হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব-০২]

মাদারবোর্ড এর বুকে যেসব ডিভাইস বাস করে, তাদের মাঝে সেরা কে? উত্তরে সবাইই বলবে যে প্রসেসর। এমনকি র‍্যাম, হার্ডডিস্ক এদের যদি মুখ থাকত তাহলে তারাও হয়ত বলত যে প্রসেসর ছাড়া কম্পিউটার অচল। কারণ সকল ডিভাইস থেকে তথ্য নিয়ে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ফলাফল বের করা, সবার খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় একমাত্র প্রসেসর নিজেই। আজকের টিউনে এই প্রসেসর নিয়েই আলোচনা করা হবে।

যে প্রসেস করে সেই প্রসেসর। ব্যাকরণের সমাসের মত হয়ে গেল তাইনা? তাহলে আরো ভালোভাবে বলি, যা কোন তথ্য নিয়ে সেটাকে নির্দেশ অনুযায়ী ফলাফলে পরিণত করে সেটাই প্রসেসর। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রে কেন্দ্রীয় যে অংশ সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই প্রসেসর। তাহলে দুইশ টাকা দামের খেলনা গাড়ির মাঝে যে প্রসেসর আছে আর আধা-লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা কম্পিউটারের মাঝের প্রসেসর কী একই? মোটেই না। কম্পিউটারে যে প্রসেসর ব্যাবহার করা হত তাকে বলা হয় সিপিইউ বা Central Processing Unit. ধরণের দিক দিয়ে এটা মাইক্রো-প্রসেসর। যদিও সিপিইউ দেখতে আমরা সচরাচর যেসব আইসি দেখি তাদের সমান বা ছোট্ট, কিন্তু এর একেবারেই ভেতরের মূল অংশটুকু অনেক অনেক ছোট্ট। তাই এদের বলা হয় মাইক্রো-প্রসেসর।

কম্পিউটারে যেসব প্রসেসর ব্যাবহৃত হয় সেগুলো আকারে যেমন ছোট, তেমনি কাজের দিক দিয়েও বেশ শক্তিশালী। এদের তো আর ইচ্ছামত যেখানে সেখানে তৈরী করলেই হল না! সিপিইউ এর গঠন আর প্রস্তুতপ্রণালী অনেক জটিল। আমরা প্রসেসর কে দেখি চারকোণা একটা চকচকে ধাতুর আবরণ দিয়ে ঘেরা চেপ্টা পাতের মত। কিন্তু এর মাঝে থাকে অনেক কিছু। শুনুন বলছি।

আগে বলে নিই আইসি কী। একটা তড়িৎ বর্তনীকে যদি খুব ছোট্ট করে বানিয়ে কিছুর মাঝে পুরে দেওয়া যায় তাহলে সেটা হয়ে যায় আইসি বা Integrated Circuit. আইসি এর মাঝে থাকে অসংখ্য ট্রানজিস্টর, ডায়োড, রেজিস্টর ইত্যাদি। একটা আইসি তার গঠন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাজ করতে সক্ষম। এরকম অনেক অনেক আইসি একত্রে ছোট্ট আকারে সাজিয়ে নিলে পাওয়া যায় মাইক্রো-প্রসেসর। ইলেক্ট্রনিক্সের কাজে অর্ধপরিবাহক বা সেমকন্ডাক্টরের ব্যাবহার অনেক বেশি। এই চিপ তৈরীতে সেমকন্ডাক্টরের হিসেবে সিলিকনের পাত ব্যবহার করা হয়। সিলিকন পাতের ওপর এভাবে ট্রানজিস্টর, ডায়োড, রেজিস্টর ইত্যাদি তৈরী করার পদ্ধতিকে বলা হয় ফেব্রিকেশান

বাণিজ্যিকভাবে আলাদা আলদা করে চিপ তৈরী করা অনেক সময়সাপেক্ষ আর অলাভজনক ব্যাপার। তাই সমস্যা এড়াতে একসাথে একটা বড় সিলিকন পাতের ওপর অনেকগুলো চিপ বানানো হয়। তারপর সেটাকে একক অনুযায়ী কেটে নেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে বলে এলএসআই বা Large-Scale Integration. প্রসেসর অনেক বেশি সুক্ষ্ম হয় বলে একসাথে আরো বেশী চিপ ফেব্রিক করা হয়। তখন সেটাকে বলে ভিএলএসআই বা Very Large-Scale Integration. ফেব্রিকেশানের পর পাত কেটে যেসব ছোট্ট ছোট্ট চিপ পাওয়া যায় সেটাকে বলা হয় ডাই (Die). এই ডাই এর সাথে বাইরের অন্যান্য ডিভাইস যুক্ত করার জন্য তার লাগানোর ব্যাবস্থা থাকে। এই চিকন তারের সাহায্যে ডাই থেকে প্রসেসরের নিচে যে অনেকগুলা বিন্দুর মত দাগ থাকে সেখানে সংযোগ দেওয়া হয়। সেই প্রসেসর মাদারবোর্ড এর সকেটে লাগালেই হয়ে যায়। নিচের ছবিটা দেখুন, এখানে অনেকগুলা ডাই দেখানো হয়েছে যা আসলে একটা বৃত্তাকার প্লেটে ফেব্রিক করে বানানো হয়েছে।

আর এই ছবিটা দেখে বুঝবেন প্রসেসরের মাঝে ডাই কিভাবে বসানো থাকে।

ডাই থেকে প্রসেসর এর কানেক্টরে কীভাএব তার দিয়ে সংযোগ দেওয়া হয় তা দেখে নিন এই ছবিতে।

একটা ডাই কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে তা বোঝা যায় এই ছবিটা দেখে। এটা ইনটেল অ্যাটম প্রসেসরের ডাই যা একটা চালের সমান।

এখন কথা হল ডাই যদি এত ছোট্ট হয়, তাহলে সিপিইউ এত বড় করে বানানোর কি দরকার? আসলে ডাই বা কেন্দ্রীয় অংশ যখন কাজ করে তখন বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপকে সমভাবে ছড়িয়ে দিতে বাইরের ধাতব আবরণ বানানো হয়। আর ডাই অনেক সংবেদনশীল, একে রক্ষা করার জন্যেই বাইরে অনেক শক্ত আবরণ দেওয়া থাকে।

ডাই নিয়ে আরো একটু জানা দরকার। তা হল ডাই এর ন্যানোটেকনোলজি কেমন। ডাই যত বড় ক্ষেত্রফলের হয়, সার্কিট বড় হওয়ার কারণে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ তত বেশি হয়। বেশি বিদ্যুতও লাগে। তাই দিন দিন ডাই এর ক্ষেত্রফল কমছে। যেমন কোর ২ ডুয়ো সিরিজে ডাই ছিল ৪৫ ন্যানোমিটার, আর কোর আই সিরিজে তা হয়েছে ৩২ ন্যানোমিটার।

আগেই বলেছি যে ডাইতে অসংখ্য ট্রানজিস্টর বসানো থাকে। এরা একসাথে তৈরী করে লজিক গেইট যার মাধ্যমে সিপিইউ প্রদত্ত ডাটা কাজে লাগিয়ে ফলাফল তৈরী করে। এদেরকে কোর বলা হয়। দিন দিন প্রসেসরের কার্যপরিধি বেড়ে যাচ্ছে। আগের টিউনে আমি বলেছিলাম যে হাই-স্পীড পেরিফেরাল কে নর্থব্রিজ কন্ট্রোল করে। আধুনিক কালে প্রসেসরের মাঝে নর্থব্রিজ ইন্টিগ্রেট করা থাকে। তাই প্রসেসর শুধু লজিক নিয়ে পড়ে থাকে তা না। ফলাফল তৈরীর পাশাপাশি তাকে জিপিইউ আর মেমরি এর দেখভাল করতে হয়, ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। তাছাড়া মেমরি বা র‍্যাম থেকে ডাটা নিয়ে কাজ করার জন্য নিজেই একটা ক্যাশের সাহায্য নেয়। তাহলে নিচের জিনিসগুলো সিপিইউ তে থাকে।

এবার সবকয়টার বর্ণনা দিই।

কোর

সিপিইউ এর একেবারেই প্রধান অংশ হল কোর। কোরের উপর প্রসেসরের ক্ষমতা নির্ভর করে। কোরের মাঝে থাকে দুইটা অংশ। একটা হল অ্যারিথমেটিক/লজিকাল ইউনিট (Arithmetic/Logical Unit) আরেকটা হল কন্ট্রোল ইউনিট(Control Unit)। এই দুইটা রেজিস্টার নামক আরেকটা অংশের মাধ্যমে পরষ্পরের সাথে যুক্ত থাকে। কোন কাজের নির্দেশ পেলে একটা কোর (সিঙ্গেল কোর প্রসেসর হলে সেটাকেই সিপিইউ বলা যায়) তিন ধাপে কাজ করে। তা হল -

  • মেমরি থেকে তথ্য নেওয়া ও তথ্য পাঠানো
  • এএলইউ এর মাধ্যমে সেটাকে সমাধান করে
  • কাজ শেষ হলে নতুন নির্দেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করে

এই ছবিতে কোয়াড কোর প্রসেসরের ডাই দেখানো হয়েছে যাতে চারটি কোর দেখা যাচ্ছে –

এসব করার জন্য বাসের (Bus) দরকার হয়। বাস বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন পেরিফেরালের মাঝে যোগাযোগের রাস্তা বা মাধ্যম। যেমন সিপিইউ মেমরি থেকে কিছু তথ্য চায়। তাহলে প্রথমে তাকে মেমরি এর লোকেশান খুঁজে বের করে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ পাঠাতে হবে। মেমরিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে থাকে। প্রতিটা ব্লকের ঠিকানা বা অবস্থানকে বলে অ্যাড্রেস। যে উপায়ে মেমরিতে তথ্যের অ্যাড্রেস বের করা হয় সেটা হল অ্যাড্রেস বাস (Address Bus)। এই বাস কিন্তু একমুখী। আচ্ছা, এবার তথ্য সিপিইউ তার নিজের কাছে আনতে বা ফলাফল বের করে মেমরিতে পাঠাতে যে বাসের সাহায্য নেয় তা হল ডাটা বাস (Data Bus)। আর কাজ শেষে মেমরি বা অন্য কোন ডিভাইস (যেমন ডিস্ক) কে নির্দেশ পাঠায় যে বাসের মাধ্যমে তার নাম কন্ট্রোল বাস (Control Bus)

নিচের ছবিতে প্রসেসর প্রধান ইউনিট আর বাস দেখানো হয়েছে।

কোর বেশি হলে ক্ষমতা বাড়ে। একই ডাই-তে কোর ফ্যাব্রিক না করে আলাদা আলাদা ডাই তে কোর বসালে সেটা আরো বেশী শক্তিশালী হয়।

ক্যাশ মেমরি

সিপিইউ অনবরত মেমরি আর অন্যান্য ডিভাইস থেকে তথ্য গ্রহণ করতে থাকে। এর তথ্য সংগ্রহ আরো দ্রুততর করতে কোরের সাথে ক্যাশ মেমরি যুক্ত করা হয়। ক্যাশ মূল মেমরি থেকে যেসব স্থানে সম্প্রতি ডাটা রিড/রাইট করেছে সেসব স্থানের অ্যাড্রেস ক্যাশিং করে রাখে। পুরো ব্যাপারটা বইয়ের শুরুতে সূচিপত্রের মত কাজ করে। সূচিতে যেমন ভেতরের কোন পাতায় কী আছে তা লেখা থাকে, ক্যাশ মেমরি তেমনি মেমরির কোন ব্লকে কী ডাটা আছে তা সংগ্রহ করে রাখে এবং কোর সেই ডাটা চাওয়া মাত্র সেটা সেখানে পাঠায়। ক্যাশিং একাধিক লেভেল বা ধাপে হলে ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ধাপের ক্যাশ মেমরিকে L1, L2, L3 এভাবে সংগায়িত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক কোর একই লেভেল ক্যাশ মেমরি ব্যাবহার করতে পারে। তখন সেটাকে Shared Level Cache বলা হয়। ক্যাশ মেমরি যত বেশি আর যত লেভেলের হয়, প্রসেসরের কর্মক্ষমতা তত বেশী হয়।

জিপিইউ/জিপিইউ কন্ট্রোলার

প্রতিটা কম্পিউটারে ভিডিও আউটপুট দেখানোর জন্য গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট দরকার। নতুন প্রসেসরে এই জিপিইউ ডাই-তে অবস্থান করে। এছাড়াও জিপিইউ কন্ট্রোলার নামে একটি অংশ থাকে যেটা এক্সটার্নাল জিপিইউ বা পিসিআই পোর্ট এ লাগানো গ্রাফিক্স কার্ড কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভিডিও আউটপুট FDI এর মাধ্যমে আউটপুট ইন্টারফেস (ডিভিআই বা ভিজিএ কেবল) এ প্রেরণ করে।

মেমরি কন্ট্রোলার

সকল কোর বা সিপিইউ মেমরি বা র‍্যামের সাথে সরাসরি যে হাবের সাহায্যে যুক্ত থাকে তার নাম মেমরি কন্ট্রোলার। এটা মেমরি থেকে সিপিইউতে আর সিপিইউ থেকে মেমরিতে অনবরত ডাটা রিড রাইট করতে থাকে।

ডিএমআই

ডিএমআই মানে হল Direct Media Interface. নর্থব্রিজ আর সাউথব্রিজের মাঝের সরাসরি সংযোগকে ডিএমআই বলে। নতুন প্রসেসরে নর্থব্রিজ নেই। তাই সিপিইউ এর যে অংশ সাউথব্রিজ অর্থাৎ লো-স্পীড ডিভাইস যেমন ডিস্ক, ইউএসবি, পিসিআই ইত্যাদি কে নিয়ন্ত্রণ করে সেটা হল ডিএমআই।

নিচের ছবিটায় সকল অংশ ডায়াগ্রাম আকারে দেখানো হল –

এখন কথা হল সকল প্রসেসরে জিপিইউ থাকেনা। সেক্ষেত্রে জিপিইউ কন্ট্রোলার থাকে। তখন মাদারবোর্ড এ নর্থব্রিজ নামের যে চিপ থাকে সেটাই সেটা জিপিইউ, মেমরি আর প্রসেসরের মাঝে সমন্বয় সাধন করে। আর যেসব কোরে ডিএমআই নেই, সেক্ষেত্রে নর্থব্রিজ আর সাউথব্রিজের মাঝের বাসই দুইয়ের মাঝে কানেকশান বজায় রাখে। আগে নর্থব্রিজ থেকে প্রসেসর এ ডাটা অ্যাক্সেস করতে ফ্রন্ট-সাইড-বাস নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। এতে চিপসেটকে নির্দিষ্ট হারে কোরে ডাটা সেন্ড আর রিসিভ করতে হত। এফএসবি এর সমস্যা হল এতে প্রসেসরের সবটুকু ক্ষমতা কাজে লাগানো যেত না। অর্থাৎ প্রসেসর অনেক ভালো ফ্রিকোয়েন্সির হওয়া সত্বেও এফএসবি কম হওয়ার কারণে ডাটা সেন্ড করে রিসিভ না করা পর্যন্ত নতুন প্যাকেট পাঠানো যেত না। এই কারণে নতুন সিস্টেমে নর্ত্থব্রিজ পুরোটাই কোরের সাথে ডাইতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইনটেল এটাকে বলে “স্যান্ডি ব্রিজ” পদ্ধতি।

(ব্যাক-সাইড-বাস: প্রসেসর থেকে ডাটা প্রসেসর মেমরি তে ক্যাশ করার রাস্তা হল বিএসবি)

নিচের ছবিটায় এফএসবি আর বিএসবি দেখানো হয়েছে –

ক্লক স্পীড:

ক্লক স্পীড হল প্রসেসরের পারফরমেন্স নির্ণয়ের মূল উপায়। একটা প্রসেসর সেকেন্ডে কতটা নির্দেশ পালন করতে পারে সেটাই তার ক্ষমতা। ধরা যাক কোন প্রসেসর সেকেন্ডে ১০০০ টা নির্দেশ (বা কোনো গাণিতিক ক্যালকুলেশান) পালন করতে পারে। তাহলে তার ক্ষমতা ১ কিলোহার্টজ। যদি ১০০০০০০০০০ টা কাজ সম্পাদন করতে পারে তাহলে আমরা বলি তার ক্ষমতা ১ গিগাহার্টজ। খুব দ্রুত ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসরের ক্ষেত্রে GT/s নামের এককটি ব্যবহার করা হয়। এর মানে হল Giga Transfer pre second. অর্থাৎ সেকেন্ডে কতটা নির্দেশ পালন বা বয়ে নিতে পারে সেটার পরিমাপ হল GT/s.

প্যারালাল প্রসেসিং:

একসাথে একাধিক নির্দেশ পালন করাকে প্রসেসরের প্যারালাল প্রসেসিং ক্ষমতা বলে। ধরুন প্রসেসর কে ২+৩ আর ৪+৫ এর ফলাফল নির্ণয় করতে দেওয়া হল। তাহলে যদি সে প্রথমে ২ আর ৩ এর যোগফল বের করে পরে ৪ আর ৫ এর যোগফল বের করে তাহলে সময় বেশী লাগবে। কিন্তু যদি একই সাথে ২ আর ৩ যোগ করার নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে ৪ আর ৫ যোগ করতে বলা হয় তাহলে দ্রুত (প্রায় আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময়ে) ফলাফল পাওয়া যাবে। এটা হল প্যারালাল প্রসেসিং। এর উপর ভিত্তি করে প্রসেসরকে RISC আর CISC এই দুইভাগে ভাগ করা হয়েছিল। RISC হল Reduced Instruction Set Computing আর   CISC হল Complex Instruction Set Computing. RISC টাইপের প্রসেসর এমনভাবে তৈরী হত যে এরা নিজেরাই প্যারালাল পদ্ধতিতে ম্যাক্সিমাম প্রসেসিং করতে পারত। কিন্তু CISC ধরণের প্রসেসরে অ্যাসেম্বলি কোডের মাধ্যমে প্যারালাল প্রসেস করাতে হত।

এখানে প্যারালাল প্রসেসিং এর উদাহরণ দেখানো হয়েছে যেখানে একসাথে দুইট নির্দেশ দিয়ে কম সময়ে বেশি আউটপুট পাওয়া সম্ভব।

থ্রেড লেভেল:

প্যারালাল পদ্ধতিতে একাধিক নির্দেশ পালন করে ফলাফল বের করা সম্ভব। প্রসেসরের ক্ষমতা আরো বাড়ানোর জন্য থ্রেড লেভেলের সাহায্য নেওয়া হয়। একই প্রোগ্রাম বা নির্দেশ কয়েকটি কোরের মধ্যে পাঠিয়ে আরো দ্রুত ফলাফল বের করা হয়। একে বলা হয় থ্রেডিং। এইজন্য এক বা একাধিক ডাই-তে একাধিক কোর বসিয়ে মাল্টি-কোর সিপিইউ তৈরী করা হয়।

ডাটা ইনটেজার টাইপ:

প্রসেসর কী হারে ডাটা নিয়ে কাজ করে সেই পরিমাপকে বলা হয় ডাটা ইনটেজার টাইপ। প্রথমদিকে প্রসেসরগুলো ৪ বিট বা ৮ বিট হারে ডাটা ইনপুট নিয়ে কাজ করত। এখন সেটা ৩২ বিট, ৬৪ বিট ইত্যাদিতে পরিণত হয়েছে। ডাটা ইনটেজার এর উপর প্রসেসরের মেমরি অ্যাড্রেস করার ক্ষমতা নির্ভর করে। কোন প্রসেসর ৩২ বিট টাইপ হলে সেটা 232= 4,294,967,296 বাইট অর্থাৎ 4 গিগাবাইট পর্যন্ত মেমরি অ্যাড্রেস কাজ করতে পারে। যদিও কার্নেল আর অ্যাপ্লিকেশান লিমিটেশানের কারণে 3 গিগাবাইটের বেশি মেমরি অ্যাক্সেস করা সম্ভব হয়না। প্রসেসর ৬৪বিট টাইপ হলে  264=18446744073709551616 বাইট বা 16 এক্সবিবাইট আলাদা আলদা মেমরি ব্লক অ্যাড্রেস করতে পারে। এই কারণে ৬৪ বিট প্রসেসর যুক্ত সিস্টেম অধিক পরিমাণ মেমরি বা র‍্যাম নিয়ে কাজ করতে পারে। তবে বাস্তবে ৬৪বিট মেমরি অ্যাড্রেসিং করা সম্ভব হয়না ফিজিকাল লিমিটের কারণে। তাই ৬৪বিট সিস্টেম মুলত ৪৮ বা ৫২ বিট আকারে মেমরি অ্যাড্রেস করে থাকে।

প্রসেসরের শক্তি:

প্রতিটা প্রসেসরের শক্তি ওয়াটে হিসাব করা হয়। এই সংখ্যা প্রসেসরের ফ্রিকোয়েন্সি আর তাপমাত্রার মাঝে সম্পর্ক প্রকাশ করে। সম্পর্কটি হল –

P=CV2f

যেখানে P = ওয়াটে প্রসেসরের শক্তি

C = তাপমাত্রা

f = ফ্রিকোয়েন্সি

ডাইয়ের মাঝে বিদ্যুৎ প্রবাহের কারনে প্রসেসরে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপকে সরিয়ে ফেলতে হিট সিঙ্ক এবং ফ্যান ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় যেটা তরলের মাধ্যমে তাপ পরিবহন করে। ওভারক্লক করা প্রসেসর ঠান্ডা করতে তরল গ্যাস যেমন নাইট্রোজেন বাবহৃত হয়।

এই হল বিভিন্ন ধরণের হিটসিঙ্ক আর কুলিং ফ্যান –

আর এখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে তরল নাইট্রজেন দিয়ে প্রসেসর ঠান্ডা করা হচ্ছে –

তরল নাইট্রোজেন কুলিং সিস্টেম ইকুইপমেন্ট –

ল্যাপটপ এর হিটসিঙ্ক সিস্টেম –

প্রথম মাইক্রো প্রসেসর বলা যেতে পারে ১৯৭১ সালে তৈরী ইনটেলের 4004 চিপকে। এটা মাত্র ৪ বিট উপায়ে কাজ করত। এর স্পীড ছিল মাত্র ৭৪০ কিলোহার্টজ। এর পিন ছিল ১৬ টা।

এর পরে ১৯৭৪ এ ইনটেল বাজারে ৮ বিট প্রসেসর আনে যেটার মডেল ছিল 8080. এর গতি ছিল ২ মেগাহার্টজ। ৪০ পিনের এই মাইক্রোপ্রসেসরটি অল্প পরিমাণে ১৬ বিট কাজ করতে পারত।

১৯৭৮ এ 8086 নামের প্রসেসর বাজারে এনে ইনটেল বেশ বড় মাপের সাড়া ফেলে দেয়। এটা ছিল ১৬ বিট প্রসেসর আর সর্বোচ্চ ১০ মেগাহার্টজ গতিসম্পন্ন।

তারপর ১৯৮৬ সালে আসে 80386 মডেলের প্রসেসর যা সম্পুর্ণ ৩২ বিট সাপোর্ট করত। এটা ১২ থেকে ৪০ মেগাহার্টজ গতিসম্পন্ন ছিল। এই প্রসেসরের মাধ্যমে নতুন আর্কিটেকচার IA-32 বা Intel Architecture 32-bit এর প্রচলন হয়। প্রোগ্রামাররা এটাকে মডেল হিসেবে নিয়ে সফটওয়্যার ডেভেলপ করা শুরু করে। তাই x86 নাম দ্বারা ৩২বিট সিস্টেম কে বোঝানো হয়।

80386 ফ্যামিলির আরো অনেক প্রসেসর আছে যাদের নাম অনুযায়ী বিভিন্ন আর্কিটেকচার তৈরী করা হয়। এগুলো i386, i486, i686 ইত্যাদি নামে পরিচিত। i686 বের করার পর থেকে ইনটেল ৬৪বিট প্রসেসর তৈরীতে হাত দেয়।

১৯৯০ এর  পর থেকে কয়েকটি কোম্পানি ৬৪বিট প্রসেসর তৈরীতে সফল হয় এবং কম খরচে উৎপাদন শুরু করে। প্রথম নিনটেনডো আর প্লে-স্টেশানে ৬৪ বিট আর্কিটেকচার ব্যাবহার করা হয়। AMD সবার প্রথমে ৬৪বিট প্রসেসর বাজারে ছাড়ে এবং সেই আর্কিটেকচারের নাম দেয় amd64. তাই তখন থেকে AMD64 সিরিজের প্রসেসর গুলো ৬৪বিট সফটওয়্যার ডেভেলপিং এর মডেল হিসেবে গৃহীত হয়। ৬৪বিট আর্কিটেকচার x86_x64 নামেও পরিচিত কারন এটা এমনভাবে তৈরী করা হয় যে এতে ৩২ বিট সফটওয়্যার চালানো সম্ভব হয়। প্রথম x86_x64 ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ছিল ইউনিক্স।

এছাড়া ৩৬বিট, ৪৮বিট, ১২৮বিট ইত্যাদি সিস্টেম আছে যেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে।

প্রথমে অনেকগুলো কোম্পানি রচেসসর তৈরীতে মনোযোগী হয়েছিল। তাদের মাঝে মটোরোলা, ভিআইএ, আইবিএম, ইনটেল ইত্যাদি অন্যতম। কিন্তু ইনটেল উন্নতমানের প্রসেসর তৈরি করে বাজার ছেয়ে ফেলায় বাকিরা সরে পড়ে। আইবিএম মূলত সুপার কম্পিউটার তৈরীতে ব্যাস্ত। এএমডি নামের কোম্পানি প্রসেসর তৈরীতে হাত দিয়ে ইনটেলকে বিপদে ফেলে দেয়। তাই ইনটেল নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এএমডি এর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে যাচ্ছে। অবশ্য চিপ-জায়ান্ট বলতে ইনটেলকেই বোঝানো হয়। পৃথীবিতে ইনটেল এর প্রসেসর সবচেয়ে বেশী বাবহৃত হচ্ছে।

ইনটেল এখনো 80xxx এর মডেলে প্রসেসর তৈরী করে যাচ্ছে। প্রতি ফ্যামিলির কোরের আলাদা আলাদা নাম আর একই কোর থেকে সৃষ্ট প্রসেসরের ভিন্ন ভিন্ন কোডনেম আছে। ইনটেলের যেসব সিরিজের প্রসেসর আছে তারা হল – পেন্টিয়াম, সেলেরন, আইটানিয়াম, কোর আই, জিওন, এটম ইত্যাদি। পেন্টিয়াম সিরিজের প্রসেসরগুলো হল প্রথমে একক কোর নিয়ে বের হওয়া বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি আর স্বল্প ক্যাশ মেমরির প্রসেসর। সেলেরন হল মোটামুটি একটু ভালো আর সুলভ প্রসেসর। আইটানিয়াম হল ৬৪বিট ফ্যামিলির প্রসেসর যেটা IA-64 আর্কিটেকচারের উপর নির্মিত। কোর সিরিজের প্রসেসরগুলো হল বেশ উন্নতমানের আর দামী। জিওন প্রচএসসর মূলত সার্ভার আর ওয়ার্কস্টেশানের জন্য। এটম হল আল্ট্রা পোর্টেবল মোবাইল প্রসেসর।

বেশি জনপ্রিয় কয়েকটি প্রসেসরের তুলনামুলক বর্ণনা দিলাম নিচের ছকে –

একই নামের প্রসেসরের অনেকগুলো ভার্সন থাকে। যেমন কোর আই ৫ ৪৬০এম এ কোর ২টা, ক্যাশ মেমরি ৩ মেগাবাইট। কিন্তু কোর আই৫ ৭৮০ তে কোর ৪টা আর ক্যাশ মেমরি ৮ মেগাবাইট।

  • অবশ্যই ভালো গতিসম্পন্ন প্রসেসর কিনবেন। যেটার ক্লক স্পীড বেশি সেটা নিন।
  • একই নামের প্রসেসর ভিন্ন ভিন্ন কোরের হয়ে থাকে। ফিজিকালি যেটায় কোর বেশি সেটা নিন। যেমন অনেক প্রসেসরে একই ডাইতে দুইটা কোর থাকে, কিন্তু ডিভাইস ম্যানেজারে দেখায় চারটা। কারণ লজিকালি তারা আলাদা প্রসেসর হিসেবে কাজ করে। তাই ইন্টারনেটে জেনে ভালোটা নিন। যেমন কোর আই৭ Lynnfield এর  চেয়ে Gulftown কোডনেমের প্রসেসরে ২ টা কোর বেশি থাকে এবং ক্যাশ মেমরি প্রায় ৪ মেগাবাইট বেশি থাকে।
  • ক্যাশ মেমরি দেখে নিবেন। যেটার মেমরি লেভেল বেশি সেটা নিন। মেমরি লেভেল সমান হলে যেটায় মেমরি বেশি সেটা নিন। যেমন কোর আই৩ এর চেয়ে আই৫ লেভেল থ্রি মেমরি বেশি। তাই কোর আই৫ ভালো। আবার ডুয়াল কোরের চেয়ে কোর ২ তে লেভেল টু ক্যাশ মেমরি বেশি। তাই ডুয়াল কোরের চেয়ে কোর ২ ভালো।
  • বেশি ফ্রিকোয়েন্সি কিন্তু কম ক্যাশ মেমরির প্রসেসর নিবেন না। যেমন ডুয়াল কোর ৩ গিগাহার্টজের চেয়ে কোর ২ ডুয়ো ২.৮ গিগাহার্টজ বেশি ভালো।
  • প্রসেসরের যদি নর্থব্রিজ থাকে তাহলে বাস স্পীড আপনার সিস্টেম এর সাথে যায় কিনা তা দেখে নিন। সর্বোচ্চ পারফরমেন্স পেতে বেশি বাসযুক্ত মাদারবোর্ড আর প্রসেসর বাবহার করুন।
  • ডাই কোন টেকনোলজিতে নির্মিত তা বিচার করে নিন। কম ক্ষেত্রফলের ডাই মানে কম খরচে বেশি পারফরমেন্স। 45nm ডাইয়ের প্রসেসরের চেয়ে 32nm ডাইয়ের প্রসেসর অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
  • প্রসেসর আপনার মাদারবোর্ড এর চিপসেটের সাথে কাজ করবে কিনা জেনে নিবেন। যেমন আপনি G41 চিপসেটে কোর আই সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করতে পারবেন না। আবার H57 চিপসেটে ডুয়াল কোর ব্যবহার করতে পারবেন না কারণ সেক্ষেত্রে সকেট কাজ করবেনা।
  • প্রসেসরের থ্রেডিং ক্ষমতা দেখে নিন। শক্তি বাচানোর জন্য প্রসেসরের কোর মাঝে মাঝে ইনঅ্যাকটিভ অবস্থায় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কোরের থ্রেডগুলোও অফ থাকে যেন অল্প কাজ যেমন গান শোনা, ভিডিও দেখার জন্য বেশি শক্তি ব্যায় না করতে হয়। এই কারণে আপনার প্রসেসর ২.৪ গিগাহার্টজ হলে আপনি সিপিইউ মিটারে মাঝে মাঝে ১২০০ মেগাহার্টজ দেখতে পারেন। এর মানে হল অর্ধেক কোর অফ আছে। একইভাবে ২.৫৩ গিগাহার্টজ প্রসেসরে ১১৮০ মেগাহার্টজ দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে এটা অনেক গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপার।

এখানেই আজকের প্রসেসর নিয়ে টিউন শেষ। যারা আগের টিউন পড়ে CPU-Z নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করেছিলেন তারা সহজেই প্রসেসরের সকল দরকারী তথ্য পেয়ে যাবেন সেটা থেকে। যারা করেন নি, তারা ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে।

ডাউনলোড CPU-Z

আপনারা দেখে শুনে ভালো মানের প্রসেসর কিনবেন। টিউনটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কোন ভুল ত্রুটি পেলে দ্রুত জানাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

এই চেইন টিউনের প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন: হার্ডওয়্যার সমগ্র :: মাদারবোর্ডের বুকে বসবাস [পর্ব-০১]

Level 0

আমি মো মিনহাজুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 2958 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অনেক দিন পর একটা তথ্য নির্ভর টিউন পেলাম । চালিয়ে যান……

অনেক কষ্ট করে লিখতেছেন।ভাল হচ্ছে লেখাগুলো।সাথেই আছি চালিয়ে যান।

ধন্যবাদ ভাই চালিয়ে যান । অনেক কষ্ট করেছেন বুঝা যাচ্ছে টিউনও খুব ভাল হয়েছে ।

আপনার সব টিউনই সুন্দর। ধন্যবাদ ।

    প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আরো সুন্দর করা সম্ভব, ধৈর্যে কুলায় না।

আপনার টিউনটি খুবই সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় চালিয়ে যান।

নি:স্বন্দেহে টিউনটি করার জন্য প্রচুর মাথা খাটানো হয়েছে ধন্যবাদ। আমাকে একটা উপকার করতে পারেন কিভাবে কম্পিউটারে সফটয়্যার সেটাপ করা বন্ধ করা যায়, যাতে অন্য কোন ব্যক্তি আমার অনুপস্থিতিতে কোন সফটয়্যার সেটাপ করতে না পারে।

    হুম। আমি জানিনা আপনার অপারেটিং সিস্টেম কোনটা। উইন্ডোজ এক্সপি বা ৭ যেটাই হোকনা কেন এটা করতে পারেন –

    রান এ যেয়ে secpol.msc লিখুন। তারপর New Software Rectriction Policy তে যেয়ে রাইট ক্লিক করে নতুন পলিসি বানান। তারপর সেখানে Enforcement এ ডাবল ক্লিক করে এডিট করে ALL USERS EXCEPT LOCAL ADMINISTRATORS করে দিন। তাহলে অ্যাডমিন ছাড়া কেউ exe বা dll ফাইল ওপেন করতে পারবেনা।

    উপরেরটা কাজ নাও করতে পারে। উইন্ডোজ ৭ এ আপনি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন করে দিতে পারেন। তাহলে অ্যাডমিনের সিলেক্ট করা অ্যাপ্লিকেশান ছাড়া অন্য কোন ফাইল ওপেন করা যাবেনা।

    আপনি সাহায্য বিভাগে পোস্ট করে দেখুন, আশা করি কেউ না কেউ হেল্প করবে।

    ধন্যবাদ

অনেক কষ্ট করে লিখেছেন , তাই ধন্যবাদ না দিলে অবশ্যই আপনাকে ছোট্ট করা হবে। ধন্যবাদ

শাওন ভাইয়ের টিউন মানেই অসাধারণ কিছু। চালিয়ে যান আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে সঙ্গে আছি।

পিডিএফ ফাইল হিসাবে সংগ্রহ করে রাখতে পারি সে ব্যবস্থাটা করে দিয়েন শাওন ভাই।

    হুম। আমি পোস্ট দেওয়ার পর ড্রাফট পেপার টা মুছে ফেলি। সেটা থাকলে আপনাকে দেওয়া যেত। এক কাজ করেন, http://www.primopdf.com/download.aspx এখানে যেয়ে সফটওয়্যার টা ইন্সটল করে নিন। তারপর যেকোন ওয়েব পেজ বা টেক্সট ফাইল পিডিএফ এ প্রিন্ট করতে পারবেন।

    @বিপু: গুগল ক্রোম ব্যবহার করতে পারেন। এটাতে পিডিএফ প্রিন্ট করা যায়।

Level New

ভাই আপনার অনেক ধৈয্য আছে বলতে হবে

ভাই আমার মাথায় আর কুলায় না ।

    কেন ভাই? সবই তো বিজ্ঞানের খেলা। খালি ১ আর ০। লজিক গেট নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম, পরে দেখি নিজেই ভালো বুঝিনা। হাহাহা

চরম একটা টিউন পড়লাম রে ভাই…
চালায়া যান সাথে আছি। শেয়ার ত করছি সাথে প্রিয়তে ও নিয়ে নিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।

Level 0

সুন্দর হইছে…………………….

আপনি কি করেন জানতে মন চায়।

    রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র। ক্যান ভাই? ডর লাগে 🙁

ভাই মাদার েবােডর বুেক বসবাস। েসটা িলখ িছ েলন পরব – ০। আর আজ েক েপলাম প্র েসসর িন েয় েলখা পরব-২। মাঝখােন পরব -১ নােম েকান পরব প্রকাশ হ েয় েছ িকনা। দন্ধ লাগতােছ।য িদ হ েয় থােক ত েব িপ্লজ িলংক টা েমইল ক ের িদ েবন। ধন্যবাদ।

    আসলে আগের টিউনটা পর্ব ০ লিখেছিলাম। কিন্তু অ্যাডমিন সেটাকে চেইনে যুক্ত করে পর্ব ১ লিখে দিয়েছে। তাই এটা পর্ব ২। ধন্যবাদ

Level 0

চমৎকার শাওন। সত্যিই তুমি রুয়েট সিএসই এর রত্ন।

    মিঠু ভাই ব্রাশের প্রস্থ একটু বেশি হয়ে গেলনা? তরঙ্গ ভাই আছে, অনেকগুলা ভাই আছে যারা এসিএম এ গেছিলেন। সেমিনারে জয়েন করিছিলাম। উনাদের মত লেভেলে যাইনি কখনো। লজ্জা পাচ্ছি।

    অফটপিক: আপনি থাকেন কোন মুল্লুকে? কাল কেলাস আছে। পারলে একটু দর্শন দিয়েন।:P

    Level 0

    এই মুল্লুকেই আছি। কিন্তু ভাই পরীক্ষার ধাক্কা সামলিয়ে যাওয়া কঠিন। সামনে স্ট্রাকচার পরীক্ষা। সিভিলে পড়লে বুঝতা এটা কোন চিজ। টেনশানে বাচতেছিনা।

সুন্দর হইছে…………………….

অসাধারণ…। খুবই ভাল লেগেছে আপনার টিউনটি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। 🙂

    ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। তবে টিউনটা চেইনে লিঙ্ক করলোনা এখনো। আগেরটা একা পড়ে আছে 🙁

    দুঃখ কইরেন না শাওন ভাইয়া।
    অটোমেটিক দুইটাই আবার জোড়া লাগবে। 😀

    হুম। এডিট করলে মনে হয় লিঙ্ক থেকে ছুটে যায়। মেইল পেয়েছি। ধন্যবাদ আবারো 🙂

    হুম। এডিট করলে লিঙ্ক থেকে ছুটে যায় :(। এই কথাটা বলতে ভূলে গেছিলাম। 🙁

জানি অনেক কষ্ট করে লিখছেন। আর এই জন্যই তো এত ভাল হচ্ছে। চালিয়ে যান সাথে থাকার অঙ্গিকার করছি। তথ্য সমৃদ্ধ টিউনের জন্য অ………স………ং……খ্য ধন্যবাদ।

    হু। নির্ভরযোগ্য তথ্য যোগাড় করতে আর বই ঘাটতে ঘাটতেই সময় শেষ। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Level 0

ফ্যান্টাবুলাস………….

খুব সুন্দর হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
Processor নিয়ে আমার আগ্রহ আছে, তাই ভাল লেগেছে। আশা করি আরও লিখবেন।
একটা প্রশ্ন, Intel core i7(4 cores) এর দাম $284 কিন্তু AMD Phenom II X6(6 cores) এর দাম < $200। তাহলে কোনটা বেশি ভাল।

    আপনি ঠিক কোন মডেল চাচ্ছেন তা বুঝিনি। তবে AMD এর Phenom II X6 1055T এর কথা বলছেন যতদুর মনে হচ্ছে। আপনি এখানে কোর আই৭ http://en.wikipedia.org/wiki/Intel_Core_i7 আর এখানে এএমডি এর http://www.amd.com/us/products/desktop/processors/phenom-ii/Pages/phenom-ii-model-number-comparison.aspx ঠিক কোন মডেল কিনবেন সেটা তুলনা করে দেখুন। তবে কোর আই৭ এর ক্যাশ মেমরি আর ন্যানোটেকনোলজি বেশ ভালো, কিন্তু ফেনম বেশি পাওয়ারফুল আর দ্রুত ক্লক সম্পন্ন। ক্যাশ মেমরি যেহেতু বেশ প্রভাব ফেলে, তাই কোর আই৭ ই ভালো। ইনটেলের অনেক সুবিধাও পাওয়া যায়। বাজেট কম থাকলে AMD ই নিন।

    আসলে এত কোর নিয়ে হবেটা কি? একটা প্রসেসর ২/৩ বছর যেতে না যেতেই নতুন সিস্টেম আসে। এখনো ৪ কোর লাগে এরকম অ্যাপ্লিকেশান তৈরী হয়নি। মার্কেটের হাইপ দেখে মানুষ ভাবে যে নতুন কেনা মানেই লাভ 😛 😛

আপনাকে ধন্যবাদ।

আমি আসলে কোন মডেল নির্দিষ্ট করিনি। আমি জানতে চাই এতো কম দামে AMD কিভাবে এই 6 core processor manufacture করছে।
তারা কি লাভ কম করছে নাকি টেকনোলজি খারাপ?।
এখানে আপনি বললেন যে core i7 এর ক্যাশ মেমোরি বেশ ভাল। কিন্তু আপনার উল্লেখিত মডেল 1055T তেই তো cash memory 9MB(L2+L3)। আপনার লেখা থেকে বুঝলাম যা Nanotechnology তে AMD খারাপ(45nm), বাকি অনেক দিক থেকেই Intel এর তুলনায় ভাল(আমার মনে হচ্ছে)। আমি এই link থেকে comparison আপনাকে দেখতে বলছি।
http://www.amd.com/us/Documents/Cores_vs_Threads_Whitepaper.pdf

    আসলে কোনোটাই খারাপ না।

    ডাই ছোট করা কিন্তু অনেক খরচের ব্যাপার। যেমন ম্যাকবুক চলে কোর ২ ডুও তে, সেটার দাম কোর আই৫ এ চলা ল্যাপটপ এর চেয়ে ঢের বেশি।

    সকল টেস্টে কোর আই৭ এর ফলাফল বেশি ভালো। আর ব্রান্ডের জিনিস যেটার প্রতি ক্রেতার আকর্ষণ বেশি তার দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। কোর আই৭ কে ব্যাক্তিগতভাবে ৫.৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত ওভারক্লক করা সম্ভব। এখন আপনি বলেন ইনটেল নিজে ৫.৫ গিগাহার্টজ এর প্রসেসর বিক্রি করলে দাম কত নিত?

    ইনটেল আর এএমডি কে এটিয়াই আর এনভিডিয়ার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। ATI এর কার্ড বেশ শক্তিশালী, অনেক নতুন ফিচার সম্পন্ন। কিন্তু এখনো এনভিডিয়া পিক্সেল শেডার ৪ আর ডিরেক্ট এক্স ১০.১ দিয়ে দিব্যি চলছে।

    আপনি এইটা দেখুন, অনেক ভালো benchmark এর রেজাল্ট দেওয়া আছে

    http://mos.techradar.com/techradar-corei7-benchmarks.pdf

আপনার টিউনে এইটাই মনে হয় আমার প্রথম কমেন্ট এবং আপনার টিউনে কমেন্ট করার আগে আপনার আগের টিউন গুলুর শিরনাম গুলু একবার দেখে নিলাম,আর মনে হল আমরা একজন ভাল টিউনার পেয়েছি,
আপনার জন্য রইল আমার অনেক অনেক শুভকামনা আশা করছি ভাল ভাল টিউন করে টেকটিউন্সকে আরো সমৃদ্ধ করবেন।
এবং এই টিউনের জন্যও রইল অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারন লিখেছেন।

    ধন্যবাদ ভাই। হুম, আমি খেয়াল করেছি আপনাকে।

    উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আবারো। 🙂

    "মনে হল আমরা একজন ভাল টিউনার পেয়েছি,
    আপনার জন্য রইল আমার অনেক অনেক শুভকামনা আশা করছি ভাল ভাল টিউন করে টেকটিউন্সকে আরো সমৃদ্ধ করবেন।"

    সহমত

    Level 0

    assalamu alakum ataur vai.etodin koi silen.apni ki sustho?
    মিনহাজুল হক শাওন-apnar tune jotil hosse…….a+

RAMকত লাগাতে হবে এটা কি প্রসেসর এর উপর নির্ভর করে?আমি core2duo 2.66 ব্যবহার করি মাদার বোর্ড intel g31 pr।এটার জন্য কত RAM লাগালে ভাল performance পাব?

    প্রতিটা প্রসেসরের নিজের মেমরি কন্ট্রোল করার ক্ষমতা আছে। আপনার সিস্টেম ম্যাক্স ৮ গিগা DDR2 র‍্যাম সাপোর্ট করে। ২ গিগা র‍্যাম যথেষ্ট। বেশি পারফরমেন্স চাইলে ৩/৪ গিগা লাগাতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে ৬৪ বিট সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। এরকম কনফিগারেশনে সেটা না করাই ভালো।

Level 0

khub e sundor…….thaks

" তিন শব্দের টিউনের শিরোনাম , নাম তার প্রসেসর " । কই, আমার দেওয়া নামের সাথে ত কিছুটা মিলেছে। 🙂 আপনি বলেছিলেন যে সমগ্র ডিভাইস এর সাথে মিলাতে হবে , কই আপনারটায় ত দেখছি না ? হিঃ… হিঃ…. হিঃ …হিঃ………:-) 🙂

হুম্‌…। বুঝা যাচ্ছে যে আপনি অনেক কষ্ট করে এই টিউনটি করেছেন । সে জন্য ধন্যবাদ…! আর সেইসাথে আরও বুঝা যাচ্ছে যে আপনি আপনার মেধা , বুদ্ধি, চিন্তাশক্তি, ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে এই জটিল টিউনটি করেছেন !………।

এত বুঝা সত্তেও আমার এই সব জটিল বিষয় আমার মাথায় ঢুকছে না !…………:-)

পরের টিউন টা কি ?

    কোনটা বুঝেন নি বলেন দেখি? আরেকবার বোঝানোর চেষ্টা করি। পরের টিউন হবে মেমরি মডিউল নিয়ে।

    কষ্ট করেছি কথা সত্য। আপনার দেওয়া নাম থেকে ধারণা নয়েছি তাও সত্য। এবার পরের টিউনের জন্য নমিনেশান দিতে পারেন। হাহা

    না ভাই ! আমি আর পারব না নাম দিতে । কারন আপনার মত আমার এত বুদ্ধি নেই 🙂 । আর দিবই কি মেমরি মডিউল কি সেটাই ত জানি না । অবশ্য পরের টিউন এ জানা যাবে 🙂
    Mathmetical গুলা বুঝি নাই। থাক, আপনাকে আবার কষ্ট করে বুঝানো লাগবে না।

    ধন্যবাদ ।

Level 0

আসলেই অনেক অনেক দিন পর টেকটিইউনস তার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বোধহয়………..আশা করি ভবিষ্যতে অন্যান্য টিউনারদের মত আপনাকে আমরা হারাব না…………..
ধন্যবাদ……………….

    কেউ না কেউ অবশ্যই টিটি কে ধরে রাখবে। আমি যখন জয়েন করি তখন করুন অবস্থা ছিল। এখন বেশ ভালো কারণ অনেক মানসম্পন্ন টিউনার আছে। তবে টপলিস্টে থাকা অনেককেই আর দেখা যায়না 🙁

আপনার গত টিউনেও আমি আপনার সাথে ছিলাম। এই টিউনটিও উপভোগ করলাম। আশাকরি বাকিগুলোও শেয়ার করবেন আমিও আপনার পাশে থাকতে চাই।
আনাবিল শান্তির কোমল ছোঁয়ায় ভরে থাকুন আপনার স্বপ্নিল জীবন এই কামনায়ি।

Josssssssss……………Thanks boss U are great……………

Mindblowing boosss…………….thanks

এ ধরনের কিছু টিউন মাঝে মাঝে আসে বলেই "টেকটিউনস" নামটির সার্থকতা এখনও আছে। এখানে প্রায় সবাই কম পরিশ্রমে অল্প সময়ে পরিচিতি অর্জনের জন্য "ফ্রী সফটওয়্যার ডাউনলোড", "অনলাইনে টাকা উপার্জন", "সফটওয়্যার টিপস" "সফটওয়্যার কনফিগেরেশন" "সফটওয়্যার টিউটোরিয়েল" জাতীয় টিউন করতে ব্যস্ত। তাই এই ব্লগের নাম হওয়া উচিত ছিল "সফট্‌টিউনস"। অনেক টিউনারের সত্যিকারের প্রযুক্তি জ্ঞান দূরে থাক, প্রযুক্তি বিষয়ক টিউন বুঝার মত প্রাথমিক জ্ঞানও নেই। যা-হোক, সময় ও পরিশ্রম দিয়ে ভালো একটি টিউন দেওয়ার জন্য সহস্র ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

    টাকা আয় নিয়ে টিউনের ছড়াছড়ি থাকায় টিটি এর ভাবমুর্তি অনেক নষ্ট হয়েছে বলে মনে করি। আসলে আমার মতে শুধু পদ্ধতি না জেনে একেবারে ভেতর থেকে বিস্তারিত জানা উচিত। এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষ অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়। প্রযুক্তি সচেতন করতে পারলে এটা কমে যাবে। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার শুভ কামনার জন্য 🙂

Level 0

প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ। তারপর RUET এর student তাই। একসময় Lt. Salim Hostel -e ছিলাম। তখন তো CSE Dept. ছিল না। এখন Ruet কেমন? আবার ও ধন্যবাদ।

    নতুন ডিপার্টমেন্ট হিসেবে বেশ ভালো। তবে বাংলাদেশের সব জায়গার মত সমস্যা একটাই – প্রশাসন দুর্বল। মারামারির ঘটনায় ৫৮ দিন বন্ধ ছিল জানেন তো? বিশেষভাবে উল্লেখ করার মত কিছু পাচ্ছিনা, তবে ছাত্রদের পরিচয়েই পরিচিত বলা যায়। 🙂

অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে সিরিজটা কম্প্লিট করবেন আশা করি।

আপনার গ্রাফিক্স, হার্ডওয়ারের ২ টা টিউনের লেখা যে এত বার পড়েছি মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। এখন আশা করি ভালই লেকচার দিতে পারব।
আপনি cse ডিপার্টমেন্টে আছে জেনে ভাল লাগল। আপনি যে এসব বিষয় সম্পর্কে যা জেনেছেন বা যতটুকু জেনেছেন কম্পিউটার সায়েন্সের কোন সেমিস্টারে এসে জেনেছেন। আপনার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা এবং শিখার মাঝে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কার? ইন্টারনেট ? নাকি কম্পিউটার সায়েন্সের নির্দিষ্ট সিলেবাস ? নাকি সিলেবাসের বাহিরে অন্যন্য বই? নাকি আপনার পরিচিত কোন জ্ঞানী বড় ভাই? কার অবদান সবচেয়ে বেশি?
( যেমন আমি বলি আমি যতটুকু কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে পেরেছি তার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান ইন্টারনেট। )

    কোন সেমিস্টারে জেনেছি তা বলতে লজ্জা লাগছে। কারণ আমি কেবল প্রথম সেমিস্টারে। হয়ত এত ছোট হয়ে এভাবে লেখা উচিত না। কেউ বিশ্বাসযোগ্য নাও মনে করতে পারে। তবে আমি যা লিখি সেটা একেবারেই বুঝে আর নিশ্চিত হয়ে লিখি। তবুও ভুল থাকতে পারে। তাই প্রতি টিউনে আমি একটা কথা লিখি সেটা হল কোন ভুল পেলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

    আমার মনে হল ''সিলেবাস'' নামের জিনিসটা মানুষকে সবটুকু শেখাতে পারেনা। ইন্টারনেট না পেলে হয়ত কিছুই জানতে পারতাম না। যেটাই পাই সেটার সত্যতা যাচাই করতে ইন্টারনেটে নেমে পড়ি। বই দিয়েও হয়ত অনেক ক্ষেত্রে কিছু হয়না। প্রযুক্তি বদলাচ্ছে দিন দিন। আমার সিলেবাসে এভাবে কোর, ডাই, স্যান্ডি ব্রিজ ইত্যাদি নিয়ে লেখা নেই। তবে সেখানে আর্কিটেকচারের বর্ণনা দেওয়া আছে। ইন্টারনেট ঘেটে (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উইকিপেডিয়া সাহায্য করে) পাই সব। আর আমার একটা খারাপ অভ্যাস, নিজে সব খুলে দেখা। এখন পর্যন্ত প্রসেসরটাই বাকি আছে। অন্যগুলা আমার নির্যাতনের শিকার। 😳 আর আমার কোন বড় বা ছোট ভাই নেই, কেউই নেই যার কাছে সাহায্য পেতে পারি। নিজে নিজে শেখার মাঝে আনন্দ আছে।

    ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

    অফটপিক: http://www.mashpy.tk/ থেকেই সবার প্রথমে মাসপি নামটা পাই। সাইট টা অনেক কাজের। মাসপি এখন লিনাক্স মিন্ট-এ – এইটুকু দেখে অনেক মজা পেয়েছিলাম। এখন অবশ্য মিন্টু হওয়ার চেষ্টা করছি, বাংলালায়নের কারণে সম্ভব হচ্ছেনা। আপনার উচিত হয়নি টেকটিউন ছেড়ে দেওয়া।

বলেন কি !!!! মাত্র ১ম সেমিষ্টারে !!! ব্রিলিয়ান্ট । আমিও মাত্র ২ সেমিষ্টার শেষ করব এই অবস্থায় আছি। আমার ৫ টা টিউনের প্রথম তিনটাই প্রথম সেমিষ্টারে লেখা আর বাকি ২ টা ২ সেমিষ্টারে। আসলে প্রথম সেমিষ্টারের মজাই আলাদা। ভার্সিটিতে যাই , আসি, অফুরন্ত সময়। আর এখন আর ঐরকম কমেন্ট+ টিউন সময় পাই না। ২৬ ক্রেডিটে জান কয়লা হয়ে যাবার অবস্থা। তবুও যেটুকু সময় পাই তাতে টেকটিউন্সে প্রতিনিয়ত ভিজিট করা হয় ক্লাসের ফাঁকে, ক্যান্টিনে বসে বা পার্কে mulatorবসে। তাও মোবাইল থেকে । মোবাইল থেকে কমেন্ট করতে ইচ্ছে হয় না। যেমন এই টিউন আমি দেখার সাথে সাথে kemulator দিয়ে অপেরা মিনি ৪ অপেন করে টিউনটিতে ব্রাউজ করেছি। তারপর এটাকে সেভ করে রেখেছি। এটা obml ফরমেটে kemulator এর file/root/name.obml ডাইরেক্টোরিতে সেভ হয়। এই obml ফাইলকে মোবাইলে ট্রান্সফার করে আবার অপেরা মিনি দিয়ে লোড করে পড়ি। এর কারণ হচ্ছে – মানসম্মত টিউনগুলো সাধারণত অনেক বড় সাইজের হয়। মোবাইল দিয়ে পুরো টিউনটি obml ফরমেটে লোড হয়ে চায় না, তাই পিসি দিয়ে obml ফরমেটে বানাই আর কি করব?

কিসের মধ্যে কি বলতেছি, উ ! কিবোর্ড পাইলে খালি টাইপ করতে ইচ্ছে করে !

না টেকটিউন্স ছেড়ে দেই নি, এখনও নতুন টপিক পেলে পোস্ট করি। ব্লগিং জগতকে ছাড়তে পারব না।

http://www.mashpy.tk/ এটা একেবারে শখের বসে মাত্র ১০ ঘন্টা ১ টানা বসে নিজের জন্য করে ফেলেছিলাম। আস্তে আস্তে ভিজিটর বাড়তে থাকে আস্তে আস্তে আপডেট দেয়া শুরু করলাম। আজ ট্রাকার চেক করে দেখি এই মাসে ১৩৮০ জন ভিজিটর পেয়েছি ! ভালই লাগল। তবে যেটুকু বুঝলাম তা হল ওয়েবসাইটগুলোর সাফল্য নির্ভর করে ভিজিটরের চাহিদা বা কাজে লাগে , এরকম এক্সক্লুসিভ কিছু যা আগে কখনও হয় নি, অথবা হয়েছে কিন্তু বিষয়টিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন, এমন করা যাতে ভিজিটর প্রথমবার প্রবেশ করেই তার অন্তরে লিঙ্কটা ধরে রাখে।
কয়েকদিন ধরে, " এরকম এক্সক্লুসিভ কিছু যা আগে কখনও হয় নি " এই টপিকের উপর ভিত্তি করে একটা নতুন সাইট বানাতে ইচ্ছে করছে। http://www.techterms.com/ আমার প্রিয় সাইট। এতে বিভিন্ন টেকনোলজির টপিক সম্পর্কে অনেক সহজ ভাষায় মূল বক্তব্যটুকু তুলে ধরা হয়েছে। এই ধরনের টেকনোলজি টার্মস এর বাংলা একটি সাইট বানাতে চাচ্ছি যেখানে খুব সহজ ভাষায় প্রতিটি টেকনোলজি ওয়ার্ডের মূল বক্তব্যটুকু তুলে ধরতে পারব। সাইটের টার্গেট ভিজিটর হবে কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। কারণ টেকনোলজির প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে কম-বেশি সবচেয়ে বেশি জানা দরকার cse স্টুডেন্টদের। cse এর স্টুডেন্ট কেও ধরেন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখার প্র্যাকটিস করছে, জানি না সে ঐ জায়গায় কতটুকু সফল হবে, সে একটা সময় হয়ত ছেড়ে দিয়ে গ্রাফিক্স ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট বা লিনাক্স নিয়েও ভালভাবে কাজ করতে পারে। মোট কথা হল যে কোন একদিকে তাকে সফল হতে হবে। সে যদি সত্যিকার অর্থে গ্রাফিক্সের দিকে যায় তাহলে সে যে কোডিং শিখার জন্য সময় ব্যায় করল তা আমার ভাষায় সিস্টেম লসের মধ্যে পড়ে। কারণ সে কোডিং অল্প একটু করেছে, পুরোটা শেষ করে না কারার কারনে সে কোডিং এ সফল হতে পারছে না। তাই কোন একটা কাজ করলে একটাই করা উচিত।
কিন্তু টেকনোলজির টার্ম এর প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জানার যে জ্ঞান সেগুলো কখনও বৃথা যায় না, একসময় না একসময় লাগবেই, তাই টেকনোলজির প্রতিটি বিষয় সম্পর্কেই জানা দরকার। তাই টেকনোজলির টার্ম এর বাংলা সাইট বানাতে চাচ্ছি। ইংরেজিতে অনেক সাইট থাকলেও বাংলাতে এ ধরনের সাইট নজরে পড়ে নি।

সব মিলিয়ে আইডিয়াটা কেমন ? (এই প্রথম কারো কাছে আইডিয়াটা শেয়ার করলাম।)

    বুঝতে পারছি আপনার ক্রেজিনেস :D

    মোবাইল নিয়ে আগ্রহ চলে গেছে আমার সাধের (জীবনের প্রথম) মোবাইল টা মডেম হিসেবে অত্যাধিক ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পুড়ে যাওয়ার পর।

    আইডিয়া টা নিঃসন্দেহে ভালো। তবে কম্পিউটার নিয়ে টার্মস অসংখ্য। কোনটা ছেড়ে কোনটা করবেন? এতগুলার বাংলা করাও দুঃসাধ্য ব্যাপার। তবে আপনার ধৈর্য অনেক। কমেন্ট দেখেই অবাক হচ্ছি, টিউনের কথা নাই-বা বললাম। কাজটা করে ফ্যলেন আর কীবোর্ডের যত্ন নিয়েন।

    আপনার টিউন পড়ে এইচটিএমএল ট্যাগ মারলাম 😛

অনেক মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে টিউন করেছেন। তার প্রতিফলন এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য। আমি আর কি বলব খুজে পাচ্ছিনা। শুধু দোয়া করি জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র যেন সফলতায় পরিপূর্ণ হয়।
ভাল থাকবেন।

Level 0

thanks brother for ur great tune. sottie apnara paren botay. apnader samnay nijaka khubi choto lagay. ki sikhlamray bhi jibonay? monay hoy abar 1 thakay shoro kori.
achcha মিনহাজুল হক শাওন bhi amar pc intel core 2 duo e4500 2.20 Ghz a device manager a akta core show koray. processor ar nichay por por duita core asayna. seven bebohar kori kono kichu install, open kortay galai 100% a processor uthay computer slow hoya jay. ram 1 gb. mother board intel 31.
processor ar karjokarita check korar kono software achay?

    নিজেকে এভাবে ছোট ভাবার কোন কারন নেই। সবারই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন আমি নিজেও অনেক বিষয়ে বুঝিনা।

    আপনার প্রসেসরে আসলেই ২টা কোর আর ২টা থ্রেড আছে। এমন হওয়ার কথা না। আপনি দয়া করে মাদারবোর্ড এর চিপসেটের নতুন ড্রাইভার ইনটেলের সাইট থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। আমি উপরে CPU-Z নামের সফটওয়্যার এর লিঙ্ক দিয়েছি। সেটা ডাউনলোড করেই বুঝতে পারবেন আসলে কোর কয়টা ইত্যাদি।

    সিপিইউ ইউসেজ ১০০% হওয়ার একটা কারণ থাকতে পারে – আপনার পিসিতে যখন কোন কাজ করা হয়না তখন উইন্ডোজ নিজে হার্ডডিস্ক এর সব ফাইল Index করতে থাকে। অর্থাৎ ব্যাকগ্রাউন্ডে ফাইল রিড হয়ে একটা লিস্টে অ্যাড হতে থাকে। এই কারণে সিপিইউ ১০০% দেখাতে পারে। আপনি এটা বন্ধ করে দিন, আর অবশ্যই চিপসেটের ড্রাইভার আপডেট করবেন।

    আর উইন্ডোজ ৭ এর সার্ভিস প্যাক ১ ব্যবহার করেন। র‍্যাম আরো ৫১২ মেগা বা ১ গিগা বেশী হলে ভালো হয়।

    তবুও কোর ২টা না দেখালে হয়ত বায়োসে সমস্যা আছে। আপনি কি Core Multiplexing নামের ফিচার অফ রেখেছেন? থাকলে বায়োসে ঢুকে এটা অন করে নিন। বায়োস ফ্ল্যাশ করতে পারেন এই টিউন দেখে https://www.techtunes.io/tips-and-tricks/tune-id/62943/

    ধন্যবাদ

চরম টিউন………নিয়মিত চোখ রাখছি, চালিয়ে যান…..

একবার আমাকে আমার ফ্রেন্ড বলেছিল যে, " কোর টু ডূ" প্রসেসরে একটা কোর নষ্ট হয়ে গেলে আরেকটা ঠিক থাকলে ঐ ভাল কোরটা ঠিকমত কাজ করে। আমার কাছে ব্যাপারটা কেমন কেমন লেগেছিল। এটা কি বাংলা সিনেমার নায়কের কাহিনী নাকি যে নায়কে নায়িকাকে ১ টা কিডনি দিয়ে দিয়েছে। আর নায়ক এই একটা কিডনি নিয়েই খুব সুন্দরভাবে বেঁচে আছে? কোর একটা নষ্ট হবেই বা কেন?

( অফটপিকঃ আমি সত্যিই কাজ শুরু করে দিয়েছি। যা হবে বাংলার প্রথম টেকনোলজি ডিকশনারি। ঐ সাইটে ১০০০ এর ও বেশি টার্ম আছে। একটাকে বাদ দিব না। আজ সারাদিন পিসিতে ……………)

আপনাকে একটা ইমেইল করেছি।

    হুম। কোর যদি বেশী গরমে পুড়ে যায় তাহলে তো কাজ করা বন্ধ করে দিবে। তবে ইন্টারনেট এ দেখলাম যে কারো কারো কোর ২ ডুয়োতে ১টা পুড়া গেছে। অথবা যাদের স্যান্ডি ব্রিজ প্রসেসর তাদের একটা কোর নষ্ট হওয়ার কারণে মেমরি কন্ট্রোলারে সমস্যা হচ্ছে। আসলে তো কোরের সাথে থ্রেডিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে লজিকাল প্রসেসর বেশি দেখানো হয়। হয়ত সেই কারণেই বেশি কাজ করে যে কোর সেটা পুড়ে গেছে। আবার বায়োসেও সমস্যা থাকতে পারে। নিজে চোখে তো আর দেখতে পাচ্ছিনা যে ভিতরে কি আছে। তাই জোর দিয়ে বলার কিছু নাই।

    আর ভালো কথা, কাজ শুরু করে দেন। আমার ক্লাস টেস্ট খারাপ হয়েছে। মেজাজ গরম।

    #include<stdio.h>
    main()
    {
    int x=5,y;
    y=++x*++x;
    printf("X=%d and Y=%d", x,y);
    return 0;
    }

    এখানে X এর মান ৭ হবে বুঝলাম। দুইবার ইনক্রিমেন্ট। কিন্তু Y যে ৪৯ তা বুঝিনি। ধ্যাৎ!

Level 2

আমি ২৫০০০ টাকার মধ্যে নোটবুক কিনতে চাই। কিন্তু কোন প্রসেসর ভাল হবে বুজছি না। atom ,celeron নাকি amd স্ক্রীন সাইজ ১০.১" হলেও সমস্যা নাই। informative tune করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । আমাকে এই বিষয়ে এক্তু হেল্প করেন।০

    নোটবুকে আপনি খুব বেশি ক্লক স্পীড ওয়ালা প্রসেসর পাবেন না। আপনি মডেল দেখে ইন্টারনেট এ জানুন কোনটার গতি বেশী। পারলে এখানে লিখুন কোন কোন মডেল পছন্দ। সেলেরন নিয়ে কি হবে? এটম বা এএমডি নিতে পারেন। তবে আবারো বলি, সবার আগে দেখবেন কোর কয়টা, তারপর গতি। ঠিক আছে?

    Level 2

    Intel Atom NM10 এবং Intel Atom N550 DUAL CORE এই দুই প্রসেসর এর মধ্যে কোনটা ভাল হবে??? জানাবেন প্লিজ।

    এটম NM10 তো চিপসেটের নাম। Intel Atom N550 DUAL CORE এইটা ভালো, দুইটা প্রসেসর, ৪ টা থ্রেড।

    Level 2

    AMD processor গুলো কেমন?? atom এর চেয়ে ভাল নাকি? আপনার সাথে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারলাম… ধন্যবাদ।

    এএমডিও ভালো। এটম তো ইনটেলের মোবাইল প্রসেসর

জটিল টিউন..সরাসরি প্রিয়তে নিলাম…………

শাওন ভাই, আসা করি ভাল আছেন……। অবাক হয়ে গেলাম আপনার এই টিউন দেখে। আপনাকে বিরক্ত না করে পারলাম না,……কারন আপনার চেয়ে ভালভাবে কেউ কোন বিষয় explain করতে পারবে আমার মনে হয় না!
আমি 3D Vision/3D Movie সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। একটি টিউন করবেন প্লিস………।
3D-er types(stereo, interlaced, anaglyph), function, difference*, feeling, equipments, price, movie extensions, movie size, movie (blue-ray) price,…..all……..all………everything about 3D!
অগ্রিম ধন্যবাদ আপনাকে…………। ভাল থাকবেন

    @anupom_corei7: ভাইরে যেসব পয়েন্ট উল্লেখ করলেনন তাতে বুঝলাম আমি এ বিষয়ে কম জানি 🙁 ঠিক আছে, সময় পেলে লিখবো 🙂

Level 0

শাওন ভাই,আপনার কাছ থেকে নতুন গেমিং পিসি কিনার বিষয়ে সাহায্য নিতাম।[email protected]=facebook

Level 0

mail address ta den vai

ভাইজান অস্থির লিখসেন!

Level 0

Thanks.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
এ টিউনটি আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভাল লাগল ও অনেক কিছু শিখতে পারলাম । তাই প্রিয়তে যুক্ত করলাম ।

Level 0

মিনহাজুল হক ভাই একটা 2nd hand CPU প্রয়োজন । minimum Pentium4 or pentium Dual core. HDD 80GB, Mainboard with DirectX9. 128MB graphics . 1GB RAM, DVD writer. Cashing. mouse+Key board. এমন হলেও চলবে । তবে 100% Ruming হতে হবে ।
কম মূল্যের ভিতরে যদি খোজ করে দিতেন তাহলে ভাল হত । ধন্যবাদ ।

Level 0

তবে ভাই আপনি মনে করবেননা আমি আপনাকে উক্ত PCর খোজ দিতে বলে ছোট করলাম । আসলে আমার পরিচিত তেমন নেই তো । তাই আপনার কাছে একটু সাহায্য চাইলাম ।
ধন্যবাদ

    @MD.ASAD: জনাব আসাদ,
    না আমি কিছু মনে করিনি সত্যিই। আমার কাছেও আসলে পরিচিত কোন পিসি নেই এমন কনফিগারেশন নেই। পেলে সত্যিই জানাতাম। আপনিও কিছু মনে করবেন না। 🙂

Level 0

ভুল হলে ক্ষমা করবেন ।

Level 0

ভাই আবার আপনাকে বিরক্ত করতে আসলাম । দুইটা প্রসেসর নিয়ে সমস্যায় পড়েছি । একটা AMD Phenom II X4 965 Black edition (11,300TK) ও অন্যটা 3rd gen. intel core i3 3220 (11,500TK আনুমানিক) । কোনটা নিব ঠিক বুঝতে পারছি না । আমি আমার পিসিকে খুব দ্রুত তর দেখতে চাই ও গেমস খেলতে চাই । ৭ বছরের মধ্যে প্রসেসর পরিবর্তন করতে চাইনা । এছাড়া APPS ও Video এডিট সহ সকল কাজ সফল ভাবে করতে চাই । প্লিজ ভাই আমাকে প্রসেসর নির্বাচনে সাহায্য করুন ।

    @MD.ASAD: এএমডি ফেনমের চেয়ে কোড আই থ্রি থার্ড জেনারেশন নিঃসন্দেহে ভাল হবে। যেহেতু দ্রুত আপগ্রেড করার পরিকল্পনা নাই, আপনি এই প্রসেসরের সাথে ভাল একটা ভিডিও কার্ড লাগিয়ে নিলে অনেক বেশী পার্ফরমেন্স পাবেন।যেহেতু ইন্টেল নিচ্ছেন, আপগ্রেড করার সময় প্রসেসর ও সকেট নিয়ে ঝামেলা হবেনা। তবে ভিডিও কার্ড ছাড়া চাইলে ফেনম নিন। যদিও সেটার গ্রাফিক্স দিয়ে আপনি হাই কোয়ালিটি কম্পিউটিং করতে পারবেন না।

Level 0

এ দুটি বাদে 12000 টাকার ভিতরে অন্য কোন উন্নত প্রসেসর হলেও সমস্যা নেই । আমি এক সাথে বিভিন্ন কাজও করতে চাই । যেমন, গেমস খেলার সময় ভিডিও বা অডিও কনভার্ট ।

    @MD.ASAD: হুম মাল্টি টাস্কিং করা যাবে। কিন্তু গেমস খেলা আর মিডিয়া কনভার্ট দুটিই হেভি ওয়েট প্রসেস, দুটিং মোটামুটি ১০০% সিপিইউ চাইবে। ফলে আপনার প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হবে ও ক্রাশ করবে। তবে তুলনামূলক অন্য কাজ যেমন কনভার্টের সময় মুভি দেখা, বা ভিডিও নিয়ে কাজ করার সময় গান শোনা বা ডিস্ক বার্ন করা যাবে। তাছাড়া এখন তো ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গান শোনা, মুভি দেখা, ওয়ার্ড প্রসেসরে কাজ করা, ডাউনলোড করা সবই একসাথে করা যায়।

Level 0

AMD Phenom II X4 965 BE it has 4 real core. 4 thread with hyper transport. 8MB(512KB L1, 2MB L2, 6MB L3) cashe.clock speed 3.4GHz. Die 45nm. 125w. Unlocked. 55’C-62’C অন্যদিকে Intel core i3 3220 . 2 Real core. 4 hyper thread. 3MB(128KB L1, 512KB L2 , 3MB L3) Cashe. Die 22nm. 3.3GHz. 55W. 69’C কি জন্য ইন্টেল ভাল হল বুজলামনা । আমার তো মনে হয় ফেনম একটু বিদ্যুত বেশি খাবে । তাছাড়া 3rd gen intel i3 তো Fail এটি i5 কেও Beat করবে । আর Intel hd 2500 দেওয়া চাইতে না দেওয়াটাই ভাল ছিল । মেইন বোর্ডের সাথে ভাল গ্রাফিক্স পাওয়া যেত । যাহোক এ Phenom এর ব্যাপারে আপনার মত কি ? জানাবেন প্লিজ । আর আপনার হার্ডওয়্যর ও সফটওয়্যারের দক্ষতা দেখে সত্যি ALL ROUNDER না বলে থাকতে পারলামনা ।
পূর্বের কমেন্ট গুলোর উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ । সাথে নতুন কিছু করার জন্য অগ্রীম অভিন্দন ।

    @MD.ASAD: হুম বাস্তবে কম্পেয়ার করলে ফেনমেরই ডাটাশিট বেশী হচ্ছে। তবে যেসব জিনিস খেয়াল রাখা দরকার:
    ১। TDP: থার্মাল পাওয়ার বেশী মানেই বেশী আউটপুট তাতো না। দুটাই ৩.৩-৩.৪ গিগাহার্টজ আউটপুট দিবে, এএমডি খাবে ১২৫ ওয়াট, ইন্টেল ৫৫। বাস্তবে কয়েক ওয়াট বেশী কিছু না হলেও প্রসেসরের লাইফটাইম নির্ভর করছে কতটুকু টিডিপি তার ওপর। বেশী গরম হওয়া মানেই লাইফ স্প্যান কমতে থাকবে।
    ২। আর্কিটেকচার: ফেনম বের হয় ২০০৮ এ, 965 মডেলটি আসে ২০০৯ এর জানুয়ারীতে। সে তুলনায় ইন্টেলের কোর সিরিজ অনেক নতুন আর স্যান্ডি ব্রিজ যেটা কোর আই সিরিজের ফার্স্ট জেনারেশনের চেয়ে অনেক আলাদা সেইটার আর্কিটেকচার ২০১২ এর। আপনি ভেবে দেখুন ৩-৪ বছর আগের মডেল পছন্দ করবেন কিনা।
    ৩। হাইপারথ্রেড ও হাইপারট্রান্সপোর্ট: ইন্টেলের কোর ২টা হলেও হাইপারথ্রেডিং দিয়ে আপনি মাল্টি টাস্কিং এর ভাল সাপোর্ট পাবেন। সাথে টার্বো বুস্ট তো আছেই। একটা হাইপারট্রান্সপোর্ট সিংগেল কোর দিয়েও করা সম্ভব। কিন্তু হাইপার থ্রেড আপনাকে প্যারালাল প্রসেসিং এ সহায়তা করবে।
    ৪। সিপিইউ প্রোফাইল: এটা অত ইমপরট্যান্ট না, কিন্তু ইনটেল এএমডি’র চেয়ে বেশী প্রোফাইল সাপোর্ট করে যেটা মূলত লাগে বিভিন্ন অ্যাপলিকেশনের জন্য। আর একাধিক অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে গেলে (এখন হয়ত করেন না, পরে করতে মন চাইলে) ইন্টেল বেস্ট চয়েস।

    এটা ঠিক যে ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স তেমন কাজের না। আর ভাল পিসি বিল্ড করতে ডেডিকেটেড জিপিইউ লাগবেই। বাকিটা সম্পুর্ণ আপনার ইচ্ছা। ইন্টেলের ফ্যান হিসেবে নয়, প্রযুক্তিগতভাবে তাদের প্রসেসর এফিশিয়েন্ট বলেই ইন্টেল সাজেস্ট করছি।

    ধন্যবাদ।

Level 0

সব চিন্তা বাদ । IVY bridge এর আই থ্রি ই নিব ইনশাআল্লাহ ।

Level 0

Jotil Hoese Boss

ভাই অনেক ভালো হয়েছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম

Amito Image Gulo Dekhte Pacci Na. Naki Asholey Show Korcena 🙁 Dekhenna Kicu Kora Jai Kina. Ato Shundor Akta Tune a Image Show Na Korle Dibbaji Dite Mon cai. Oh r akta kotha vai. Apni ki Rajshahir Sthanio. Janaben Doyakore.

ভাই আমি কোড় আই 7 প্রসেসর কিনেছি, তার কেশ মেমোরি কত তা জানবো কিভাবে? জানাবেন।