনার তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখলো। তাহলে বিষয়টা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাড়ালো?

রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে দোষ দিবেন কাকে?

সহজ কথা হলো, ভিপিএন ব্যবহার করার জন্য কখনোই আমেরিকার তৈরী কোন ভিপিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না। কারন তাদের অধিকাংশ ভিপিএন গোয়েন্দা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করে থাকে কিংবা নিজেরাই ইউজারের তথ্য সংরক্ষণ করে। তাছাড়া ফেসবুকের উদ্দেশ্যে যদি বলেন তাহলে বলবো আপনি যে ভিপিএন দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করছেন এটা তো আপনার আইডি দিয়েই করছেন। আপনি কোন দেশের সার্ভার ব্যবহার করলেন সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো আপনি বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশে বসে ফেসবুক ব্যবহার করছেন নিজের আইডি দিয়ে। এটাকে কি অ্যানোনিমাস বলা চলে? আপনাকে ধরে ফেলা সময়ের ব্যাপার। (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন!)

টর ব্রাউজারের ক্ষেত্রে তাহলে কী বলবেন?

যারা ডার্কওয়েব কিংবা হ্যাকিং এর সাথে জড়িত তাদের কাছে টর ব্রাউজার একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম। ভিপিএন কিংবা প্রাইরেট ব্রাউজারের চেয়ে টর ব্রাউজার অনেক সিকিউরিটির সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু সম্প্রতি এফবিআই টর ব্রাউরে একটা ম্যালওয়ার ইনজেক্ট করে ব্রাউজার সার্ভার থেকে সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর আইপি সংগ্রহ করেছে। বুঝতেই পারছেন নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা এখানে কতোটুকু। তারমানে আপনি টর ব্রাউজারেও সব সময় নিজেকে অ্যানোনিমাস প্রমাণ করতে পারবেন না।

টর ব্রাউজারের ক্ষেত্রে তাহলে কী বলবেন? | এটাকে কি নিরাপদ ভাবেন?

তবে টর ব্রাউজারের ক্ষেত্রে মজার ব্যাপার হলো আপনি যদি কোন ভাবে ব্রাউজার হ্যাক করে এখান থেকে তথ্য বের করতে চান তাহলে এর থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সঠিক ইনফো বের করতে অন্তত ৬ মাসের মতো সময় লাগবে। ব্যাপারটা একটু হাস্যকর হলেও আমি এমনটাই জেনেছি। এতো কিছু থেকে একটা প্রশ্নই আবার ঘুরে ফিরে আসে ইন্টারনেটে কি কোন ভাবেই অ্যানোনিমাস থাকার উপায় নেই? উত্তর হলো-

না, আপনি কখনোই অ্যানোনিমাস (অজ্ঞাতভাবে) ব্রাউজিং করতে পারবেন না!

অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে কঠিন সত্য হলো, সত্যিকার অর্থে অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং এর জন্য কোন খাঁটি পথ নেই! তাহলে আমরা কি সত্যিই ইন্টারনেটে অনিরাপদ? এটার উত্তর হলো, না। আমরা ইন্টারনেটে অনিরাপদ না। কারন সরকার কিংবা ভিপিএন প্রত্যেকটি ইউজারের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে পারে না। শুধুমাত্র তারা কিছু কিওয়ার্ড এর উপর গোয়েন্দা নজরদারী করে। যেমন আপনি টাইপ করলেন বোম্ব! সাথে সাথে আপনাকে নজরদারীতে রাখা হবে। তাছাড়া আর কোন ভাবেই আপনাকে তারা ডিস্টার্ব করতে আসবে না। আর বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে কথা হলো, কোন উসকানিমূলক কিংবা সরকার বিরোধী টিউন না করলে আপনি ফেসবুকে শতভাগ নিরাপদ। সরকার আপনার বাসায় এসে আপনার ফেসবুক আইডি সনাক্ত করবে না।

আপনি কখনোই অ্যানোনিমাসলি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না!

অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ

আজকের টিউনটি আপনাদের কেমন লেগেছে জানিনা। যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের ধারনা দিতে চেয়েছি সেটা আপনাদের বোঝাতে পেরেছি কিনা তাও বুঝতে পারছি না। কিন্তু সংখ্যার বিচারে আজকের টিউনটি আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন টেকটিউনসে সুপ্রিম টিউনার হিসাবে অফিসিয়াল নিয়োগপত্র হাতে পাবার পর থেকে সুপ্রিম টিউনার হিসাবে এটা আমার ১০০তম টিউন। তাছাড়া এই টিউনটি পাবলিশড হওয়ার পরে টেকটিউনস টপ টিউনার লিস্টে আমার অবস্থান টপ ১০ এর শেষ অবস্থানে এসে পৌছাবে। আমি কখনো সংখ্যার বিচার করে টিউন করিনি। তবুও আজকের টিউনের সংখ্যাটা আমাকে একটু বেশিই আনন্দ দিচ্ছে। আমার জন্য সকলেই দোয়া করবেন যাতে সব সময় টেকটিউনস পরিবারের পাশে থাকতে পারি।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

FB PageProfileTwitterLinkedInGPlusSubscriptionMail

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই, আমি টিউন পড়ে ভয় পাইছি। আমি ফেসবুক বন্ধ করার পরে আর ফেসবুকে ঢুকিনি। যদিও ভিপিএন ব্যবহার করি তারপরেও কেন জানি আমার ফেসবুকের প্রতি খুব বেশি ইন্টারেস্ট নেই। কারন আমি নিজে সব জায়গাতে অ্যানোনিমাস থাকতে গিয়ে কেউ আমাকে চিনে না। তাহলে ফেসবুকের প্রতি এট্র্যাকশন সৃষ্টি হবে কেমনে বলেন? তবে ইউটিউব এর কাছে আমি চিরঋণী। ইউটিউব ছাড়া একটা দিনও ভালো কাটেনা আমার।

সবশেষে অসাধারন এই টিউনটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂 ভালো থাকবেন আর নতুন নতুন টিউন করে আমাদের ভালো রাখবেন।

    ফেসবুক তো আজাইরা সময় নষ্ট করার মেশিন। বন্ধ হয়ে সুবিধা হয়ছে যে কিছু আবালের অত্যাচার থেকে বেঁচে গেছি। আর কোনদিন চালু না হলেও আমার কিছু যায় আসে না। টিউমেন্ট এর জন্য ধইন্যা 🙂 ইউটিউব আমারও পছন্দের! বসে বসে ক্লাস লেকচার দেখি। বিনোদনের মাঝে পড়ালেখা যাকে বলে।

একটু ভয় মিশ্রিত ভালো লাগা। সুন্দর এবং তথ্যবহুল টিউনের জন্য ধন্যবাদ। টর ব্রাউজার ব্যবহার করি তবে আপনিও যদি হ্যাক করতে চান তাহলে ৬ মাস লাগবে ভেবে ভালো লাগছে। ৬ মাসে কতো কিছু যে পরিবর্তিত হয়… মোটামুটি এটাকেই ভালো লাগলো 🙂

ভালো হয়েছে 🙂 এক কথায় অসাধরন টিউন ভাই 😀

টর ব্রাউজার খুবভাল —-আপনার টিউন টা আরও ভাল**********************************

ধন্যবাদ ভাইয়া

সানিম ভাই আমি ক্রমে একটা ভিপিন এক্সটেনশন ব্যবহার করি এতে আমার রিয়েল আইপি রেন্ডম দেখায় অর্থাৎ একেক সময় একেক আইপি …………তারপরও কি আমার আইপি ট্রেস করা সম্ভভ………যদি সম্ভব হয় তাহলে কিভাবে ……একটু জানাবেন

    আপনার ভিপিএন প্রোভাইডার আপনার আইপি গোয়েন্দা সংস্থাকে দিতে পারবে। ভিপিএন প্রোভাইডার ছাড়া কেউ আপনার আইপি সনাক্ত করতে পারবে না। আর ফেসবুক ব্যবহার করলে তো বুঝায় যাচ্ছে যে আপনি ভিপিএন ব্যবহার করেন।

      সানিম ভাই ভিপিন প্রোভাইডার এর সার্ভিস তো আমি ইউজ করছি না আমি গুগল ক্রম এর বিল্ট ইন ভিপিন এক্সটেনশন ব্যবহার করছি এই ক্ষেত্রে সে কি আমার আইপি সনাক্ত করতে পারবে

        গুগল ক্রোমে কি বিল্ট-ইন কোন ভিপিএন সার্ভিস আছে নাকি? জানিনা তো! তবে যেই সার্ভিসই ব্যবহার করেন না কেন তারও তো একটা সার্ভিস প্রোভাইডার থাকে। থাকে না?

        আপনি যেটা দিয়েছেন ওটা তো betternet এর ভিপিএন এক্সটেনশন। ওটাকে বিল্টইন বলে না। বিল্ট ইন মানে হলো যেটা ব্রাউজারের সাথে প্রথম থেকেই দেওয়া থাকে ব্রাউজারের অপশন হিসাবে। এগুলোকে বলে এক্সটেনশন। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পারছেন। গুগল ক্রোমে কোন বিল্টইন ভিপিএন দেওয়া নেই।

          আচ্ছা যাই হোক সানিম ভাই এই এক্সটেনশন ব্যবহার করলে আমার আইপি কি ট্রেস করা সম্ভভ …………আমি নিজে দেখেছি আইপি একেক সময় একেকটা দেখায় ………দয়া করে জানাবেন এবং রিপ্লাই দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধইন্যা 😛

এক দিনের মাথায় আরেকটি টিউন? অসাধারণ ফাহাদ ভাই। 😀

    আপনার টিউন গুলা থেকে আমি টিউন করার নতুন নতুন আইডিয়া পাই। দাঁড়ান। আমিও আজকে রাত্রে বা কালকে একটা করতেসি। টিউন করার নতুন বিষয় পাইসি।

      আমার টিউন থেকে তোমার নতুন আইডিয়া এসেছে শুনে ভালো লাগলো। আসলে সময় পেলে টিউন করা কোন ব্যাপারই না। আজ আমাদের কোন ক্লাস ছিলো না। তাই ঝটটপ দুপুরবেলা ঘুম থেকে উঠে টিউনটি করে ফেললাম। বুঝোই তো টেকটিউনস কে ছাড়া ভালো লাগে না।

    তোমার টিউনের অপেক্ষায় রইলাম। টিউন করার পরে আমাকে লিঙ্ক পাঠিয়ে দিও!

      আপনার টিউনের ভিউ দেখেতো আমার অনেক লোভ হচ্ছে। কেমনে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেন?

ফাহাদ ভাই,অনেকেই youtube এ ভিডিও মার্কেটিং করে। আর্নিং বাড়ানর জন্য vpn ব্যবহার করে।তহলে তারা কিভাবে করে।।।।।জানাবেন…..plz

অসাধারন, জানার এবং বুঝার অনেক কিছু আছে।

Khuv vhalo laglo. amiiiiooooooo fb te duki na. abal pulapan e vhore geche

nice and excellent! fahad bro

ভাই Facebook বন্ধ হয়ে আমার অসুবিধা হয়ছে। কারণ Facebook Messenger দিয়ে রিচার্জ ও বিকাশ এর ব্যাবসা করতাম। এখন ইয়াহু দিয়ে করতে হয় । খরচ বেশি হয়ে যায়।

    হুম, এতোদিনে অভ্যস্ত জাতির তো একটু আধটু সমস্যা হবেই। ব্যাপার না, প্রক্সি দিয়ে তো চালানো যাচ্ছেই!

      আমাদের flexiload bkash software প্রক্সি দিয়ে চেলে না। এই কয়দিনে প্রয়
      1 কোটি টাকা সেল হতো —–আমাদের গ্রহক প্রায় 600+

        এতোদিনে অভ্যস্ত জাতির*****এ কথাটি তাদের জন্য জারা নানান রঙ্গের ছবি আপলেড ,কবিতা মেয়েদের সাথে চেটিং,এড করে তাদের জন্য——————-আমাদের কাজ flexiload bkash software এ { এস এম এস } করা। Facebook Messenge এ চেটিং এর মাধ্যমে। আমরা লিখি gp/bki*01751—-*1000*pin আর 5-10 সেকেণ্ডের মধে টাকা চলে যায়

          আমি কিন্তু কথাটা আপনাকে বলিনি! কারন আপনি তো প্রথমে বলেই দিয়েছিলেন কী কাজে ফেসবুক ব্যবহার করতেন। আমি কথাটি বলেছি ভিন্নার্থে এবং ভিন্ন ব্যক্তিদের। কথার সুর থেকে হয়তো বুঝে গেছেন ব্যাপারটা। না বুঝে থাকলে আমি এর জন্য দুঃখিত 🙁

          ধন্যবাদ

“অজানা টানে নেশার মত ছুটেছি, পেয়েছি শুধুই দুঃখ ব্যাথা। ফেসবুক দিয়েছে শুধুই যাতনা, পাইনি কারো সামান্য সহমর্মিতা।” সময় নষ্ট করার জন্য আজাইরা একটা জিনিশ হলো ফেসবুক, আর কিছু আবালের লাইক,কমেন্ট নিয়ে হাওকাও, ফেবু বন্ধ হবার সাথেই শুরু হলো ছাগল গুলার ক্যাওরে ম্যাওরে। আর সারা প্রযুক্তির ব্লগ গুলো জুড়ে ভিপিএন নিয়ে মুহুর্তেই আগাছার মত উদ্ভাবিত হলো কপিপেষ্ট প্রযুক্তিবিদের দল শুরু হলো প্যানপ্যানানি। টেকটিউনেও ভিপিএন নিয়ে শ’খানেক কপিপেষ্ট টিউন দেখেছি। মনে হচ্ছিল – ২০১৫ তে এসে নতুন করে বাংলাদেশে উদ্ভাবন হলো ভিপিএন নয়ত কুড়িয়ে পাওয়া ভিনপ্রহের জিনিষ এইটা। যদিও এই ব্যাপার নিয়ে আগেই জানতাম, ইন্টারনেটে কেউই এতো সহজে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। তবুও গুছিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ফাহাদ ব্রো।

    অসাধারন এবং প্রাঞ্জল টিউমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ জনি ভাই 🙂 টেকটিউনসে শুধু চমকপ্রদ টিউমেন্ট নয় সুন্দর টিউনের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখবেন আশা করি। আপনার টিউনগুলোকে মিস করি।

কিছুই বলার নেই। আপনার টিউন মানেই সুপার টিউন আর সেই সঙ্গে নতুন কিছু জানা। আপনার থেকে আরও বেশি টিউন আশা করি ফাহাদ ভাই

    ধন্যবাদ জুয়েল ভাই, আপনাদের এই অনুপ্রেরণাগুলোই আমার এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। টেকটিউনসের পাশেই থাকুন।

We love you ! Brooooo…….! Tomar prottek ta tune e chorom !

অজ্ঞাতকুলশীল ঘোরাঘুরি নিয়ে অামি একেলা পথিক নিজের মতো করে জায়গায় জায়গায় চড়ে এতটুকু বিশ্বাস তৈরি করতে পেরেছি যে- অার যাই হোক অর্ন্তজালের ভিতর থেকে নিজের ডাটা ট্রাফিক কখনো পুরোপুরি লুকানো সম্ভব না…..Untraceable (2008) মুভিটা দেখেছেন নিশ্চয়ই? এখানেও যে টেকনিকটা দেখানো হয় যে- থুব দ্রুত “মিরর সার্ভার” দিয়ে লাফ দিয়ে জায়গা পরিবর্তন করছে, সেটা ধরাটা খানিকটা অসম্ভব হলেও মনে হয়নি যে সম্পূর্ণ অবাস্তব…..কারণ ঘুরে বেড়ালে পায়ের ছাপ থাকবেই………হয়তো সেই ঘুঘুর ফাঁদটা একটু অন্যরকম হবে অারকি!! 😉 অার এইসবের ঝুঁকি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা অাছে- অন্যেরে দিয়ে সিন্দুক খুললে সেটা অার অামর কেমনে থাকে বলেন?

তবে নিজের ইজ্জত জেনে বুঝে লুন্ঠনের ভয় এই ভিপিএন জোয়ারে ছাড়া অার কোথায় বোধহয় এতটা ভাসে না- অার ডিজিটালে পুলাপানেরা নতুন নতুন জেনে খোমাখাতার পুরা বারোটা বািয়ে দিছিল- দু’দিন তো অামার চোখ ব্যাথা করতেছিল নাদান অা*ল পোলাপানের নয়া উত্তেজনার খবর জানতে জানতে!!! 😈

ডাইনোসরের যুগে যদিও টরের পেঁয়াজের বেশ ঝাঁঝ ছিল- কিন্তু এখন টেপাটেপির যুগে ভিপিএনের বাটন ধুমায়া চাপতেছে সবাই 😆

অন্যরকম শতক হাঁকানোয় তাজা ধইন্যা রইল 🙂

    উপমাটা ভালো লাগলো, ‍“অন্যেরে দিয়ে সিন্দুক খুললে সেটা আর আমার থাকে কেমনে?
    ফেসবুক ব্লক হওয়ার সুবাদে পুলাপাইন ভিপিএন জিনিসটা সম্পর্কে প্রথম একটা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। মানুষ নিজে যেটা পরে জানে সেটাকে ভাবে অন্যেরাও বুঝি জানে না। তবে ভিপিএন নিয়ে যাদের স্ট্যাটাসে মাথা ধরে গেছে তাদের চাইতেও ফেসবুক যদি কোনদিন খুলে তখন তাদের অত্যাচারে জীবন বরবাদ হয়ে যাবে। কারন এখনো ৪/৫ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছে না।

    তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও কিন্তু ভিপিএন টানেলের উপর ভরসা করেই বেঁচে আছি। নতুন জোঁয়ারে নয়, পুরাতন অভ্যাস বশে………. যাহোক, সুন্দর টিউমেন্টের জন্য মধ্যরাতের শিউলী ফুলের শুভেচ্ছা!

মাত্র তো একশো হলো ভাইয়া ৷ 🙂

আরো অনেক অনেক অনেক বেশি অসাধারণ সব টিউন চাই ৷

    সুপ্রিম টিউনার হিসাবে ১০০ হলেও আমার মোট টিউন কিন্তু এখন ১৬৬টি! আশা করি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবো। দোয়া করবেন আমার জন্য।

      সম্পূর্ণ অ্যানোনিমাসলি ব্রাউজিং আসলেই সম্ভব নয় ৷আর দুটো জিনিস জানতে চাচ্ছি
      ১-বাংলাদেশে কি ভিপিএন আসলেই আইনি নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে?
      ২- রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে আসলেই কি ফোনের ভিপিএন অ্যাকসেস চেক করা হচ্ছে ?নাকি এটা গুজব মাত্র ?

      আশা করছি, আপনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ৷

সম্পূর্ণ অ্যানোনিমাসলি ব্রাউজিং আসলেই সম্ভব নয় ৷

আর দুটো জিনিস জানতে চাচ্ছি ৷

১-বাংলাদেশে কি ভিপিএন আসলেই আইনি নিষেধাজ্ঞার আওতায় হয়েছে?

২- রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে আসলেই কি ফোনের ভিপিএন অ্যাকসেস চেক করা হচ্ছে ?
নাকি গুজব মাত্র ?

    আমি নিউজটা অনলাইন পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি। সেখানে ছবি সহ এই বিষয়ে লেখা হয়েছিলো। সত্য মিথ্যা আমি নিজে প্রমাণ করতে পারবো না। কারন আমাদের বিশ্বাসটাও কিন্তু মিডিয়া নির্ভর। তারা বললো, ১৯৯৩ সালাউদ্দিন কাদের রাজাকার ছিলো, আর আমরা তাই বিশ্বাস করলাম। প্রমাণ তো করিনি কিছু, করেছি?

প্রথমে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সাজান গুছান সুন্দর টিউন এর জন্য

আমার প্রস্ন হল তাহলে কি কোন উপাই নাই নিজেকে অনলাইন জগতে গপন রাখার ?

    সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে আপনি কখনোই লুকাতে পারবেন না। হ্যাকারদেরকেও ধরা হয়। তবে কোন হ্যাকার ভ্রাম্যমান থাকে। বা সব সময় একই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেনা কিংবা তারা মডিফায়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে।

অনেকদিন আগে একটা খবরে পরাছিলাম যে ১২ বছরের একজন বালক সম্ভবত তুরস্কের নাসা এর একটা প্রোগ্রাম হ্যাক করে ১ ঘণ্টা লেট করিয়ে দিয়েছিল তাদের রোবট পাঠানো । এর পর খুব সম্ভবত ১-২ মাস লেগেছিল তাকে খুজে বের করতে তাও তাকে খুজে পাবার কারন ছিল সে প্রক্সি পরিবর্তন করলেও তার ম্যাক পরিবর্তন করে নি তাই ।

তাহলে বুঝা জাচ্ছে যে ম্যাক এবং প্রক্সি পরিবর্তনে নিজেকে গোপন রাখা সম্ভব

তবে হ্যাঁ আপনি অবশ্য আই এস পি এর কথা উল্লেখ করেছেন তাদের কাছে ত সব ইনফরমেশন থাকে

    আইএসপি থেকে সব ইনফো বের করা যাবে। আরও অনেক ভাবেই বের করা যাবে। তবে হ্যাকারকে যে অনলাইনেই খুঁজে বের করেছে এমনটা তো না। আপনি নিজেও তো অপরাধ করে পালিয়ে থাকতে পারবেন। বাংলা ভাইকে ধরতে কতোদিন লেগেছে বলতে পারবেন?

ভাল লিখেছেন ভাই। তবে আমার কিছু কথা আছে। আপনি যে পোস্ট টা দিয়েছেন তার অনেকটাই সত্যতা প্রমাণিত হবে বিদেশের ক্ষেত্রে। আমি বিশ্বাস করি না বাংলাদেশ টেকনোলজি ব্যবহারে অনেকদুর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে ভাল ভাল আর এক্সট্রিম লেভেলের কোনো প্রযুক্তি এ নাই। বিদেশে যেখানে এফবিআই দের কাছে ওই দেশের প্রত্যেকটা লোকের ইনফরমেশনের ডাটাবেজ আছে কিন্তু বাংলাদেশে ডাটাবেজ তো দূরের কথা কয়টা মানুষ নেট ইউজ করে সে ইনফরমেশন সহজেই বের করা যায়। এই ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে যেখানে কেবল বড় বড় শহর ছাড়া প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে মাত্র। আর মোবাইল কোম্পানি দিয়ে যারা নেট চালায় তারা ফেসবুক ছাড়া ইন্টারনেটের অন্যান্য সাইট কয়জন ব্যবহার করে আল্লাই জানে।

যাই হোক এত কথা বাদ । মূল কথায় আসি

১. আমরা আইএসপি থেকে যে কানেকশন নেই ওগুলা শেয়ারড ব্যান্ডউইডথ। তারমানে আইএসপির থাকে পাবলিক আইপি আর আমাদের থাকে প্রাইভেট আইপি। আমরা যখন ইন্টারনেট ব্রাউজ করি তখন আমাদের পিসির আইপির কোনো ইনফরমেশন অনলাইন এ যেতে পারে না । কারণ ইন্টারনেটে প্রাইভেট আইপি অ্যালাউ না । আমরা কোনো সাইট এ কনট্যাক্ট করতে চাইলে আমাদের প্রাইভেট আইপি যায় আইএসপির পাবলিক আইপির কাছে । আইএসপির রাউটারে থাকে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্রান্সলেশন (NAT) । এই ন্যাট সার্ভিসের মাধ্যমে আমাদের প্রাইভেট আইপিটা পাবলিক আইপির সাথে সমঝোতা করে ইন্টারনেটে ওই পাবলিক আইপিটাই ব্যবহৃত হয় কোনো কমিউনিকেশনের জন্য। আবার যখন পাবলিক আইপিটা ইনফরমেশন নিয়ে আসে আমাদের জন্য তখন সে আবার প্রাইভেট আইপির সাথে সমঝোতা করে আমাদের প্রাইভেট আইপির মাধ্যমে আমাদের পিসিতে ইনফরমেশন পাঠায়। আর এভাবে আমরা যে কোনো সাইটে কনট্যাক্ট করি । তার মানে দেখা গেল ইন্টারনেটে আইএসপির আইপিটাই ব্যবহৃত হচ্ছে বারবার। কেউ যদি ট্রাক করে তাহলে কিন্তু ওই আইএসপির আইপিটাকেই পাবে কিন্তু আমাদের পিসির কোনো আইপি অ্যাড্রেস ট্রাক করতে পারবে না। এর প্রধান কারণ হলো এরকম হাজার হাজার প্রাইভেট ক্লাস আইপি বিভিন্ন অর্গানাইজেশন ব্যবহার করে। আর এক একটা অর্গানাইজেশনের প্রাইভেট আইপির সাথে অন্যান্য অর্গানাইজেশনের প্রাইভেট আইপি মিলবেই । এটা ইন্টারনেট যারা ডেভলপড করেছে তাদেরই একটা নিয়ম। কারণ এরা কখনই ইন্টারনেট এ কমুনিউকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয় না সো নো প্রব্লেম ফর ইউজিং সেম আইপি ফর ভেরিয়াস অর্গানাইজেশন।

২. আমরা যখন টর ব্রাউজার ব্যবহার করি তখন কিন্তু আমরা আমাদের পিসির কোনো আইপিকে হাইড করছি না আমরা হাইড করছি আমাদের আইএসপির পাবলিক আইপিকে। আর টর ব্রাউজারেরও এরকম হাজার হাজার পাবলিক আইপি আছে । আমরা যখন টর ব্রাউজার ইউজ করছি তখন কিন্তু আমরা আমাদের আইএসপির পাবলিক আইপির পরিবর্তে টরের ডেডিকেটেড আইপি ইউজ করছি। সো আমরা যখন কোনো ওয়েবসাইট ইউজ করি আর ওই ওয়েবসাইট যখন আমাদেরকে ট্রাক করবে তখন কিন্তু টরের পাবলিক আইপি পাবে আমাদের আইএসপির না। আর টরের মাধ্যমে আমাদের প্যাকেট গুলো হাজার হাজার রাউটার অতিক্রম করে ডেস্টিনেশন এ পোঁছে আর প্যাকেট আমাদের কাছে আসার সময়ও হাজার হাজার রাউটার অতিক্রম করে। সো যে ট্রাক করে তার পক্ষে উৎসের অরিজিনাল লোকেশন বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। টরের বামদিকে উপরে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন –

Tor circuit for this site
(facebook.com, google.com, youtube.com etc):
France (91.2.3.150) via
Germany (88.195.2.260) via
Netherlands (37.87.23.250) then
Internet

প্রত্যেকবার কানেক্ট করলে এরকম ভিন্ন ভিন্ন লোকেশন এ কানেক্ট হবে। এখানে থেকে বুঝতে পারছেন কি যে আপনার আইপি ওরা কোনো দিনও পাবে না।

৩. এবার বলতে পারেন যদি আইপি নাই পায় আমাদের তাহলে অনেকেই ধরা পড়া ক্যামনে ? ভাই একটা কথা মাথায় রাইখেন প্রোফেশনালরা কখনই ধরা পড়ে না। এখন ওরা ধরা পড়ে ক্যামনে একটু বলি। ওরা আইপি হাইড করে কিন্তু ম্যাক অ্যাড্রেস হাইড না করলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু খুবই কম ধরা পড়ে ম্যাক দিয়ে কারণ প্রত্যেকটা ডিভাইসের ম্যাক অ্যাড্রেস আলাদা । এক এক দেশের বানানো টেকনোলজি যায় অন্যান্য দেশে আর কোন দেশে কোন ম্যাক আছে এগুলা বের করা কিন্তু মামুলি ব্যাপার নয়। প্রফেশনালরা সবসময় ফেক ম্যাক অ্যাড্রেস ব্যবহার করে তাই নো চিন্তা তাদের। আর একটা হলো ওদের ডিএনএস লিকিং মাস্ট বি অন থাকে । এটি অন থাকলে ডিএনএস এ যদি কোনো আইএসপির ইনফরমেশন থাকে তাহলে সে ধরা খাবে। আর যদি থার্ড পার্টি ডিএনএস শো করে তাহলে কেউ আর ধরা পড়বে না। প্রফেশনালরা ডিএনএস লিকিং অফ করে অনলাইন এ অ্যাননিমাস থাকে।

৪. অনলাইনে প্রাইভেট থাকার বহুবিধ উপায় আছে কিন্তু সেটা হতে হবে প্ল্যান সম্পন্ন । আমাদের প্রাইভিসি বলে যে কোনো কথাই নেই এমন টা কিন্তু না । অনেক দেশে অনলাইন এ প্রাইভিসি থাকা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল । ঠিক এ তো আছে আমার প্রাইভিসি আমার কাছে আমি অন্যদেরকে তা দিব কেন ?
আমারা যদি ভার্চুয়াল মেশিন ইউজ করি তাহলে আমাকে ট্রাক করার কোনো রাস্তাই থাকবে না । কারণ ভার্চুয়াল কথার মানেই হচ্ছে ফিজিক্যালি এক্সিসটেন্স নেই । মনে করেন আমি একটা ভার্চুয়াল মেশিনে উইন্ডোজ অথবা লিনাক্স সেটাপ করলাম । তারপর টর ইউজ করে আইপি হাইড করে চালালাম । আর ওই মেশিনের ম্যাক তো ভার্চুয়ালি তৈরি হয় । মেশিনের একটা ফেক নাম ইউজ করলাম, লোকেশন অন্য দিলাম । কাজ শেষে ভার্চুয়াল মেশিনটা ডিলিট করে দিলাম । আমার ওদিকে সব কাজ হয়ে গেছে । এখন আপনারে ট্রাক করতেছে আর ওরা ইনফরমেশন না হয় পেয়েই গেল কিন্তু আপনি তো ভার্চুয়াল মেশিন ডিলিট করে দিয়েছেন যার রিয়েল ওয়ার্ল্ড এ এর কোনো অস্তিত্বই নেই । তাহলে ক্যামনে আপনাকে ধরবে। এরকম বহু ধরণের উপায় আছে কিন্তু তার জন্য মাথা খটাতে হবে ।

সবশেষে একটা কথা, দ্যা পাইরেট বে ডট এসই, ডট টু এই একটা সাইটেরই কতগুলা ডোমেইন সাব ডোমেইন আছে তার হিসাব আমার জানা নেই । এটা কিন্তু একটা বড় অ্যানোনিমাস টরেন্ট সাইট । আর এই সাইটের সার্ভার কোথায় কোথায় আছে তাও ডিটেক্ট করতে পারে না এফবিআইরা । মাঝে মাঝে শুনেছি কিছু সার্ভার বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিন্তু তারপরেও এই ইলিগ্যাল ওয়েবসাইট গুলো অ্যানোনিমাসলি রান করছে । আপনারা এর ডকুমেন্টারি দেখলে অনেক কিছু জানতে পারবেন । তাহলে এখানে এটা কিভাবে সম্ভব ?? সম্ভব কিছু অত্যাধুনিক টেকনোলজি আর মাথা থাকলে । ডার্ক ওয়েব এর কথা কিছু লিখলাম না থাক ।

    মাইরালা, ভাই এতো তথ্য সমৃদ্ধ টিউমেন্ট আমি জীবনে দেখিনি। আপনি প্লিজ এটাকে টিউন আকারে টেকটিউনসে পাবলিশড করেন। এই টিউনের রিপ্লাই আমি আপনার টিউনের টিউমেন্টে দিতে চাই। টিউন করে আমাকে লিঙ্ক পাঠিয়ে দিবেন। অপেক্ষায় থাকলাম 🙂

    Level 0

    আমি আসলে অনেক দিন হলো টেকটিউনে আসি ন। যাই হোক বহু দিন পরে সানিম মাহবীর ফাহাদ এর টিউন টা দেখছিলাম। আপাদ মস্থক পড়তে পড়তে নিচের দিকে যখন দেখলাম যে মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল একটা সুন্দর রিপ্লাই দিয়েছে তখন মনে হলো যে কিছ একটা লেখা উচিত।

    হ্যা সত্যিই তাই। কামরুল ভাইয়ের রিপ্লাইয়ের লেখা গুলোর ভেতরে যে গুলো বলা হয়েছে যেমন,টর ব্রাউজার, প্যাকেট ডাটা ট্রান্সফার সিসটেম, ডাটা এঙ্ক্রিপশন সিসটেম, ডাটা ডিক্রিপ্ট করার পরে তা কেমন দেখা যায়,(মূলোত ওগুলো কোড সাইফার হয়ে যায়), এবং সর্বপরি এর অনিওন সিস্টেমের নেটওয়ার্ক এই জিনিষ গুলো ভালো করে বুঝেলে এনোনিমাস ব্রাওজিং সম্ভব। এ ছাড়াও আরোও অনেক পদ্ধতি আছে তবে তার জন্যা প্রকৃত মেধার প্রয়োজন।

    শেষ কথা একটাই যে সত্যিই ডার্ক ওয়েব সম্নন্ধে এখনো অনেক কিছু জানা বাকি।

ফাহাদ ভাই, টপ ১০ টিউনার হিসাবে হার্টিয়েস্ট স্বাগতম। আর জনপ্রিয় টিউনার হিসাবে আপনার এখানে খুব বেশি প্রয়োজন ছিল, অনেকের আকাঙ্খা ছিল।

আর অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং নিয়ে টিউনটি আসলেই আমাদের সবার জানার দরকার ছিল। টপ হিটে ফাহাদ ভাইয়ের আরও টিউন দেখার অভিপ্রায় নিয়ে এক গুচ্ছ রজনীগন্ধ্যা পাঠিয়ে দিলাম টপ ১০ আসার জন্য। না পাইলে ফোন দিয়েন। 😉

🙂

    ধন্যবাদ প্রিয় টিউনার। আপনাদের সারিতে আসতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আপনাদের শুভ কামনাগুলোই তো আমার আগামি দিনের পথচলার পাথেয়। সারাটা জীবন এভাবেই পাশে থাকবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

    *** রজনীগন্ধার গন্ধের আভাসেই তো এতো রাতে টিউমেন্ট এর রিপ্লাই দিতে চলে আসলাম 🙂

অনেকদিন পর লগিন করলাম। ভালো লাগলো। তবে, টেকনিক্যালি অনেক গ্যাপ আছে, যেগুলো আলোচনায় আসলে আরেকটু ডিটেইলস হতো। উপরের মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল এর টিউমেন্টটি পরিপূরক হিসেবে আসাতে ভালো হয়েছে। টিউমেন্টের রিপ্লে এখানে দেবেন সম্ভব হলে, আশা করছি। তাহলে আমাদের এই বিষয় সম্পর্কে অস্পষ্টতাগুলো কেটে যাবে অনেকটাই। শেষ করছি একটি বিখ্যাত লাইন দিয়ে। Someone, somewhere, is always watching । ধন্যবাদ সুন্দর টিউনের জন্য।

# অফটপিক: আমিও জাবির। জার্ণালিজম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট। 🙂 কখনো দেখা হয়ে যাবে।

ফাহাদ ভাইকে ধইন্না বরাবরের মত অসাধারণ টিউন উপস্থাপনের জন্য। আর কামরুজ্জামান ভাইতো পুরাই পাংখা। সেই মানের টেকনিক্যাল ইনফরমেশন দিছেন। তবে একটা কথা হইতাছে হইতো সম্পূর্ণ রুপে নিজেকে হাইড করা যায়না কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে এমন অবস্থাও সৃষ্টি করা যায় যাকে মোটামুটি “আনট্রেসএবল” বলা চলে। আর এই অবস্থা শুধুমাত্র সেই লেভেলের লোকজনই পারে। যদিও IP এর সাথে MAC address হাইড করলে তাকে ট্রেস করা মোটামুটি ইম্পসিবল বলে মনে হয় কিন্তু তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে তাকে ট্রেস করা পসিবল হয়। VPN কেও মোটামুটি নিরাপদ বলা চলে যদিনা তারা কোনো Govt. বা Counter Intelligence কে তথ্য সরবরাহ করে। আর এই জন্য যেকোনো Well known VPN এর Paid VPN ইউজ করা উচিৎ এটা জেনেই যে তারা তাদের সার্ভারে ইউজারের log সংরক্ষন করবে না। আর মি: পেয়াজ অলা TOR এর কথা যা বললেন, FBI যেটা খুজে পেয়েছে সেটা একটা bug এটা fix করা হলে তাদের ঐ কাজের এক্সপ্লয়েট কে আর কাজ করা লাগবে না। SilkRoad কে ট্রেস করে বন্ধ করতে FBI কে এখান থেকে টানা 10 বার কেনাবেচা করতে হয়েছে। অর্থাৎ 9 বারের পরেও তারা ট্রেস করতে পারে নাই আর এটা করতে কি পরিমান সময় লেগেছে তা আর নাইবা বললাম। হুম কামরুজ্জামান ভাইয়ের সাথে একমত হয়ে বলছি যদি IP, MAC হাইড করে কোনো ডিভাইসে ভার্চুয়াল OS ব্যাবহার করে TOR এর Onion জাতীয় কিছু ব্যাবহারও করেন। তাইলে আপনারে যে খুজবে সে খুজতে খুজতে আপনি তার সামনে দিয়ে চোদ্দবার চলে যাবেন তাও সে টের পাবেনা।
আর কামরুজ্জামান ভাইকে বলছি হ্যা যদিও সেটা হয় যে ট্রেস করার সময় আমার ডিভাইস বা লোকেশনের IP না পেয়ে ISP এর Shared IP পেল কিন্তু Govt. চাইলে অনেক কিছুই পারবে আমার ISP তো জানে যে কোন Private IP থেকে কোন Shared IP তে কানেক্ট করেছে। আর Govt. যদি সেই ISP পর্যন্ত চলে যায় যে তাদের কাছে info চায় আর info দিয়ে দেয়। তাইলে কাজ হইছে পুরা সর্বনাস।

সবশেষে একটা মজার কথা বলি, আমার এক ফ্রেন্ড এখন মালয়েশিয়াতে থাকে তো যখন সে দেশে ছিলো তখন বলতো, দোস্ত এক কাজ করতে হবে (যদি এমনটা করা যেত আরকি) আমাদের দেশে যদি সেই মানের ইন্টারনেট স্পিড থাকতো আরকি, ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়া এক্কান মোডেম নিতাম আর একটা ল্যাপি নিতাম Linux এর OS ওয়ালা Backtrack অথবা BackBox অথবা Kali Linux এর এর উপ্রে আবার Virtual Box দিয়া Virtual OS মারতাম তার পর IP Hide, Proxy change, MAC Spoof কইরা Paid VPN দিয়া কানেক্ট হইয়া TOR দিয়া US Govt. এর সব কয়টা ওয়েব সার্ভার হ্যাক কইরালবাম। আর সেটা করুম বুড়িগঙ্গার তীরে কোনো এক ফাকা মাঠে, মানে লোকেশন পাইলেও ফাকা মাঠ পাবে। কাজ শেষে ল্যাপি+মোডেম+যাবতীয় সরঞ্জামাদি সব টুকরো-টুকরো করে ডাইরেক্ট বুড়িগঙায়। আমি কইলাম আবে হালার্পু তার পরেও তরে ধইরা আলবো। তুই যা স্টেপ নিবার তা তো নিবিই কিন্তু তার পরেও এক কাম কর আগে কয়েকটা স্যাটেলাইট হ্যাক কইরা তর লোকেশান এক স্যাটেলাইট থেইক্কা আরেক স্যাটেলাইট এমন কইরা ঘুরা। কাজ শেষে স্যাটেলাইট রে সেল্ফ সুইসাইড কমান্ড দিয়া আটলান্টিক মহাসাগরের উপ্রে ব্লাস্ট করাবি। তরে খুজলেও পাইবো এলিয়েনের লোকেশান। হ্যাকার হ্যাক করছে আটলান্টিক মহাসাগরের উপ্রে ভাইসা ভাইসা
এটা শুধু আমাদের দুই বন্ধুর ফান ছিলো (আর সেটা শুধুমাত্র কোনো স্বপ্নের মধ্যে কোনো এক কল্পনার ভেতর স্বপ্নে সম্ভব) ধন্যবাদ।

খুভ ভালো টিউন আর রকিব ভাইয়ের লাস্ট কয়েকটা লাইন পড়ে তো প্রাণ ভরে হাসলাম।

আচ্ছা ভাইয়া যে ভিপিএনগুলা দাবি করে যে তারা কোন লগ রাখেনা সেগুলার বিষয়টা কি?

ভারি মজার টিউন করেছেনে এবং কমেন্টের মাধ্যমে তা হয়ে উঠেছে। খুব আকষর্ণী আশা করি। সামনে দিনগুলোতে আরো ভালো টিউন পাবো। ধন্যবাদ।

অামার দেখা সেরা টিউনের অন্যতম এক টেরাটিউন…৷ অজস্র ধন্যবাদ সানিম ভাই অাপনার এ টেরাটিউনের জন্য…৷

অনেক ধন্যবাদ!
এত্ত সুন্দর একটা টিউনের জন্য। ভাল থাকবেন।

সুন্দর টিউন করেছেন ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ ভাই।