আস-সালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছেন।
বিচিত্র বিশ্ব নিয়ে ধারাবাহিক টিউনের আজ লিখবো ৪র্থ পর্ব নিয়ে।আজকের বিষয় টেলিস্কোপ।আপনাদের সাহায্য আর দোয়া পেলে আরো ভালো লিখতে পারবো আশা করি।
টেলিস্কোপ হচ্ছে একটা আলোর বক্স।এটা আয়না অথবা লেন্সের মাধ্যমে মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুর আলো সংগ্রহ করে।একটা প্রধান আয়না তার থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট আয়নায় উক্ত বস্তুর প্রতিফলন ঘটিয়ে বস্তুর অবস্থান দৃশ্যমান করে তোলে।
আমরা সচরাচর যে টেলিস্কোপ দেখি সেটা এই টেলিস্কোপ।এই টেলিস্কোপ একটা বড় লেন্সের মাধ্যমে আলোর প্রতিসরন ঘটিয়ে দুরের বস্তুকে ছবির আকারে দৃশ্যমান করে।
এই টেলিস্কোপ একটা বড় বাকানো আয়না দিয়ে অনেক দুরবর্তি তারা থেকে অস্পষ্ট আলো ছবি হিসেবে তুলে আনে।
রেডিও টেলিস্কোপ তার শক্তির মাধ্যমে মহাকাশের বিভিন্ন তারা থেকে নির্গত অদৃশ্য তরঙ্গ তুলে ধরে।সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ হচ্ছে ১০০০ ফিট।যা Arecibo, Puerto Rico তে অবস্থিত এবং ওই দীপের পাহারের চুড়ায় স্থাপন করা হয়েছে।এটা স্বয়ংক্রিয় ভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে যখন পৃথিবী তার অংশ পরিবর্তন করে।
এই টেলিস্কোপ পৃথিবীতে বসা ইঞ্জিনিয়ারদের দাঁরা নিয়ন্ত্রিত হয় যা প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করছে।
- ১৬০৮ সালঃ ফ্লেমিস চশমা নির্মাতা হ্যানস লিপারসে তার আবিস্কৃত প্রথম টেলিস্কোপের জন্য পেটেন্টের আবেদন করেন।
- ১৬০৯ সালঃ ইতালিয়ান বিজ্ঞানী গ্যালিলিও অনেক গুলো চশমার লেন্সের মাধ্যমে টেলিস্কোপ তৈরি করেন।
- ১৬৬৮ সালঃ ইংরেজ বিজ্ঞানী আইস্যাক নিউটন একটি প্রতিফলিত টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেন যা চশমার লেন্সের পরিবর্তে ২টি আয়না ব্যবহার করে।
- ১৮৩৮ সালঃ জার্মান জ্যোতির্বিদ ফ্রেড্রিক বেসেল প্রথম টেলিস্কোপের সাহাযে একটি তারার(61 Cygni) দূরত্ব নির্ধারন করেন।যেটা কিনা প্রথম তারার দূরত্ব নির্নয় সুর্যের দূরত্ব নির্নয়ের পর।
- ১৯১৯ সালঃ ৮ ফিটের হুকার টেলিস্কোপ( যা উইলসন পাহারের চুড়া, ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ) প্রথম দেখায় যে আমাদের মহা বিশ্ব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- ১৯৬২ সালঃ এরিয়াল ১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ হয় যেটা প্রথম টেলিস্কোপ পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করার জন্য।
- হাবল হলো পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র টেলিস্কোপ যা মধ্যাকর্ষন শক্তির আয়ত্তে ভাসমান।
- হাবল টেলিস্কোপ প্রথম মহাকাশে পাঠানো হয় ১৯৯০ সালের ২৪শে এপ্রিল।এটার জন্য খরচ হয়েছিলো ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- এটি ৪৩ ফিট দীর্ঘ যা পৃথিবী কে প্রতি ৯৭ মিনিটে একবার প্রদক্ষিন করে এবং এঁর গতি ৮ কিঃমিঃ প্রতি সেকেন্ড।
- হাবল টেলিস্কোপ অতিবেগুনী থেকে অবলোহিত পর্যন্ত (১১৫-২৫০০ ন্যানোমিটারে) আলোর সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখতে সক্ষম।
- এই অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে হাবল যা পর্যবেক্ষণ করে তার প্রেক্ষিতে প্রতি সপ্তাহে ১২০ গিগাবাইট তথ্য পাঠায়। এতো এতো তথ্য সংরক্ষণে তাই ম্যাগনেটো-অপটিক্যাল ডিস্ক ব্যবহৃত হয়।
- হাবল, তার তোলা প্রথম ছবি পাঠায় ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে, সেটা ছিল স্টার ক্লাস্টার NGC 3532’র একটা দৃশ্য।
তারা শুধুমাত্র আলো দেয়না।এরা বিভিন্ন ধরনের শক্তিও প্রদর্শন করে।বিভিন্ন ধরনের টেলিস্কোপ বিভিন্ন ধরনের তারার শক্তি প্রদর্শন করে যা মহাকাশের শক্তির সক্রিয়তার অনন্য নিদর্শন।
আজ এই পর্যন্তই।আগামী পর্বে নতুন কিছু নিয়ে আলোচনা করবো।সবাইকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
সুত্রঃEvery Fact you Never wanted to Know থেকে এবং ইন্টারনেট থেকে।
আল্লাহ হাফেজ।আস-সালামু-আলাইকুম
আমি ওমর ফারুক মুকুট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 86 টি টিউন ও 2091 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মুকুট বলছি ঢাকার মানিক নগর থেকে।ভালোবাসি হাসতে।ভালোবাসি ঘুরতে,গান শুনতে ,ছবি দেখতে। অপছন্দ করি বেশি কথা বলতে।সুদ , সিগারেট ও এলকোহল কে ঘৃণা করি।
বাহ্