নিমের ফুল, পাতা, বাকল তেল ব্যবহার করে মানুষের প্রায় ১০০ রোগের চিকিৎসা করা হয়

নিমের ফুল, পাতা, বাকল তেল ব্যবহার করে মানুষের প্রায় ১০০ রোগের চিকিৎসা করা হয়।

মানসিক চাপ ও অশান্তিঃ
অল্প পরিমাণ নিম পাতার নির্যাস (নিম পাতা সিদ্ধ করা পানি) খেলে মানসিক চাপ ও মানসিক অশান্তি কমে যায়।

ম্যালেরিয়াঃ
নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়। পানি বা এলকোহল মিশ্রিত নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই ধরনের ফল পাওয়া যায়।

এইডসঃ
নিম গাছের বাকল হতে আহরিত নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। নিম পাতার নির্যাস (নিম পাতা সিদ্ধ করা পানি) অথবা পুরু পাতা অথবা নিম পাতার চা পান করলে এইডস উপশম হয়।

আলসারঃ
নিম পাতার নির্যাস (নিম পাতা সিদ্ধ করা পানি)ও নিম বীজ হতে নিম্বিডিন নির্যাস খেলে পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার উপশম হয়।

ব্রণঃ
নিম পাতা পিষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়।

জন্ডিসঃ
২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়।

বহুমূত্র রোগঃ
প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিম পতার রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়বেটিস আরগ্য হয়। প্রতিদিন সকালে ১০টি নিম পাতা গুড়া বা চিবিয়ে সেবন করলে ডায়বেটিস ভাল হয়। নিম পাতার রস খেলে ৩০-৭০% ইনসুলিন নেয়ার প্রবণতা কমে যায়।

বসন্তঃ
কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে বসন্তের গুটিতে দিলে গুটি দ্রুত শুকিয়ে যায়।

রাতকানাঃ
নিম ফুল ভাজা খেলে রাতকানা উপশম হয়।

চোখের ব্যথাঃ
নিম পাতা সামান্য শুস্ক আদা ও সৈন্ধব লবণ একত্রে পেষণ করে সামান্য গরম করে একটি পরিস্কার পাতলা কাপড়ে লাগিয়ে তা দ্বারা চোখ ঢেকে দিলে চোখের স্ফীতি ও ব্যথা সেরে যায়।

লাল মেহরোগঃ
নিম মূলের ছালের রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে কিছুদিন খেলে লাল মেহরোগ উপশম হয়।

মাথাধরাঃ
নিম তেল মাখলে মাথা ধরা কমে যায়।

ক্যান্সারঃ
নিম তেল, বাকল ও পাতার নির্যাস ব্যবহারে ক্যান্সার-টিউমার, স্কীন ক্যান্সার প্রভৃতি ভাল হয়।

উকুনঃ
নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়।

হৃদরোগঃ
নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়। নিম নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও ক্লোরেস্টোরল কমায়। রক্ত পাতলা করে, হার্টবিট কমায়।

কৃমি নিরসনঃ
৩-৪গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

রক্ত পরিস্কার ও চর্ম রোগঃ
কাঁচা নিম পাতা ১০ গ্রাম ২ কাপ পানিতে জ্বাল করে ১ (এক) কাপ অবশিষ্ট থাকতে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মতো চিনি মিশিযে সেব্য।
উল্লেখিত নিয়মে প্রত্যহ ২-৩ বার, নিয়মিত ১-২ মাস সেবন করে যেতে হবে।

দাঁতের যত্নঃ
কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে। নিম পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাঁড়ি ভাল থাকে। নিম পাতার নির্যাস পানিতে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়।

স্বপ্নদোষ প্রশমনঃ
নিম ছালের রস ১-২ চা চামচ ১ (এক) গ্লাস পরিমাণ গরুর দুধে মিশিয়ে রাত্রে শয়নকালে সেবন করলে স্বপ্নদোষ প্রশমিত হয়।

খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতঃ
নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

বমিঃ
বমি আসতে থাকলে নিম পাতার রস ৫-৬ ফোঁটা দুধ দিয়ে খেলে উপশম হয়।


আমাকে পেতে ক্লিক করুন-

ফেইসবুকে আমি-Facebook

আমার অনলাইন হেল্প সেন্টার-Youtube

Level 0

আমি সবুজ আহম্মেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

নিভৃত প্রতিভার মানুষ, আমাকে দেখতে-https://www.youtube.com/channel/UC5Xfp3LjRQUt1P_3BLrmq3Q?sub_confirmation=1


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস