অনেক সাহস করে আজ এই আরটিকলটি লিখতে বসলাম। ইন্টারনেট আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে এলেও দিন দিন এর যেরূপ অপব্যবহার বাড়ছে তাতে কিচুটা নেতিবাচক আরটিকোল না লিখে কোন উপায় নাই। আসলে আজকের শিশুটিকে আমরা আর নিরাপদ রাখতে পারি নি। আমরা দিন দিন আমাদের সমাজকে এক কালো ছায়ার নিচে লুকিয়ে ফেলছি। ইন্টারনেটে ব্রাউজ করতে গিয়ে অনেক বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে যা সাইটটির তথ্যের সাথে মিল থাকে না। আর এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। সেদিন ইউটোবে প্রবেশ কররলাম। ফ্রন্ট পেইজেই এমন সব ভিডিও শো করছিল যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। পরিবারের লোকজন পাশেই বসে ছিল। এমন সময় কি রকম পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে একবার ভাবুন! অবশ্য আজকের সমাজের ভাইবোন রা সব বিষয়েই ফ্রি। এই ফ্রি ভাই বোনদের কথা বাদ দিলাম। অথচ আমি ইউটোবকে জানতাম পৃথিবীর একমাত্র ভিডিও শেয়ারিং সাইট যেখানে প্রবেশ করলে হোম টিউটরের প্রয়োজন হয় না।
আজকাল সবার সামনে ইউটোবে বাংলায় কিছু লিখে সার্চ দিতে ভয় করে। যে টাইপের ভিডিও সাজেষ্ট করে তাতে লজ্জ্বায় মাথা কাটা যাওয়ার অবস্থা হয়।
ইন্টারনেট ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, আমার মেধা বিকাশে ইন্টারনেট আমাকে সব থেকে আপন বন্ধুটি হয়ে টিচারের ভূমিকা পালন করেছে। এটি একটি স্বাধীন তথ্য বা জ্ঞান দান প্রযেক্ট হলেও কখনো কখনো এটি আমাদের যুব সমাজকে পাপ কাজে লিপ্ত করার প্রবোনতা বাড়াচ্ছে বলে আমার মতো অনেকেই স্বীকার করেন।
সম্প্রতি বিশ্বে পাপ বা অপরাধ কি হারে বাড়ছে তা তুলে ধরার জন্য আমাকে তেমন কষ্ট করতে হবে না। হাজার হাজার উদাহরন রয়েছে। আমি শুধূ সম্প্রতি ভারতের মেডিকেল কলেজের ছাত্রীটির কথা আপনাদের স্বরণ করিয়ে দিতে চাই। চলন্ত বাসে গন ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আপনি অবাক হবেন ভারতে জাতীয় সমস্যা হচ্ছে 'ধষর্ন'। আপনি কি মনে করেন, ভারতের লোক অশিক্ষিত। আপনি কি মনে করেন মানুষ অভাব থেকে গন ধষর্নের কাজে নামে। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে ধর্ষন, হত্যা ইত্যাদির যে প্রবনতা বাড়ছে তাতে আমি সত্যিই আমার সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে সংকিত। আমরা কি তাহলে বরবর যুগের মানুষের মতো আচরণ করতে শুরু করছি না কি আমরা আরো খারাপ কিছুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি...? প্রশ্নটা তাদের, যারা কন্যা সন্তানের পিতা।
আমি এবার আমার আরটিকোলের মূল রচনায় আসছি... আমাদের বাংলা ভাষার ভান্ডার আপনি দেখতে চান..!! দেখতে না চাওয়াটাই আপনার জন্য ভালো হবে। বাঙ্গালি জাতী হিসেবে বাংলা ভাষা আপনার মায়ের ভাষা হিসেবে আপনার লজ্জ্বা লাগবে। বাংলা ভাষায় সব থেকে বহুল ব্যবহৃত শব্দ কোনটি? মা। কোন শব্দটি সবাই শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে? মা। মা পৃথিবীর কতো মধুর একটি শব্দ! স্রষ্টার কতো মহান এক সৃষ্টি! সেই মাকে আমি এইভাবে পতিতালয়ে খুজে পাবো ভাবি নি। গুগলে বাংলায় যখন "মা" লিখে সার্চ দিলাম তখন লজ্জ্বায় আমার সৃতি অবশ হয়ে এলো। আমার সাখে সাথেই প্রশ্ন জাগল বাংলায় 'মা' না লিখে ইংরেজীতে 'mother' লিখে দেখি কি অবস্থা? না, ইংরেজ রা এতো খারাপ না। তারা অন্ত্যত্য গুগলের প্রথম পাতায় মা কে এভাবে উলংগ করে নি। বিশ্বাস না হয় আপনিই সার্চ করে দেখুন। শুধু তাই নয়, মা - বোন ইত্যাদি যাই লিখে সার্চ করেন না কেন, আপনি ভাবতেও পারবেন না কতো জঘন্য ভাবে আমাদের মা বোন কে এখানে ব্যবসা করা হচ্ছে।
সাবধান, কখনো 'মা'য়ের মতো এমন পবিত্র শব্দ গুগলে লিখে সার্চ দিবেন না। মা-বোনের সামনে গুগলে মা বোন লিখে সার্চ দিবেন না। লজ্জ্বায় আপনার মরে যেতে মন চাইবে।
আমরা কি পারি না গুগলের প্রথম পাতা হতে মা শব্দটির সকল মন্দ আরটিকোল রিমোভ করতে। যে সকল ব্লগার এই সকল আরটিকোল নেটে পাবলিশ করছেন তাদের কে আসলে আমার বলার কিছু নাই। তারা কি শুনবে? আমার মনে হয় না। তার চেয়ে ভালো হয়, আমরা সাধারণ ব্লগার'রা আমাদের ব্লগ সাইটে মা'কে নিয়ে চলুন বেশী বেশী বড় বড় আরটিকোল লিখি। পূর্নো সাইটগুলো বন্ধ করার জন্য সরকার সহ ব্লগার, হ্যাকার দের মুক্ত মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমান সময়ে অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ হতে পারে, ইন্টারনেটে অশ্লিল সাইটগুলোর ব্যাপক বৃদ্ধি। এসব সাইট ব্রাউজ করে সাধারণ মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত বা আসক্ত হচ্ছে। এথনোই এর সঠিক করনীয় ঠিক করতে না পারলে আমাদের জন্য কঠোর মূল্য অপেক্ষা করছে। সবাইকে আরটিকোলটি পড়ার সুযোগ করে দিয়ে গনসচেতনতায় এগিয়ে আসুন।
আমি ভুলো মন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 50 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নতুন ফ্রিলেন্স মার্কেট: https://upclerks.com/ আমাকে পাবেন : https://www.kulauranews.com/ মোবাইল: +8801929766847 (whatsapp)