এটি টেকটিউনে আমার প্রথম লিখা। সবাই আমার জন্যে দোয়া করবেন যেন আরো লিখতে পারি।
সত্যজিত রায় আমার অন্যতম প্রিয় একজন লেখক। তার লিখা "প্রফেসর শঙ্কু ও আশ্চর্য পুতুল" বইটি পড়তে গিয়ে আমি প্রথম মর্স কোড সম্পর্কে জানতে পারি। পরে খোজ খবর করে জানতে পারে মর্স কোড এমন এক ধরনের ভাষা যে ভাষার বর্ণমালা মাত্র দুটি। আর আশ্চর্যের বিষয় হল, দুটি বর্ণের মাধ্যমেই সমস্ত মনের ভাব প্রকাশ করা যায়।
সেমুয়েল মর্স নামক একজন ব্যক্তি ১৮৪০ সালে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ যোগাযোগের জন্য প্রথম এ কোড তৈরি করেন। প্রথম দিকে রেডিও যোগাযোগের জন্য ব্যপক ভাবে ব্যবহৃত হত। এমন কি বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকেও টেলিগ্রাফ লাইন, সমূদ্রের নীচের কেবল এবং রেডিও সার্কিটে দ্রুতগতির যোগাযোগ মর্স কোডের মাধ্যমে করা হত।
পেশাগত ভাবে পাইলট, এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনকারী, জাহাজের ক্যাপ্টেন, সামুদ্রিক স্টেশন চালনাকারীদের মর্সকোডে খুবই ভাল দক্ষতা থাকতে হয়।
আকাশে বিশান চালানোর সুবিধার্থে গঠিত বিভিন্ন বেইজ স্টেশন যেমন VHF Omni-directional Radio Range (VORs); Non-Directional Beacon (NDB) আকাশে চলমান বিমানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জন্য প্রতিনিয়ত নিজেরদের অস্তিত্ত্ব জানান দিতে মর্স কোডের ব্যবহার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশন এখনো সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য মর্সকোড ব্যবহার করে।
মর্স কোডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি নানারকম ভাবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা যায়। শব্দ, চিহ্ন, পাল্স, রেডিও সিগনাল, রেডিও অন অফ, আয়নার আলো, লাইট অন অফ ইত্যাদি নানা উপায়ে মর্সকোডের মাধ্যমে তথ্য প্রেরন করা যায়। একারনেই S O S মেসেজ পাঠানোর জন্য মর্স কোড সবচেয়ে উপযোগী।
এবার আসুন আমরা মর্স কোড কিভাবে লিখে তা একটু বোঝার চেষ্টা করি :
আগেই বলেছি মর্স কোডের বর্ণ দুটি। কিন্তু এ দুটি বর্ণের মাধ্যমে কিছু প্রকাশ করতে আরও তিনটি উপাদান দরকার হয়। অর্থাৎ এ ভাষার উপাদান মাত্র পাঁচটি।
উপাদানগুলো হল :
১। ( . ) যাকে 'ডট' বা 'ডিট' বলে।
২। ( -) যাকে বলে 'ডেশ' বা ' ডাহ্'।
৩। ডট এবং ডেশের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান। (ফাঁকা স্থানটাই উপাদান)
৪। দুটি বর্ণের মধ্যের ফাঁকা স্থান।
৫। দুটি শব্দের মধ্যের ফাঁকা স্থান।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন উপরিউক্ত উপাদানগুলোই বিভিন্ন বিন্যাসে ব্যবহার করে মর্স কোডের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। মর্সকোডের উপাদান পাঁচটি হলেও যেহেতু এর মূল উপাদান দুটি তাই একে বাইনারির মাধ্যমও প্রকাশ করা যায়।
নিম্নে মর্স কোডের মাধ্যমে ইংরেজি বর্ণমালার এবং অংক গুলোর প্রকাশ :
(এখানে লিখা Ä , Ö , Ü বর্ণগুলো জার্মান ভাষার।
Ä এর উচ্চারন অনেকটা ইংরেজি ay এর মত।
Ö এর উচ্চারন অনেকটা ইংরেজি ooh এর মত।
Ü এর উচ্চারন অনেকটা ইংরেজি uyuh এর মত।)
নিচের চিত্রটি থেকেও মর্সকোড শেখার চেষ্টা করতে পারেন :
মর্স কোডের মাধ্যমে Techtunes লিখলে হয় = - . -.-. .... - ..- -. . ...
I love you. লিখলে হয় = .. .-.. --- ...- . -.-- --- ..- .-.-.-
কী মজার না ? যারা জানে না তারা কখনো বুঝতেও পারবেনা এখানে কি লিখা।
কয়েকদিনের চেষ্টায়ই মর্স কোড শেখা যায়। আমি শিখেছিলাম কিন্তু ব্যবহার না করায় ভুলে গেছি।
আপনার যে কোন ইংরেজি লিখাকে মর্স কোডে রুপান্তর করেতে যেতে পারেন নিচের ওয়েব সাইটটিতে :
http://morsecode.scphillips.com/jtranslator.html
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
কারো এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে দয়া করে আমাকে আমার কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিন।
**** তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।
আমি TareqMahbub। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 464 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Programmer at Business Innovation & Incubation Center, Banani. Worked @ Harry & Michael IT Center as a Web Developer. Worked @ Kazi IT Center as a Web Developer, Graphic Designer, Virtual Assistant. Worked @ IQRA MODEL SCHOOL & COLLEGE as a full time teacher & typist. Student at American International...
অনেক তথ্যবহুল একটি পোষ্ট