গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ , মারা জাচ্ছে অনেক মানুশ।অথছ এরই মাঝে অনেকেই এই শীতকে উপভোগ করছে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন কিংবা কক্সবাজার ভ্রমণ করে আবার কেউ কেউ রাত বিরাতে বার-বি-কিউ করবে ছাদে-মাঠে কিংবা প্রান্তরে । তীব্র এই শীতে মা তার সন্তানকে উষ্ণতায় জড়িয়ে ধরে ওম দিবে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীকে উষ্ণ চাদরে জড়িয়ে কাপুনির তীব্রতা বুঝতে দিবে না । যারা ভালো আছে তাদের জন্য শীত মানে নতুন কিছু নয় ঋতুর পরিবর্তন মাত্র কিংবা বিনোদন ও উৎসব পর্ব । কিন্তু বাঙলাদেশের যারা ভালো থাকে না তাদের জন্য ঋতুর এই পরিবর্তন শীত হচ্ছে ঠাণ্ডার সাথে যুদ্ধ করা । যাদের কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য জোগাড় করাই মূল বেঁচে থাকা সেখানে শীত থেকে বাঁচার কোন অস্ত্র তাদের নেই । তাই বাঙলাদেশের সেই সব দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষগুলো শীতে শারীরিক কষ্ট পায়- যা আমরা দেখি পথে চলতে, টিভির পর্দায় কিংবা পত্রিকায় । বাঙলাদেশের নিঃস্ব এই মানুষগুলোর কষ্ট শুধু দেখলে আর জানলেই হবে ? তাদের পাশে কি দাঁড়াবো না ? অবশ্যই দাঁড়াবো আমরা সবাই মানুষ । পশু পাখির দুঃখ কষ্ট যদি মানুষকে কাঁদায় তাহলে বাঙলাদেশের এই সব নিঃস্ব মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট আমাদের শুধু কাঁদবে না বরং জাগাবে, চেতনার দুয়ার খুলে দিবে । যদিও এই নিঃস্ব মানুষগুলো বাঙলাদেশেরই নাগরিক ।
আমরা কমজগত পরিবার থেকে এই ছোটো একটা উদ্যোগ নিয়েছি, এবার শীতে যেসব নিঃস্ব মানুষ ঠাণ্ডায় কষ্ট পাবে তাদের পাশে আমরা সাধ্যমত পাশে থাকবো।আমরা আমাদের এই কার্যক্রম পরিচালনা করব কম্পিউটার জগত এর ফ্যান দের পক্ষ থেকে।কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শীতবস্ত্র বিতরণ। আপনার আমার বাতিল হয়ে যাওয়া একটা সুয়েটার বা জ্যাকেট, একটা নষ্ট হয়ে যাওয়া কম্বল বা চাদরই হতে পারে তাদের কাছে মহামূল্যবান বস্তু। শীতের হিমের সাথে লড়াই করার অস্ত্র।
আমরা আশা করছি নতুন বছরের প্রথম দিনটি আমরা এই শীতার্ত মানুষগুলোর সাথে কাটাবো ,কম্পিউটার জগত এর সকল ফ্যান দের সাথে করে নিয়ে। আমরা তাদের কাছে পৌঁছে দিব তাদের প্রতি অনেক মানুষের ভালোবাশা। অনেকেই হয়ত বলবেন আমরা প্রচার করছি।জি আমরা প্রচার করছি, আমরা প্রচার করছি আমরা একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হয়েও, আমরা অনেক মানুষের ভালোবাসা সাথে নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছি শীতার্ত মানুষগুলোর কাছে, আমাদের সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এ দেশের বিত্তবান প্রতিটি মানুষ তাদের প্প্রতিদিনের বাড়তি খরচ থেকে ১টি করে টাকা দিলেও এই শীতার্ত মানুষগুলো আর বস্ত্রহীন থাকে না। এ দেশের সরকারি, বেসরকারি ছোট বড় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমাদেরকে আর শুনতে হত না তীব্র শীতে শিশু মারা যাচ্ছে । আমাদের এই প্রচারনা তাদের সবাইকে জানিয়ে দেয়ার জন্য, আহবান করার জন্য, আসুন আমরা একসাথে আমাদের আমাদের মানবিক উষ্ণতা দিয়ে ওদের বাঁচিয়ে রাখি।তাই আসুন আমরা এই শীতে শীতার্ত মানুষগুলোর পাশে দাড়াই । পারি আর না পারি অন্তত চেষ্টা করি ।
***********************************************************************************************************************
যেভাবে শীতার্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন আপনি :
১. আমরা ডিসেম্বরএর ৩০ তারিখ পর্যন্ত সবার পর্যন্ত সবার কাছ থেকে নতুন অথবা ব্যবহার উপযোগী সোয়েটার,কম্বল অথবা যেকোনো শীতবস্ত্র সংগ্রহ করবো ।আমরা কোনো টাকা সংগ্রহ করছি না।আপনারা আপনাদের শীতবস্ত্র পাঠাতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, প্রয়োজনে আমরা আপনার বাসা থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করব।
২. আমাদের প্রচারনায় অংশগ্রহন করে।( আমাদের ফেসবুকের এই পেজে এসে আপনার নাম দিয়ে যান এবং অংশগ্রহন করুন আমাদের সাথে)
আমাদের ইভেন্ট পেজঃ এই ঠিকানায়
কাদের কাছে আপনারা সোয়েটার, কম্বল পাঠাবেন এবং যে কোন কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন-চাইলে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে পারবেন, এছাড়া যারা আমাদের সাথে শ্রম দিয়ে কাজ করতে চান তারাও যোগাযোগ করুন :
১।০১৮১৯২৮৪৯৩৯
২।০১৬৭২৭৯৬৭৯৩
************************************************************************************************************************
শীতার্ত মানুষ কষ্টে আছে। ছাউনিহীন, বস্ত্রহীন মানুষ একটুকরো গরম কপড়ের জন্য ছুটছে হন্যে হয়ে। প্রচণ্ড শীতে হাস্যোজ্জ্বল শিশুমুখগুলো থেকে হারিয়ে গেছে হাসি। এই যখন অবস্থা এর উল্টো চিত্রও আছে। এই বাংলাদেশেই। শীত উপভোগে ভ্রমণ, পার্বণ_ কত কত আয়োজন। আমরা তাদের সে আনন্দ-উৎসব বন্ধ করতে বলছি না বা তাদের উৎসবের সঙ্গী করতেও বলছি না। শুধু বলতে চাই - আপনাদের উৎসব দেখে তাদের যেন কান্না না পায় সেই ব্যবস্থাটা তো করতে পারেন।
আমি কমজগৎ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 57 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Computer Jagat has been involved with the ICT movement here in Bangladesh for more than a period of two decades. During this period we have been able to create a set of records for which we feel proud of.
ভাই আমি কি আপনার এই লেখার কিছু অংশ copy করতে পারি??? অনমুতি দিলে উপক্রিত হতাম। ধন্যবাদ।