কনটেন্ট রাইটিং কী? কনটেন্ট রাইটিং পেশায় সফল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি টিপস!

Level 6
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

বর্তমান সময়ে কনটেন্ট রাইটিং পেশার ওপরে ক্যারিয়ার গড়ছে হাজারো ছেলে-মেয়ে। কেননা এই পেশায় যুক্ত হয়ে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়। আবার নিজেরও শেখা হয় অনেক নতুন নতুন টপিক সম্পর্কে। কনটেন্ট রাইটিং পেশায় যুক্ত প্রত্যেক লেখকের জ্ঞানের পরিধি অন্যান্য সাধারণ মানুষের থেকে একটু হলেও বেশি। মূলত কনটেন্ট রাইটিং একটি আর্ট বা প্রতিভা, আর এই প্রতিভা যার মধ্যে আছে তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

অনেকেই হয়তো কনটেন্ট রাইটিং করে ইতোমধ্যে আয় করা শুরু করেছেন। কিন্তু এই সেক্টরে কীভাবে আরও ভালো করা যায় তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। মূলত তাদের জন্যই আজকের এই টিউনটি লিখছি। আজকের টিউনের মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন সেই সাথে পাবেন একদম কার্যকরী ১০ টি টিপস। আশাকরি বিগিনার থেকে শুরু করে এক্সপার্ট কনটেন্ট রাইটার যারা আছেন প্রত্যেকের কাছেই টিউনটি ভালো লাগবে।

কনটেন্ট রাইটিং কী?

কনটেন্ট রাইটিং এর সংজ্ঞা

নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপরে কিছু গাইডলাইন ফলো করে একটা আর্টিকেল বা সোশ্যাল মিডিয়া Post লেখাকে কনটেন্ট রাইটিং বলে। অর্থাৎ কোনো বিষয় সম্পর্কে পাঠকদের স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য কনটেন্ট লেখা হয়। মূলত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাবলিশ করার জন্য এবং নির্দিষ্ট অডিয়েন্স দের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে কনটেন্ট লেখা হয়। যারা কনটেন্ট লেখে তাদের বলা হয় কনটেন্ট রাইটার। কনটেন্ট রাইটার দের কাজ হলো টেক্সট কনটেন্ট তৈরি করা।

এই যে আপনি আমার লেখা টিউনটি পড়ছেন এটাও একটা কনটেন্ট। আর সেই হিসেবে আমি একজন কনটেন্ট রাইটার আর আমার কাজ হলো কনটেন্ট রাইটিং। এভাবে বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপরে কনটেন্ট লেখা হয়। প্রতিটি কনটেন্ট রাইটিং এর পেছনে কিছু না কিছু উদ্দেশ্য থাকে। যেমন: অডিয়েন্স দের কোনো তথ্য দেয়া, কোনো স্কিল শেখানো, পণ্যের বিজ্ঞাপণ দেয়া, কোনো সাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা ইত্যাদি।

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কনটেন্ট রাইটিং এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিজনেস ওয়েবসাইট ও তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত অডিয়েন্স ধরে রাখা হয় কনটেন্ট এর মাধ্যমে। একটি কনটেন্ট যতো ভালো এবং মানসম্মত হবে ততোই অডিয়েন্স ও ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া অনেকেই নিজের ব্লগ সাইটে নিয়মিত লেখা পাবলিশ করার জন্য কনটেন্ট ক্রয় করে। কেউবা নিজেই কনটেন্ট লিখে নিজের সাইটে প্রকাশ করে।

মোটকথা ডিজিটাল সেক্টরে যতো ধরনের টেক্সট কনটেন্ট রয়েছে তার সবই কনটেন্ট রাইটিং এর অন্তর্ভুক্ত। দিন দিন সবকিছু ডিজিটালাইজড হয়ে যাচ্ছে বলে কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদাও বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে রাইটার এর সংখ্যা। তাই প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে একজন সফল রাইটার হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে চাইলে কনটেন্ট রাইটিং এর ওপরে চমৎকার দক্ষতা থাকতে হবে। চলুন এবার কনটেন্ট রাইটিং পেশায় দক্ষ হয়ে ওঠার টিপস জেনে নেয়া যাক।

১০ টি কনটেন্ট রাইটিং টিপস

১০ টি কনটেন্ট রাইটিং টিপস

একজন প্রফেশনাল রাইটার হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই কিছু কনটেন্ট রাইটিং টিপস জেনে নেয়া দরকার। আমি নিজেও যেহেতু একজন কনটেন্ট রাইটার তাই কীভাবে কনটেন্ট রাইটিং পেশায় সফল হওয়া যায় এই বিষয়ে প্রায়ই রিসার্চ করে থাকি। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এখানে ১০ টি কনটেন্ট রাইটিং টিপস শেয়ার করছি। আশাকরি এই কনটেন্ট রাইটিং টিপস গুলো ফলো করলে আপনি একজন সফল কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন৷

১. নিজের পছন্দের সেক্টর খুঁজে বের করুন

একজন কনটেন্ট রাইটার চাইলেই সব সেক্টরে বা সব বিষয়বস্তুর ওপরে লেখালেখি করতে পারবে না। কেননা প্রতিটি মানুষেরই একটা নিজস্ব পছন্দ বা আগ্রহ আছে। আর নিজের পছন্দ বা আগ্রহের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে চাইলে তাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই কনটেন্ট রাইটিং পেশায় সফল হতে চাইলে আগে নিজের পছন্দ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সেক্টর বাছাই করুন। তবে একাধিক সেক্টরেও কারো কারো আগ্রহ থাকে কিন্তু এটা খুব বেশি নয়।

ধরুন আপনি লাইফস্টাইল বিষয়ক টপিকে লিখতে পছন্দ করেন। এই বিষয়ে নিয়মিত আগ্রহ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এবং এই সেক্টরের লিখতেও আপনার বেশ ভালো লাগে। এখন আপনাকে যদি কেউ সাহিত্য নিয়ে লিখতে দেয় তখন কিন্তু আপনি সেই বিষয়ে খুব ভালো আউটকাম নিয়ে আসতে পারবেন না। কেননা এই বিষয়ে জানার বা কাউকে জানানোর মতো আগ্রহ আপনার নেই।

সুতরাং আপনার পছন্দের সেক্টরেই নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন। আর এই ধরনের লেখা কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি নিতে চায় বা কাদের এই ধরনের লেখার চহিদা রয়েছে তা খুঁজে বের করতে থাকুন৷ আপনার পছন্দের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যারা নিয়মিত লেখা নেয় তাদের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করুন। আর আপনার যা পছন্দ তা-ই নিয়ে রিসার্চ করে করে বিস্তর তথ্য সংগ্রহ করুন।

২. প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করুন

একটি পূর্নাঙ্গ কনটেন্ট লেখার জন্য আপনাকে কনটেন্ট এর নির্ধারিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে। যতো বেশি রিসার্চ করবেন ততোই নতুন নতুন তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে। মাঝে মাঝে আপনি নিজেই অজানা অনেক তথ্য জেনে অবাক হবেন। কনটেন্ট রাইটিং টিপস এর মধ্যে এই রিসার্চ করার টিপস টিকে আমি সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আপনি একটা কনটেন্ট লিখতে যতোটা সময় ব্যয় করবেন তার থেকে তিনগুণ বেশি সময় ব্যয় করবেন ঐ বিষয়ে রিসার্চ করতে।

ধরুন আপনার কনটেন্ট লেখার টপিক হলো ‘১০ টি সেরা অর্গানিক শ্যাম্পু’। এখন আপনি চাইলেই আপনার পরিচিত ১০ টি অর্গানিক শ্যাম্পুর নাম লিখে তার সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করতে পারবেন না। আপনাকে প্রথমে বেশ কয়েকটি অর্গানিক শ্যাম্পু সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। এর মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভালো ১০ টি শ্যাম্পুর তালিকা তৈরি করতে হবে। তারপর আবার প্রতিটি প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে রিসার্চ করতে হবে।

আপনি কোনো বিষয় সম্পর্কে যতো ভালোভাবে জানবেন ততোই ভালোভাবে লিখতে পারবেন। নিজের ঘটে কিছু থাকলে তবেই অন্যকে তা বিলিয়ে দেয়া যায়। সুতরাং কোনো বিষয়ে কনটেন্ট লেখার আগে ঐ বিষয়ে গুগল সার্চ করে, ভিডিও দেখে, বই পড়ে, পত্রিকা পড়ে, ম্যাগাজিন পড়ে রিসার্চ করতে হবে। ইউনিক সব তথ্য জোগাড় করে নিজের ঘট আগে পূর্ণ করতে হবে। তবেই না একটি সাবলীল ও সুন্দর কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

৩. নিয়মিত পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন

একজন রাইটার এর সবথেকে বড় গুন হলো নিয়মিত পড়া। শুধু কনটেন্ট লেখার আগে ঐ বিষয়ে কিছু আর্টিকেল পড়ে লিখে ফেললাম, ব্যাস শেষ! আমি আমার পরিচিত অনেক রাইটারকে এমনটা করতে দেখেছি। কিন্তু এই অভ্যাসের কারনে বেশিরভাগ সময় লোখার খেই হারিয়ে যায়। হঠাৎ মনে হয় শব্দ ও বাক্য ঠিকমতো সাজাতে পারছি না। লেখার স্টাইল কেমন ওলটপালট হয়ে যায়৷

ঠিক এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন রাইটার এর বই পড়তে হবে, বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটার এর লেখা পড়তে হবে। মোটকথা সুযোগ পেলেই সামনে যা পাবেন পড়তে থাকবেন। পড়ার সময় নতুন নতুন শব্দগুলো মাথার মধ্যে টুকে রাখবেন৷ পরবর্তীতে এই ইউনিক শব্দ নিজের লেখায় ব্যবহার করতে পারবেন৷

বিভিন্ন লেখকের লেখার স্টাইল আলাদা আলাদা। এই স্টাইলগুলো ফলো করবেন। ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করবেন। যতো বেশি পড়বেন ততোই আপনার নিজের লেখার মধ্যে আর্ট চলে আসবে। বিভিন্ন লেখার ধরন থেকে নিজেই নতুন নতুন স্টাইল বের করে নিতে পারবেন।

একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে প্রতিদিন আপনার কম করে হলেও একটি বইয়ের ১০ থেকে ১৫ পৃষ্ঠা পড়া উচিত। অথবা ৪ থেকে ৫ টা আর্টিকেল নিয়মিত পড়া উচিত। তাই আজ থেকেই এই পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৪. নিয়মিত লেখালেখি অব্যাহত রাখুন

হাতে যদি কোনো কাজ না-ও থাকে তবুও লেখালেখি ছাড়বেন না। কনটেন্ট রাইটিং পেশায় বিগিনার লেভেলে নিয়মিত কাজ না-ও পেতে পারেন। দেখা যায় মাসে চার পাঁচটা কনটেন্ট লেখার কাজ পাবেন। কিন্তু বাকি সময় কি লেখালেখি অফ করে রাখবেন? একদমই না।

পেইড কাজ না পেলেও নিজে নিজেই নিয়মিত লিখতে থাকবেন৷ পছন্দের টপিক এর ওপরে যতোটা সম্ভব বেশি গুরুত্ব দিয়ে চমৎকার সব কনটেন্ট লিখবেন। রেখে দেবেন নিজের পূর্ববর্তী কাজের ডেমো হিসেবে। নতুন কোনো ক্লায়েন্ট আগের কোনো কাজের স্যাম্পল চাইলে এই লেখাগুলো আপনি দেখাতে পারবেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিশ করে নিজের লেখা কনটেন্ট এর মার্কেটিং করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার দুটো লাভ হলো। প্রথমত লেখালেখির চর্চা অব্যাহত থাকলো। দ্বিতীয়ত চমৎকার সব কনটেন্ট নিজেই প্রস্তুত করে ফেলতে পারলেন, যা একজন কনটেন্ট রাইটার এর জন্য সবথেকে বড় সম্পদ। আর নিয়মিত লেখালেখি না করলে হুটহাট কাজ পেয়ে গেলে তখন লেখার গতি ঠিক থাকে না৷ লেখার মানোন্নয়ন এর জন্যও নিয়মিত লেখালেখির বিকল্প নেই।

সুতরাং প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখুন। যা খুশি লিখুন। কম্পিউটারে বসতে ইচ্ছে না করলে মোবাইলের নোটপ্যাডে লিখুন। তা-ও ইচ্ছে না করলে খাতা কলম নিয়ে বসে পড়ুন। কিন্তু লেখালেখি পুরোপুরি ভাবে চালিয়ে যেতেই হবে। যতো লিখবেন ততোই আপনার লেখার মধ্যে আর্ট চলে আসবে।

৫. বিভিন্ন স্টাইলে লেখার চেষ্টা করুন

প্রতিনিয়ত একই স্টাইলে লেখা সাপ্লাই করলে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হয়ে যাবে। তখন নতুন নতুন স্টাইলে লেখা পাওয়ার জন্য অন্য রাইটার এর পেছনে ছুটবে। কিন্তু আপনি নিজেই যদি নানান স্টাইলে, নানান প্যাটার্নে লেখা দিতে পারেন তাহলে একই ক্লায়েন্ট এর কাজ বেশ লম্বা সময় ধরে করতে পারবেন। তাই নিজে নিজে ভ্যারাইটিজ স্টাইলে লেখার এক্সপেরিমেন্ট করুন। নিজেই বিবেচনা করুন কোন প্যাটার্নে লিখলে লেখাটি আরও সাবলীল হবে।

একটি টপিকে লেখা শুরু করার আগে খাতা কলম নিয়ে বসে পুরো লেখাটির একটি প্যাটার্ন সাজান। তারপর ঐ প্যাটার্ন অনুযায়ী লিখতে থাকুন। এতে লেখার গঠন সুন্দর হবে। এক প্যাটার্নে একবার লিখলে পরেরবার নতুন কোনো কনটেন্ট লোখা শুরু করলে ঐ প্যাটার্ন বাদ দিয়ে নতুন কোনো প্যাটার্ন তৈরি করুন। তাছাড়া শব্দ চয়নের দিকেও নজড় দিন। শব্দের বৈচিত্র্য লেখার স্টাইলে অনেক পরিবর্তন আনে।

বাক্যের গঠনে নাটকীয়তা নিয়ে আসুন, হাইপ ছড়িয়ে দিন। এতে পাঠক যে কোনো বিষয় পড়ার সময় উত্তেজনা অনুভব করে। আর এখানেই তো একজন লেখকের সার্থকতা। সেই সাথে লেখার সূচনা ও উপসংহার দারুন ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন।

৬. যতো বেশি সম্ভব তথ্য একত্রিত করুন

একটা লেখার মধ্যে আপনি যতো বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নিয়ে আসতে পারবেন ততোই লেখাটি গুরুত্ব পাবে৷ তথ্য বিহীন কনটেন্ট এর ভ্যালু একদমই নিচের স্তরে। শুধু আবোল তাবোল বকে আপনি বিশাল একটি কনটেন্ট লিখে ফেললেন, কিন্তু আপনার লেখার মাধ্যমে আপনি পাঠকদের কোনো তথ্যই দিতে পারলেন না। তার মানে আপনার লেখার কোনো ভ্যালু থাকলো না। কেননা পাঠক নতুন কিছু জানার জন্য, নতুন কিছু শেখার জন্যই আপনার লেখা পড়তে আসবে।

তবে লেখার মধ্যে তথ্য সংযুক্ত করার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার তথ্যটি শতভাগ নির্ভুল। ভুলভাল তথ্য দিয়ে কনটেন্ট ভরে ফেলার থেকে নির্ভুল তথ্য কম হলেও ভালো। তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্ভরযোগ্য সোর্স খুঁজে বের করতে হবে৷ সেই সাথে লেখার মধ্যে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দিতে পারেন৷ এতে করে আপনার কনটেন্ট টি আরও বেশি নির্ভরযোগ্য হবে।

মোটকথা এমন ভাবে কনটেন্ট লিখতে হবে যাতে এটা পড়ে পাঠক উপকৃত হয়। পাঠকের মাইন্ড রিডিং করে তবেই আপনাকে লিখতে হবে৷ আপনি যদি পাঠক প্রিয়তা অর্জন করতে পারেন তখন আপনাকে আর ক্লায়েন্ট এর পেছনে ছুটতে হবে না বরং ক্লায়েন্ট আপনার পেছনে ছুটবে। আর এজন্য আপনাকে যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বেশ ধৈর্য সহকারে এক একটি লেখা শেষ করতে হবে।

৭. একাধিক ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন

আপনি শুধু বাংলা ভাষা জানলে তথ্য সংগ্রহ করার সময় শুধু বাংলা সোর্স গুলোই ব্যবহার করতে পারবেন। ইংরেজি ভালো জানলে ইংরেজি কনটেন্ট বা বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন৷ একই ভাবে যদি হিন্দি, আরবি, উর্দু জানেন তাহলে এই সকল ভাষার বই পড়ে ও কনটেন্ট পড়ে নতুন নতুন তথ্য কালেক্ট করতে পারবেন৷ অর্থাৎ আপনি যদি বেশি ভাষা জানেন তাহলে তুলনামূলক বেশি তথ্য থাকবে আপনার আওতায়।

অনেক সময় ক্লায়েন্ট নিজেই আপনাকে বিভিন্ন ভাষায় সোর্স প্রদান করে বলতে পারে এই কনটেন্টটি বাংলায় রূপান্তর করে দিন। এখন আপনি যদি ঐ বিদেশি ভাষা না বোঝেন তাহলে ঐ ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হবে। ফলে আপনার কাজ পাওয়ার চান্স ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

এখানে বিদেশি ভাষা শেখা বলতে বিদেশি ভাষায় লেখার দক্ষতাকে বোঝানো হয়নি। আপনি যদি কোনো রকম ঐ ভাষার কথা বা লেখা বুঝতে পারেন তবেই চলবে। শুধু অর্থ টুকু উদ্ধার করে নিজের মতো মডিফাই করতে পারলেই হবে। এই দক্ষতা টুকু অর্জন করার জন্য আপনাকে আবার কোনো ভাষা শিক্ষা কোর্স করতে হবে না। ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত কিছু ভিডিও কনটেন্ট দেখে, মুভি দেখে, অডিও শুনে ও টেক্সট পড়ার চেষ্টা করেই আপনি অনেক বিদেশী ভাষা আয়ত্ত করতে পারবেন।

একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হিসেবে এই ভাষাগত দক্ষতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল বা সম্পদ৷ কনটেন্ট রাইটিং এ এই স্কিল যার আছে তিনিই পুরোটা মর্কেট জুড়ে রাজত্ব করতে পারবে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের কাজ পাওয়া তুলনামূলক সহজ হয়ে যাবে।

৮. যতোটা সম্ভব কানেকশন তৈরি করুন

আপনি একটি পূর্নাঙ্গ কনটেন্ট লেখার জন্য সব তথ্য যে ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়। আর ইন্টারনেট এর তথ্য দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে তা যদি আবারও সেই ইন্টারনেটে পাবলিশ করা হয় তবে তা খুব বেশি ইউনিক হয় না বললেই চলে৷ আপনাকে চেষ্টা করতে হবে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরার। আপনার লেখা কনটেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি তথ্যের পেছনে বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে তা অন্যান্য রাইটার দের লেখাকে ছাপিয়ে যাবে। এখন আপনি তো চাইলেই সব কাজ নিজে হাতেকলমে করে তারপর তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না৷

এজন্যই বিভিন্ন সেক্টরের প্রফেশনাল ব্যক্তিবর্গের সাথে আপনার কানেকশন থাকতে হবে। তাদের কাছ থেকে বাস্তব তথ্য সংগ্রহ করে তা লেখায় সংযুক্ত করতে পারবেন। তাই আপনার কানেশন যতো বেশি ছড়ানো থাকবে এবং যতো বেশি মজবুত থাকবে আপনার তথ্য পাওয়ার চান্স ততোই বেশি থাকবে৷ ফলে নতুন নতুন তথ্য ইন্টারনেটে সংযুক্ত করতে পারবেন যা এর আগে কেউ নিয়ে আসতে পারেনি৷

এখন প্রশ্ন হতে পারে এই প্রফেশনাল লোকজন এর সাথে কানেকশন কীভাবে তৈরি করবেন। এজন্য আপনার লোকালিটির প্রতিষ্ঠান গুলোতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা পরিচিত প্রফেশনাল লোকজন এর সাথে নিজে থেকেই যেচে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। এভাবে একজন এর সাথে কনেকশন তৈরি করে সেখান থেকেই আরেকজনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবেন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো সোর্স থেকে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কনটাক্ট নাম্বার সংগ্রহ করে সরাসরি ওভার কলে কথা বলতে পারেন৷

এটি তথ্য সংগ্রহের সবথেকে নির্ভরযোগ্য একটি উপায়৷ আমি নিজেও এই উপায়ে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। ফলে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি কানেকশন বিল্ড আপ করার মতো বিকল্প উপায় আর নেই।

৯. অনপেজ এসইও শিখুন

কনটেন্ট রাইটিং টিপস এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনপেজ এসইও শেখা। আপনার লেখা শুধু ইউনিক ও তথ্যবহুল হলেই চলবে না। লেখাকে এমনভাবে অপটিমাইজ করতে হবে যাতে তা পাঠকের নিকট পৌছায়। পাঠকের নাগালে লেখা না পৌঁছালে লেখার স্বার্থকতা আর রইলো কই? তাইতো লেখার সময় অনপেজ এসইও এর বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে মাথায় রাখতে হবে৷

অনপেজ এসইও এর মাধ্যমে লেখাকে এমনভাবে অপটিমাইজ করা হয় যাতে লেখাটি খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে Rank করে। অর্থাৎ আপনার কনটেন্ট এর বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে যাতে তা সার্চ লিস্টের প্রথম সারিতে চলে আসে। আর লেখায় এসইও করার ক্ষেত্রে রাইটার এর ভূমিকাই সবথেকে বেশি। একজন রাইটার যদি অনপেজ এসইও এর ওপরে এক্সপার্ট না হয় তবে তার কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা খুবই কম। কেননা সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার মূল উদ্যেশ্য নিয়েই একজন ক্লায়েন্ট রাইটার হায়ার করে, কনটেন্ট রাইটার তার লেখার মাধ্যমে সাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, অনপেজ এসইও কীভাবে শিখব? আসলে অনপেজ এসইও খুব কঠিন বিষয় না। আপনি অনপেজ এসইও টিউটোরিয়াল লিখে সার্চ করলেই অনেক আর্টিকেল ও ভিডিও ইন্টারনেটে পাবেন। এই আর্টিকেল পড়ে ও ভিডিও দেখে সহজেই প্রাথমিক পর্যায়ে এসইও শিখতে পারবেন৷ বাকিটা আপনাকে নিয়মিত প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে পারদর্শী হতে হবে।

যারা মনে করেন এসইও ছাড়াই কনটেন্ট রাইটার হবেন তাদের ধারণা অনেকাংশেই ভুল। হয়তো হাতেগোনা কয়েকটা কাজ পাবেন, তা-ও পেমেন্ট হবে হাস্যকর। তাই লেখালেখিতে এক্সপার্ট হওয়ার পাশাপাশি অনপেজ এসইও শেখার দিকে মনোযোগ দিন।

১০. নিজের লেখা কনটেন্ট বারবার পড়ে এডিট করুন

লেখা শেষ মানেই কাজ শেষ এমনটা কিন্তু না। একটা লেখা শেষ করে প্রয়োজনে কিছুটা বিরতি নিন। এরপর নিজেকে পুরোপুরি একজন পাঠক মনে করে আপনার লেখাটি পড়ুন। সেই সাথে নোট করুন কোন কোন পয়েন্ট গুলো যুতসই হচ্ছে না। ঐ লেখাগুলো এডিট করে নিন। এভাবে কমপক্ষে তিনবার নিজের লেখা পড়তে হবে ও এডিট করতে হবে। দেখবেন লেখার মধ্যে অনেক ভুল ছিলো ও গঠন ঠিক ছিলো না।

ভুলে ভরা একটা কনটেন্ট ক্লায়েন্ট এর হাতে ডেলিভারি করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না৷ তাই লেখা শেষ মানেই কাজ শেষ এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। প্ল্যাগারিজম চেকার দিয়ে, স্পেল চেকার দিয়ে এবং এআই ডিটেক্টর দিয়ে প্রথমেই আপনার লেখাটি চেক করে নিন। কোনো প্রকার সমস্যা ধরা পড়লে যথেষ্ট সময় নিয়ে তা সংশোধন করুন৷ এরপর নিজে কয়েকবার রিভিশন দিয়ে তারপর লেখা পাবলিশ করুন বা ডেলিভারি করুন।

কষ্ট করে একটা লেখা শেষ করে তার ফিনিশিং যদি ভালো না হয় তবে পুরো কষ্টটা একেবারেই বৃথা৷ লেখা যতো রিভিশন করবেন ও মোডিফাই করবেন ততোই লেখা প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। কনটেন্ট রাইটিং এর এটাই সর্বশেষ টিপস।

আশাকরি কনটেন্ট রাইটিং টিপস গুলো আপনাদের রাইটিং প্রফেশনকে অনেক সহজ ও সুন্দর করবে৷ টিপস গুলো কেমন লেগেছে অবশ্যই টিউনমেন্ট করে জানাবেন৷

কেন কনটেন্ট রাইটিং পেশায় আসবেন?

যে কারণে কনটেন্ট রাইটিং পেশায় আসবেন

প্রথমত অনলাইনে সফল ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সবথেকে সহজে এই সেক্টরে কাজ করতে পারবেন৷ নিজেকে একজন রাইটার হিসেবে পরিচয় করাতে পারবেন। নিশ্চিত ক্যারিয়ার গড়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে এই সেক্টরে৷ চলুন ৫ টি কারণ দেখে নেই যার জন্য আপনি কনটেন্ট রাইটিং পেশায় আসবেন।

১. অবসরে কাজ করতে পারবেন

কনটেন্ট রাইটিং এর বেশিরভাগ কাজই মূলত রিমোট জব। তাই আপনি বাড়িতে বসেই নিজের অবসরে করতে পারবেন৷ নিজের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে এমন আয়ের উপায় থাকলে আর কি চাই! মূলত রিমোট জব গুলো কনটেন্ট রাইটিং সেক্টরে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি চান ঘরে বসে নিজের পছন্দমতো সময়ে লেখালেখি করে আয় করবেন তবে আপনার জন্য আছে কনটেন্ট রাইটিং পেশা।

ক্লায়েন্ট আপনাকে নির্দিষ্ট টপিক দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করতে বলবেন। আপনি সেই সময়ের মধ্যে নিজের সুবিধামতো লিখে দিতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট ডেডলাইন ছাড়াই লিখতে দেয়। সুতরাং কনটেন্ট রাইটিং কে মুক্ত পেশা বলা যেতে পারে।

২. আনলিমিটেড আয়ের সুযোগ

কনটেন্ট রাইটিং করে আপনি আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন। আপনার লেখার দাম ঠিক করবেন আপনি নিজেই। প্রতিটি শব্দের জন্য আপনি কতো টাকা চার্জ করবেন তা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করবে। আপনার কাজের মান ও ধার্য কৃত চার্জ এর মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলে ক্লায়েন্ট ঐ রেটেই কাজ দেবে। আর আপনার লেখার কোয়ালিটি যেমন দিন দিন ভালো হবে তেমনি আপনার কাজের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে৷

১০০০ শব্দ লেখার জন্য কোনো রাইটার ২০০ টাকা চার্জ করে। আবার সেই ১০০০ শব্দের জন্যই আবার কোনো রাইটার ২০০০ টাকা চার্জ করে। এটা পুরোপুরি কনটেন্ট রাইটার এর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কার সাথে সে কাজ করছে তার ওপরে নির্ভর করবে। দক্ষতা ও এক্সটার্নাল লিংক বিল্ড আপ এর সাথে সাথে এই সেক্টরে আয় বাড়তেই থাকবে, যার কোনো লিমিট নেই। তাইতো আমরা বলতে পারি কনটেন্ট রাইটিং পেশায় আনলিমিটেড আয়ের সুযোগ রয়েছে।

৩. কাজের পাশাপাশি জ্ঞানার্জনের সুযোগ

কনটেন্ট রাইটিং মূলত খুবই ইন্টারেস্টিং একটি পেশা। আপনি সারা জীবন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করে যে জ্ঞানার্জন করতে না পারবেন তার থেকে বেশি জ্ঞানার্জন করতে পারবেন কনটেন্ট রাইটিং পেশায় যুক্ত হয়ে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। ফলে জানতে পারবেন অজানা অনেক তথ্য, কৌশল, রহস্য যা আগে জানতেন না।

অন্যান্য পেশায় এতোটা জ্ঞানার্জনের সুযোগ আপনি পাবেন না। তাই কাজের পাশাপাশি নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চাইলে আপনার জন্য আছে কনটেন্ট রাইটিং পেশা। বিশেষ করে জ্ঞানপিপাসু লেকজন এই সেক্টরে কাজ করে বেশ মজা পায় এবং লং টাইম কাজ করতে পারে। আর যারা শর্টকাট টেকনিক ফলো করে, কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেশুনে কাজ করতে চায় তাদের জন্য এই প্রফেশন খুবই কঠিন।

৪. একটি সম্মানজনক পেশা

লেখালেখি একটি সম্মানজনক পেশা। এই পেশায় আসার জন্য আপনার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আপনার এই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের জন্য আপনি যথেষ্ট সম্মান পাবেন। আর আমরা প্রত্যেকেই চাই যে কাজই করি না কেন কাজের পাশাপাশি যেন আমরা সম্মানটুকু পাই। যাদের চিন্তাভাবনা নিজের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে একটি সম্মানজনক পেশায় যাবেন তারা কনটেন্ট রাইটিং পেশায় আসতে পারেন।

আপনার প্রতিটি ক্লায়েন্ট, পাঠক ও পরিচিতদের মধ্যে একজন ক্রিয়েটিভ রাইটার হিসেবে যথেষ্ট সম্মান পাবেন৷ আর কাজে সম্মান ও ভালোবাসা না থাকলে সেখানে শুধু পারিশ্রমিক এর কোনো মূল্য নেই।

৫. নিজের পরিচিতি গড়ে তোলার সুযোগ

সবাই চায় নিজের একটা আলাদা পরিচয় থাকুক। যেই পরিচয়ে মানুষ একজনকে খুব সহজেই চিনতে পারে৷ কনটেন্ট রাইটিং এমন এক ধরনের পেশা যার মাধ্যমে আপনি নিজের একটি বিশেষ পরিচিতি দাঁড় করাতে পারবেন৷ আপনার লেখার মাধ্যমে মানুষ আপনাকে চিনবে, আপনার প্রতিভা হবে আপনার আসল পরিচয়। সাধারণ মানুষের থেকে নিজেকে একটু আলাদা ভাবে পরিচয় করাতে পারবেন একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। অর্থাৎ সম্মানজনক একজন পেশাদার মানুষ হিসেবে আপনি গড়ে তুলতেন পারবেন নিজের আলাদা পরিচিতি।

এতো এতো সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও কি আপনার পুনরায় ভাবতে হবে যে আপনি কেন কনটেন্ট রাইটিং পেশায় আসবেন? পুরো বিষয়টা পড়ে আপনার যদি মনে হয় কনটেন্ট রাইটিং পেশা আপনার জন্য তাহলে অবশ্যই একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায়

যেভাবে কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করবেন

কনটেন্ট রাইটিং করে আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে আয় করতে পারবেন৷ লেখার দক্ষতা থাকলে কাজ পাওয়া নিয়ে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।

প্রথমত নিজের ব্লগ সাইটে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। নিজের লেখার মাধ্যমে নিজের সাইটে নিয়মিত ট্রাফিক নিয়ে এসে গুগল থেকে আয় করতে পারবেন৷ তাছাড়া নিজের সাইটে বিজ্ঞাপণ সংযুক্ত করেও আয় করতে পারবেন।

চাইলে লোকাল মার্কেটপ্লেসের ক্লায়েন্ট এর কাজ করতে পারেন। অনেক ব্লগ সাইট ও বিজনেস সাইটের মালিক তাদের সাইটে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করার জন্য রাইটার হায়ার করে। তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের কাজ ধরতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং এর ওপর পারদর্শী হতে হবে।

তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি তার প্রতিষ্ঠানের জন্য ফুল টাইম কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দেয়। এই কাজগুলো সাধারণত অফিসে গিয়ে ধরাবাঁধা সময়ে করতে হয়। তবে সম্মানীও বেশ সন্তোষজনক হয়৷

আর আপনি যদি টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটিং এর ওপরে অভিজ্ঞ হন কিংবা টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটিং এর ওপরে আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি টেকটিউনস এ লেখা পাবলিশ করতে পারেন৷ বিশ্বের জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক হলো টেকটিউনস। এই প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত অনেক রাইটার বাংলায় লেখালেখি করে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা আয় করছে। আমি নিজেও টেকটিউনস এর একজন নিয়মিত কনটেন্ট রাইটার। টেকটিউনসে লেখালেখি করে কীভাবে আয় করবেন তা জানতে গুগলে সার্চ করতে পারেন৷

আশাকরি এখান থেকে যে কোনো একটি উপায়ে আপনি আয় করতে পারবেন৷ লেখার প্রতি ভালোবাসা থাকলে ও পর্যাপ্ত রিসার্চ করার মনমানসিকতা থাকলে কনটেন্ট রাইটিং করে আপনি মাসে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা ও কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন তার ওপরে।

শেষকথা

কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে যাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ছিলো আশাকরি তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন৷ উপর্যুক্ত ১০ টি কনটেন্ট রাইটিং টিপস ফলো করলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই কনটেন্ট রাইটিং এর ওপরে মাস্টার হয়ে উঠতে পারবেন৷ এতোক্ষণ সময় নিয়ে পুরো টিউনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশাকরি টিউনটি ভালো লেগেছে।

টিউনটি ভালো লাগলে একটি জোসস করে দিবেন প্লিজ। কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকলে টিউনমেন্ট করতে পারেন। আরও নতুন নতুন টেকনিক্যাল কনটেন্ট পেতে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।

Level 6

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস