আমাদেরকে প্রতিদিন টেকনোলোজি বিষয়ক কিছু নির্দিষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু আমরা অনেকেই এর সমাধান জানিনা। কেন আমাকে কম্পিউটার সেটআপ দিতে হবে? আমার কম্পিউটারে কি ভাইরাস আছে? আমার পিসি স্লো হয় কেন? যদি আপনি টেকপ্রেমী হন তাহলে হয় আপনাকে বন্ধুর কাছে এই প্রশ্ন শুনতে হয় বা আপনাকেই এই প্রশ্ন করতে হয় টেকপ্রেমী বন্ধুর কাছে। তাই চলুন জেনে নিই এমন কিছু Common প্রশ্নের উত্তর। এখানে সবগুলো প্রশ্নের খুব সংক্ষেপে উত্তর দেওয়া হয়েছে।
হয়তো অনেকের মুখে আপনি শুনবেন যে, মোবাইলে বা ল্যাপটপের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার আগে আপনাকে সম্পূর্ণ ব্যাটারির চার্জ শেষ করে ফেলতে হবে অথবা ৪০-৮০% চার্জ রাখতে হবে ব্যাটারির বেশিদিন টিকানোর জন্য! এসব রুলগুলো এখন পুরাতন হয়ে গেছে আর এগুলো আগেরকালের ব্যাটারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতো।
সৌভাগ্যবশত, এখন সব ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন (Lithium Ion) দিয়ে তৈরি করা হয় যেটাকে সহজে যত্ন নেওয়া যায়। এই ধরনের ব্যাটারির যত্ন নিতে নিচের ভিডিওটা অনেক কাজে দেবে, চটজলদি দেখে নিন।
সচরাচর এই ব্যাটারিগুলোকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতে হবে, ১০০% চার্জ হয়ে যাওয়ার পরেও সেটা প্লাগিন করে রাখবেন না আর ফুল চার্জ না করে ৮০-৯০% চার্জ হওয়ার পরেই আনপ্লাগ করে নিলে সেটা ভালো।
সবাই জানে ভাইরাস, ট্রোজান এগুলো কম্পিউটার, স্মার্টফোন এর জন্য খারাপ, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ জানে না কিভাবে এগুলো কাজ করে।
একদিকে, ভাইরাস এমন একটি প্রোগ্রাম যেটা নিজেদের Copy করে কম্পিউটারকে ইনফেক্ট করে এবং একটা থেকে অন্য একটায় স্থানান্তর করে, একেবারে শরীরে থাকা আসল ভাইরাসগুলোর মতই!
অন্যদিকে, ট্রোজান এমন কিছু Applications যেগুলো দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও এর মধ্যে থাকা কোডগুলো অন্য কাজ করে - যেমন আপনার কম্পিউটারকে অন্যকেউ নিয়ন্ত্রণ করার মত। এই বিষয় নিয়ে আমি অন্য টিউনে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তবে মাথায় রাখতে হবে যেন আপনার পিসিতে ভালো কোন এন্টিভাইরাস থাকে। Windows এর জন্য সবরকমের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার আর ট্রোজান থেকে মুক্তি পেতে নিচের তিনটা সফটওয়ার ইউস করতে পারেন, এটা আমার সাজেশন!
মনে রাখবেন, Windows 10 এর ডিফল্ট "Windows Defender Antivirus" শতভাগ প্রটেকশন দিতে পারেনা।
উত্তরটা হচ্ছে মোটেও সেইফ না! আমাদের অনেকেই ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক খুঁজতে অনেক কষ্ট করি কিন্তু এই ধরনের নেটওয়ার্কে শেয়ারিং এ নানা সমস্যাও থাকে - বিশেষ করে এই নেটওয়ার্ক খুবই ইনসিকিউর হয়।
এমনকি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে পাসওয়ার্ড থাকলেও, অন্য যে কেউ আপনি কি করছেন তা জানতে পারবে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরিও করতে পারবে। যদিও নিজেকে সুরক্ষিত রাখার অনেক পথও খোলা আছে। তার জন্য শেয়ারিং অপশন অফ করে দিন, যথাসম্ভব HTTPS নেটওয়ার্ক ইউস করার চেষ্টা করুন আর ভিপিন VPN এর সাহায্যে ইন্টারনেট ইউস করার চেষ্টা করুন।
আপনি কখনো জানতে পারবেন না আপনার ডাটা একদিন কোথায় যাবে আর কারাই বা এগুলো দেখবে। কিছু ছোট জিনিষকেও মূল্যহীন মনে করবেন না এই ভেবে যে সেটাকে কেউ পাত্তা দিবেনা, হয়তো কেউ একজন সেটা করতেই পারে। প্রাইভেসি মেরে ফেললে সেই প্রাইভেসি আপনাকে মেরে ফেলবে। এই প্রাইভেসি ফেসবুকে আপনার পার্সোনাল তথ্য Only Me করার চেয়েও অনেক বড় এবং জটিল। যখন আপনার কোন বিষয় প্রাইভেট রাখা হয় তখন সেখানে প্রাইভেসি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয়না অন্যদিকে আপনি যখন কিছু শেয়ার করতে চান তখন মাথায় রাখতে হবে সেটা কাদের শেয়ার করবেন এবং কতটুকু শেয়ার করবেন। এখানেই প্রাইভেসির প্রয়োজন পরে। আপনি হয়তো ভাবলেন একটা ছবি শেয়ার করে সেটা পাবলিক করলে কিছু হবেনা কিন্তু যে কেউ সেই ছবি দিয়ে যেকোনো কিছু করার সুযোগ পেয়ে যায় যা হয়তো আপনি নিজেও কল্পনা করেননি। তাই প্রাইভেসির দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। আপনার প্রত্যেকটা ভাবনা, চিন্তা সবকিছুই হিসেব করে শেয়ার করতে হবে, কারণ আপনি যেভাবে ভাবেন অন্য কেউ সেভাবে নাও ভাবতে পারে!
এখানে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে। অন্য কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে তা টিউমেন্টে জানান।
ধন্যবাদ।
আমি আদিল শাহরিয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 113 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একটু বেশিই অসামাজিক।