আসুন আজকে বিজ্ঞানের একটা মজার বিষয় জানি। ব্যাপারটা সাধারণ হলেও এতদিন অজানা ছিল।
আমরা যখন থিয়েটারে ছবি দেখি তখন সাথে একটা জিনিস না হলেই নয়। আর সেটা হল ‘পপকর্ণ’। আমরা সবাই জানি যে পপকর্ণ তৈরি করা হয় ভুট্টা থেকে। ভুট্টা থেকে পপকর্ণ তৈরি হওয়ার সময় দারুন একটা ‘পপ’ শব্দের সৃষ্টি হয়। ভুট্টাকে যখন গরম করা হয় তখন পপকর্ণ তৈরি হয়। আর পপকর্ণ তৈরি হওয়ার জন্য তিনটা জিনিস কাজ করেঃ প্রথমে ভুট্টার বিস্ফোরণ হয়, এবং একটা ‘পপ’ শব্দ করে আর শেষে একটা লাফ দেয় যা সামার সল্টের অনুরূপ। রয়েল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত এক তথ্যে জানা যায় যে পপকর্ণের এই ‘পপ’ শব্দটা হয় এর ভেতরে থাকা বাষ্পের কারনে।
যখন ভুট্টাকে তাপ দেয়া হয় তখন এর ভেতরে থাকা বাষ্প ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে। এক সময় সেই বাষ্প ভুট্টার ভেতরে সংলগ্ন গায়ে চাপ সৃষ্টি করে। তাপ বৃদ্ধির সাথে চাপও বাড়তে থাকে এবং এক সময় ভুট্টার বিস্ফোরণ ঘটে, যা থেকে ‘পপ’ শব্দের সৃষ্টি হয়। সাধারনত ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রায় ৯৮% ভুট্টাই পপকর্ণে পরিনত হয়।
ভুট্টা থেকে পপকর্ণে পরিনত হওয়াকে রেকর্ড করেছে বিজ্ঞানীরা। তারা ভুট্টাকে ৩৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটা প্লেটের উপর রাখে এবং হাইস্পিড ক্যামেরা দিয়ে ২,৯০০ ফ্রেমে ছবি তুলে বিষয়টা বিশ্লেষণ করে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে ৬.৯ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ভুট্টায় ফাটল দেখা যায়। পরে ১৩.৮ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ভুট্টায় একটা পায়ের মত অবয়ব তৈরী হয়। তারপর সেই পা ব্যবহার করে ২০.৭ মিলিসেকন্ডের মাথায় লাফ দেয়।
নিচের চিত্রে বিষয়টা ভালোভাবে বোঝা যাবে-
বিজ্ঞানকে ভালোবাসুন, বিজ্ঞানের সাথে থাকুন।
টেকটিউনসে প্রকাশিত টিউনগুলো ওমেগা প্রাইম-মাসিক বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ও আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশিত হয় না।
আমি কামরুজ্জামান ইমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 124 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
বিজ্ঞানকে ভালবাসি। চাই দেশে বিজ্ঞান চর্চা হোক। দেশের ঘরে ঘরে যেন বিজ্ঞান চর্চা হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
কামরুজ্জামান ভাই আপনার সাইটে কিছু বাগ আছে মোবাইল থিমে।তাছাড়া আমি খুব ভাল বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখি করি। আমাকে আপনার সাময়িকীর কন্টেন্টে রাইটার হিসেবে নিবেন কিনা বিবেচনা করুন। গুগলে আমার লেখাগুলো হাই রিভিউড।যেমন এবার দেখুন জিহ্বা দিয়েও অথবা ক্যাপাসিটার কি ও এর ব্যাবহার দিয়ে সার্চ দিন আমার লেখা পেয়ে যাবেন।এখানে ডাইরেক্ট লিঙ্ক না দিয়ে নীতিমালা ভঙ্গের অপরাধ নিলাম না।