কম্পিউটার প্রসেসর কোর কী? প্রসেসর কোরগুলোর মাঝে মৌলিক পার্থক্য, ক্লক স্পিডের সাথে তাদের তুলনা এবং হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি!

Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি কম্পিউটার প্রসেসর কোর, তাদের প্রকারভেদ, এগুলোর তুলনা, প্রসেসর কোর ও ক্লক স্পিডের পার্থক্য এবং হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি সম্পর্কিত আমার আজকের টিউন।

 ➡ কম্পিউটার ক্রয় করার আগে এবং ক্রয় করার সময়ে আমরা কম্পিউটারের যে জিনিসটার প্রতি বেশি নজর দেই সেটা হলো প্রসেসর এর কোর। বিষয়টা সম্পর্কে আমাদের পরিপূর্ণ ধারনা থাক বা না থাক কোর বিষয়ে আমাদের আগ্রহটা ঠিকই আছে। তাই ডুয়েল কোর, কোয়াড কোর, হেক্সা কোর কিংবা অক্টাকোর নাম শুনলেই সর্বোচ্চটা কেনার জন্য আমরা অজ্ঞান হয়ে যাই। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু কিংবা আসলে এইসব কোরগুলোর মাঝে মৌলিক পার্থক্য কতোটুকু এই ভাবনাটা আমাদের মাথায় আসে না। কম্পিউটার ব্যবহারকে আরামদায়ক করতে আমাদের কোর বিষয়ে সব চেয়ে বেশি ধারনা রাখা উচিত। আজকের টিউনে আমরা জানার চেষ্টা করবো কম্পিউটার কোর আসলে কী, এটি কী ধরনের কাজ করে, কোরগুলোর মাঝে মৌলিক পার্থক্য কী, প্রসেসর কোর এবং ক্লক স্পীডের মাঝে তুলনা এবং কোর জগতে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজির ভূমিকা। আশা করি শেষ পর্যন্ত পাশে থেকে আমার স্বল্প জ্ঞানের সর্বোচ্চ চেষ্টায় পূর্ণ ব্যাখ্যাগুলো অনুধাবন করবেন।

কম্পিউটারের প্রসেসর কোর কী?

আমরা জানি কম্পিউটারের প্রাণ হলো এর সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সংক্ষেপে সিপিইউ। আর “কোর – Core” হলো আলাদা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট যা মেইন সিপিইউ এর অংশ হলেও আলাদা ভাবে একই কাজ করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ডুয়েল কোর চিপ। এটি দেখতে একটি একক সিপিইউ চিপ মনে হলেও এর মাঝে দুটি আলাদা ফিজিক্যাল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট আছে। এর মানে হলো একের ভেতর দুইটি সিপিইউ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই অতিরিক্ত সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট তাহলে কী উপকারে আসবে? প্রসেসরের একটি কোরের অতিরিক্ত যে কোরগুলো থাকবে সেগুলো মূলত মাল্টি টাস্কিং এ কাজ করে থাকে। আপনার যদি একটি সিঙ্গেল কোর পিসি থাকে এবং এটাকে যদি আপনি ডুয়েল কোরে আপগ্রেড করেন তাহলে বুঝতে পারবেন পিসি লক্ষ্যনীয় মাত্রায় দ্রুতগতির হয়ে গেছে। কীভাবে সেটা হচ্ছে চলুন ব্যাখ্যা করা যাক।

ধরুন আপনি কম্পিউটারে গান শুনছেন এবং একই সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন। যদি আপনার পিসিতে একটিমাত্র প্রসেসর কোর থাকে তাহলে ইন্টারনেট ব্রাউজার আনরেসপন্সিভ হয়ে যাবে। কারন মিউজিক প্লে করার জন্য যখন একটি প্রসেসর কোর ব্যবহৃত হবে তখন যদি ব্রাউজার অন থাকে তাহলে প্রসেসর কোর এর কাজ দুটি অংশে ভাগ হয়ে যাবে এবং তুলনামূলক বড় কাজটি যথেষ্ট রেসপন্স করতে পারবে না। এক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক কোর থাকলে কাজগুলো যথেষ্ট দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে। তবে কম্পিউটারের একাধিক কাজ করছেন কি করছেন না সেটা বড় কথা না কারন কম্পিউটারের নিজস্ব ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সব সময় প্রসেসরকে ব্যস্ত রাখে। সে ক্ষেত্রে একাধিক কোর না থাকলে কম্পিউটার কখনোই স্মুথলি কাজ করতে পারবে না। আপনারা জানেন কিনা জানিনা, গুগল ক্রোম ব্রাউজার একেকটা ওয়েব সাইটের জন্য আলাদা আলাদা কোর ব্যবহার করে। তাই কম্পিউটারের প্রসেসরের কোর কম হলে এবং গুগল ক্রোমে মাল্টিপল ট্যাব ওপেন থাকলে ব্রাউজার হ্যাং হয়ে যায়।

প্রসেসর কোর সমূহের প্রকারভেদ ও তুলনামূলক আলোচনা

কম্পিউটার কোর সমূহকে সাধারণত তাদের ফিজিক্যাল কোর এর সংখ্যা অনুযায়ী ভাগ করে নামকরণ করা হয়। যেমন কম্পিউটার প্রসেসরে যদি ২টি ফিজিক্যাল কোর থাকে তাহলে তার নাম হবে ডুয়েল কোর, যদি ৪টি থাকে তাহলে কোয়াড কোর আর যদি ৬টি থাকে তাহলে হেক্সাকোর। এমন করে যে কয়টি কোর বর্তমান বাজারে প্রচলিত আছে তাদের নাম এবং কোর সংখ্যা নিচে তুলে ধরা হলো। তবে তাদের মধ্যে কিছু কোর আন্ডার ডেভেলপমেন্ট প্রসেসে আছে।

প্রসেসর কোর এর প্রকারভেদ

  • ডুয়েল কোর – দুটি প্রসেসর ইউনিট
  • কোয়াড কোর - চারটি প্রসেসর ইউনিট
  • হেক্সা কোর - ছয়টি প্রসেসর ইউনিট
  • অক্টা কোর – আটটি প্রসেসর ইউনিট
  • ডেকা কোর – দশটি প্রসেসর ইউনিট ইত্যাদি।

প্রসেসর কোর কন্ট্রোল এবং মনিটর সিস্টেম

আপনার কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রাম কয়টা কোর ব্যবহার করছে কিংবা কয়টা কোর সচল এবং কয়টা কোর স্থির অবস্থায় আছে সেগুলো খুব সহজেই মনিটর এবং কন্ট্রোল করতে পারবেন। আমি আগে উদাহরণ হিসাবে বলেছিলাম যে গুগল ক্রোম একাধিক কোর ব্যবহার করবে যদি একাধিক ট্যাব ওপেন রাখা হয়। আপনারা চাইলে এটা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করতে পারেন। যাহোক, কম্পিউটার টাস্ক ম্যানেজার থেকে প্রসেস ট্যাবে ক্লিক করলে খুব সহজেই কোন প্রোগ্রাম কোন প্রসেসর কোর ব্যবহার করছে সেটা দেখা যাবে। তাছাড়াও যেকোন প্রোগ্রামের উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে অ্যাফিনিটি অপশন থেকে প্রসেসরের সবগুলো কোর দেখতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার কম্পিউটার এর সামগ্রিক কাজের জন্য কোন কোর এবং র‍্যাম কতোটুকু পরিমাণ ব্যবহৃত হচ্ছে এটা খুব সহজেই নিচের চিত্রের মতো টাস্ক ম্যানেজারের পারফোরমেন্স মনিটর থেকে দেখে নিতে পারবেন। আপনার পিসির কোর যদি কম হয়ে থাকে উপরের চিত্রে সেট অ্যাফিনিটি অপশন থেকে কোর সংখ্যা লিমিটেড করে দিতে পারেন। তাহলে একটি প্রোগ্রাম অন্য প্রোগ্রামের পারফোরমেন্সে বাঁধা দিতে পারবে না।

Hyper-Threading Technology – কোর জগতের অসামান্য অবদান

নিচের চিত্রটি ভালো করে লক্ষ্য করুন। বলুন তো এখানে প্রসেসরের কয়টা কোর দেখা যাচ্ছে? আপনারা হয়তো চোখ বন্ধ করে উত্তর দিবেন, “আমরা কি এতোই বোকা নাকি, এখানে যে আটটি কোর আছে এটাও বলতে পারবো না ভেবেছন?”। যাহোক, চিত্রটিতে আটটি কোর আছে মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে এটি একটি কোয়াড কোর প্রসেসর? চোখ কপালে না উঠে আসমানে উঠলো নাকি? ভাবছেন আমি যা খুশি তাই আপনাদের বুঝানোর অপচেষ্টা করছি। আসলে আমি আপনাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছি না। এই অবদানটি পুরোটাই ইনটেল এর। তাদের তৈরী করা Hyper-Threading Technology প্রত্যেক ফিজিক্যাল কোরকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করে যে তারা সিস্টেমের সাথে দুইটি লজিক্যাল কোর হিসাবে কাজ করে।

এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন Hyper-Threading Technology টেকনোলজি থাকলে আমাদের কোয়াড কোর প্রসেসর দিয়েই আমরা অক্টাকোর প্রসেসর এর সমান পারফোরমেন্স। কারন এটা শুধু কোন তত্ত্ব কথা না, বাস্তবিকই কোয়াড কোর প্রসেসর Hyper-Threading Technology ব্যবহার করে অক্টাকোর এর মতো ৮ টি লজিক্যাল কোর হিসাবে কাজ করে। মোবাইল ফোর টেকনোলজিতে কোয়াড কোর আর অক্টাকোর এর মাঝে তুলনামূলক আলোচনা সম্পর্কে খুব শীঘ্রই আমার একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হবে। তখন বিষয়টা আপনারা পরিপূর্ণ ভাবে জানতে পারবেন

ক্লক স্পিড এবং কোর এর মাঝে পার্থক্য

প্রসেসর কোর এবং ক্লক স্পিড জিনিস দুইটাকে অনেকেই মাঝে মাঝে এক করে ফেলেন। আসলে তারা একই জিনিস না। প্রত্যেকটি সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এর একটি আলাদা ক্লক স্পিড আছে। যেটা নির্ধারণ করে দেয় প্রসেসিং ইউনিটটি আসলে কতো দ্রুত কাজ করবে (যদিও এখনো পর্যন্ত এটাই প্রচলিত ধারনা তবে এই কথাটি সত্য কিনা এটা নিয়ে গবেষকদের মনে এখনো শঙ্কা আছে)। যাহোক, মনে করি, একটি ইন্টেল Core i5-3330 কোয়াড-কোর প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩গিগাহার্জ। এর মানে হলো প্রসেসিং ইউনিটে ৪টি ইন্টেল i5 প্রসেসর আছে যাদের প্রত্যেকটির স্পিড ৩ গিগাহার্জ করে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা।

কোর দ্বিগুন করলেই স্পিড দ্বিগুন নাও হতে পারে

অনেক কম্পিউটার প্রোগ্রাম সিঙ্গেল কোর ভিত্তিক অর্থাৎ গুগল ক্রোমের মতো তাদের কাজগুলো কোর সমূহে ভাগ করে দেয় না। এক্ষেত্রে আপনি যদি একাধিক কোরও সংযোজন করেন তাহলেও স্পিড একই রকম থাকবে। আপনার যদি 3GHz এর কোয়াড কোর প্রসেসর থাকে তাহলেও এক্ষেত্রে প্রোগ্রামটি 12GHz (3x4=12) এর পরিবর্তে 3GHz স্পিডই প্রদর্শন করবে। আর বাকি 9GHz স্পিড আইডল মোডে থাকবে। কারন প্রোগ্রামটি সিঙ্গেল কোর ভিত্তিক হওয়াতে একটা কোরের বেশি ব্যবহার করতে পারবে না। তবে বাকি কোর এবং তাদের স্পিড পরবর্তি কোন প্রোগ্রামের জন্য অপেক্ষা করবে।

অধিকাংশ প্রোগ্রামগুলো সিঙ্গেল কোর ভিত্তিক বিধায় একই প্রোগ্রাম ডুয়েল কোর আর কোয়াড কোরে চালালে একই ধরনের স্পিড পাওয়া যাবে। যেমন মাইক্রোসফট অফিস সিঙ্গেল কোর ভিত্তিক। ফলে এটি যে কম্পিউটারেই ব্যবহার করেন না কেন স্পিড একই রকম থাকবে। তবে সেসব প্রোগ্রাম মাল্টিপল কোর ভিত্তিক তারা অধিক কোরের পিসিতে অসাধারন পারফোরমেন্স দিবে। গুগল ক্রোম কেন সাধারন পিসিতে ভালোভাবে চলে না এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন?

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

Sanem Mahbeer Fahad Facebook Fan PageSanem Mahbeer Fahad Facebook ProfileTwitterLinkedInGoogle PlusE-mail SubscriptionMail To Sanem Mahbeer Fahad

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

৭০ % জানা ছিল ১০০ % জানতে পারলাম 🙂 । অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই । চালিয়ে জান , আপানারা আছেন বলেই এখন ও TT আছে। পরের টিউনের অপেক্ষায় থাকলাম । 🙂

    সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের নতুন কিছু জানাতে পারাটাই টিউনারের স্বার্থকতা। আশা করি টেকটিউনসের পাশেই থাকবেন।

      ভাই খুব সু্ন্দর টিউন করেছেন।তবে ক্যাশ মেমরী সম্পকে লিখলে আর ও ভাল হত।আশা করি পরের টিউনে তা আলোচনা্ করবেন।ধন্যবাদ।

        চেষ্টা থাকবে আপনাদের কাঙ্খিত বিষয়ে পরবর্তি সময়ে লিখার। তবে কথা দিতে পারছি না।

প্রসেসর এবং কোর বিষয়ে মোটামুটি আইডিয়া থাকলেও হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না। আপনার বরাবরের মতোই সহজ এবং সাবলীল টিউনটি আমার মস্তিষ্কের নিউরনে অন্যরকম এক অনুরনন সৃষ্টি করেছে। আপনি ভাই পারেনও বটে। কাঠালের আঠার মতো আপনার পিছনে লাগলাম ভাই। নিয়মিত টিউন না করলে ছাড়ছি না।

অসাধারন এই টিউনটির জন্য শুধু ধন্যবাদ যথেষ্ট না। প্রিয়তে রেখে ভবিষ্যতে রিভাইস দেওয়ার পথ সৃষ্টি করলাম। সাথে টেকটিউনস থেকে টিউনটি মনোনীত হোক এটাই প্রত্যাশা।

    বরাবরের মতো সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের নতুন কিছু জানাতে পারাটাই টিউনারের স্বার্থকতা। আশা করি টেকটিউনসের পাশেই থাকবেন।

ফাহাদ ভাই বরাবরের মতো অছাম 🙂 টিউন..
Core i3
14’’ Monitor
500 GB Harddisk
2GB Ram
এই কনফিগারেশানের একটা ল্যাপটপ বর্তমান বাজারে কত হতে পারে????

    এরকম কনফিগারেশন বর্তমানে পাবেন বলে মনে হয় না। তবে,
    Core i3
    14’’ Monitor
    500GB/1TB Harddisk
    4GB Ram
    এই কনফিগারেশনের পিসি ৩৫০০০ এর মাঝে কিনতে পারবেন।

Onk onk Sundor Akta Tune hoice vai<< Apnar akta tune o miss kori na. Carry 1 vai

Level 0

HT সম্পর্কে এখন একদম ভালভাবেই বুঝে গেলাম,ধন্যবাদ ভাই।এতদিন দেখতাম কোর আই ৩ ডুয়েল কোর প্রসেসর কিন্তু টাষ্ট ম্যানেজার ওপেন করলে দেখতাম কোর চারটা!পুরাই কনফিউশনে ছিলাম এতদিন,আপনার টিউন না দেখলে হয়ত আরও অনেকদিন অন্ধকারেই থাকতাম।

আচ্ছা ব্রো,চারটা ফিজিক্যাল কোরওয়ালা কোন কোর আই থ্রি আছে যেটাতে হাইপারথ্রেডিং এর ফলে আট কোরের মত কাজ করবে?

    আমি সঠিক জানিনা যে বাজারে আই থ্রি প্রসেসরের কোরগুলোতে হাইপার থ্রেডিং আছে কিনা। আমি যেটা দেখিয়েছি সেটা আই ফাইভ কোয়াড কোর প্রসেসর ছিলো সাথে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি।

    Mobster ভাই, এই বান্দা একখানা অাই-থ্রি ডুয়াল কোর খরিদ করেছিল……ইন্টেলের অাশীর্বাদে তা হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ডালপালা মেলে বিভ্রম ঘটিয়ে অত:পর ৪ খন্ডে দৌড়ে বেড়াচ্ছে……ইন্টেলের HT সুবিধাটার অনেকদিন হয়ে গেছে…….তো কুনুভাবেই “টেনসিত” হবেন না :mrgreen:

      Level 0

      না ভাই,আমি আসলে জানতে চেয়েছি কোয়াড কোরের কোন কোর আই থ্রি আছে কিনা যেটাতে হাইপার থ্রেডিং এর ফলে আট কোরের মত কাজ করবে?

বরাবরের মতই সুন্দর টিউন

কোর আই থ্রি কোর আছে

অসাধারণ লিখেছেন। প্রসেসরের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো মোটামুটি জানলেও এইটা নিয়ে আমার প্রশ্ন ছিলো যে কম কোরের বেশি ক্লক স্পীড বেটার নাকি বেশি কোরের কম ক্লক স্পিড বেটার? যাই হোক, আপনার পোষ্ট থেকে এখন উত্তর পেয়ে গেলাম।
তবে আরেকটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন আছে, একবার একজন বলছিলো যে 3rd generation এর core i7 (4core, 3.4GHz, 8MB Cache) এবং 4th generation এর core i5 (4core, 3.4GHz, 8MB cache) দুইটাই সমান শক্তিসম্পন্ন প্রসেসর. জেনারেশন আলাদা হলিএও যদিও দুইটা প্রসেসরের কনফিগারেশন এক তবে আমি মনে করি core i7 টাই এক্ষেত্রে বেশি ভাল হওয়ার কথা।

    জেনারেশনের অগ্রগতির চাইতেও কোর i7 বেশি ভালো হবে। অন্তত আমি তাই মনে করি। সুন্দর এবং বর্ণনামূলক টিউমেন্ট এর জন্য অনেক ধন্যবাদ রাকিব ভাই।

এই ব্যাপারে আগে অল্প ধারনা ছিল, আজকের এই টিউনটি পড়ার পর ধারনার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

    উপকৃত হয়েছ জেনে ভালো লাগলো। আর টিউমেন্টের জন্য আমার ছোট্ট ভাইটিকে ধন্যবাদ 🙂

Level 2

ধন্যবাদ না দিয়ে পারছিনা।

ব্রো 4 এমবি ক্যাচ বা 8 এমবি ক্যাচ, এগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানলে একটু জানাবেন।

    ক্যাশ জিনিসটি হলো ডাটা সংরক্ষণ! একটি প্রোগ্রাম চালু হলে সেটার ডাটা ক্যাশ হিসাবে জমা হয়। যাতে পরবর্তি সময়ে সেগুলো অটোমেটিক এবং দ্রুত প্রোভাইড করা যায়। ফলে সিস্টেমে প্রোগ্রাম সমূহ দ্রুত রান করে।

Really Awesome Tunes

আপনার প্রতিটি টিউন অসাধারণ

Level 0

thanxxxxxxxxxxx.nice tune.

সুন্দর হয়েছে লেখা।

Level 1

তথ্যবহুল টিউন এবং চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে ২/১ দিন ধরে এই বিষয়ে জানার জন্যে মনে খুব আগ্রহ জাগলো। আর আজকেই আপনি আমাকে এই বিষয় টা ক্লিয়ার করে দিলেন। কি বলব বুঝতে পারছি না। ভাই আপনি আসলেই ১টা . . . 😛 !

বাকি টা আপনি নিজেই বুঝে নিয়েন।

    ধন্যবাদ ভাই, আপনার টিউমেন্ট পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আপনারা উপকৃত হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে। আশা করি সব সময় এভাবেই টেকটিউনসের পাশে থাকবেন।

দারুন একটা টিউন অনেক দিন পর পেলাম , ধন্যবাদ।

অসাধারণ টিউন ভাই অনেক দিন যাবত প্রসেসরের কোর বিষয়ে জানার আগ্রহ ছিল, আজ আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। thank you ভাই।আরেকটা বিষয় মনে প্রশ্ন আছে — মোবাইল ফোনের cortex a7 প্রসেসর কি? এবং pentium 4, intel celeron এগুলোতে কয়টা কোর আছে? একটু কষ্ট করে বলবেন প্লিজ।

    মোবাইল প্রসেসর নিয়ে একটা টিউন খুব শীঘ্রই প্রকাশ করবো। সুতরাং সেই পর্যন্ত একটু ধৈর্য্য ধারন করতে হবে ভাইয়া। আশা করি সব প্রশ্নের উত্তর সেদিন পেয়ে যাবেন। টেকটিউনসের পাশেই থাকুন সে পর্যন্ত।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া… চরম একটা পোস্ট করছেন 🙂

পরগাছার মত পরদেশীর ভাষায় জ্ঞানার্জন অার বাংলায় জ্ঞানার্জনের ফারাকটা বহু অাগেই জানতাম (যেমন বনে গিয়ে চাকের মধু অাহরণ অার বাজারে গিয়ে বোতলের মধু অাহরণ)…….অাজ বোধকরি অারেকটু টের পেলাম……কেননা পড়তেও যে অনেক ঝরঝরে লাগে 😀 কিন্তু অমন কিপ্টামিটা না করলেও পারতেন- একটু অাঙুল ফুটিয়ে হেলান দিচ্ছিলাম মাত্র, অমনি কি না!!! 😳

অালস্য অামায় HT নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে না দিলেও অাপনার অাজকের সরলীকরণ ধোঁয়াশাটা বেশ কাটিয়ে দিল…..যদিও ক্রোমের প্রেমে অামি দিওয়ানা, কিন্তু অামিও র‍্যামের ঝামেলায় পড়তাম একসময়- খামাখাই ক্লোজ খাইত ডার্লিং অামার….শেষে ড্রাইভের paging file সেট করে রেহাই মিলল……যারে যত ভালবাসি সে ততই pain দেয় 😥

পরিশেষে, অাপনার “অক্টোপাস” প্রসেসরের প্রতি ক্রোমের এই অাসক্তি দেখে মনটা হু হু করে উঠল…..অাহা একদিন অামারও সাধ ছিল কত…………… থাক…………….অাজ না……………..

অসংখ্য ধইন্যা থাকল…….উর্ধ্বে সহোদর লিংক দু’টো সজোরে চেপে দিলাম 😉

    ক্রোমের প্রতি আপনার এই ভালোবাসাটাই কিন্তু আমাকে একদিন পরে ক্রোম বিষয়ে এই তথ্যটা দিতে উৎসাহিত করেছে। বুঝতেই পারছেন লেজকাঁটা শেয়ালের মতো অবস্থা যাকে বলে। আমি মূলত ডেভেলপমেন্ট পারপাস ছাড়া কখনোই ক্রোম ব্যবহার করিনা। তাই ক্রোম বিষয়ে হাল্কা পিসিগুলোর একটি ভীতি সৃষ্টি করারও একটা উদ্দেশ্য ছিলো (যদিও কথা সত্য)।

    সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধইন্যার শুভেচ্ছা! টিউনের জন্য দুটি বাটন থাকলেও টিউমেন্টগুলোর জন্য কোন বাটন নেই। থাকলে আমিও একটু চেপে দিতাম (আপনার চেয়ে একটু বেশিই জোরে)।

Level 0

তথ্যবহুল টিউন এবং চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ। SSD নিয়ে একটি টিউন প্রত্যাশা করছি। ভালো থাকবেন।

    সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ হিমাদ্রি ভাই। তবে এসএসডি নিয়ে টেকটিউনসে বেশ কিছু টিউন আছে। আপনি সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন আশা করি।

খুব ভালো হয়েছে লেখাটা, বরাবরের মতই অসাধারণ। [ না বললেও হত সবাই জানে ]
প্রসেসের কোর নিয়া যখন টিউন তাই কিছু বলছি ফাহাদ ভাই [ রাগ করবেন না ]
সিস্টেমে হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তির ইতিহাস
প্রথম HT প্রসেসর ২০০০ সালে যখন মার্কেটে আসলো তখন অনেক অপারেটিং সিস্টেমে হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তি জন্য অপ্টিমাইজ ছিলো না। ইন্টেল এই প্রযুক্তির উপর নির্ভর যখন প্রসেসর মার্কেটের সম্রাট হওয়া শুরু করেছিল সবে, ২০০৬ সালে হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তিতে শক্তিক্ষয় বেশী হওয়ার সমালোচিত হয় এবং মার্কেটে আসে আরেক প্রতিদ্বন্দী ARM প্রসেসর, যা ছিল অনেক বেশি বিদ্যুত সাশ্রয়ী। ইন্টেল এই দাবির বিরোধ করে এবং হাইপার থ্রেডিং অত্যন্ত কার্যকরী এই বিবৃতি দেয়।
২০১০ সালে আর্ম প্রসেসর ২০১২ বিট ৬৪ নকশার জন্য রিজেক্ট হলেও ,এটা ছিল ভবিষ্যতের মাল্টিথ্রেডিং চিপ।
২০১৩ সালে ইন্টেল, তার সিলভারমেন্ট প্রসেসর কোর Simultaneous multi-threading আউট অফ অর্ডার ঘোষণা করে, আরো নতুন ও ভালো প্রসেসর এর জন্য।
আর্ম প্রসেসর এখন ব্যবহার হয় মোবাইল,ট্যাব,ও আরো অনেক কিছুতে।

প্রত্যুত্তরের জন্য আগাম ধন্যবাদ। ফাহাদ ভাই

    অনেক ধন্যবাদ অভিষেক হাজরা ভাই। ভালো কিছুকে গ্রহণ করার মানুষিকতা আমার সব সময়ই আছে। তাই আপনার সুন্দর, সাবলীল এবং বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য আমাকে চমৎকৃত করেছে। আপনার প্রথম টিউন থেকেই কিন্তু আমরা আপনার জ্ঞানের সাথে পরিচিত। আশা করছি আপনার টিউমেন্টের মাধ্যমে প্রসেসর বিষয়ে আমার টিউনটি পূর্ণতা পেল। সব সময় টেকটিউনস পরিবারের পাশে থাকবেই এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    Level 0

    ধন্যবাদ ভাই

অসাধারন লেখা। অনেক ধন্যবাদ ।

অসাধারন লেখা। অনেক ধন্যবাদ । আরো এরকম টিউন আশা করি আপনি পোষ্ট করবেন ।

এমন একটা টিউনের প্রতিক্ষায় ছিলাম। ধন্যবাদ।

Level 2

আসলে আমার টিউন করতেও সরম করছে, আপনের মত এতো ভালোমানের qualitative টিউনার, তার মধ্যে আবার মেধাবী টিউনমেন্টার, আমি প্রশংসা করার মত তেমন ভাষাও জানিনা, অনেক কিছু জানতে পারলাম আজকে, খুব ভাল লাগে আপনের টিউন গুলো পড়তে।

    টিউন করতে শরম করলে আমার প্রথম দিকের টিউনগুলো দেখতে পারেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন আমিও এক সময় কাঁপা হাতেই লিখতাম। প্রথম দিকে ৩০০-৫০০ শব্দের মাঝে লিখতে পারলেই সন্তুষ্ট থাকতাম।

Level 2

sorry টিউনমেন্ট হবে

Level 0

Core i 3 te koyta physical core ache bujhay…?

    কোনটাতে কয়টা কোর সেটা পিসির কনফিগারেশনে বলা থাকে। যেমন কোর আই থ্রি ডুয়েল কোর/ কোয়াড কোর ইত্যাদি।

onek sundor tune……..core i3 processor e highest dual core ase i5 e quad core and i7 e 6-8 core ase highest

    তথ্যটা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আরিফিন রাতুল ভাই। এ ব্যাপারে আমারও পরিষ্কার ধারনা ছিল না।

agula sob desktop er kotha bollam…laptop er khetre aktu vinno…i5 e dual core o thake

    তবে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি মনে হয় সবগুলোতেই থাকে না। আপনি বাজারের ল্যাপটপহগুলোর কনফিগারেশন চেক করতে পারেন।

Level 0

Awesome hoisay vai. INTEL vs AMD processor er difference nia akta tune chai

Level 0

Speechless!! Many thanks..

SAnim vi amer PC ta maja maja Usb show kora aber maja maja kora ki problem.

Ata sulition akto jodi bolten..

    হঠাৎ করে সল্যুশন বলা যাচ্ছে না। হার্ডওয়্যার কেন্দ্রিক সমস্যাও থাকতে পারে। তবে ড্রাইভার আপডেট করে দেখতে পারেন।

Excellent Vaiya, Awesome tune, waiting for more!!

ভাই খুবই মানসম্মত পোষ্ট ।

এক কথায় অসাধারণ !!!

অনেক দিন পর টিটিতে আসলাম, আর আপনার টিউনগুলো বরাবরের মত
অনেক তথ্যবহুল এবং সুন্দর, অল্প ধারনা ছিল এখন তা পুর্ন করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ বড় ভাই।