আমি জানি না এই পোস্ট টিটির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ কিনা(মতামত)। তার পরও আমার কাছে মনে হয়েছে এটা টেকি/নন টেকি সবার সাথে শেয়ার করা উচিৎ।
এই পোস্টটি মানুষের ভয়ংকর একটা সমস্যা নিয়ে। যখন একজন মানুষের মস্তিষ্কের জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়... হ্যাঁ, আপনি ঠিক ধরেছেন, আমি স্ট্রোকের কথা বলছি। এ ব্যাপারে হয়তো সবাই জানেন। তবুও সবাইকে আর একবার মনে করিয়ে দিতে এবং আরো একটু সচেতন করতে এই পোস্ট। আসল পোস্টে যাওয়ার আগে একটু প্রাথমিক কথা বলে নেই।
ব্রেইন মানুষের দেহের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ। আসলে শুধু মানব দেহের না, আমার মনে হয় এর থেকে জটিল আর কিছু নেই। কম্পিউটারের প্রসেসরকে ব্রেনের সাথে তুলনা করবেন? সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রসেসর ব্রেনের একটা কোষের(নিওরন) তুলনায় কিছুই না!
মানুষের মস্তিষ্কের প্রধান দুইটা ভাগ আছে। ডানপাশের ভাগটা দেহের বামপাশ নিয়ন্ত্রন করে, আর বামপাশেরটা নিয়ন্ত্রন করে দেহের ডানপাশ। মজার না?
ব্রেইন আসলে আমাদের দেহের সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই সবকিছু। এর জন্য স্রষ্টা ব্রেনকে দেহের অন্য সব অঙ্গ থেকে কিছু বেশি সুবিধা দিয়েছেন। হৃদপিন্ড থেকে মাত্র তিনটা প্রধান ধমনী সারা দেহে রক্ত সরবরাহ করে(অবশ্য এছাড়া ছোট ছোট দুটি ধমনী আছে যারা হৃদপিন্ডের কোষগুলোতে রক্ত সরবরাহ করে)। এই তিনটার মধ্যে একটা ধমনী(ক্যারটিড) আছে যেটা শুধু মস্তিষ্কে(এবং হাতে) রক্ত সরবরাহ করে, আর বাকি দুইটা সারাদেহে। এখান থেকেই বোঝা যায় মস্তিষ্ক কতটা স্পর্শকাতর এবং এখানে রক্তের চলাচল কতটা জরুরি।
স্ট্রোক হল এমন একটা অবস্থা যখন সমগ্র মস্তিষ্কে বা কোন একটা অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কের নিউরন গুলো খুব স্পর্শকাতর এবং সামান্য সময় রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে চিরতরে নস্ট হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের এক একটা অংশ দেহের এক একটা অঙ্গ নিয়ন্ত্রন করে। তাই মস্তিষ্কের একটা খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেহের কোন না কোন অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
চাইলে এই ছোট্ট ভিডিওটা দেখতে পারেন।
৮০% স্ট্রোক একটু সচেতন হলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আমার বন্ধু আমাকে এই(নিচে) ছবিটি পাঠিয়েছে এবং আমাকে এই কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উৎসাহ যুগিয়েছে। আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।
একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।
মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
একজন মস্তিষ্কবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R...পড়ুন এবং জানুন!
মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।
সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।
এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।
সুতরাং, আপনি শিখলেন, আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান!!!
আমি শোভন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 290 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি আশিকুর রহমান শোভন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুর ও পরিবেশ কৌশল (Civil & Environmental Engineering) বিভাগে পড়াশোনা করছি।
Many many Thanks.
Kichhu Din age Janle hoyto Amar ek uncle ke bachate partam.
Sara sandhya Golpo kore.Rate 30 minits er notice die chole gelen.khub Afsosh hochche.
Thanks Again.