যে ৫টি কারনে রাত জেগে কাজ করা বেশি প্রোডাক্টিভ! নিশাচরদের জন্য মেগাটিউন!

Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি প্রচলিত ধ্যান ধারনার বিপরীত কিছু তথ্য, তত্ত্ব এবং সত্যিকারের বাস্তবতা বিষয়ে আমার আজকের টিউন।

ইংরেজি যে প্রবাদটি বলে আমাদের সন্ধা রাতে ঘুম পাড়ানো হতো এবং খুব ভোরে ঘুম থেকে তোলা হতো তার মুল ভাব ছিলো ‌এরকম, যারা তাড়াতাড়ি ঘুমাবে এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠবে তারাই স্বাস্থবান, ধনবান এবং জ্ঞানী হবে। বাবা মায়েদের তাদের সন্তানকে এই তিনটি শ্রেণীর সবগুলোতে রাখার প্রতিযোগিতায় পড়ে কোন সন্তান একটু দেরি করে ঘুমাতে কিংবা ঘুম থেকে উঠতে পারতো না। আমি নিজেও সকাল বেলায় আম্মুর অত্যাচারে মসজিদ এর বারান্দায় গিয়ে ঘুমাতাম।

যদিও শহরের অনেক পরিবারে এখন বাবা মায়েরাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারে না, সেখানে তাদের সন্তানদের সকালে ঘুম ভাঙ্গানোর প্রশ্নই আসে না! তবে কেউ সন্ধা রাতে না ঘুমালেও কিংবা সকালে ঘুম থেকে না উঠতে পারলেও প্রবাদটা (Early To Bed & Early To Rise Makes a Man Healthy Wealthy & Wise) কিন্তু এখনো মানুষের মুখে চিরন্তন সত্য বুলির মতো লেগে আছে। আজকের টিউনে আমি সচরাচর পরিচিত এই প্রবাদটির বিপরীত ধর্মী কিছু কথা বলবো। বর্তমানে মুক্ত কাজের ক্ষেত্রের পরিধি যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইন্টারনেট এবং তথ্য প্রযুক্তির যতো উন্নয়ন হচ্ছে। আর সেই সাথে মানুষের রাত জাগার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ থেকে ৫-৭ বছর আগে যেখানে রাতের এগারোটা পর্যন্ত জাগতে পারতাম না অথচ আজকাল রাত ফুরিয়ে সকাল আসলেও ঘুমানোর কথা মনে হয় না।

যাহোক, আজকের টিউনে আমরা রাত জাগা পেঁচা (নিশাচর) কিংবা ভোরের পাখি নিয়ে আলোচনা করবো। অর্থাৎ আমাদের মতো যারা রাত জেগে থাকে তাদের বিষয়ে সায়েন্টিফিক কিছু মতবাদ ব্যাখ্যা করবো। তবে আশ্চর্য কথা হলো বিজ্ঞান কিন্তু অনেকটা নিশাচরদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। যাহোক, চলুন তাহলে জেনে নিই ঠিক কোন কারনগুলোর জন্য রাত জাগা মানুষদের বেশি প্রোডাক্টিভ বলা হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে জেগে থাকা মানুষদের উজ্জল্য দেখে আবার রোজার দিনে টাস্কি খাবেন না যেন, কারন.

প্রত্যেক সন্ধায় তারা নতুন উদ্দোমে কাজ শুরু করতে পারে

আমরা মনে করি সকালবেলা আমরা পরিপূর্ণ শক্তি নিয়ে দিন শুরু করি এবং সারাদিনের কাজের ফলে শক্তি শেষ হতে হতে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই তখনি ঘুমের কোলে ঢলে পড়ি। কিন্তু বিজ্ঞান ভিন্ন কথা বলে। সাম্প্রতিক গবেষণায় খুবই আশ্চর্যজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মুলত সন্ধার সময় একজন মানুষের পরিপূর্ণ শক্তি বিকশিত হয়। এবং কেউ যদি সারা রাত জেগে কাজ করে তাহলে সে তার পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে পারে। ঠিক এই কারনেই রাতে কাজ করলে ক্লান্তি অনেক কম আসে। সম্পূর্ণ ফ্রেশ মনে এবং ফ্রেশ দেহে রাতের কর্মীরা কাজ করতে পারলেও ভোরের পাখিরা অর্থাৎ যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা এই জিনিসটা অনেক মিস করে।

যদিও সারা রাত জেগে কাজ করা আপনার ঘুমের ধরনে এবং সামাজিক দিক থেকে একটা খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করবে তবুও কাজের অগ্রগতির দিক থেকে এটা অনেক ইতিবাচক। সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গার পরে কেউ কখনোই পরিপূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন না যেমনটা একজন নিশাচর ব্যক্তি পারে। এই ধারনা নিশ্চয় কিছু মানুষকে রাতে কাজ করতে উদ্বুধ্য করবে। এবং সেই সাথে আসবে কিছু প্রোডাক্টিভ ফলাফল।

তারা খুব দ্রুত সফলতার দেখা পায়

এই কথাটির পেছনে অনেকেই দ্বিমত পোষন করতে পারেন কিন্তু চলুন একটু পেছনে ফিলে তাকায়। যখন কেউ কোন বিষয়ে রিসার্চ করে তখন দেখা তাদের অধিকাংশ সময় রাত জেগে কাজ করতে হয়। আমরা হয়তো সহজ দৃষ্টিতে বুঝতে পারিনা, কিন্তু মনে করে দেখুন আপনি যখন পড়ালেখা করেন তখন সময়টা কখন থাকে? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্ট্রিটল্যাম্পের আলোতে পড়ালেখা করেছে, সেটা তো রাতের বেলায় তাই না? সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো, বর্তমান সময়ের অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

তিনি তার অধিকাংশ কাজ রাত জেগে করেন। বিভিন্ন থিওরী এবং হাইপোথিসিস এটা বলে যে, যারা রাত জেগে কাজ করে তাদের কাজে সফলতার হার দিনে যারা কাজ করে তাদের চেয়ে অনেক বেশি। যদি আপনার রাত জাগার বদঅভ্যাসখ্যাত সুঅভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আজ থেকে আপনার নিজের প্রতি আরও বেশি কনফিডেন্ট হওয়া উচিত।

তারা তুলনামূলক ভাবে অধিক বুদ্ধিমান হয়

এটা খুবই চমকপ্রদ একটি তথ্য। লন্ডনের School of Economics and Political Science এর একটি জরীপে এটা প্রকাশ হয়েছে যে যারা রাত জেগে কাজ করে তাদের IQ (Intelligence Quotient) অনেক বেশি হয়। তারা যেকোন জটিল কাজ ঠান্ডা মাথায় এবং খুব দ্রুততার সাথে সমাধান করে ফেলতে পারে। যদিও এর পেছনে মুল কারন হলো, রাতের প্রকৃতি অনেক নীরব থাকে। এক্ষেত্রে ধীর স্থির ভাবে অনেক কিছু সহজে এবং সুন্দরভাবে চিন্তা করা যায়।

তারা অনেক মনযোগী হয় এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে মনযোগ ধরে রাখতে পারে

বেলজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ড এর এক যৌথ গবেষকদল ১৬ জন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠা ব্যক্তি এবং ১৫ জন রাতে জেগে থাকা ব্যক্তির মাঝে কাজে মনযোগী থাকার উপরে গবেষণা পরিচালনা করেন। যদিও শুরুর দিকে তারা উভয় দল প্রায় সমানভাবে পারদর্শিতা দেখাতে থাকে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা ব্যক্তিদের মাঝে মনযোগহীনতা দেখা দেয়।

দিনের দশ ঘন্টা সময়কে স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে নেওয়া হলে শেষের সময় গুলোতে রাতজাগা ব্যক্তিদের তুলনায় সকালে উঠা ব্যক্তিদের মনযোগের ঘাটতি বেশি দেখা যায়। এই গবেষণা চলাকালে উভয় দলের সদস্যদের মস্তিষ্কের ফোকাস এবং মনযোগের জন্য কার্যকর অংশের উপর MRI (Magnetic Resonance ইমেজিং) স্ক্যান করে জানা যায় যারা রাতে কাজ করে তাদের মাথার ওই অংশটুকু বেশি কার্যকর।

তাদের ঘুমের জন্য রয়েছে সবচেয়ে ফ্লেক্সিবল শিডিউল

দিনের বেলা কাজের সময় সকাল ৯টা থেকে ৫ পর্যন্ত থাকলেও রাত জাগা ব্যক্তিরা এটাকে ঘুমের সময় হিসাবেও নিতে পারে। কারন এক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠার পর তারা পরিপূর্ণ শক্তিতে কাজ শুরু করতে পারবে। অনলাইন বিজনেস এবং কাজের ক্রমাগত বিকাশের ফলে অধিকাংশ চাকরীদাতারা রাতের বেলায় কর্মী নিয়োগকে আজকাল তাই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

কারন রাতে কাজ করা অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ এবং সময় অপচয়ের ঝুকি অনেক কম। এ সময় ঘুমের সমস্যাগুলোকে ইগনোর করা যায়। অনিদ্রা রোগের কোন সমস্যা হয় না। কারন কাজের ফাঁকে যখন ঘুম আসবে তখনি ঘুমাতে পারবেন। অনেকে সকাল বেলার সুন্দর সময়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন। তারমানে দিনের কাজগুলো রাতে করলে প্রোডাক্টিভিটি এবং জীবনে ফ্লেক্সিবিলিটি দুটিই আসে।

রাত জাগার নেতিবাচক প্রভাব

রাত জাগার ফলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো বিষন্নতা। মানুষ হলো সামাজিক প্রাণি। সামাজিকতার খাতিরে একে অন্যকে সঙ্গ দেওয়াটা একান্তই কর্তব্য। সেই সাথে নিজের অনুভুতির ভাগাভাগি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাইকিয়াট্রিক এবং নিউরোসায়েন্স অনুসারে এই বিষন্নতার কারনটা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

রাত জেগে কাজ করার ফলে এবং দিনে ঘুমানোর ফলে শরীরে সূর্যের আলোর সংস্পর্শ কম হয়। আমরা জানি সূর্যের আলো ত্বকে পড়লে শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয় (অনেকেই অবশ্য মনে করে সূর্যের আলোয় ভিটামিন ডি থাকে, এটা ভ্রান্ত ধারনা)। সূর্যের আলোর অনুপস্থিতে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি অনেকটা বিষন্নতার কারন।

তবে বিষন্নতা কাটানোর জন্য আমাদের প্রাকৃতিক পন্থাটাকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। মানে হলো অন্যদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ। মাঝে মাঝে একটু বায়রে ঘুরতে যাওয়া। কাজের সময় ছাড়া অন্য সময়গুলোতে পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানো। কাজের জায়গাটা সব সময় ফ্রেশ এবং পরিচ্ছন্ন রাখা।

তবে সবশেষে একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হলো আল্লাহ তা’য়ালা রাতকে তৈরী করেছেন বিশ্রামের জন্য। সুতরাং যে জিনিস যেটার জন্য সেটা সেভাবেই ব্যবহার করা উচিত। তবে প্রত্যেকটি তথ্য এবং তথ্যের জন্য আপনার নিজস্ব মতামত প্রত্যাশা করছি। যাতে বুঝতে পারি যে আপনারা আসলে কোন মতবাদে বিশ্বাসী।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

তারমানে পরিক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে দেয়ার জন্য রাতে জেগে থাকতে হবে।

    শুধু রাত জেগে থাকলে তো আর সফলতা আসবে না। রাত জেগে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে! এটাই টিউনের মূল বিষয় 🙂

কথা আছে ওস্তাদের মাইর শেষ রাইত: রাতের মস্তিক শান্ত থাকে। শান্ত মাথা দিনের কলাহল থেকে বেশি স্রতি ধরে। খুব সুন্দর টিউন http://inboxok.com/

টিউন ভাল লেগেছে।
রাত জাগা বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন ইনফরমেশন আছে এখানে।
যারা রাতে ঘুমাতে পারছিনা প্রযুক্তির উৎকর্ষে তাদের জন্য আশাব্যঞ্জক একটা টিউন। :):D

ভাইয়া এইটা মেগা টিউন না? এইটা ট্যারা টিউন…
অনেক ইনফরমেটিভ টিউন…

yahooo!!! আমি রাত জাইগ্যা কেবল ঠাণ্ডা মাথাই সুন্দর করিয়া মশা মারি!!! avg -এ অন্যদের থেকে এদিক দিয়ে আমি সফল

আপনার টিউনের ফরমেটিং টেকটিউনসে ইউনিক। তবে আজকের টিউনে একটু অসংগতি চোখে পড়েছে, MRI (Magnetic Resonance ইমেজিং) যখন লিখছেন তখন লাস্ট অংশটুকু কেন বাংলায় লিখছেন? যদিও এটাকে বড় কোন সমস্যা মনে হচ্ছে না। তবুও এটা একটু অন্যরকম লাগছে। আপনাদের মতো টিউনারের কাছ থেকে তো আর বাংলিশ আশা করা যায় না।

    আসলে আমি প্রথমে সঠিকভাবেই Magnetic Resonance Imaging লিখেছিলাম। কিন্তু টেকটিউনস কন্টেন্ট ফিল্টারিং আমার লেখার ভেতরে Imaging এভাবে ফিল্টার করেছে। ফলে কথাটি বাংলায় না লিখলে টিউন প্রকাশ হচ্চিলো না। যাহোক, এরকম সমস্যার কারনে আমি দুঃখিত 🙁

      ধন্যবাদ ভাই, আপনাকে মিছেমিছি না বুঝে ব্ল্যাম করলাম। কিছু মনে করবেন না প্লিজ।

Khubi kazer katha. THANKS a lot

খুব সুন্দর একটা টিউন হয়েছে,বিশেষত শেষে আল্লাহর বাণীটা স্মরন করাতে আরও ভাল লেগেছে।প্রত্যেকটা জিনিসই তার নিজ অবস্থানে সুন্দর

    একজন মুসলিম হিসাবে আল্লাহর বাণী প্রচার করাটাও আমাদের কাজের একটা অংশ। সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ 🙂

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর টিউনের জন্য। আচ্ছা ভাইয়া আমি যদি কোন টিউনে মন্তব্য করি কিমবা আমার মন্তব্যে কেউ যদি রিপ্লে দেয় তবে আমি কিভাবে বুঝতে পারব। কারণ অনেক সময় কোন টিউনে মন্তব্য করি কিন্তু পরে আর তা খুঁজে বের করতে পারিনা।

    প্রত্যেকটা টিউমেন্টের নিচে রিপ্লাই বাটন আছে। আপনি যদি রিপ্লাই বাটন চেপে টিউমেন্ট করেন তাহলে টেকটিউনসে আপনার একাউন্ট এর সাথে এটাচ করা ইমেইলে নোটিফিকেশন চলে যাবে। ইমেইল থেকেই আপনি রিপ্লাই পড়তে পারবেন এবং আবারও রিপ্লাই করার অপশন পাবেন। এই টিউমেন্টটি আপনার মেইলে চলে গেছে। চেক করে দেখতে পারেন।

চমৎকার লিখছেন ভাই, ধইন্যা আপনেরে বেশি করে দিলাম যাতে টান না পড়ে 🙂

Great, thanks for sharing this article.Much thanks again. Really Great.

Awesome …………….

“রাত জাগার নেতিবাচক প্রভাব” এইখানে আরেকটা প্যারা যোগ করা দরকার বলে মনে করি ঃ
রাত জাগলে স্বাভাবিক ভাবেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় ! আর কেউ যখন সকাল ১১/১২ টায় একজন কে বিছানায় দেখে তখন বলে ওঠে “তুমি এত ঘুম ঘুমাও” ছিঃ ছিঃ !!! কিন্তু আফসোস , সে যে সারা রাত আরামসে ঘুমিয়ে কাটাল সেটা তো আমি আর বলতে পারি না !!!

    ঠিক বলছেন ভাই। বাসায় থাকলে সকাল ৮ পর্যন্ত ঘুমালেও মা বলে, এখনি ঘুম থেকে উঠার কী দরকার? একটু পরেই তো রাত হবে, আর একটু ঘুমাও বাবা। পড়শিদের কথা না হয় বাদই দিলাম। তবে ঘুমের হিসাব করলে যারা রাতে ঘুমাতে যায় তারা অনেক বেশি ঘুমায়।

Level New

এই tune আর কারো পক্ষে হোক বা না হোক, আমার পক্ষে ১০০%
কেন জানি রাত ছাড়া আমি কম্পিউটার এর কোনও কাজই করতে পারি না।

    প্রযুক্তি প্রেমিক সবারই প্রায় একই অবস্থা 🙂 তারা অনায়াসে দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে ফেলে!

এতোদিন রাত জাগতাম কেমন একটা বিষণ্ণতা নিয়ে। যাক, এই টিউনটা পড়ার পর এখন থেকে স্বস্তিতেই রাত জাগতে পারব। রাত জেগে কোন কিছু করার প্রতি আত্নবিশ্বাসটা বেড়ে গেল। সুতরাং, সফলতাটাও আগের চেয়ে বেশি আসবে আশা করি।

    এখন আর রাগার জাগার কারনে বিষন্ন না হয়ে রাতটাকে কাজে লাগাতে না পারলে বিষন্ন হওয়া উচিত। আর আত্মবিশ্বাস সফলতার প্রথম মন্ত্র!

দারুণ একটা টিউন ভাই ।তাহলে এখন থেকে রাত জাগার অভ্যাস করতে হবে দেখছি।অতপর ধন্যবাদ

    অভ্যাস না থাকলে অভ্যাস করতে বলছি না, কারন কিছু পেতে হলে হারাতেও কম হয় না।

গতকাল সকাল ৫টার সময় ঘুমিয়েছি।প্রায় প্রতিদিন ওনেক রাত করে ঘুমাই।লেখক ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দেবার জন্য।

Level 0

খুব সুন্দর টিউন। এত দিন ভাবতাম রাত জাগা শরীরের পক্ষে খারাপ, কিন্তু আজ জানলাম যে তার ভালো দিকও আছে। একজন মানুষের জন্য মোট কত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন সেটা জানতে পারলে ভালো হত। কারণ, রাত এমনভাবে জাগা উচিত যাতে ঘুমের ঘাটতি না হয়। না হলে তা শরীর খারাপের কারণ হবে। ধন্যবাদ।

    একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য দিনে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ঠ! তবে অনেক বিখ্যাত মানুষ দিনে ১০ঘন্টা কিংবা ৩ঘন্টাও ঘুমিয়েছেন। প্রবাদে আছে, আহার নিদ্রা আর ভয় যতো করা যায় ততোই হয়! সুতরাং সব কিছু আপনার নিজের ব্যাপার। ধন্যবাদ 🙂

আমারও মনে হয় পড়াশুনা বা অন্যান্য কাজ দিনের তুলনায় রাতেই ভাল হয় ।
একটি পরিপূর্ণ টিউনের জন্য ধন্যবাদ ।

    এতোদিন কোথায় ছিলেন? বহুদিন পরে আপনার টিউমেন্ট দেখে ভালো লাগলো 🙂 ধইন্যা দিলাম বস্তা ভরে :mrgreen:

      এক্সাম এর জন্য কয়েক সপ্তাহ আসতে পারিনি । টিটি কে খুব মিস করেছি , বিশেষ করে আপনার টিউন গুলকে । এখন থেকে নিয়মিত থাকব ।

rater ghum dine saradin ghumiyo puron kora jay na

ভাই আমি চাচ্ছিলাম নিশাচর থেকে দিবাচর প্রাণীতে কনভার্ট করব নিজেকে । কিন্তু তা আর হবে না মনে হচ্ছে না । যা লিখেছেন ……… এভাবে উস্কানি দেওয়াটা ঠিক হল না 🙂

ধন্যবাদ