হার্ডওয়্যার সমগ্র :: ইচ্ছামত লেখার খাতা – র‍্যাম [পর্ব-০৩]

আগের টিউনগুলাতে আপনাদের দেখিয়েছি কিভাবে মাদারবোর্ড এবং তার বুকে বসানো প্রসেসর কাজ করে। আজ এমন একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটা ছাড়া সত্যিকার অর্থেই একটি কম্পিউটার অচল। অর্থাৎ কম্পিউটার এর সকল প্রয়োজনীয় যন্ত্র যেমন মাদারবোর্ড, প্রসেসর, ডিস্ক, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি লাগানো থাকলেও এই বিশেষ জিনিসটি না থাকলে আপনার সিস্টেম চালুই হবেনা। সম্পর্কের দিক দিয়ে সে প্রসেসরের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জানতে চান তার নাম? সে হল সকলের পরিচিত “র‍্যাম” বা “মেমরি”।

আচ্ছা ধরুন আপনি অংকে খুব ভালো। আপনাকে একশটা যোগ বিয়োগ করতে দেওয়া হল। কী পারবেন না? খুব সহজ তো! তবে আপনি নিশ্চয়ই রাফ করার জন্য এক টুকরো কাগজ চাইবেন নাতো এতগুলা সংখ্যা কিভাবে পর পর মনে রেখে যোগ করবেন?

তাহলে প্রসেসর হল আপনার মাথা আর র‍্যাম বা মেমরি হল আপনার রাফ কাগজ বা খাতা। অর্থাৎ প্রসেসর সকল হিসাব নিকাশ পারে ঠিকই, কিন্তু সেটাকে দরকার মত প্রকাশ করতে বা যাচাই করতে একটা মধ্যবর্তী জায়গার দরকার হয় যেখানে আপাতত তথ্য রেখে কাজ করা যায়। এই জায়গা বা মেমরিই হল র‍্যাম।

ছোট্টবেলা থেকেই আমরা সবাই জানি যে র‍্যাম মানে “র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি”। কিন্তু একে র‍্যান্ডম বলার কারণ কি? মেমরিই বা কেন বলা হয়?

র‍্যামকে র‍্যান্ডম বলার কারণ হল, এতে রক্ষিত যেকোন তথ্য অবস্থানের উপর নির্ভর না করেই খুব দ্রুত পড়া যায়। অর্থাৎ র‍্যামের শুরুর দিকে হোক আর শেষের দিকেই হোক, যেখানে দরকার সেখানকার তথ্য মুহুর্তেই পড়া যায়। মানে হল যেকোন জায়গার তথ্য পড়তে একই সময় লাগে। যেমন ধরা যাক র‍্যামে Techtunes শব্দটির অক্ষরগুলো বিভিন্ন স্থানে রাখা আছে। কোন মূহুর্তে T পড়তে যদি ১০ ন্যানোসেকেন্ড সময় লাগে, তাহলে ব্লকের শেষে থাকা s পড়তেও ১০ ন্যানসেকেন্ডই সময় লাগবে।

এখন কথা হল মেমরি বলতে সাধারণত র‍্যামকে বোঝানো হয় কেন। আসলে যা তথ্য ধারণ করতে পারে সেটাই মেমরি। কম্পিউটারে সবার আগে যে মেমরির দরকার হয়, অর্থাৎ প্রসেসরের সাথে কাজ করার জন্য যে মেমরি থাকে সেটাকে বলা হয় প্রাইমারি মেমরি বা প্রাথমিক মেমরি। আর অন্যসব মেমরি যেমন হার্ডডিস্ক, সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ, ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি এর মেমরি কে বলা হয় সেকেন্ডারি মেমরি। শুধু মেমরি বলতে তাই প্রথম ধরণের মেমরি বা র‍্যামকেই বোঝানো হয়।

স্যাম বা “সিরিয়াল অ্যাক্সেস মেমরি” নামে আরেকটি পরিভাষা আছে। যেসব ডিভাইস সিরিয়াল পদ্ধতিতে অর্থাৎ একের পর এক ব্লকে তথ্য রাখে এবং তথ্য বের করতে সমস্ত ব্লক চেক করে তাদের স্যাম বলা হয়। ম্যাগনেট টেপ হল স্যাম এর উদাহরণ।

১৮৩৮ সালে চার্লস ব্যাবেজ তাঁর অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিনের জন্য মেমরি হিসেবে পাঞ্চ কার্ড এর বাবস্থা ভেবে রেখেছিলেন। পরে ১৯৩২ সালের পর থেকে ড্রাম মেমরি, ম্যাগনেটিক কোর মেমরি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের ও কম ক্ষমতাসম্পন্ন মেমরি নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করতে থাকেন। ১৯৪৫ সালে এনিয়াক কম্পিউটারে ড্রাম মেমরি ব্যবহার করা হয়। ১৯৫২ সালে Jay Forrester নামের এক ব্যাক্তি ফেরোম্যাগনেটিক সিরামিক পদার্থের তৈরী ম্যাগনেটিক কোর মেমরি তৈরী করেন যেটা ম্যাগনেটিক চার্জের মধ্যমে ১ আর ০ ধারণ করে রাখতে পারত। নিচে ম্যাগনেটিক কোর মেমরির একাংশের ছবি দেওয়া হয়েছে –

এরপর থেকে অর্ধপরিবাহক বা সেমিকন্ডাক্টরের বহুল ব্যবহার শুরু হয়। তখন ইনটেল সর্বপ্রথম ১৯৬৯-৭০ সালে ৩১০১ নামের স্ট্যাটিক মেমরি চিপ বাজারে ছাড়ে। এর ধারণক্ষমতা ছিল ৬৪ বিট।

খুব দ্রুত ইনটেল ১১০১ নামের স্ট্যাটিক মেমরি চিপ আনে যেটা ২৫৬ বিট ক্ষমতার ছিল। এর ছবি নিচে দেওয়া হল –

১৯৭০-৭১ সালের মাঝে ডেভেলপ করতে থাকা অবস্থায় ইনটেল ১৯৭২ সালে বাজারে আনে ১১০৩ নামের মেমরি চিপ যা ছিল ইতিহাসের প্রথম ডাইনামিক মেমরি চিপ। Robert Dennard, An Wang ও Kenneth Olsen নামের তিন বিজ্ঞানী মিলে এটা তৈরী করেন। এটার ক্ষমতা ছিল ১ কিলোবিট। ওই বছরে সর্বাধিক বিক্রি  হওয়া কম্পিউটার ডিভাইস ছিল এটি। এরপর থেকে মাল্টি-চিপ মেমরির উৎপাদন শুরু হয় এবং মেমরির পরিমাণ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এটা হল সেই যুগান্তকারী মেমরি চিপ –

প্রসেসরের ক্ষেত্রে যেমন বলেছিলাম যে অসংখ্য ট্রানজিস্টর মিলে আইসি তৈরী করে এবং অনেক অনেক আইসি মিলে তৈরী করে লজিক গেইট যার মাধ্যমে প্রসেসরের এএলইউ গাণিতিক কাজ সমাধান করতে পারে। র‍্যামও ঠিক একইভাবে অনেক অনেক (প্রায় কোটি কোটি) ট্রানজিস্টর আর ক্যাপাসিটর নিয়ে গঠিত। ট্রানজিস্টর মিলে অসংখ্য কলাম আর সারণি তৈরী করে যার মাঝে ক্যাপাসিটর থাকে। নিচে ডির‍্যামের ভেতরে কিভাবে ট্রানজিস্টর মেমরি সেল তৈরী করে আর তাতে ক্যাপাসিটর কিভাবে থাকে তা দেখানো হয়েছে।

ক্যাপাসিটরের কাজ হল চার্জ বা ইলেক্ট্রন ধারণ করে রাখা। কলাম আর সারণির ছেদকে বলা হয় মেমরি সেল বা ব্লক। এভাবে অনেক অনেক মেমরি ব্লক মিলে বহুগুন চার্জ ধারণের জায়গা সৃষ্টি করে। এই সেল বা ব্লকের সাথে প্রসেসর বা নর্থব্রিজের সংযোগ দেওয়ার জন্য সার্কিট বোর্ডের সাথে পিন লাগানো থাকে। সেটা মাদারবোর্ড এর নির্দিষ্ট স্লটে লাগালে মেমরি কন্ট্রোলারের সাথে কাজ শুরু করে। মেমরির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একই সার্কিট বোর্ডে অনেক মেমরি চিপ লাগানো হয়। প্রতিটা মেমরি চিপকে মডিউল বলা হয়। এই যেমন একাধিক মেমরি চিপ লাগানো পিসিবি বোর্ড –

শুধু প্রসেসরের মাথা গরম বলে শুধু সেই ফ্যানের হাওয়া খাবে সেই দিন শেষ। আজকাল র‍্যাম ঠান্ডা রাখার জন্য ‘হিট স্প্রেডার’ এমনকি ‘কুলিং ফ্যান’এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। দেখতে চান? এই যে –

আমরা জানলাম যে মেমরি ব্লকে চার্জ থাকে। মেমরি কন্ট্রোলার কলাম অ্যাড্রেস আর রো অ্যাড্রেসের মাধ্যমে মেমরি সেলের অবস্থান নির্ণয় করে। তারপর সেন্স অ্যামপ্লিফায়ারের মাধ্যমে সেই সেলের চার্জ ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে ১ অথবা ০ রিড করে। প্রতিটা সেলের ধারণক্ষমতাকে ১ বিট বলে। ৮ অথবা ৯ বিট মিলে হয় একটি ওয়ার্ড। ৮ বিট কে এক বাইটও বলা হয়। এভাবে অনেক অনেক বাইট মিলে কিলোবাইট মেগাবাইট এমনকি গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করে। এটা হল মেমরি কলাম আর রো এর সরল রূপ -

যেমন Techtunes লিখতে নয়টা অক্ষর বা বাইট দরকার। T লিখতে ৮ বিট লাগে যা বাইনারিতে ০১০১০১০০ এভাবে লেখা হয়। তাহলে T রাখার জন্য মেমরিতে একটি সেল বা বিটে ০, পরেরটায় ১, তারপর ০ এভাবে পরপর ০১০১০১০০ রাখা হয়। রিড করার সময় কন্ট্রোলার ০১০১০১০০ পেলে সেটাকে T আকারে দেখায়। একইভাবে পরের অক্ষরগুলো কাজ করে।

মেমরি সেলে চার্জ রাখার পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে র‍্যাম মুলতঃ দুই ধরণের হয়। ডির‍্যাম বা ডাইনামিক র‍্যাম আর এসর‍্যাম বা স্ট্যাটিক র‍্যাম। ডাইনামিক র‍্যাম হল সেইসকল র‍্যাম যারা মেমরি সেলে চার্জ রাখার জন্য চার থেকে ছয়টি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে। কেননা বারবার চার্জ রিড করার কয়েক মিলিসেকেন্ড পরেই চার্জ ফুরিয়ে যায় কিংবা শক্তি কমে যায়। চার্জ ধরে রাখতে বা রিফ্রেশ করতে কয়েকটি ট্রানজিস্টর দরকার হয়। অনবরত চার্জ সেলে প্রবেশ করে আর বের হয় বলে একে ডির‍্যাম বলা হয়। অপরদিকে একজোড়া ট্রানজিস্টর আর ক্যাপাসিটর নিয়ে তৈরী হয় এসর‍্যাম বা স্ট্যাটিক র‍্যাম। এখানে বারবার চার্জ রিফ্রেশ করতে হয়না বলে কাজ খুব দ্রুত হয়।

স্ট্যাটিক র‍্যাম তৈরীতে খরচ বেশি হওয়ায় প্রসেসরের ক্যাশ মেমরি যেখানে তথ্য খুব কম সময়ের জন্য অবস্থান করে সেখানে এসর‍্যাম ব্যবহার করা হয়। আর ডির‍্যাম কিছুটা কম গতির হওয়া সত্বেও সুলভ হওয়ায় প্রাইমারি মেমরিতে ডির‍্যাম ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া র‍্যামে বিল্ট-ইন মেমরি এরর চেকিং সুবিধা থাকতে পারে। এর মাধ্যমে কোন সেলে বিট রিড করতে বা লিখতে ভুল হলে তা ধরা যায়। এটার জন্য অতিরিক্ত একটা বিট নিয়ে একটি ওয়ার্ড ধরা হয় যাকে বলে ‘প্যারেটি বিট’। মেমরি কন্ট্রোলারের বিশেষ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এরর-যুক্ত বিটকে ঠিক করা যায় যা “ফল্ট টলারেন্স” নামে পরিচিত।

হার্ডওয়্যার নিয়ে প্রথম টিউনে আমি বলেছিলাম মাদারবোর্ডের DIMM স্লটে কিভাবে র‍্যাম লাগানো হয়। এটা আসলে খুবই সাধারণ একটা স্লটে যাতে মেমরি চিপ সহ সার্কিট বোর্ড বসিয়ে দিলেই কাজ হয় যায়। নিচের ছবিতে DIMM স্লট দেখানো হয়েছে –

অনেক ক্ষেত্রে বেশী পরিমাণ মেমরির জন্য মেমরি ব্যাঙ্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা হল একটি পিসিআই-ই ডিভাইস যাতে মেমরি কন্ট্রোলার চিপ সহ মেমরি লাগানোর স্লট থাকে। এটা দেখতে এরকম -

র‍্যাম কাজের দিক দিয়ে ডির‍্যাম আর এসর‍্যাম এই দুই ধরণের তা আগেই বলা হয়েছে। গঠনের দিক দিয়ে র‍্যাম (ডাইনামিক মেমরি মডিউল) কয়েকধরণের আছে। এগুলো হল –

SIPP: এটা হল Singel In-line Pin Package. অর্থাৎ সার্কিট বোর্ডের একদিকে মেমরি চিপ বসানো থাকে এবং সেটা পিন পদ্ধতিতে মাদারবোর্ডে বসানো হয়। এতে ৩০ টা পিন থাকত।

SIMM: এটা হল Single In-line Memory Module. সার্কিট বোর্ডের একপাশে মেমরি চিপ লাগানো হুত, কিন্তু এতে কোন পিন থাকতনা। এটায় আজকের র‍্যামের মত চকচকে পরিবাহী এলাকা থাকত যেটা মাদারবোর্ড এর মেমরি স্লটে বসিয়ে দিলেই হত। এটা ৩০-৭২ পিনের হত।

DIMM: এটা হল বহুল ব্যাবহৃত এবং জনপ্রিয় মেমরি লেআউট যা Dual In-line Memory Module  নামে পরিচিত। এতে সার্কিট বোর্ডের দুইপাশে মেমরি মডিউল লাগানো হয় এবং অনেক বেশী মেমরি ধারণ করতে পারে। বলা যেতে পারে যে দুই লেয়ারে SIMM ধরণের মেমরি একসাথে যুক্ত করে DIMM বানানো হয়। DIMM থেকে সুবিধাজনক বিভিন্ন ধরণের মেমরি যেমন SO-DIMM বানানো হয়েছে। এই মেমরি ৭২ থেকে ২৪০ পিন নিয়ে কাজ করে।

RIMM: এটা কিছুটা আলাদা গঠন আর কার্যপদ্ধতির ডির‍্যাম মডিউল। ইনটেল কোম্পানির আধিপত্য এবং মেমরি মডিউলের ফর্ম ফ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ করা রোধ করতে Rambus নামের কোম্পানি Rambus In-line Memory Module নামে বিশেষ ধরণের মেমরি বাজারে ছাড়ে। এটা অনেকটা DIMM এর মতই ছিল, তবে আলাদা ছিল এর বিশেষ স্লট আর ডিজাইনের কারণে। এটা ১৬৮- ২৩২ পিন বিশিষ্ট ছিল।

কার্যক্ষেত্রে DIMM কেই আদর্শ মেমরি মডিউল হিসেবে নেওয়া হয়। কাজের দিক দিয়ে DIMM দুই ধরণের। যেমন –

ADR শব্দটির পুর্ণরুপ Asynchronous Dynamic RAM. এটা প্রথমদিকে উদ্ভাবিত ডাইনামিক মেমরি যা সিস্টেম বাসের সাথে যত দ্রুত সম্ভব তথ্য আদান প্রদান করত। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ক্লক সাইকেল বা চক্র ছিলনা। আর এর অসুবিধা ছিল যে এর মাধ্যমে একক সময়ে একটা মাত্র নির্দেশ পাঠানো বা গ্রহণ করা যেত। এই সমস্যা দূর করতে SD র‍্যাম তৈরী করা হয়।

SDR মানে হল Synchronous Dynamic RAM. এটাকে সিনক্রোনাস বলা কারণ হল এই পদ্ধতিতে র‍্যাম সিস্টেম বাস থেকে নির্দিষ্ট ক্লক সিগনালের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য আদান প্রদান করে। এছাড়া পাইপলাইনের মাধ্যমে একইসাথে একাধিক ও আরো জটিল উপায়ে অনেক বেশি তথ্য সরবরাহ করতে পারে। SD র‍্যাম খুব দ্রুত কাজ করে। আমরা বর্তমানে সবাইই এই ধরণের র‍্যাম বাবহার করছি।

SD RAM কে গতির দিক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায়। যথা –

DDR মানে হল Double Data Rate. আমরা জানি ইলেক্ট্রিক সার্কিটে কোন সিগনাল প্রেরণ করার পর সেটা উৎসে ফিরে আসলে এক সাইকেল বা চক্র  পূর্ণ হয়। DDR হল এমন ধরণের ডাটা থ্রো রেট যার মাধ্যমে একটা সাইকেলেই ডাটা রিড এবং রাইট করা হয়। এই ধরণের মেমরির ক্লক রেট ছিল ১৩৩, ১৬৬ বা ২০০ মেগাহার্টজ। বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির DDR মেমরি সর্বোচ্চ ৪.২ গিগাবাইট/সেকেন্ড হারে তথ্য আদান প্রদানে সক্ষম। এই ধরণের র‍্যাম ২.৫ ভোল্ট বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করে।

DDR2 হল DDR এর পরের সংস্করণ। এটা আরো দ্রুতগতি সম্পন্ন কারণ একই সাইকেলে DDR মেমরির চেয়ে দ্বিগুণ হারে কাজ করে। এর ক্লক স্পীড ২০০, ২৬৬, ৩৩৩ বা ৪০০ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হয়। এদেরকে যথাক্রমে DDR2-400, DDR2-533, DDR2-667 আর DDR2-800 –এভাবে প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ আমরা DDR2-800 লেখা মেমরি দেখলে বুঝব তার ক্লক স্পীড ৮০০ মেগাহার্টজ তা নয়। সেটা আসলে ৪০০ মেগাহার্টজ। এক সাইকেলে দ্বিগুণ কাজ (একবার রিড, একবার রাইট) হয় বলে নামের শেষে ক্লক স্পীডের দ্বিগুণ সংখ্যা লেখা হয়। এই রেটে সর্বোচ্চ ১৭ গিগাবাইট/সেকেন্ড হারে ডাটা আদান প্রদান সম্ভব। এরা ১.৮ ভোল্ট বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করে।

DDR3 হল সম্প্রতি জনপ্রিয় খুব বেশী ব্যান্ডউইথ যুক্ত মেমরি। ৪০০ থেকে ৮০০ মেগাহার্টজ ক্লক স্পীড সম্পন্ন এই মেমরি সেকেন্ডে ৫২.৮ গিগাবাইট হারে তথ্য আদান প্রদানে সক্ষম এবং অনেক বেশী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কারণ মাত্র ১.৫ ভোল্ট বিদ্যুৎ লাগে।

DDR4 নামের মেমরি বর্তমানে গবেষণায় রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে ২০১৫ সালের মাঝে এটা জনপ্রিয় হবে। DDR সিরিজের মেমরি বোর্ডের নির্দিষ্ট স্লট আছে। যদিও সবগুলো একই ধরণের, তবে ভুল এড়াতে এক এক ধরণের মেমরিতে খাঁজ বা নচ এক এক দূরত্বে রাখা হয়। নিচে ছবি দেওয়া হল –

এছাড়াও Mobile DDR, Graphics DDR ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের মেমরি ব্যান্ডউইথ রয়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা ডাইনামিক মেমরি মডিউল তৈরী করে। যেমন Micron Technology, Kingston Technology, Winbond Electronics Corporation, Transcend Information, Inc, Hynix Semiconductor Inc ইত্যাদি যারা বিভিন্ন দেশে মেমরি মডিউল সরবরাহ করে। তবে এদের বেশিরভাগই তাইওয়ান, কোরিয়া, চীন ইত্যাদি দেশের মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানি। তবে Corsair নামের একটি আমেরিকান কোম্পানি আছে যেটা উন্নতমানের মেমরি তৈরীতে পরিচিত হয়েছে। Apacer নামের কোম্পানি ছিল যেটা মেমরি তৈরী করত, তবে এরা এখন ফ্ল্যাশ মেমরি তৈরীতে মনোযোগী।

প্রতিটা অপারেটিং সিস্টেম চলার জন্য মেমরিতে নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে রাখে। তাই আপনি যতটুকু র‍্যাম কিনবেন তার সবটুকুই ব্যবহার করতে পারবেন না। যেমন উইন্ডোজ ৭ চালাতে ন্যূনতম ৫১২ মেগাবাইট র‍্যাম দরকার। এখন কোন অ্যাপ্লিকেশান বা গেইমস যদি ১ গিগাবাইট র‍্যাম চায় তখন বাকিটা কোথা থেকে দিবেন? তাই আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং সচরাচর যেসব অ্যাপ ব্যবহার করেন তা কতটুকু র‍্যাম ব্যবহার করে তা মিলিয়ে র‍্যাম কিনুন। একটু বেশী কেনা ভালো কারণ র‍্যাম খুব কমে গেলে সিস্টেম স্লো হয়ে যাবে। ৬৪ বিট সিস্টেম ব্যবহারে ইচ্ছুক হলে ৩ গিগাবাইটের বেশি র‍্যাম কিনুন। তবে পয়সা খরচ করে র‍্যাম কিনে ফেলে রাখার মানে হয়না কারণ বেশি র‍্যাম মানেই বেশী শক্তি খরচ। তাই সব ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

  • আপনার মাদারবোর্ড কতটুকু র‍্যাম নিত পারে তা দেখে নিন। অনেক পুরনো মাদারবোর্ড ৪ গিগার বেশি র‍্যাম নিতে পারেনা সেক্ষেত্রে আপনাকে কম র‍্যাম নিতে হবে।
  • আপনার সিস্টেম কত বাসের র‍্যাম সাপোর্ট করে তা অবশ্যই বিবেচ্য। যেমন ১৩৩৩ বাসের মাদারবোর্ডে আপনি অবশ্যই ১৬০০ বাসের র‍্যাম লাগাতে পারবেন না। তাই সীমার মাঝে বেশিটা কিনুন।
  • আপনার মেমরি কন্ট্রোলার কী ধরণের মেমরি সাপোর্ট করে তা জানা দরকার। যেমন H57 চিপসেট DDR3 মেমরি নিজে কাজ করে। প্রথমত সেখানে আপনি অবশ্যই DDR2 লাগাতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত স্লটে নচ মিলবেনা।কারণ ভালো প্রসেসর বা কন্ট্রোলার যুক্ত চিপসেটের মাদারবোর্ড এ কম গতির মেমরি লাগানোর ব্যাবস্থা থাকেনা।
  • যদি খুব বেশি পারফরমেন্স চান, তাহলে ৬৪ বিট প্রসেসরের সাথে ৪ গিগার বেশী মেমরি লাগান। অবশ্য ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে সেরকম পরিবর্তন দেখতে পাবেন না। সার্ভার বা ওয়ার্কস্টেশানে এভাবে ভালো আউটপুট পাওয়া যায়।
  • যাদের আলাদা ভিডিও কার্ড নেই তাদের একটু বেশী র‍্যামের দরকার হবে। কারণ সেক্ষেত্রে র‍্যামের কিছু অংশ ভি-র‍্যাম বা ভিডিও মেমরি হিসেবে ব্যাবহৃত হবে।

কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইস খুব সুক্ষ্ম হওয়ার কারণে সেগুলো নিজে খুলে ঠিক করতে যাওয়া বোকামি। তাই যতটা সম্ভব সেগুলো নষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখাই সবচেয়ে ভালো উপায়। র‍্যাম নিয়ে যে সমস্যা সবার হয় তা হল – পিসি চালু না হওয়া। মেমরি স্লটে ময়লা জমলে এই সমস্যা হয়। তাই মাঝে মাঝে র‍্যাম খুলে পরিবাহী অংশটুকু ভালোমত মুছে নিলে সুফল পাওয়া যায়। কেসিং-এর মাঝে যেন বাতাসের চলাচল বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য কুলিং ফ্যান ঠিকমত ঘুরছে কিনা তা খেয়াল রাখবেন। যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের জেনে রাখা দরকার যে ল্যাপটপের নিচের দিকে মাঝে র‍্যামের উৎপন্ন তাপ বের হওয়ার জন্য ছিদ্র থাকে। সেগুলো যেন কাজ করার সময় বন্ধ না হয়ে যায় তার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। র‍্যাম নষ্ট হলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন করে ফেলা দরকার, কেননা সেক্ষেত্রে সিস্টেমের ক্ষতির পাশাপাশি আরেকটি র‍্যাম (যদি থাকে) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আজকের টিউন এখানেই শেষ। পরবর্তীতে স্টোরেজ ডিভাইস (হার্ডডিস্ক) নিয়ে লেখা হবে। কোন ভুল থাকলে তা দ্রুত জানাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ

Level 0

আমি মো মিনহাজুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 2958 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ঝাক্কাস একটা টিউন করছেন ভাই।
এরকম গবেষনা মূলক টিউন দরকার।

বিশাল তথ্য বহুল টিউন। ভাই আপনি অনেক কষ্ট করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আরিব্বাপ…মারাত্মক সব টিউটোরিয়াল পাচ্ছি আপনার থেকে…চালিয়ে যান।সাথে আছি…

    আরিব্বাপ। নাইম ভাই কি বলেন। আপনাদের মত টিউটোরিয়াল লেখার ধৈর্য আমার নেই। এটা শুধু প্রতিবেদন B-)

Level New

খব সুন্দর হয়েছে। চালিয়ে জান।

Level 0

দারুন টিউন….. এত খাটুনি করেছেন , হাজার বার ধন্যবাদ দিলেও বোধহয় কম হবে।

    খাটুনি একটু কমই হয়েছে। প্রতিবার ইচ্ছা থাকে যে অনেক বেশী লিখবো, কিন্তু হয়ে ওঠেনা 🙁

অনেক কিছুই জানলাম শিখলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ।
চুপি চুপি একটা কথা বলি কেউ যেন না শুনে – আমার পিসির র‍্যাম মাত্র ১২৮ এমবি 🙂 তারপরও আপনাদের টিউন পড়ছি ও টিউন করছি ।

    ধন্যবাদ। আপনার তাহলে লিনাক্স ব্যবহার করা উচিত। কম র‍্যামেও দৌড়ায়।

আগেও বলেছি আপনার সব টিউনই সুন্দর।

ভাই , এতদিন অপেক্ষা করে রাখলেন ? এবার একটু লম্বা বিরতি দিলেন । মনে হয় পরেরটাও দেরি হবে । অবশ্য এর মধ্যে একটি মজার ঘটনা ঘটে গেছে। ঘটনাটা বলি : আমি আপনাকে ভেবে আপনাকে উদ্দেশ্য করে আরেকজনের টিউন এ কমেন্ট করে ছিলাম । পরে দেখি কোন রিপ্লাই আসে না । পরে বুঝতে পারলাম আসল ঘটনা 🙂 🙂 🙂 বুঝতে পারছেন কেন হয়েছে ? 🙂 🙂
এবার আসি টিউন প্রসঙ্গে , আপনার টিউন গুলো এত ভাল হচ্ছে যে খারাপ বলার কোন অবকাশ নেই । আসলে আপনার পড়াশোনার বিষয়টা আপনাকে টিউন করতে সাহায্য করে । আর টিউন গুলার ভাগ্য অনেক ভাল, কারন তারা প্রথম পৃষ্ঠায় শান্তিতে ঘুমাচ্ছে ।

ধন্যবাদ ।

Level 0

তথ্য বহুল টিউন ……..ভাল লাগলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে…………..

Level 0

তথ্য বহুল টিউন ……..ভাল লাগলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে…………..

শাওন ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চায় না। শুধু এটুকু বলব অসাধারণ। ও হ্যাঁ এই ডকুমেন্ট টা পিডিএফ ফাইলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা টা করে দিয়েন শাওন ভাই।

জটিল টিউন!!

আপনার লেখাটা আমার বেশ ভাললেগেছে। আশা করি এমন তথ্য সমৃদ্ধ লেখা ভবিষ্যতে আরোও লিখবেন। ধন্যবাদ

আমার প্রোফাইলে ছবি সংযোজন করতে চাই। কিভাবে এটা করতে হয় জানালে উপকৃত হব।

অনেক সুন্দর লেখছেন …… অনেক উপক্রত হলাম… ধন্যবাদ

খুবি সুন্দর টিউন করছেব ভাই

সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

জটিল জটিল জিনিস দিছছেনরে ভাই ।

    হাহা। তাই? আপনার পুরোনো একটা লেখা পড়লাম। আমেরিকান হার্প নিয়ে। আপনাকেও ধন্যবাদ

যা লিখেছেন তাতে বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি। আপনি টেকটিউনসের অন্যতম সেরা টিউনার । টেকটিউনস কতৃপক্ষকে থ্যাংকস যে তারা যথাযত মূল্যায়ন করেছেন আপনাকে। আপনার মত টিউনার থাকলে টেকটিউনস আরও সামনে এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।

    সাইফ ভাই একটু বেশি হয়ে গেল মনে হয়। সত্যিকার অর্থেই যারা সেরা তারা আরো ভালো লিখে। তাদের টিউন পড়লেই বোঝা যায়। যাই হোক ধন্যবাদ 😳

ভাই কিভাবে এতো সুন্দর লিখেন? আপনার লেখা আমার খুব ভাল লাগে। আমাদের টেকটিউনসকে master piece ওয়েবসাইট বানানোর দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই।সময় নিয়ে টিউন করেন সমস্যা নাই, কিন্তু techtunes ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তাও করবেন না। যদি ছেড়ে যান, তাহলে কিন্তু rab কে খবর দিব। পরে ক্রসফায়ার এ পরলে আমার দোষ নাই।

ভাল থাকবেন।আপনার শুভকামনা করছি।

    ধন্যবাদ। টেকটিউনস ছেড়ে যেতে চেয়েছিলাম একবার, তারপর বুঝেছিলাম যে সমস্যা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই ভালো। র‍্যাবের নাম নিয়েন না, আমার পা এর সাথে হাত বোনাস হিসেবে ক্রসডফায়ার হয়ে গেলে আর টাইপ করতে পারমুনা। 😳

আপনার হার্ডওয়্যার সমগ্র নিয়ে প্রতিটি টিউনই আমার খুব প্রিয়।
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর টিউন করার জন্য।
চালিয়ে যান। 🙂

    সাইফুল ভাই ধন্যবাদ। দোয়া করেন যেন সিম্বিয়ান ফোন কিনতে পারি। তাহলে আপনার টিউনগুলো কাজে লেগে যাবে 😛

একদম অসাধারন। আমি তো আপনার ফেন হয়ে গিয়েছি। চালিয়ে যান ।সাথেই পাবেন। অনেক অনেক……………………ধন্যবাদ।

Level 0

শাওন, জিনিয়াস। ধন্যবাদ।

সারাদিন নিজের কাজ করে টেকটিউন্সে আসি রাত ১২টার পর। আর তুমি কতগুলো কাজ + ক্লাসটেস্ট + এরপরও আবার বিশাল টিউন লেখার সময় কই পাও?

অসাধারন ! সত্যি অসাধারন !!! অনেক ধন্যবাদ পরবর্তী টিউনের অপেক্কায় রইলাম।

Level 0

অসাধারণ tune, অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

Level 0

আপনােক অনেক অনেক ধন্যবাদ,প্রিয়তে নিলাম

খুবি সুন্দর টিউন করছেন
ধন্যবাদ আপনাকে

    ধন্যবাদ। আপনার ডেটা কোডিং টিউন পড়লাম। এরকম বিষয় নিয়ে আরো লিখবেন। 🙂

    আপনারা যেহেতু সাথে আছেন ইনশাআল্লাহ্‌ আমার চেষ্টা থাকবে।
    ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

অসাধারণ একটি পোষ্ট। ভাই, জানতে পারি আপনার লেখাপড়া সম্বন্ধে। পড়াশোনায় আছেন, না-কি চাকুরি বাকুরি? কোন লাইনে পড়াশোনা? বর্তমানে কী পড়ছেন?

এ ধরণের আরও পোষ্ট চাই। সামনের পোষ্টগুলোতে প্রতিটি জিনিষের খুটিঁনাটিঁ বিষয়ে সহজবোধ্য করে বিস্তারিতভাবে লিখতে অনুরোধ জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    জ্বী জানতে পারেন। রুয়েটে সিএসই। চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটা সম্ভব সহজভাবে আর অল্প কথায় তুলে আনা যায়। খুব কি দুর্বোধ্য লাগছে? 🙁

    ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

    দুর্বোধ্য তো নয়ই, বরঞ্চ প্রাঞ্জল ও প্রানবন্ত হয়েছে। তবে সহজবোধ্য করার প্রচেষ্টা টা নিরন্তর থাকতে হবে। লম্বা হউক, অসুবিধে নেই। সাধারণ নন্-টেক্‌নিক্যাল্ পাঠক যাতে পড়ে বুঝতে পারে এবং সেই জ্ঞান কাজে লাগাতে পারে, বেশী মস্তিষ্ক খাটানোর প্রয়োজন হবে না – এমন পোষ্ট চাই।

    প্লীজ গো এহেড্।

    ধন্যবাদ। মাথায় রাখলাম 🙂

Level 0

good Cary on.

Level 0

আমি আছি আপনার সাথে ……………………………………চালিয়ে যান………………………………………………………………………………………………..

ভাই আমার pc তে মাএ 512mb Ram আছে তাই ভাবতেছি নতুন করে 2 GB RAM লাগাবো আমি কি DDR3 RAM লাগাতে পারবো ? আমার Mother Board Msi 945 .

    না ভাই। DDR2 667 এর ৪ গিগার বেশি র‍্যাম লাগানো যাবেনা। 1333 বাসের ২ গিগা র‍্যাম লাগান। ভালোই কাজ করবে লারণ আপনার মাদারবোর্ড এর সিস্টেম বাস ভালো। 🙂

Level 0

শাওন ভাই সব কটা গাইড PDF file দেন না কালেকশনে রাখতাম। মানে PCI card,ram, prosesor, এগুলা প্লিজ আলাদা আলাদা pdf ফাইল দেন।

    ভাই পিডিএফ করে দিলে আমাকে কষ্ট করে লিখে পেজ আকারে পাবলিশ করে কি লাভ হল বলেন দেখি? তবে আপনি নিজেই প্রিন্ট করে রাখতে পারেন এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে – http://www.primopdf.com/download.aspx 🙄

Level 0

ভাই আপনের লেখা জটিল। আইখান থেকে pdf করলে quality পামু না। আর সব সময় নেটে থাকি না তো। গেরামে থাকি। gp খালি ফাজলামি করে। তাই যদি আমারে অন্তত email করে দিতেন। offline পরাতাম। আমার adress হল [email protected]. please

    আপনি সফটওয়্যার টা ব্যবহার করে দেখেন, তারপর বলেন। আমি আপনাকে মাত্র ৩ মেগার ডু-পিডিএফ দিতে পারতাম। দেইনি, কারণ যেটা দিসি এইটা অনেক ফাইল, পেজ এলোমেলো হয়না, কোয়ালিটি ১০০% ই থাকে। 🙂

    Level 0

    nitro আমি অনেক আগে থেকই use করি। জটিল জিনিস।

Level 0

ভাই র‍্যাম এ mem test +86 দিয়া ৭৩৬এমবি তে একটা error দেখায় কি করি। warranty আছে। চেঞ্জ করে দিব দোকান্দার?

    নাহ। এই সমস্যা দোকানদারকে বোঝানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আমিও আমার সিগেটের হার্ডডিস্ক এ ২৬ টা সেক্টর ব্যাড পাচ্ছি। অথচ জিপার্টেড, প্যারাগন কিছুই পাচ্ছেনা। 🙁

    Level 0

    hdd টা bad sector কি দিয়া দেখছেন? HDD regenaraiton ১.৭০ try করেন। আমার ও সিগেট। আগে mbr এ ব্যাড সেক্টর ছিল এখন নাই। কিন্তু ভাল হয় যদি seaget seatools সফটওয়ার দিয়া ফুল ঈরেস করেন। পরে জানলাম সাব ঊফার পাসে থাকায় এই ব্যাড সেক্টর পরেছে। আপনে ভাল জানেন। তবু ট্রাই করে দেখতে পারেন।

    ধন্যবাদ ভাই। ফুল ইরেজ করমু একবার। একটা পোর্টেবল হার্ডডিস্ক পাই 🙂

ভাই আমি আমার পিসি তে PC3200(CL3) DDR ৫১২ RAM ব্যাবহার করে আসছি মাদারবোর্ড Intel D101ggc,কিছুদিন আগে আমি পুরাতন একটি ৫১২ RAM কিনি,কিনার পার পিসি তে লাগানর পিসি হাং করে,পারে ধেকি RAM গায়ে লেখা PC3200(CL২.৫) DDR,এটার কারন কি? আর আমার Intel D101ggc মডেল এর মাদারবোর্ড এর জন্য কন RAM কিনবো?

    এরকম হওয়ার কারণ হল দুইটা র‍্যামের ল্যাটেনসি আলাদা আলাদা। মানে দুইটার মাঝে যেটা স্লো, বাকিটাকেও স্লো কাজ করতে বাধ্য হতে হয়। তাই ল্যাটেনসি বা CAS দেখে নেওয়া ভালো, অথবা একটাই মডিউল ব্যবহার করা ভালো। আপনি সর্বোচ্চ ৮০০ বাসের ৪ গিগা DDR মেমরি লাগাতে পারবেন।

Level 0

ভাইয়া, আমার পিসিতে DDR3 2gb RAM চলছে , মেমোরি ইউজেজ ৯৫% বা ৯৬% প্রায় সময়ই থাকে , যদিও তেমন কিছু ফাইল খোলা থাকে না,
এতে কি কোন সমস্যা হবে ?

    এটা হচ্ছে উইন্ডোজ এর ইনডেক্সিং এর কারণে। কোন অপারেটিং সিস্টেম?

    Level 0

    windows xp sp2…..

    আচ্ছা, প্রথমে Administrative Tools থেকে Services এ যান, তারপর Indexing Service এটা অফ করে দিন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। উইন্ডোজ এক্সপি তে ২৫৬মেগাবাইটেই ভালো চলে। সেখানে এত বেশী মেমরি খরচ হওয়ার কথা না। খুব বেশী প্রোগ্রাম কি রান হয়? মানে সিস্টেম ট্রে তে থাকে?

    Level 0

    Indexing Service তো অফ আছে । আর এতো বেশী প্রোগ্রাম তো রান হয় না। সিস্টেম ট্রে বলতে ঠিক বুঝতে পারিনি।

    Level 0

    ভাইয়া, আমার এক বন্ধুর জন্য একটি ল্যাপটপ পাঠাইছে তার আত্মীয়। সমস্যা হলো ঐ ল্যাপটপ এর,
    ১- ডিভিডি ড্রাইভ নষ্ট ।
    ২- ড্রাইভার অনেক গুলো মিস ।
    ৩-মাদারবোর্ডের ডিভিডি নেই।
    এখন সেটাপ দিতে এবং ড্রাইভ গুলোর জন্য কি করা যায় ?
    একটু সাহায্য করেন (জরুরী)

    সিস্টেম ট্রে মানে ডানে কোণার এক জায়গায় ক্লক, ভলিউম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন থাকে।

    যদি বেশী প্রোগ্রাম না চলে তাহলে এত র‍্যাম খরচ হতেই পারেনা। আপনি টাস্কম্যানেজার ওপেন করে দেখুন তো কোন প্রসেস সবচেয়ে বেশী মেমরি নিচ্ছে। তারপর সেটার ব্যবস্থা করুন।

    আজকাল ডিভিডি ড্রাইভ আর লাগেনা। মাদারবোর্ড এর ডিভিডি ডিস্ক ও লাগেনা। শুধু বলেন কোন মডেলের ? সব ড্রাইভার এর লিঙ্ক দিচ্ছি।

    ধন্যবাদ

    Level 0

    ভাই, মডেলটা জেনে আপনাকে বলব। আর এই সম্বন্ধে কোন টিউন থাকলে একটু লিঙ্কটা দিয়েন। ভাইয়া আপনাকে সব সময় পাব কোথায় একটু জানাবেন ।

    Level 0

    ভাইয়া আপনার খবর কোথায়

    কি খবর রে ভাই? 🙂

সুপার লাইক……ভাই কঠিন হইছে 😀

ধন্যবাদ আপনাকে। RAM সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পারলাম

ভাই আমার মাদারবোর্ড ASRock G41M-VS3 R2.0 । আর আমার প্রসেসর ডুয়েল কোর ১.৮ গিগাহার্ট‌জ । আর রেম হল FSB 1333 এর 4GB । মাদারবোর্ড এর installation guide এ বলা আছে, if you adopt FSB 1333-cpu and ddr3 1333 memory module on this motherboard, you need to adjust the jumper. please short pin2, pin3 for FSB1 jumper. otherwise, the CPU and memory module may not work properly on this motherboard.please refer to below jumper setting. আবার আরেক জায়গায় একটা চার্ট এর মাধ্যমে বুঝান আছে যে CPU FSB 800 frequency এর memory support frequency ddr3 800 । আর সম্ভবত আমার CPU FSB 800 । তাই আমার bios এ মেমরি module 800 আর 400 মেগাহার্টজ দেখায় । আমার কি jumper পরিবর্তন করা উচিত হবে । নাকি default টাই থাকবে ?

Level New

বিশাল তথ্য বহুল টিউন। ভাই আপনি অনেক কষ্ট করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Level 0

আমার intel dg43nb এর DIMM Channel A (র‌্যাম লাগানোর পোর্ট ) নষ্ট হয়ে গেছে। এটা কি ঠিক করা যায়। বি দ্রঃ আমি ২য় পোর্টে র‌্যাম ব্যাবহার করছি। একটি পোর্ট নষ্ট হওয়ায় র‌্যাম বাড়াতে পারছি না……।

Level 0

PROBLEM PROBLEM PROBLEM PROBLEM PROBLEM PROBLEM PROBLEM

vi onak din dhora ami 1 ta problama asi.ami secend hand 1 ta cpu nici. kinto atar harddisk 16 giga ram 512 mb .ar motherboard pantiam 3 or 4 hoba aproximate.atar ato slow cola kono browser / file open korar jonno kilik kora pora ghora asa jai 2 /4 min.
ami onak takar problema aci naton kintha partaci na.
pls mai korbo amk janaban.

Level 0

অসাধারণ টিউন