World এর অন্যতম Secret সংগঠন ইলুমিনাটি Illuminati সম্পর্কে সব অজানা তথ্য যা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে

টিউন বিভাগ কী কেন কীভাবে
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

কেমন আছেন আপনারা? শীতের এই ঠান্ডা আমেজে আজ টেকটিউনসে আমি অন্যরকম একটি টিউন নিয়ে আসলাম! হ্যাঁ আজ আমি কথা বলবো Illuminati নিয়ে! ইলুমিনাটি নিয়ে কিছু তথ্য আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যেটা হয়তো আমি আগে জানতেন না! সাধারণ ভাবে ইলুমিনাটি বলতে বিশ্বের একটি অতি গোপনীয় একটি গ্রুপকে বুঝায় যারা আড়ালে থেকে শয়তানের সাহায্যে পুরো দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শয়তানের সাহায্য মানে ইসলামী ভাষায় যাকে কুফরি বলা হয়ে থাকে আর ইংরেজি ভাষায় বলা হয় ব্ল্যাক ম্যাজিক বা Voodoo! আর এই কারণেই পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই ইলুমিনাটি কে বিশ্বাস করে না।

তবে এই ধারণা করা হয় যে এই ইলুমিনাটির সদস্য লিস্টে হলিউডের নামীদামী তারকারা থেকে শুরু করে বিশ্বের বড়সড় প্রভাবশালী নেতারাও রয়েছেন। ইলুমিনাটির উৎপত্তি কবে থেকে হয় সে ব্যাপারে প্রমাণ সাপেক্ষ কোনো দলিল নেই তবে এই ইলুমিনাটির প্রথম প্রয়োগ সেই ১৭৭৬ সালে শুরু হয়। তখন এই ইলুমিনাটি গ্রুপের লক্ষ্য ছিলো শহরে ধর্ম রাজনীতি শুরু করা এবং সমাজে একচ্ছ আধিপত্য সৃষ্টি করা!

আর বর্তমান যুগে এসে এই ইলুমিনাটির কোনো নির্দিষ্ট সংঙ্গা নেই। কারণ বিশ্বের বড় বড় ধনী এবং নামীদামী ব্যক্তিরা ইলুমিনাটির সাহায্যেই তাদের আর্থিক এবং সামাজিক মর্যাদা পেয়েছেন বলে গুজব রয়েছে।

যাই হোক ইলুমিনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল এবং ইউটিউবতো রয়েছেই! তো ভূমিকা আর না বাড়িয়ে চলুন সরাসরি টিউনে চলে যাওয়া যাক!

১) হেডকোয়াটার!

ইলুমিনাটির হেডকোয়াটার দুনিয়ার কোথায় রয়েছে এ ব্যাপারে প্রমাণ সাপেক্ষ্য কোনো তথ্য কোথাও নেই। তবে গুজব রয়েছে যে Denver শহরের এয়ারপোর্টের নিচে ইলুমিনাটির হেডকোয়াটার গোপনীয় ভাবে স্থাপিত হয়েছে এবং সেখান থেকেই বিশ্বব্যাপী ইলুমিনাটি তার কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে থাকে।

কারণ Denver এয়ারপোর্ট সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্ন সময়ে অনেক যুক্তিসংগত কন্সপেরেসি উপস্থাপিত করেছেন যেটার মাধ্যমে এই শহরের এয়ারপোর্টের মাটির নিচে কোনো একটি বিশাল গোপনীয় স্থাপনা রয়েছে বলে অনুমান করা যায়। এছাড়াও Denver এয়ারপোর্টের ডিজাইনিং এবং অদ্ভুত আকৃতির বিভিন্ন মুর্তিগুলোও ইলুমিনাটির পক্ষে ইঙ্গিত প্রদান করে থাকে।

Denver এয়ারপোর্টের সবথেকে পপুলার কন্সপেরেসি থিউটি হলো, এই এয়ারপোর্টের রানওয়ের নিচে একটি বিশালাকৃতির বাঙ্গার রয়েছে যেটার সাইজ প্রায় ৫ তলা বিল্ডিংয়ের সমান! এছাড়াও বিমানবন্দরটির মূল প্রবেশপথে একটি এন্ট্রি স্টোন রয়েছে যেটার ডিজাইনিংয়েও ইলুমিনাটির সংঙ্গে মিলে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

২) সর্বত্র প্রভাব!

বিশ্বের অনেক গণ্যমান্য থিউরিস্টরা মনে করেন যে এই ইলুমিনাটি গ্রুপটি আজকের আধুনিক সমাজের সবর্ত্র তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে অলরেডি সক্ষম হয়ে গিয়েছে।

তাই যেকোনো অস্বাভাবিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দাঙ্গা, দেশ বিদেশের সাথে লেগে যাওয়া যুদ্ধ এমনকি কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উত্থান এবং পতনের উপর এই গ্রুপটি সরাসরি তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে বলে থিউরিস্টরা অভিযোগ করে আসছেন।

আর তাদের এই গ্রুপটির গোপনীয়তাকে রক্ষা করতে তারা বিশ্বের সকল প্রভাবশালী গ্রুপ এবং দেশ যেমন ন্যাটো, আমেরিকান সরকার, সিআইএ, নাসা, ইউনিসেফ ইত্যাদিকে নিজের বশে বশিভূত করে রেখেছেন।

৩) জন কেনেডি এবং ন্যাপোলিয়ন স্ক্যান্ডাল!

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির খুনের পেছনে এবং ন্যাপোলিয়নের Waterloo যুদ্ধের পরাজয়ের কারণ হিসেবে এই ইলুমিনাটি গ্রুপকে দোষারোপ করা হয়ে থাকে। কারণ বলা বাহুল্য যে এই ইলুমিনাটির গ্রুপের হিস্টোরি অনেক আগে থেকেই তাই তারা তাদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সমাজে যেকোনো কিছু করতে পিছপা হয়না।

তাই সময়ের আবর্তনে এই গ্রুপটিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ধারণা করা হয় তাদের এই গ্রুপের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য ১৯৬৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে খুন করে।

অন্যদিকে ন্যাপোলিয়নের সাথেও এই গ্রুপটি দ্বন্দ ছিলো বিধায় তার Waterloo যুদ্ধের পরাজয়ের কারণ হিসেবে গ্রুপটিকে দোষারোপ করা হয়ে আসছে।

৪) ১৭৮৫ সাল থেকে বহিস্কৃত!

ইলুমিনাটি গ্রুপটি অতি গোপনীয় এবং গোপনে থেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কারণ সংস্থাটিকে আইনিভাবে ১৭৮৫ সালে বহিস্কৃত করে দেওয়া হয়। চালর্স থিউডর যিনি আমেরিকার ইলেক্টর প্যালেটিন হিসেবে ১৭৪২ থেকে ১৭৭৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

তিনি তার সময়ে এই ইলুমিনাটি গ্রুপটিকে ব্যান করে দেন। তারপর থেকে এই সংস্থাটির সদস্যরা গোপনে চলে যান। আর ব্যান হবার পর পরই কথিত আছে যে ইলুমিনাটি গ্রুপের সৃষ্টিকর্তা তার যাবতীয় ডকুমেন্টস সহ গুম হয়ে যান, এবং পরবর্তীতে তার খোঁজ আর কেউ পায়নি।

৫) নিজেদের থিউরি!

গুজব রয়েছে যে ইলুমিনাটি সংস্থাটি তাদের নিজেদের কন্সপিরেসি থিউরি নিজেরাই নিজেদের সুবিধামতো তৈরি করে থাকে। সংস্থার গোপনীয়তা বজার রাখার জন্য তারা নিজেরাই নিজেদের যাবতীয় কন্সপিরেসি থিউরিগুলো বানিয়ে থাকে।

মজার ব্যাপার হলো, বিশ্বের যত মানুষ তাদের এই সংস্থাটির উপর বিশ্বাস করবে না ততটাই সংস্থাটি এই অবস্থাকে পছন্দ করে থাকে। কারণ পৃথিবীর যত মানুষ তাদের এই গ্রুপটিকে অবিশ্বাস করবে, যতটাই সহজে সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম গোপনে সফলভাবে চালিয়ে যেতে পারবে!

৬) ক্যাটি প্যারি - ডার্ক হর্স!

মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী ক্যাটি প্যারির “ডার্ক হর্স” মিউজিক ভিডিওটি তার ইলুমিনাটির সদস্যপদকে নিশ্চিত করে থাকে! কারণ তার এই গানের মিউজিক ভিডিওতে ইলুমিনাটির বিভিন্ন নির্দশন এবং চিহ্ন পাওয়া যায় যেখান থেকে ধরে নেওয়া যায় যে ক্যাটি প্যারি ইলুমিনাটি সংস্থার একজন সদস্য!

শুধু তিনিই নন, মার্কিন বিভিন্ন তারকাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পারফরমেন্সের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে সেখানে ইলুমিনাটির উপস্থিতি রয়েছে বলে টের পাওয়া যাবে।

৭) ম্যাডোনার লাইভ শো!

ক্যাটি প্যারির মতো মার্কিন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং অভিনেত্রী ম্যাডোনার Superbowl Halftime শো টিতে তাকে পুরো একটি ইলুমিনাটির রিচুয়্যাল পালন করতে দেখা যায়। সাধারণ দৃষ্টিতে এটাকে মিউজিকের সাথে নতুন আঙ্গিকে ড্যান্স বলে মনে হলেও ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে তিনি একটি নিষিদ্ধ রিচুয়্যাল পালন করছেন।

৮) ব্লু ইভি কার্টার!

ইন্টারনেট জগত বিশ্বার করে যে Blue Ivy Carter এর ক্যারিয়ার সহজ করার জন্য ইলুমিনাটি Whitney Houston কে হত্যা করেছিল। শুধু তাই নয়, এই রকম অনেক সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের খুনের পর্যন্ত করতে পিছপা হয়নি এই ইলুমিনাটি সংস্থাটি।

গোপনীয় সংস্থা বলে এইসকল হত্যা মামলাগুলো আনসলভ ভাবো ক্লোজড হয়ে পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। আরো ধরনা করা হয় যে মাইক্যাল জ্যাকশন, বব মার্লি, টু-প্যাক সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকাদের মৃত্যুর পেছনেও এই সংস্থাটির হাত রয়েছে।

৯) ৯/১১ অ্যাটাক

আমেরিকানদের জন্য ৯/১১ এর হামলাকে ইতিহাসের অন্যতম রেড লেটার দিন হিসেবে পালন করা হয়। আর এই আক্রমণের জন্য মূলত ইলুমিনাটি সংস্থাকে দায়ী করা হয়ে থাকে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দাঙ্গা, রাজনৈতিক সহিংষতা এমনকি ভয়াবহ রোগবালাই ছড়ানোও নাকি এই ইলুমিনাটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণের তাদের ইচ্ছেমতো ভাবে করা হয়ে থাকে।

১০) ইউটিউব!

জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের প্রতি একটি জঘন্য ধারণা রয়েছে। ধারণা করা হয় ইলুমিনাটি সংস্থার সদস্যরা একমাত্র ইউটিউবের ভিডিও মাধ্যমেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। কারণ ইউটিউবে প্রায় সকল বিষয়েরই ভিডিও আপলোড করা থাকে।

এদের মধ্যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস্য দু রকমেরই ভিডিও থেকে থাকে। তাই ইলুমিনাটি সংস্থাটি তাদের সদস্যদেরকে অনান্য সকল মাধ্যম ছেড়ে শুধুমাত্র ইউটিউবের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয় বলে ধারণা করা হয়।

১১) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট!

আপনি জানেন কি? ইলুমিনাটি সংস্থার একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। যার ঠিকানা হচ্ছে illuminatiofficial.org। তবে এই সাইটটির সাথে আসলেই কি ইলুমিনাটি সংস্থার কোনো সদৃশ্য রয়েছে কিনা যেটা কেউই জানেনা।

এমনটি সাইটে তাদের সংস্থায় যোগদানের নিয়মাবলীও দেওয়া রয়েছে! ইন্টারেস্টেড থাকলে আপনি আজই সাইটটিতে একবার ঘুরে আসতে পারেন।

১২) এন্টি-সেমিটিক!

অনেকের ধারণা যে ইলুমিনাটি একটি এন্টি-সেমিটিক সংস্থা! কারণ সংস্থাটির ডিজাইনে এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে এটা বোঝা যায় যে সংস্থাটি বিশ্বের অনান্য দেশের চাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি আগ্রহী।

তবে এই কথাটি ১০০% নিশ্চিত করে আজো কেউ বলতে পারেনি। তবে আমেরিকাতেই বেশি এই সংস্থাটি নাম শোনা যায় বলে এই থিউরিটির উৎপত্তি।

১৩) অমানবীয়!

বিট্রিশ কন্সপিরেসি থিউরিস্ট David Icke এর মতে ইলুমিনাটি সংস্থার মূল সদস্যরা মানুষ নন, এরা Shape-Shifting Lizards! এই সকল উদ্ভুত ও উৎভট কাহিনী আমরা হলিউডের ছবিতে দেখে থাকি। ডেভিডের মতে ইলুমিনাটিরা মানুষ এবং লিজার্ড প্রজাতির হাইব্রিড!

১৪) ক্লোন!

অনেকের ধারণা রয়েছে যে, ইলুমিনাটি গ্রুপটি জনপ্রিয় সেলিব্রিটিতে আটক করে রেখে তাদের ক্লোন দিয়ে দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে! আসল ব্যক্তিকে আটক করে রেখে তাদের শরীলের ক্লোন বানিয়ে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে!

ইলুমিনাটি গ্রুপের বিভিন্ন বহিস্কৃত সদস্যদের ভাষ্যমতে বিভিন্ন দেশের শক্তিশালি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদেরও ক্লোন বানানো হয়েছে বলে শোনা যায়!

১৫) এক তৃতীয়াংশ!

আমেরিকার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোক ইলুমিনাটি সংস্থার অবস্থানের উপর বিশ্বাস করে থাকেন। তারা সরাসরি ইলুমিনাটি সংস্থার নামের কথা না বললেও তাদের ট্যাগলাইন New World Order থিউরিতে বিশ্বাস করেন এমন লোকের সংখ্যা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। ২০১৩ সালের এক জরিপে এই তথ্যটি জানা যায়।

তো, ইলুমিনাটি নিয়ে এই কয়েকটি বিচিত্র এবং অন্যরকম তথ্য আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে? আপনাদের মতামতটি অবশ্যই আমাদের টিউমেন্ট বক্সে জানাতে ভূলবেন না যেন! তো আজ এ পর্যন্তই! আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি টিউনার গেমওয়ালা চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সৌশল টেকটিউনসে! টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আপনার টিওনটিতে তথ্য সূত্র ব্যবহার করুন।

এদের প্রভাব সর্ব ক্ষেত্রেই আছে এটা সত্য। তবে লেখাতে রেফারেন্স দেওয়া দরকার ছিলো।