পবিত্র রমজানের আগে শুদ্ধরুপে নামাজ পড়ার নিয়মটা ভিডিও দেখি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আল্লাহ আমাদের উপর নামাজ ফরজ করেছিলেন মে'রাজের রাতে, যেই রাতে আল্লাহ প্রিয় মাহবুবকে তার সান্নিধ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন । নামাজ ইসলামের রুকন সমূহের মধ্যে দ্বিতীয় রুকন । প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের শিশুকে সাত বছর বয়স হলে নামাজ পড়ার তাগিদ দিতে হবে, নয় বছর বয়সে নামাজ না পড়লে তাকে প্রহার করে বাধ্য করতে হবে । এটাই ইসলামের আদেশ ।

স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ট এবাদত এই নামাজ পড়ার সময় আমরা অনেক ছোট ছোট ভুল করে ফেলি । মসজিদে মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে সিজদার সময় পা দুটো মাটি থেকে পৃথক করে ফেলে, বসাটি শুদ্ধ হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি । এসব ছোট ছোট ভুল গুলোর কারণে কিন্তু আমাদের নামাজ হবে না । নিচের চিত্রগুলো দেখুন -

tune5

 tune6Copy of tune6

আরো বেশী জানতে এই সাইটটি ঘুরে আসুন । সাইটির নিচের দিকে ইংলিশ ।

রমজান মাস আসলে নামাজীর সংখ্যা একটু বাড়ে, রমজান মাসের শুরুতে মসজিদ ভর্তি, আট দশ দিনে মসজিদ অর্ধেক হয়ে যায়, ২৬শে রমজান কদরের রাত্রে আবার জমজমাট মসজিদ, রমজানের শেষেতো একেবারে হাওয়া , শুধু জুমারদিন মসজিদে যায় আমরা দুই রাকাত নামাজ পড়ে কার আগে কে মসজিদ ছেড়ে চলে আসব সেই প্রতিযোগিতা করি ।

আজকের টিউনে আমি এমন একটা সাইটের কথা জানাতে এসেছি যেখান থেকে নামাজ পড়ার নিয়ম ভিডিওতে দেখতে পারবেন । প্রথমে এই সাইটে প্রবেশ করুন এবং ভিডিওটি চালু করুন

tune5

আমাদের বাংলাদেশে হানাফী মাযহাবের অনুসারী অধিকাংশ । অন্যান্য মাযহাব শাফেয়ী, হাম্বলী এ মালেকী তেমন দেখা যায়না । মাযহাব অনুসারে নামাজ পড়ার মধ্যে একটু ভিন্নতা আছে । আমাদের মাযহাবে শুধু নামাজের নিয়তের সময় আল্লাহু আকবর বলে কান পযর্ন্ত একবর হাত তুলি আর শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীরা বারবার হাত উঠায় । এই লিঙ্কে  প্রবেশ করে দেখুন - tune43

 tune7এছাড়াও আরো কিছু পার্থক্য আছে যেমন- আমাদের মাযহাবে ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার সময় সূরা ফাতিহা পড়ার পর "আমীন" শব্দটি ছোট করে বলি আর শাফেয়ী মাযহবরের অনুসারী বড় আওয়াজে উচ্চারণ করে ।

আল্লাহ আমাদের শুদ্ধরূপে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক । আমীন

ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন ।

Level 0

আমি দেলোয়ার খতিবী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 381 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা ও পরিবর্তন হয়ে যায় ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ধন্যবাদ দেলোয়ার ভাই এরকম একটি সুন্দর ও সাবলীল ভাবে উপস্থাপনের জন্য। আশা করি সকল মুসলমান ভাইগন উপকৃত হবেন।

ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। টেকটিউনস এ এই ধরনের টিউন এর বড়ই অভাব। আশা রাখি সামনে এই রকম টিউন আর ও পাবো।

ধন্যবাদ ভাইয়া লিংক টি শেয়ার করার জন্য ।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

নামাজ হল শ্রেষ্টতম এবাদত মুসলমানদের জন্য,আর পবিত্র কোরান-হাদিস বলে নামাজ তরক কারিগন জান্নাতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।তাই সকল মুসলমানদের উচিত নিয়মিত নামাজ আদায় করা।তাছাড়া বিজ্ঞানও বলে নামাজ হল অন্যতম শ্রেষ্ট একটি বেয়াম যা নামাজ আদায় কারিদের জন্য খুবই উপকার বয়ে আনে।
দেলোয়ার খতিবী ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই রকম একটা টিউন করার জন্য,আল্লাহ নিশ্চয় আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিবেন।
আর ভাই আমি এতদিন কাজের ব্যস্ততার কারনে টেকটিউন্সে আসতে পারিনাই।অনেক মিস করেছি আপনাদের।

    আমার টিউনে এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য । অসংখ্য অসংখ্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

    এতদিন নেটে ছিলামনা তাই কমেন্ট করতে পারিনাই অনেকের টিউনেই,তবে মিস হওয়া টিউন গুলুতে চেষ্টা করছি কমেন্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ।

নামাজের সময় মন নামাজে থাকে না, মন থাকে আকাশে বাতাসে, কই যে যাই……… ভাল্লাগে না …

    আপনি যদি নিয়মিত ৮ দিন কোন রকম ক্বাযা না করে নামাজ পড়তে পারেন আপনার সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে । তখন মন যাবে শুধু কখন আযান হচ্ছে কখন নামাজের সময় হচ্ছে সে দিকে । গ্যারান্টি

    নামাজ পরার জন্য মনের ইচ্ছাইটাই যথেষ্ট নামাজের সময় হলে অজু করে এবং মনটাকে শক্ত করে নামাজে দাঁড়িয়ে যান আর বেশী বেশী”আউজু বিল্লাহ হিমিনাশশাইত্বনির রাজিম”পড়ুন দেখবেন শয়তান আপনার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে এবং আপনি ইনশাল্লাহ নামাজ পরতের পারবেন।

আমাদের মধ্যে একটা প্রথা হয়ে গেছে রমযান আসলেই নামায পড়া, অন্য সময় নামাযের ধারে-কাছেও নেই। নামায কি শুধু রমযান মাসে ফরজ..? ভাবতে অবাক লাগে। কোন সময়ই নামায ছাড়া যাবে না। আর সে জন্যই তো দাড়িয়ে, বসে, শুয়ে, এমনকি ইশারায় নামায পড়ার বিধান রয়েছে।
ধন্যবাদ টিউনের জন্য।
টিউনার টিউন স্বাথর্ক হবে যদি এবার হলেও সবাই সময়মত নামাজ পড়া চেষ্টা করেন।

sorry
টিউনারের টিউন স্বাথর্ক হবে যদি এবার হলেও সবাই সময়মত নামাজ পড়া চেষ্টা করেন।

Level 0

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই জান।

আল্লাহর আনুগত্যের উপর আপনার হায়াত দীর্ঘ হউক।
ধন্যবাদ- আমাদেরকে সুন্দর একটি সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।

আপনি উল্লেখ করেছেন অমুক মাযহাবে এই ভাবে নামায পড়ে, তমুক মাযহাবে এইভাবে পড়ে, এই পার্থক্যের মূল কারনগুলি হল রাসুল (সঃ)-এর সালাত আদায় পদ্ধতি সম্বন্ধে অজ্ঞতা, মাযহাবগত ভ্রান্ত ধারণা ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।

আপনি উল্লেখ করেছেন শাফেয়ী মাযহাবে বারবার হাত উত্তোলন করে, ভাই আপনার এই বক্তব্যটুকু পুরোপুরি ঠিক নয়- প্রকৃত সত্য হচ্ছে যারা সহীহ হাদিস ভিত্তিক রাসুল (সঃ) এর সালাত পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা বারবার হাত উত্তোলন করে বা রফ’উল ইয়াদাইন করে । এই সম্পর্কি একটি হাদিস পেশ করলাম- আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুল (সঃ) কে দেখেছি- তিনি (সঃ) সালাত পড়তে দাঁড়িয়ে দু’হাতকে কাঁধ বরাবর উঠাতেন, রুকুর তাকবীর বলার সময় এরূপ করতেন এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন। কিন্তু সাজদাহ থেকে উঠার সময় এরূপ করতেন না। (বুখারী, ইসলামিক ফাউঃ, ২য় খণ্ড, হাদিস নং/৬৯৮; মুসলিম)
হাত উত্তোলন বা রাফ’উল ইয়াদাইন সম্পর্কিত অপর হাদিসটি আবু কিলাবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত (বুখারী, ইসলামিক ফাউঃ ২য় খণ্ড হাঃ/৬৯৯ দ্রষ্টব্য)

আপনি আবার উল্লেখ করেছেন শাফেয়ী মাযহাবে উচ্চকন্ঠে আমিন বলে আমাদের মাযহাবে বলে না, রাসুল (সঃ) বলেন- ইমাম যখন আমিন বলে তখন তোমরা আমিন বল। কারন আকাশের ফেরেশতারাও আমিন বলে, যার আমিন ফেরেশতাদের আমিনের সাথে মিলে যায় তার পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। উচ্চ কণ্ঠে আমিন বলা সম্পর্কিত অনেকগুলি হাদিস বিদ্যমান যেমন (বুখারী, ইসলামিক ফাউঃ ২য় খণ্ড হাঃ/৭৪১) আমাদের উচিত হচ্ছে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত বিশিষ্ট সালাতে উচ্চস্বরে আমিন বলা।

রাসুল (সঃ) বলেছেন “তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখ ঠিক সেভাবেই সালাত আদায় করবে”। (বুখারী, ইসলামিক ফাউঃ ২য় খণ্ড হাঃ/৬০১; মিশকাত ২য় খণ্ড হা/৬৩২

সুতরাং মাযহাবগত ভ্রান্ত ধারণা ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণিত রাসুল (সঃ) এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি বা নিয়মানুযায়ী সালাত আদায় করা।

    প্রত্যেক মুসলমান কোন না কোন মাযহাবের অনুসারী । আপনার মন্তব্যের “মাযহাবগত ভ্রান্ত ধারণা ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি” একথাটা আমি মানতে পারলাম না । ভাই আমিতো কোন মাযহাব খারাপ বলিনি । মাযহাব গত কিছুটা পার্থক্য তুলে ধরেছি । সব মাযহবই সঠিক, যে যেটা পালন করে । আপনার মন্তব্যে বুঝা যায় আপনি কোন মাযহবের আনুসারী না, কিন্তু সঠিক ভাবে নামাজ আদায়কারী । আপনি যদি মাযহাব না মানেন আপনার নামাজ আদায় হবে না । কারণ নিয়তের সময় আপনি “ইক্তেদায়তু বেহাঝাল ইমাম” বলে নিয়ত করেন আপনি যদি মাযহাব না মানেন কাকে ইমাম বলেন ?

দেলোয়ার ভাইকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই অনেক ভালো একটা পোস্ট দেয়ার জন্য।
আমি যাযাবর ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ন একমত। কারন মাযহাব হচ্ছে একধরনের তরিকা যা আমাদের ইবাদত গুলি পলনের সহজ নিয়মকানুন ও বলতে পারি (পরিক্ষার সাজেশান এর মত বলা যায়)। কিন্তু আপনার মন্তব্যে বলেছেন,”যদি মাযহাব না মানেন আপনার নামাজ আদায় হবে না।” ভাই আপনি কি আপনার মনগড়া কথা বললেন? আপনি হাদীস গুলো ঠিক মত পড়ুন। ইসলামের পথ সম্পর্কে একমাত্র কোরআন এবং হাদিসই আপনাকে সম্পূর্ন বলতে পারবে। আমি এই পর্যন্ত কোন হাদীস এ পাইনি যে, মাযহাব না মানলে নামাজ আদায় হবে না। বরং এই কথাটি সত্য যে, যে ব্যাক্তি রাসূল (সঃ) এর তরিকা অনুযায়ী নামাজ না আদায় করবে তার নামাজ আদায় হবে কিনা আল্লাহ ভালো বলতে পারবেন।

    @যাযাবর: @দেলোয়ার খতিবী: @Kawsar Ahmad:
    রাসুল (সঃ) বলেছেন “তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখ ঠিক সেভাবেই সালাত আদায় করবে”। (বুখারী, ইসলামিক ফাউঃ ২য় খণ্ড হাঃ/৬০১; মিশকাত ২য় খণ্ড হা/৬৩২

ধন্যবাদ। ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু এক সঙ্গে খুঁজে পেতে দেখুন – Islamic web directory: http://bit.ly/Kbg4JT