ছোটদের পরীক্ষায় আবারও বড় সাফল্য এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার উত্তীর্ণের হার ৯৫ শতাংশের ওপরে। পরীক্ষা প্রচলনের তৃতীয় আসরে এসে পাসের হার গত বছরের চেয়েও ৩ শতাংশ বাড়ল। গত বছর পাসের হার ছিল ৯২.৩৪ শতাংশ। আগের বছর ছিল ৮৮.৮৪ শতাংশ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আজ সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হবে। দুটি পরীক্ষার ফলাফলই এবার প্রথমবারের মতো গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হবে। গ্রেডিং বিন্যাস হচ্ছে_এ প্লাস (৮০-১০০), এ (৭০-৭৯), এ মাইনাস (৬০-৬৯), বি (৫০-৫৯), সি (৪০-৪৯), ডি (৩৩-৩৯) এবং এফ (০-৩২)। গত দুই বছর বিভাগ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে খাতা দেখার সময় অনেক সময় গ্রেডিং পদ্ধতির বদলে বিভাগ পদ্ধতি অনুসরণ করায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার কম এসেছে বলে জানা গেছে।
পরীক্ষার ফল সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট http://www.dpe.gov.bd অথবা http://dpe.teletalk.com.bd অথবা
-http://www.comillait.com/dpe � -এ পাওয়া যাবে। প্রাথমিকের ফল জানার জন্য DPE< > THANA/UPZILA CODE< > ROLL লিখে এসএমএস করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। (যেমন DPE 12345 23458 SEND TO 16222). আর ইবতেদায়িতে ফল জানার জন্য EBT< > THANA/UPZILA CODE< > ROLL লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। (যেমন EBT 12345 23458 লিখে SEND TO 16222)। এ ছাড়া অনলাইনে ফল জানার জন্য সরকারি অথবা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঊগওঝ কোড নম্বরের প্রথম পাঁচটি ডিজিট উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রথমবারের মতো জিপিএ ৫ পদ্ধতি যুক্ত হওয়ায় উত্তরপত্রে কিভাবে নম্বর দিতে হবে তা বুঝতে পারেননি অনেক শিক্ষক। ফলে খুব বেশি পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পায়নি। জিপিএ ৫ প্রাপ্তি আশানুরূপ না হলেও সার্বিক বিচারে ফল ভালো হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা জানান। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি ও অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার কারণেই ছোটদের এই পরীক্ষার ফল ভালো হয়েছে বলে ওই সূত্রটি দাবি করেছে।
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয় উপজেলা সদরে বসে। শিক্ষকরা খাতা মূল্যায়নের পর প্রধান পরীক্ষক তা যাচাই-বাছাই করেন। জানা গেছে, অনেক শিক্ষকই গ্রেডিং পদ্ধতিতে কিভাবে নম্বর দিতে হবে তা না জেনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের মতো নম্বর দিয়ে দেন। পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরদারিতে তা ধরা পড়ে। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উত্তরপত্রগুলো উদারতার সঙ্গে মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ায় শিক্ষকরা তা ধরতে পারেননি। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে কিছু সমস্যা সৃস্টি হয়। তিনি বলেন, এই পদ্ধতির জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিলে ভালো হতো। তিনি আরো বলেন, সার্বিক বিচারে ফল ভালো হয়েছে। তাঁর মতে, অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, ছুটির মধ্যেও ক্লাস চালু রাখা, শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং তাঁদের নিয়মিত উপস্থিতির কারণেই ফল ভালো হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের কপি সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরের পর সব জেলা, উপজেলা/থানায় একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশ উপলক্ষে আজ দুপুর আড়াইটায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন।
এবার এ পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ইবতেদায়িতে তিন লাখ ২০ হাজার ৯৯১ জন। এ ছাড়া চার হাজার তিনজন শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং রিচিং আউট অব চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় ঝরে পড়া ৪৫ হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ২৩ লাখ ১৬ হাজার ২২৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৭ জন ছাত্র এবং ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৬ জন ছাত্রী। আর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে তিন লাখ ২১ হাজার ১২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজার ৬৪ জন ছাত্র এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জন ছাত্রী। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ইংরেজি মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চার হাজার ৯২০ জন। গত ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা দুটো চলে।
মোট ছয় হাজার ১৭৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে দেশের বাইরে আটটি কেন্দ্র ছিল এবং এগুলোতে ৬৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে_সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, কাতারের দোহা, সংযুক্ত আবর আমিরাতের আবুধাবি ও রাসআলখাইমাহ, লিবিয়ার ত্রিপোলি, বাহরাইন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা
LIVE HERE - http://www.comillait.com/dpe
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
আমি bidutking34। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 64 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I LOVE TO SHARE.
লেখা গুলো কেমন যেন হ-য-ব-র-ল !
আর লিংকও কাজ করছে না 🙁