ফায়ারফক্স বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের সেই চিরচেনা আইকনটি। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রায় সবাই জানে এবং চিনে ফায়ারফক্সকে একটি ব্রাউজার হিসাবে। কিন্তু এর বাইরে ফায়ারফক্স ওএস(অপারেটিং সিস্টেম) সম্পর্কে কম লোকেই জানে। আজকে আপনাদের ফায়ারফক্স ওএস সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে বোঝানো চেষ্টা করবো ফায়ারফক্স ওএসটা আসলে কি? ইনশাল্লাহ আশা করি পোষ্টের সাথেই থাকবেন।
আমার যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে পরিচিত ফায়ার ফক্স। মূলত আমরা সবাই ফায়ারফক্সকে একটি ব্রাউজার হিসাবেই বেশি চিনি। কিন্তু এর বাইরেও ফায়ারফক্স আরেকটি অনেক বড় পরিচয় আছে আর তা হল Firefox OS বা ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম।
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস হচ্ছে কোডনেম ( Boot to Gecko সংক্ষেপে B2G) এর Linux kernel বেস Mozilla’s Gecko টেকনোলজির উন্মুক্ত একটি অপারেটিং সিস্টেম। যা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার ও স্মার্ট টিভিতে ব্যবহার করা হয়। এবং এই ওএসটি সম্পূর্ণ ডেভোলাপ করেছে Mozila Foundation । যা একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক সংস্থা।
জুলাই ২৫, ২০১১ সালে মোজিলা কর্পোরেশন এর রিচার্স ডিরেক্টর Andreas Gal ফায়ারফক্স ওএস এর কথা ঘোষনা করেন। mozilla.dev.platform মেইলিং লিস্টে "Boot to Gecko" সংক্ষেপে (B2G) প্রজেক্টের আয়তায় এটি তৈরি করা হয়।
এই অপারেটিং সিস্টেমটা তৈরির প্রথম লক্ষ্য থাকে, এমন একটি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে, অনেক ডেভেলপার থাকবে, সবাই সহজেই ওএসটির এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবে এবং ওএস নিয়ে গবেষণা, বিভিন্ন সোর্স কোড পরিবর্তন, সংশোধণ করতে পারবে ফলে বিষয়টি অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং সবার আছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। একটি অনেকে মনে করে iPhones অথবা অ্যান্ড্রয়েড এর প্রতিযোগিতার জন্য ফায়ারফক্স ওএস এর উদ্ভব। আসলে তা নয় ইউজাররা যাতে কম খরচে এবং নিজেদের মতো একটি স্মার্টফোনে পায় এটিই প্রধান উদ্দেশ্য।
ফায়ারফক্স ওএস Mozila Foundation এর উন্মুক্ত আপরেটিং সিস্টেম বা ফ্রিওয়্যার। এটিতে যে কেও এপ্লিকেশন তৈরি এবং ওএস এ অবদান রাখতে পারেন।এই অপারেটিং সিস্টেমটি সর্ম্পূণ এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক।তাই অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর মতন এর এপ্লিকেশন ডেভোলাপ করতে C+, C# বা Python ইত্যাদি জানার দরকার নেই। যে কেও এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট জানা থাকলেই আপনি নিজেই একজন এপ্লিকেশন ডেভোলাপার হয়ে যেতে পারেন। এবং এই ওএসটির সকল কিছুই এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করা।
ফায়ারফক্স ওএস টি মূলত একটি ওয়েব টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা। সহজ ভাবে বলতে গেলে ফায়ারফক্স ওএস চালিত ফোনটি একটি ব্রাউজারের মতো কিন্তু এটি দিয়ে আপনি মোবাইলের সকল সুবিধা পাবেন। যেহেতু এটি একটি ওয়েব টেকনোলজি বেসের মাধ্যমে তৈরি করা তাই এটি কম হার্ডওয়্যারে অনেক ভাল পার্ফমেন্স করতে সক্ষম।ঠিক সেই জন্য অন্যান্য স্মাটফোনের তুলনায় ফায়ারফক্স ওএস চালিত স্মার্টফোনের দাম অনেক কম।
আগেই বলা হইছে ফায়ারফক্স ওএস এপ্লিকেশন ডেভোলাপ করতে C+, C# বা Python ইত্যাদি জানার দরকার নেই। এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট জানা থাকলেই এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবেন।
ফায়ারফক্স ওএস এর এপ্লিকেশন গুলোকে দুইটি ফর্মে ভাগ করা যায়ঃ Hosted Apps এবং Packaged Apps।
Hosted Apps: হোস্টেড অ্যাপস গুলো সাধারণত মোজিলা সার্ভারে হোস্টেড করা থাকে। আপনি চাইলে ডাউনলোড করে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে হোস্টেড অ্যাপ গুলো ইন্টারনেট কানেশন ছাড়া চলতে পারে না। এক মাত্র ডাটা কানেকশন থাকলেই এগুলো রান হবে, না হলে হবে না।
Packaged Apps: প্যাকেজ অ্যাপস গুলো আপনি একবার ডাউনলোড করলেই হবে। এর কমপ্রেস সোর্স কোডগুলোর সাহায্য আপনি বারবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপ এর এক্সেস পাবেন কোন ডাটা কানেকশন ছাড়াই। আর এই অ্যাপস গুলোর সাইজ কম, দ্রুত অপেন হবে।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
ফায়ারফক্স ওএস এর ইউজার ইন্টারফেস অনেকটা অ্যান্ডোয়েড এর মত । এখানে আপনি অ্যান্ড্রয়েড এর মত হোমস্কিন, লকস্কিন, নোটিফিকেশন বার ইত্যাদি পাবেন।তারপরও এই ওএস থেকে অ্যান্ড্রয়েড ওএসটি একটু হলেও ভিন্ন। এর হোম স্কিনে ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেইজ, ক্লাসিকেল ঘড়ি আছে কিন্তু এখানে এখন পযন্ত কোন উইজেট সার্পোটেড হয় নাই।ফায়ারফক্স ওএস আইফোন অথবা উইন্ডোজ ফোন থেকে অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং স্মুথ একটি ওএস।
অ্যান্ডোয়েড স্মাটফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রায়ই শোনা যায়, যেকোন ভাবেই স্মাটফোনটি বেশি নেট ডাটা খরচ করছে। ফায়ারফক্স ওএস এর ক্ষেত্রে ডাটা সাশ্রয় এর সবচেয়ে বড় সুবিধা পাওয়া যায়। এই ওএস চালিত স্মাটফোনটি অন্যান্য ওএস চালিত স্মাটফোনের ব্রাউজিং থেকে তুলনামুলক ভাবে অনেক কম ডাটা খরচ করে। এর প্রধান কারণ ফায়ারফক্স ওএস এর ওয়েব কমপ্রেশন টেকনিক ফিচার যার জন্য ব্যবহারকারী অতিরিক্ত নেট ডাটার ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারে।
ফায়ারফক্স ওএসটিতে অন্যান্য ওএস এর মত উন্নত সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে।বলা যায় ফায়ারফক্স ওএস এর সিকিউরিটি বৈশিষ্ঠ্য গুলো অনেকটা অ্যান্ডোয়েড এর মত।
আপনি আপনার ফায়ারফক্স চালিত ওএসটি পিন এর সাহায্য স্কিনলক বা সিম লক করে রাখতে পারবেন।
অ্যান্ডোয়েড এর মত এখানে প্রতিটি এপস ইনিষ্টল করার সময় পার্মিশন চাওয়া হয়। Low-risk থাকে ওয়েব বা হোস্টেড এপস এর ক্ষেত্রে আর high-risk থাকে লোকাল বা সোর্স অ্যাপস এর ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার কাছ থেকে কনফ্রাম করা হবে অ্যাপস সম্পর্কে। আপনি চাইলে অ্যাপস ইনিষ্টল এর ক্ষেত্রে পারমিশন ম্যানুয়েল করে রাখতে পারেন।
Do not track : এটি ফায়ারফক্স ওএসর আরেকটি উল্লেখযোগ্য সিকিউরিটি বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিটরদের ট্র্যাক বা অনুসরণ করে এবং তার ব্রাউজিং তথ্য অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুমতি ছাড়াই প্রদান করে বা বিক্রি করে। ফায়ারফক্স ওএস এর এই বৈশিষ্ঠ্যটির মাধ্যমে উক্ত ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটকে জানায় যে আপনি চান না ব্রাউজিং অনুসরণ করা হোক।তবে এই নির্দেশ মানা অনেকটাই উক্ত ওয়েবসাইটটির ইচ্ছাধীন — প্রত্যেক ওয়েবসাইট Do not track নির্দেশ মানবেই এমন কোন কথা নেই। যে ওয়েবসাইট গুলো এই নিদের্শটাকে বা ভিজিটরকে সম্মান করে তারা আপনাকে অনুসরণ করবে না।
অ্যান্ডোয়েড অ্যাপসস্টোর এর মত ফায়ারফক্স ওএস এর জন্যও রয়েছে Firefox Marketplace যেখানে বর্তমানে হাজারো অ্যাপস এর এক বিশাল সম্ভার রয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন লোকাল অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় প্রায় সকল অ্যাপস পাবেন মার্কেটপ্লেসটিতে। তবে ফায়ারফক্স ওএস নিতান্তই নতুন হওয়াতে হয়তো অনেক অ্যাপস এখনো পাবলিশ নাও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার কাছে তো সেরা ওয়েব ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তো থাকছেই।তাই অ্যাপস এর দিক দিয়ে একটু ছাড় তো দিতেই হবে। আর নতুন নতুন অ্যাপস এড করার জন্য মোজিলিয়ানরা কাজ করে যাচ্ছে।
ফায়ারফক্স ওএসটি সবার কাছে সহজে বোধগম্য করতে এতে রয়েছে সম্পূণ শুদ্ধ বাংলা ভাষা। ফায়ারফক্স ওএস এর মাধ্যমে সবার কাছে বাংলা ভাষা পৌঁছে দিতে মোজিলিয়ানদের একটি বড় অবদান এর প্রতিটি অংশ বাংলা ভাষার ব্যবহার করা। সেই জন্য নিবেদিত মোজিলিয়ানরা কাজ করে যাচ্ছে। যেকোন রোবটিক বাংলা ভাষার বাইরে এটি সহজবোধ্য ও শুদ্ধ। বাংলা ভাষার ভাল ব্যবহারের জন্য যেকোন শ্রেনীর, যেকোন পেশাজীবিদের জন্য অনেক সহজ হবে স্মাটফোনটি চালাতে।
বাংলাদেশে দক্ষিন এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসাবে মজিলার তৈরি স্মাটফোন অপারেটিং সিস্টেম ফায়ারফক্স ওএস বাজারে আনে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে রাজধানীর দি ওয়েস্টিনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রামীনফোন ফায়ারফক্স ওএস সার্পোটেড ফোন GoFox F15 আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে।
বাংলাদেশে ফায়ারফক্স ওএস সম্বলিত ফোন Symphony GoFox F15 টিতে রয়েছে ফায়ারফক্স এর ওএস ভার্সন Firefox OS 1.4।
ফোনটির ডিসপ্লে ৩.৬” এবং হার্ডওয়্যার স্পেক এ রয়েছে ১গিগাহায সিঙ্গেল কোর প্রসেসর, ৫১২ র্য্যম ও ৫১২ মেগাইট রম। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার এটিও ফায়ারফক্স ওএস চালিত একমাত্র ৩জি ফোন যাতে ভিডিও কলিং এর ফিচার রয়েছে। আপনি ডুয়েল সিম ব্যবহার করতে পারবেন ফোনটিতে। ফোনটিতে আরো আছে
৩.২ মেগাপিক্সেল ব্যাক এবং ০.৩ ফ্রন্ট ক্যামেরা।ওয়াইফাই, ব্লুটুথ রয়েছে কিন্তু জিপিএস নেই, তবে মজিলার MLS সার্ভিস দ্বারা নেভিগেশন এর কাজ করতে পারবেন জিপিএস ছাড়াই। তাছাড়া ফোনটিতে সেন্সর হিসাবে Gsensor এবং Accelerometer সেন্সর রয়েছে।গ্রামীনফোন অতিরিক্ত সুবিধার জন্য রেখেছে “WowBox” ফিচার যার মাধ্যমে দৈনিক ২০ এমবির মত ইন্টারনেট পেতে পারেন।
Symphony GoFox F15 টি প্রি-বুকিং শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর।প্রি-অর্ডার শুরু হওয়ার মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই ফোনের স্টক শেষ হয়ে যায়।এতেই বোঝা যায় ফায়ারফক্স ওএস এর জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশে ফোনটির দাম ৪,৬৫০ টাকা (প্রায় ৫৮ ডলার) ধরা হয়েছে।
৫৮ ডলার মূল্য ধরায় প্রখমেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কারণ ভারতে ২৫ ডলার মূল্য এই স্মাটফোনটি বিক্রি হলেও এখানে তা প্রায় ৫৮ ডলার! যার কারণে বাংলাদেশের মোজিলিয়ানরা এর উত্তর দিয়েছেন।
কেন ভারতের স্মাটফোনটি ২৫ ডলার আর বাংলাদেশেরটি ৬০ ডলার ? দেখে আসতে পারেন।
Symphony GoFox F15 ফায়ারফক্স ওএস স্মার্টফোনটিতে ডিফল্ট ভাবেই ভিডিও কল সুবিধা সম্বলিত, ৩জি থাকাতে এটি আরো সহজ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ফায়ারফক্স মার্কেটপ্লেসে থার্ডপার্টি বিভিন্ন ভিডিও কলিং মেসেঞ্জার যেমনঃ স্কাইপি না থাকার কারণে হয়তো একটু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আশা করা যায় ব্যবহারকারী ও ডেভোলাপার বাড়ার সাথে সাথে স্কাইপিও অচিরেই চলে আসবে মাকের্টপ্লেসে।
ফায়ারফক্স ওএস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ আর আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে অ্যাডাপ্টিভ সার্চ। যার মাধ্যমে আপনি যে অ্যাপ চাচ্ছেন তা সার্চ করবেন অত্যন্ত কম সময়েরে মধ্যে আপনাকে সার্চ এর রেজাল্ট দেখাবে। শুধু তাই নয় প্রতিবার সার্চ এ ব্যাকগ্রাউন্ড পিক পরিবর্তন হবে এবং যদি এমন থাকে, কোন অ্যাপ আগে থেকে ইনিষ্টল তবে তা বাদ দিয়ে রেজাল্ট শো করবে। আরে সুন্দর ভাবে দেখার জন্য ফায়ারফক্স ওএস অফিসিয়ালে পেজে যেতে পারেন।
এতকিছু যে স্মার্টফোনে আছে তাতে আর মিউজিক থাকবে না তা কি হয়। আসলেই তাই ফায়ারফক্স ওএস এ আছে স্মার্ট “মোমেন্টস দ্যাট এন্টারটেইন” MP3 প্লেয়ারে MP3 ছাড়াও AAC, WAV সাপোর্টেড। আছে উন্নত Radio অ্যাপ আপনি রেডিও অন করার সাথে সাথে রেডিও চ্যানেল খোজঁ শুরু হয়ে যাবে। এবং যে FM চ্যানেল গুলো পাওয়া যাবে তা আপনার সামনে শো করাবে। ফেভারেট বা গ্রুপ করে চ্যানেল রাখার সুবিধা রয়েছে। Video তে আপনি সব ধরণের MP4 ফরমেটের ভিডিও গুলো চালাতে পারেন। তাছাড়া 3GP এবং FLV সাপোর্টেড।
ফায়ারফক্স ওএস এ বিল্টইন ভাবেই ফটো এডিটর রয়েছে। অন্যান্য স্মাটফোনের মতো এখানেও আপনি ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট, ক্রপ, টেক্সট এড, ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমাতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফায়ারফক্স ওএস একদমই নতুন। বর্তমানে অনেকেই অ্যান্ডোয়েড ওএস এর যথাযথ ব্যবহার করতে জানে না। কিন্তু নিতান্তই সহজ ইন্টারফেস, বাংলা সাপোর্ট, ওয়েব ব্রাউজিং এর দারুন অভিজ্ঞতার জন্য বলা যায় খুব তাড়াতাড়িই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে সবার আছে ফায়ারফক্স ওএস এর স্মার্টফোন। এই বিষয়টাকে আরো পরিষ্কার করে গ্রামীনফোনের স্মার্টফোনটি প্রি-অর্ডার এর স্টক শেষ হওয়ার মাধ্যমে।
আশা করা যায় বাংলাদেশের প্রতিটি পেশাজীবি মানুষের কাছে কম মূল্যর কিন্তু ভাল ফিচার সমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনটি পৌছেঁ যাবে।
আর উদ্দেশ্য পূরর্ণ হবে মোজিলা ফাউন্ডেশনের সবার কাছে সাশ্রয়ী মূল্যর স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চত করা।
সবাইকে ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্য, আপনার কেমন লাগলো?
আপনাদের ফায়ারফক্স ওএস, কমিউনিটি সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে ফায়ারফক্স বিডি পেইজ । ব্লগ ভিজিট করতে পারেন।
আমার ফেইসবুক আমার ব্লগ
আমি Readul Haque। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 41 টি টিউন ও 268 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তথ্য জানানোর জন্যে ধন্যবাদ