লাক্সারি গাড়ি প্রস্তুতকারী হিসেবে বুগাত্তির যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। তাদের তৈরি গাড়ির দামও আকাশছোঁয়া। এ বার সাইকেল চড়ার চিরাচরিত অভিজ্ঞতাতেও নতুন মাত্রা সংযোজন করতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই অভিনব সাইকেল, সংস্থার তরফে যার নাম রাখা হয়েছে সুপার বাইক।
কিন্তু এই সুপার বাইকের অভিনবত্বটা কী? সাইকেলটির দিকে এক ঝলক তাকিয়েই বুঝে নেওয়া যায় যে, এর চেহারায় একটা অন্য ব্যাপার রয়েছে। এর ডিজাইন যেমন চোখ ধাঁধানো, তেমনই আর পাঁচটা সাইকেলের মতো জৌলুশহীন ধাতব কাঠামো সম্পন্নও নয় সাইকেলটি। কিন্তু কোম্পানির তরফে জানানো হচ্ছে, ‘দর্শনধারী’রা নয়, সুপার বাইকের প্রকৃত বিশেষত্ব বুঝতে পারবেন ‘গুণবিচারী’রা। কী রকম?
বুগাত্তি জানাচ্ছে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে হালকা সাইকেল। এর ওজন মাত্র ১১ পাউন্ড, অর্থাৎ পাঁচ কেজি। তার ফলে প্যাডেলে ন্যূনতম বলপ্রয়োগ করেই চালানো যায় এই সাইকেল। অনায়াসে তীব্র গতিতে রাস্তা দিয়ে ছোটানোও যায় সুপার বাইককে। এবং তার জন্য কোনও অতিরিক্ত পরিশ্রমই বোধ হয় না আরোহীর।
কিন্তু কী ভাবে এতখানি হালকা হতে পারে একটি দু’চাকার সাইকেল? বুগাত্তি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই সাইকেল আসলে রিইনফোর্সড কার্বন দিয়ে তৈরি। রিইনফোর্সড কার্বন হল সেই উপাদান, যা দিয়ে এরোপ্লেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। সাধারণ সাইকেলে যেখানে চেন লাগানো থাকে, সুপার বাইকে সেখানে রয়েছে রাবার বেল্ট। এই বেল্টও সাইকেলের তীব্র গতির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে জানানো হয়েছে।
মূলত স্পোর্টস সাইকেল হিসেবে প্রস্তুত করা হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব ধরনের রাস্তাতেই নিশ্চিন্তে চালানো যাবে সুপার বাইক। আপাতত নির্বাচিত কয়েকটি রংয়ে সুপার বাইক পাওয়া গেলেও ২০১৭-র শেষ দিকে ৬৬৭ রকমের রঙে এই সাইকেল বাজারে ছাড়া হবে বলে দাবি বুগাত্তির।
@@ফেচবুক থেকে সংগ্রহ করা।
আমি সুজন চক্রবর্তী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।