আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভাল আছেন কারন টেকটিউনসের সাথে থাকলে সবাই ভাল থাকে। আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। তো বন্ধুরা আজকের টিউনটি হতে যাচ্ছে একদম ইন্টারেস্টিং যা আপনারা আমার টিউন এর টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন। টিউনটি লেখার আগে আমি নিজেই বেশি উত্তেজিত কারণ এটি হতে যাচ্ছে আমার জীবনের লেখা সবথেকে ইন্টারেস্টিং একটি টিউন। আমি এই টিউনে আপনার সাথে পৃথিবীর কিছু অজানা এবং অদ্ভুত বিষয় নিয়ে শেয়ার করবো। তো বন্ধুরা আর বেশি কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক।
তার আগে একটি কথা মানুষ মাত্রই ভুল তাই টিউন লিখার সময় আমারও কোন ভুল হতে পারে। যদি এই টিউনে আমার কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই টিউমেন্ট এ আমার ভুল ত্রুটি গুলো আমাকে ধরিয়ে দেবেন এবং যদি টিউনটি ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই টিউনটি জোসস দিয়ে যাবেন। তো আগে জেনে নিই আজকের টিউনে আমরা কোন কোন বিষয় নিয়ে জানব :
তো বন্ধুরা শিরোনাম গুলো দেখেই হয়তো বুঝে গেছেন টিউনটি কত ইন্টারেস্টিং হবে। তো বন্ধুরা আমরা সকল কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই -
বন্ধুরা আমরা অনেক ক্যাপসুল দেখেছি যেগুলোতে এরকম দাগ কাটা থাকে। কিন্তু আমরা কি একবার জানার চেষ্টা করেছি এটা কেন থাকে? কি এর উপকার কিংবা অপকার? জানার চেষ্টা করিনি। হয়তো করতামনা। কারণ আমরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তেমন করে ভাবি না। তো বন্ধুরা আমি আপনাদের বলছি কেন ওষুধের মাঝে এরকম ভাবে দাগ দেওয়া থাকে। এভাবে দাগ দেওয়ার কারণ হলো বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিভিন্ন পাওয়ারের তৈরি করে। ধরুন একটি ওষুধ অনেক বেশি পাওয়ারের তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার আপনাকে সাজেস্ট করল কম পাওয়ারের ওষুধ খেতে। কিন্তু আপনি সেই ওষুধ টা হয়তো খুঁজে পাচ্ছেন না কোন দোকানেই। তখন আপনি অবশ্যই বেশি পাওয়ারের ওষুধ টা কিনবেন। কিন্তু বেশি পাওয়ারের ওষুধ গুলো পুরোটাই খেয়ে নিলে অবশ্যই আপনার ক্ষতি হবে। কিন্তু এর সমাধানের জন্য এরকম ওষুধগুলোর মাঝখানে এভাবে দাগ দেওয়া থাকে যাতে করে আপনি ওই ওষুধ টা কে পুরোপুরিভাবে অর্ধেক করে দুইবারে খেতে পারেন। আবার অনেকে বলে থাকে এতে করে ঔষধ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আপনারা ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখবেন ডাক্তার কোন সময়ই এ কথা বলে না যে ওষুধ ভেঙে খলে সেটি নষ্ট হয়ে যাবে। সেগুলো বলে থাকে সিরাপ গুলোর ক্ষেত্রে। তো আমরা জেনে নিলাম ওষুধগুলোর মাঝখানে দাগ দেওয়ার কারণ হল আমরা যেন ঔষধটি কে সহজেই ভেঙে দুই ভাগে ভাগ করে দুইবারে খেতে পারি।
হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি ঠিক শুনেছেন। ছবিতে যে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম ওয়াল্টার সামারফোর্ড। তার ওপর তিনবার বজ্রপাত হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি বেঁচে ছিলেন। তার ওপর প্রথম বজ্রপাত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। কিন্তু তখনও তিনি মরেননি। মাত্র দুই বছরেই তিনি সেরে ওঠেন। দ্বিতীয়বার তার উপর বজ্রপাত হয়েছিল 1924 সালে। সেইবার ও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি শুধুমাত্র আহত হয়েছিলেন। তৃতীয়বার তার ওপর বজ্রপাত হয়েছিল 1930 সালে। এবারে মারা যায়,
কিন্তু তিনি মারা গেলেও বজ্রপাত তার পিছু ছাড়েনি। 1936 সালে তার কবরের ওপর বজ্রপাত ঘটে। যার ফলে তার কবরটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পৃথিবীর মানুষের কাছে এ বিষয়টি রহস্যই থেকে গেছে। কেন তার ক্ষেত্রে এরকম ঘটলো কেন বজ্রপাত তার পিছু ছাড়ছে না!
বন্ধুরা আমরা জানি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কাঠ হলো চন্দন কাঠ। এর দাম প্রতি কেজি 5 থেকে 7 হাজার পর্যন্ত হয়। কিন্তু আপনি ভুল জানেন পৃথিবীতে এমন কাঠ রয়েছে যার এক কেজির দাম 7 লাখ টাকা। হ্যাঁ বন্ধুরা এর নাম আফ্রিকান ব্লাক উড। এটি মূলত আফ্রিকাতে জন্মে। এর গাছের উচ্চতা হয় 25 থেকে 40 ফুট পর্যন্ত। শুনে অবাক হবেন যে এত দামি কাঠ দিয়ে মানুষ নিজেদের জন্য ফার্নিচার পর্যন্ত বানায়।
হ্যাঁ বন্ধুরা। উপরের ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন এনি তিনিই। তিনি আমেরিকার একজন অধিবিসী যে কিনা নিজের চামড়া 15 থেকে 18 সেন্টিমিটার পর্যন্ত টানতে পারে। তিনি এর জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড উপাধি পেয়েছেন। তিনিই এই শক্তির অধিকারী হয়েছেন কোন তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে নয়। আসলে তিনি একটি কঠিন রোগে আক্রান্ত।
এই লোকটাকে নিয়ে আর বেশি কিছু বলবো না। কারণ একে নিয়ে বলতে গেলে হয়তো আরও একটা টিউন লিখা যাবে। তাই আপনার যদি একে নিয়ে পুরো একটি টিউন পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাকে টিউমেন্ট করবেন। আমি একে নিয়ে একটি বিস্তারিতভাবে টিউন করব।
তো কেমন লাগলো আজকের এই টিউন তা জানাতে অবশ্যই আমাকে টিউমেন্ট করবেন এবং এদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে আমাকে টিউমেন্ট করবেন আমি আপনাদের যে কোন টিউমেন্টের উত্তর দেবো। আজকে আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করলাম এগুলোর আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে যদি আলাদা আলাদা টিউন পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাকে একটিবার আমার টিউমেন্টে জানাবেন। আমি অবশ্যই এদের নিয়ে আরও একটি বিস্তারিতভাবে টিউন লিখব। আমি এই টিউনটি দিলাম খুব সাধারণভাবে।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। যদি টিউনটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই টিউনটিতে একটি লাইক দেবেন এবং একটি রিকোয়েস্ট, টিউনটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন। আর সাথে আমাকে ফলো করে রাখবেন। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং টেকটিউনসের সাথে থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো: আহাসানুল কবির। ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ১নং ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 37 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
টিউন থাম্বনেইলে যোগ করা ইমেইজটি টিউনের সাথে প্রাসঙ্গিক/মানানসই/আকর্ষণীয় হয়নি।
আপনাকে অ্যাসাইন করা টিউন থাম্বনেইল টেমপ্লেট গাইডলাইন অনুযায়ী টিউন থাম্বনেইলে ইমেজটি টিউনের সাথে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক/মানানসই/আকর্ষণীয় হতে হয়।
করণীয়:
আপনাকে অ্যাসাইন করা টিউন থাম্বনেইল টেমপ্লেট গাইডলাইন অনুযায়ী, টিউন থাম্বনেইলে, টিউনের সাথে প্রাসঙ্গিক/মানানসই/আকর্ষণীয় ইমেইজ যোগ করে নতুন টিউন থাম্বনেইল তৈরি করুন ও টিউনের টিউন থাম্বনেইল হিসেবে সেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।