সরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ চালু করেছে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। অধিকতর নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে মানুষকে আরও বেশি লেনদেনের স্বাধীনতা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে এই সেবাটি ১ অক্টোবর ২০১৮ থেকে। যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন এবং লিমিট নিয়ে সমস্যায় থাকেন তাদের জন্য এটা খুবই উপযোগী একটা সেবা। পুরোপুরিভাবে সেবাটি এখনও শুরু হয়নি। তবে কিছু ফিচার তারা চালু করেছে। এর মধ্যে আছে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি এবং মোবাইল ফোনের ব্যালেন্স টপ আপ ইত্যাদি।
বিকাশ, রকেটসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা পরিচালিত হয় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের বিধি বিধান অনুযায়ী। কিন্তু ‘নগদ’ শীর্ষক এই সেবাটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত “বাংলাদেশ টিউনাল অ্যাক্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ২০১০” এর ৩ এর ২ এফ ধারার সুদৃঢ় এবং সুস্পষ্ট আইন অনুযায়ী। ২০১০ সালে শুরু হওয়া টিউনাল ক্যাশ কার্ড সার্ভিস ছিল বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রথম ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস।
‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিকাশের চাইতে অধিকতর লিমিট সুবিধা পাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাপনায় ডাক বিভাগের রয়েছে শত বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা এবং দেশব্যাপী ৯৮৮৬টি টিউন অফিস। এই বিশেষ সেবাটির যথাযথ পরিচালনায় সরকারি দিক নির্দেশনা রয়েছে সুতরাং এর সঙ্গে অন্য কোন নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার অধিক্রমন হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এছাড়াও সেবাটিকে আরও সুন্দর ও দক্ষতার সঙ্গে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষে সকল নিয়ম মেনে মাস্টার এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’ কে যাদের আছে এই খাতের পূর্বঅভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ জনবল। প্রাথমিকভাবে হেড টিউন অফিসগুলোকে এবং পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের শাখাগুলোকে ‘নগদ’ সেবার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ডাক বিভাগ।
‘নগদ’ হিসাব খুলতে হলে আপানার মোবাইলের সংযোগসহ কোন একটা ‘নগদ উদ্যোগটা’ পয়েন্টে যেতে হবে। সঙ্গে নিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র, এনআইডি’র ফটোকপি এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। এবার ‘নগদ উদ্যোগটা’ পয়েন্ট কর্তৃক সরবরাহকৃত KYC ফর্ম পূরণ করুন নির্দেশমত। ব্যাস হয়ে গেল আপনার হিসাব খোলা। কোন ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা না থাকলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার হিসাবটি একটিভ হয়ে যাবে। সিস্টেম এ পুরো প্রোফাইল আপডেট না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাওয়া যাবে না। এই সময়টাকে বলা হয় লিমিট প্রোফাইল। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিস্টেম এ প্রোফাইল আপডেট হওয়ার কথা।
‘নগদ’ হিসাব ব্যবহার করতে হলে আপনার মোবাইল ফোনের সংযোগ থেকে USSD কোড *১৬৭# তে কল করুন অথবা প্লে-স্টোর থেকে Nagad অ্যাপ ইন্সটল করুন। তার আগে আপনার হিসাবটি একটিভ হতে হবে। এই মুহূর্তে রবি, টেলিটক এবং এয়ারটেল গ্রাহকরা শুধু USSD কোড ব্যবহার করে ‘নগদ’ হিসাব ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলালিংক এবং জিপির গ্রাহকরা এখনও USSD কোড ব্যবহার করার সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে খুব শীঘ্রই তারা এই কোড ব্যবহার করতে পারবেন বলে কল সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে। যে কোন অপারেটরের গ্রাহকরা অ্যাপ ব্যবহার করে ‘নগদ’ হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।
‘নগদ’ এর সার্ভিস ফি বিকাশের চাইতে কম এবং উদ্যোক্তা কমিশন বেশি। নিচে এটা দেখান হলো।
দৈনিক লিমিটঃ প্রতি লেনদেনের লিমিট ৫০, ০০০ টাকা। দৈনিক লিমিট ২৫০, ০০০ টাকা। প্রতিদিন ১০ বার লেনদেন করা যাবে।
মাসিক লিমিটঃ প্রতি লেনদেনের লিমিট ৫০, ০০০ টাকা। মাসিক লিমিট ৫০০, ০০০ টাকা। মাসে ৫০ বার লেনদেন করা যাবে।
দৈনিক লিমিটঃ প্রতি লেনদেনের লিমিট ৫০, ০০০ টাকা। দৈনিক লিমিট ২৫০, ০০০ টাকা। প্রতিদিন ১০ বার লেনদেন করা যাবে।
মাসিক লিমিটঃ প্রতি লেনদেনের লিমিট ৫০, ০০০ টাকা। মাসিক লিমিট ৫০০, ০০০ টাকা। মাসে ৫০ বার লেনদেন করা যাবে।
দৈনিক লিমিটঃ প্রতি লেনদেনের লিমিট ৫০, ০০০ টাকা। দৈনিক লিমিট ২৫০, ০০০ টাকা। প্রতিদিন ৫০ বার লেনদেন করা যাবে।
মাসিক লিমিটঃ প্রতি লেনদেনের লিমিট ৫০, ০০০ টাকা। মাসিক লিমিট ৫০০, ০০০ টাকা। মাসে ১৫০ বার লেনদেন করা যাবে।
প্রতি লেনদেনের লিমিট ১, ০০০ টাকা। দৈনিক এবং মাসিক কোন লিমিট নেই।
‘নগদ’ এর কল সেন্টার সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এ ছাড়াও ঢাকার বনানীতে তাদের একটা কাস্টমার সেবা অফিস আছে। তারা পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাস্টমার সেবা চালু করতে যাচ্ছে। আপনি এখন নিম্নোক্তভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
কল সেন্টারঃ ১৬১৬৭ অথবা ০৯৬০৯৬১৬১৬৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার (লেভেল ১৩ এবং ১৪)
৩৬, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ
বনানী, ঢাকা।
বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ এখনো আর্থিক সেবার আওতার বাইরে আছেন বলে জানিয়েছেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক। তাই প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার ক্ষেত্রে ‘নগদ’ সেবা বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। তবে এটা কতটুকু সফলভাবে অগ্রসর হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। কেননা আমরা নিকট অতীতে দেখেছি ডিবিবিএল এর ‘রকেট’ ‘বিকাশ’ এর চেয়ে অনেক বেশি ফিচার নিয়ে এসেছিলো। তাদের সার্ভিস ফি ছিল অনেক কম। কিন্তু ভালমানের সেবা দিতে না পারার কারণে লাভজনক ভাবে গড়ে উঠতে পারেনি।
আমি আব্দুল্লাহ আল ফারুক। Digital Marketer, Self Employed, Bogura। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 23 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
vai cash in ar cash out ki jekono dokan thekei somvhob ???ar eta theke ki bkash a money transfer korte parbo???