প্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, আশা করি সবাই ভালো আছেন। বরাবরের মত আজকেও একটি এক্সক্লুসিভ টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের টপিক পিসির পাওয়ার সাপ্লাই। আজকে আমরা সহজ ভাবে জানবো এর খুঁটিনাটি।
সহজ ভাবে বলতে গেলে পাওয়ার সাপ্লাই পিসির একটি কম্পোনেন্ট যা 110/220V, AC ভোল্টেজের লাইন থেকে একটি নির্দিস্ট পরিমান পাওয়ার কালেক্ট করে এবং তা DC ভোল্টেজে কনভার্ট করে প্রয়োজন অনুসারে পিসির বিভিন্য কম্পোনেন্ট কে সরবরাহ করে। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ এটিকে কম গুরুত্বপুর্ন কম্পোনেন্ট হিসাবে গন্য করে কিন্তু আসলে তা না, এটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন একটি পিসি কম্পোনেন্ট, এক কথায় পিসির হার্ট ও বলা চলে। কম্পিউটার কিনার সময় বেশীরভাগ মানুষ সস্তার ৫০০-৬০০টাকা দামের নরমাল পাওয়ার সাপ্লাই লাগায়, কাজ চলে গেলেও আসলে এটি খুবই রিস্কি একটা কাজ যার ফলে আপনার গোটা পিসি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, যার কারন গুলো সম্পর্কে পরবর্তিতে আলোচনা করছি। আমার মতে একটু দাম দিয়ে একটি ডিসেন্ট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট অবশ্যই লাগানো উচিত।
আগেই বলেছি পিএসইউ 110/220V, AC ভোল্টেজের লাইন থেকে একটি নির্দিস্ট পরিমান পাওয়ার কালেক্ট করে এবং তা DC ভোল্টেজে কনভার্ট করে প্রয়োজন অনুসারে পিসির বিভিন্য কম্পোনেন্ট কে সরবরাহ করে। কিন্তু পিসির সব কম্পোনেন্ট এক ভোল্টেজে অপারেট করেনা। পিসির কম্পোনেন্ট গুলো সাধারনত +3.3V, +5V, +12V, -12V, +5VSB (standby) এ অপারেট করে। PSU AC লাইনের 110V/220V (Alternating Voltage) কে, ঐ ভোল্টেজ গুলাতে কনভার্ট করে পাওয়ার সাপ্লাই করে। নির্দিস্ট লাইনের বা তারের মাধ্যমে পিসি কম্পোনেন্ট গুলাতে ওই ভোল্টেজ হিসাবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন হয়। সাপ্লাইকৃত ভোল্টেজ গুলোকে রেইল বলা হয়। সহজ কথায় +3.3V Rail, +5V Rail, +12V Rail, -12V Rail, +5VSB (standby) Rail।
ভোল্টেজ হিসাবে কিভাবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন হয় সহজ ভাবে একটু জানি। জানা আছে,
ধরা যাক পাওয়ার সাপ্লাইটি +12V রেইলে 24AMP সাপ্লাই দেয়। তাহলে +12V রেইলে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিশন হবে +12X24= 288Watt. তেমনি বাকি রেইল গুলাতেও এই হিসাবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন হয়। কোন রেইলের পাওয়ার ওয়াট হিসাবে বের করতে হলে ওই রেইলের ভোল্টেজের সাথে রেইলের অ্যাম্পিয়ার রেটিং গুন করতে হয়, সহজ একটি হিসাব।
অনেক সময় পাওয়ার সাপ্লাইতে নেগেটিভ রেইল ও থাকে যেমন -12V, -5V, রেইল, -5V,রেইলটি বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলিতে দেখা না গেলেও -12V রেইল টা দেখা যায়। পুরানো দিনের floppy controller গুলা -5V রেইল ইউজ করতো। অনেক পুরানো দিনের ISA স্লট গুলাতেও ইউজ হত। আর কিছু LAN adapter -12V রেইল ইউজ করে থাকে, যার জন্য খুব সামান্য পাওয়ার ইউজ হয়।
এখন আমরা দেখবো পিসি এর কম্পোনেন্ট গুলো কোন রেইলে কানেক্টেড থাকে।
Rail এর উপর ভিত্তি করে পাওয়ার সাপ্লাই গুলাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়,
একের অধিক +12V রেইল থাকে, আমাদের পিসির মেইন কম্পোনেন্ট যেমন প্রসেসর, জিপিইউ, কেসিং এর ফ্যান, সিপিইউ কুলিং ফ্যান বা ওয়াটার কুলিং সিস্টেম +12V রেইল থেকে পাওয়ার কালেক্ট করে। +12V রেইল ম্যাক্সিমাম ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হতে পারে।
মাল্টি রেইল এর সুবিধা হচ্ছে আলাদা আলাদা কম্পোনেন্ট এর জন্য ভিন্য ভিন্য +12V রেইল বরাদ্দ থাকে যেমন হতে পারে ধরা যাক ৪টি রেইলের একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।
১. সিপিইউ ও মাদারবোর্ডের এর জন্য +12V1 একটা রেইল, এই রেইলের জন্য বরাদ্দ 30A মানে ৩৬০ওয়াট
২. দুটি PCIe slot এর জন্য একটা +12V2 রেইল, এই রেইলের জন্য বরাদ্দ 40A মানে ৪৮০ ওয়াট
৩. দুটি 6+2 Pin PCIe কানেক্টরের জন্য একটা +12V3 রেইল, এই রেইলের জন্য বরাদ্দ 40A মানে ৪৮০ ওয়াট
৪. আরো দুটি 6+2 Pin PCIe কানেক্টরের জন্য একটা +12V4 রেইল, এই রেইলের জন্য বরাদ্দ 40A মানে ৪৮০ ওয়াট
এই গেল টোটাল ৪টা রেইল, এখানে কথা আছে, এক রেইলের পাওয়ার অন্য রেইল ইউজ করতে পারবে না। যেমন 12V2 রেইলে ৩৬০ ওয়াট আছে, সিপিইউ ম্যাক্সিমাম ১৫০ ওয়াট ইউজ করলো, বাকি ২১০ ওয়াট অন্য কোন রেইলের(+12VA, +12V3, +12V) সাথে শেয়ার হবে না, পাওয়ার লস হচ্ছে। আরেকটা বিষয়,
উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে +12V এর চারটা রেইল প্রতি রেইলে 18A করে হিসাবে আসে (12X18)X4=864Watt, কিন্তু সব +12V রেইল মিলিয়ে ম্যাক্সিমাম 680W পাওয়া যাবে। প্রতি রেইলে ম্যাক্সিমাম 216Watt এর উপর কোন কম্পোনেন্ট ইউজ করা যাবে না এই পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে, যদি ২৫০ ওয়াটের একটি গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে চান তবে অন্য রেইলের একটি কানেক্টর এনে রান করাতে হবে। এই মাল্টি রেইল পাওয়ার সাপ্লাই গুলাতে অনেক লিমিটেশন থাকে। অবশ্য সামান্য কিছু সুবিধাও আছে, একটি রেইল যদি কোন ক্রমে নস্ট হয়ে যায় তাহলে অন্য রেইল এর কানেক্টর থেকে কনভার্টার দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই করা যায় যেটা সিঙ্গেল রেইলে করা যায় না। সেক্ষেত্রে পুরো পাওয়ার সাপ্লাইটি বাতিল হয়ে যায়। মাল্টি রেইলে কম্পোনেন্ট কানেকশন দেয়ার সময় খুব সতর্ক থাকা লাগে এবং দেখে দেখে কানেকশন দেওয়া লাগে যে কোন কোন রেইলে কোন কোন কম্পোনেন্ট গুলা কানেক্ট হচ্ছে, ক্যাবল ম্যানেজম্যান্ট ও অনেক জটিল হয়ে যায়।
বর্তমানে এই ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট খুব জনপ্রিয়, এই ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে শুধু মাত্র ১টি +12V রেইল থাকে, ওই সিঙ্গেল +12V রেইলে একটি নির্দিস্ট অ্যাম্পিয়ার থাকে। +12V এ অপারেট করে এমন সকল পিসি কম্পোনেন্ট ওই সিঙ্গেল +12V রেইল থেকে দরকার অনুসারে পাওয়ার কালেক্ট করে।
কোন পাওয়ার লস হয় না। সহজে কানেকশন দেওয়া যায়, কোন ক্যালকুলেশন করে কানেকশন দেয়া লাগে না, কানেকশন দেয়ার সময় সতর্কও থাকা লাগে না মাল্টি রেইল পাওয়ার সাপ্লাই গুলার মত। +12V রেইলে একটি ফিক্সড অ্যাম্পিয়ার থাকে মানে একটি একটি নির্দিস্ট পরিমান পাওয়ার থাকে, যে যার দরকার মত পাওয়ার কালেক্ট করে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনলে সিঙ্গেল রেইলের ইউনিট কিনা ভালো।
বাজারে সাধারনত তিন ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যায়,
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর সাথে সম্ভাব্য সকল প্রকার ক্যাবল পারমানেন্ট ভাবে এটাচ করা থাকে, যার ফলে যেসব ক্যাবল আপনার দরকার নেই সেগুলো ও কেসিং এর ভিতর থাকছে, অতিরিক্ত তার একত্রে থাকলে কি হয় সেটা তো আপনারা জানেন ভালো করেই। উপরের ছবি দেখলেই ক্লিয়ার হয়ে যাবার কথা।
উদাহরন হিসাবে বলা যায় আপনার গ্রাফিক্স কার্ড একটা ৬ পিন পাওয়ার কানেক্টর ইউজ করে, কিন্তু আপনার পিএসইউ তে আছে দুইটা ৬পিন ক্যাবল। একটি ক্যাবল আপনার না লাগলেও তা কেসিং এর ভিতর থাকছে। সমস্যা গুলো হচ্ছে দক্ষ হাত ছাড়া ক্যাবল ম্যানেজম্যান্ট ভালো ভাবে করা যায়না। তাছাড়া Non-modular পাওয়ার সাপ্লাই এর তাপমাত্রাও কিছুটা বেশি থাকে। কেসিং এর অনেকটা যায়গা খেয়ে ফেলে, দরকারের সময় পাওয়ার সাপ্লাই খুলতেও অনেক ঝামেলা হয়।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের কিছু গুরুতপুর্ন ক্যাবল যেমন 24Pin ATX Motherboard কানেক্টর ক্যাবল, একটি সিঙ্গেল 6/8pin PCIe ক্যাবল, 8 Pin CPU পাওয়ার ক্যাবল, আর একটি বা দুটি সাটা বা মোলেক্স ক্যাবল শুধু পারমানেন্ট ভাবে এটাচ থাকে পাওয়ার সাপ্লাই এর সাথে। বাকি সব ক্যাবল গুলা প্রয়োজন অনুসারে লাগানো যায় অথবা খুলে ফেলা যায়। এগুলাতে তুলনামুলক একটু ভালো ক্যাবল ম্যানেজম্যান্ট করা যায়।
এই ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলাতে কোন ক্যাবলই পারমানেন্ট ভাবে এটাচ থাকেনা, এই ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই গুলা তুলনামুলক দামী হয়। দরকার অনুসারে সব ক্যাবল লাগানো বা খুলে ফেলা যায়।
কেসিং এর ভিতর প্রচুর স্পেস সেভ করে। তাপমাত্রাও কিছুটা কম থাকে। খুব ভালো ক্যাবল ম্যানেজম্যান্ট করা যায়। কোন ঝামেলা হলে খুব সহজেই কেসিং থেকে পাওয়ার সাপ্লাই ডিটাচ করা যায়।
PSU Form Factor হল পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর একটা স্ট্যান্ডার্ড। এই Form Factor দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই এর শুধু ফিজিক্যাল ডাইমেনশন ই বুঝা যায় না, এর সাহায্যে জানা যায় পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটটির কি টাইপের কানেক্টর আছে। চার্টটি দেখলে বুঝতে পারবেন।
এছাড়াও LFX12V, CFX12V, TFX12V, SFX12V এই Form Factor গুলা পাওয়া যায় তবে বর্তমানে ATX12V V 2.x এবং EPS12V এই স্ট্যান্ডার্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলা বেশি দেখা যায়। অনেক সময় দেখবেন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের স্প্যাসিফিকেশনে ডুয়েল স্ট্যান্ডার্ডের কথা যেমন,
বলা আছে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটটি ATX12V v2.4 এবং EPS 2.92 স্ট্যান্ডার্ড। এর মানে এই দুই স্ট্যান্ডার্ডে যত রকম কানেক্টর ক্যাবল থাকার কথা, এই পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটির তা আছে, এবং ATX12V এর আগের দুটি স্ট্যান্ডার্ডের সিস্টেমের (ATX12V v2.2, ATX12V v2.01) সাথেও ম্যাচ করবে।
পাওয়ার কানেক্টর চিনার আগে আমাদের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের তার গুলো সম্পর্কে হালকা পাতলা ধারনা থাকতে হবে, কোন রঙের তার কোন রেইলের সেটা নিচের ছবি থেকে হালকা পাতলা আইডিয়া পাবেন
বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই গুলোতে যে ধরনের পাওয়ার কানেক্টর থাকে সেগুলো হল,
এই ক্যাবল টি মেইন মাদারবোর্ডের সাথে কানেক্টেড থাকে, এটি ২৪পিনের একটি বড় প্লাগ ইউজ করে,
বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই গুলাতে ২৪ পিনের প্লাগ কে ৪টি পিন আলাদা করে ২০ পিনের প্লাগে কনভার্ট করা যায়, কিছু পুরানো মডেলের মাদারবোর্ডে ২০পিনের সকেট থাকে, এই ধরনের কানেক্টর কে 20+4 pin connector বলে। দুই ধরনের মাদার বোর্ডেই এই কানেক্টর ইউজ করা যায়।
20 pin socket
সাধারনত ATX12V 2.0, EPS12V, PCI Express 2.0/3.0 মাদারবোর্ড গুলা ২৪ পিন ইউজ করে, ১৯৯৫-২০০৩ সালের ATX, ATX12V 1.0, ATX12V 1.3 এই মাদারবোর্ড গুলা ২০ পিনের সকেট ইউজ করে।
ক্যাবলের প্লাগে অনেক গুলা বিভিন্য রঙের তার দেখতে পারবেন, কোনটা কি টাইপের বা ভোল্টের, কোন রেইল দিয়ে ম্যাক্সিমাম কত ওয়াট সাপ্লাই হতে পারে তা উপরের ছবি থেকে হালকা পাতলা আইডিয়া পাবেন।
প্রসেসরে পাওয়ার সাপ্লাই এর জন্য এই ক্যাবল ইউজ করা হয়। সাধারনত পুরাতন মডেলের প্রসেসরের জন্য এই সকেট গুলো ইউজ হয়।
বর্তমানের প্রসেসর গুলা অনেক পাওয়ার হাংরি, বর্তমানের মাদারবোর্ড গুলাতে এই সকেট গুলা ইউজ হয় আর বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই গুলাতে এই কানেক্টর থাকে,4 pi এর তুলনায় 8pin দিয়ে বেশী পাওয়ার প্রোভাইড করা যায়।
আগেই জেনেছি পুরানো মাদারবোর্ড গুলা ৪ পিনের সকেট ইউজ করে আর নতুন গুলা করে ৮ পিনের। এই ধরনের কানেক্টর দুই ধরনের মাদারবোর্ডেই ইউজ করা যাবে, এই ক্যাবল দিয়ে সর্বোচ্চ ৩৩৬ ওয়াট পাওয়ারের সিপিইউ চালানো যাবে যদিও বর্তমানের কোন সিপিইউ তে এত ওয়াট লাগে না।
এই ক্যাবল গুলি সাধারনত গ্রাফিক্স কার্ডকে পাওয়ার সাপ্লাই করে, একটি ৬ পিন ক্যাবল গ্রাফিক্স কার্ড কে ম্যাক্সিমাম ৭৫ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই করে।
এই ক্যাবল গুলি সাধারনত গ্রাফিক্স কার্ডকে পাওয়ার সাপ্লাই করে, একটি ৮ পিন ক্যাবল গ্রাফিক্স কার্ড কে ম্যাক্সিমাম ১৫০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই করে
এটিও গ্রাফিক্স কার্ডকে পাওয়ার সাপ্লাই করে। এই ক্যাবলটি ৬ পিন অথবা ৮ পিন দুই ধরনের সকেটেই লাগানো যায়, বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই গুলাতে এই ধরনের ক্যাবল দেখা যাচ্ছে।
SATA হচ্ছে ATA interface (also called IDE) এর আপগ্রেড ভার্সন।
ডাটা ক্যাবল এবং পাওয়ার ক্যাবল নিয়ে সাটা ইন্টারফেসটি গঠিত।
**সাধারনত হার্ডডিস্ক, ডিভিডি বা সিডি রম এই ক্যাবল দিয়ে কানেক্টেড থাকে।
এইগুলো দিয়ে সাধারনত কেসিং এর অতিরিক্ত ফ্যান, লাইটিং সিস্টেম, ইত্যাদি অপারেট করে। অনেক সময় হার্ড ডিস্কের অতিরিক্ত পাওয়ার দরকার হলে এটি দিয়ে সরবরাহ করা হয়, অনেক সময় কনভার্টার ক্যাবল দিয়ে গ্রাফিক্স কার্ডের পাওয়ার ও সরবরাহ করা যায়। এই ধরনের প্লাগ কে মোলেক্স (Molex) বলা হয়।
এইগুলা অনেক পুরানো মডেলের , প্রায় ১৯৮০/৯০ সালের পিসি গুলাতে থাকতো।
3.5" ফ্লপি ড্রাইভ গুলা এই ক্যাবলের মাধ্যমে পাওয়ার কালেক্ট করতো। পুরানো AGP কার্ডেও অতিরিক্ত পাওয়ার সাপ্লাই করা যেতো এটি দিয়ে।
মাদারবোর্ডের +3.3V এবং +5V রেইলে অতিরিক্ত অ্যাম্পিয়ার সরবরাহ করার জন্য এই ক্যাবলটি ইউজ হত একসময়। পুরানো মডেলের ডুয়ালকোর এএমডি মাদারবোর্ডে এগুলো পাওয়া যাবে।
এটি খুব দরকারি একটা টার্ম পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের জন্য, আমরা জেনেছি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট প্রতিনিয়ত ভোল্টেজ ট্রান্সফর্ম ও পাওয়ার সাপ্লাই করে যাচ্ছে যেজন্য এর ভিতরের ক্যাপাসিটর সহ বিভিন্য কম্পোনেন্ট গুলা প্রচুর গরম হচ্ছে। এই হিট বের করে দেওয়া খুব দরকার না হলে একটা নির্দিস্ট টেম্পারেচার লিমিটের উপর টেম্পারেচার উঠলে পাওয়ার সাপ্লাইটির কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই একে ঠান্ডা রাখাটা খুব জরুরী।
সাধারনত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে বিভিন্য সাইজের ফ্যান দেখে থাকি, সেটি 60mm থেকে 140mm পর্যন্ত হতে পারে। সাধারনত বেশি ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে বড় ফ্যান ইউজ করা হয়।
ফ্যানটি সাধারনত কেসিং এর নিচের দিকে মুখ করানো থাকে, ফ্যানটির মাধ্যমে বাতাস PSU কেসিং এর ভিতরে প্রবেশ করে, কম্পোনেন্ট গুলো ঠান্ডা করে নিজে গরম হয়ে সাইড এর জালি দিয়ে বের হয়ে যায়। এটি একটি কমন কুলিং সিস্টেম, অনেক পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে একাধিক ফ্যান থাকতে পারে, ডিজাইনের উপর ও অনেকটা নির্ভর করে।
বর্তমানে কিছু কোম্পানী পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলার কুলিং সিস্টেম অনেক ইম্প্রুভ করেছে। বর্তমানে কিছু পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট Passive cooling System ইউজ করে, এই ধরনের কুলিং সিস্টেমে কোন ফ্যান থাকেনা। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলার ভিতরের কম্পোনেন্ট গুলা খুব উন্নত মানের হয় এবং তুলনামুলক কম হিট জেনারেট করে। যেসব পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের Efficiency ভালো থাকে সেগুলো হিট কম জেনারেট করে। হিট সিঙ্কের মাধ্যমে ভিতরের তাপ বাইরে বের হয়ে আসে, তাছাড়া এই ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলা একটু খোলামেলা এবং অনেক ছিদ্র যুক্ত হয় যাতে ভিতরের তাপ সহজেই বাইরে বের হয়ে আসতে পারে। এই ধরনের কুলিং সিস্টেমের সুবিধা হল কোন ফ্যান নয়েজ থাকেনা।
এটি বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলার একটি আধুনিক ফিচার। এই ফিচার যুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলোতে একটি intelligent fan profile থাকে যেটি পাওয়ার সাপ্লাই এর উপর লোড অনুসারে ফ্যানের RPM নির্ধারন করে।
মজার ব্যাপার এই পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলার কুলিং সিস্টেম এতটাই ভালো যে প্রথম ১০-৩৫ % লোডে ফ্যানের কোন RPM থাকেনা, মানে ফ্যান ঘোরার দরকার হয় না। ফ্যান গুলাও খুব ভালো ডিজাইনের হয়, খুব কম নয়েজ ক্রিয়েট করে।
যেমন Corsair এর RM, HX, AX সিরিজ এর পাওয়ার সাপ্লাই গুলা।
প্রত্যেকটা পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর গায়ে তার ম্যাক্সিমাম রেটেড পাওয়ার লেখা থাকে, এটা পুরোটাই থিইরিটিক্যাল। কোন পাওয়ার সাপ্লাই ই রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারেনা, কিছু না কিছু কম থাকে। প্রতিটি পাওয়ার সাপ্লাই এর একটা টেম্পারেচার রেটিং থাকে,
যখন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের ভিতরের সেমি কন্ডাকটর এবং ইনডাক্টর গুলোর টেম্পারেচার ওই রেটেড টেম্পারেচার এর চেয়ে বেশি হয় তখন এগুলোর উপর একটা ইফেক্ট পরে যেটা কে বলা হয় "De-Rating" ইফেক্ট যার ফলে টেম্পারেচার বাড়ার ফলে ওই পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটটির পাওয়ার ডেলিভার করার ক্ষমতা কমে যায়, দেখা গেলো কোন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের টেম্পারেচার রেটিং ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এখন ওই তাপমাত্রায় পাওয়ার সাপ্লাই টি +12V রেইলে এ 24A কারেন্ট দেয় যার মানে ১২ ভোল্টে সর্বোচ্চ ২৮৮ ওয়াট সাপ্লাই দিতে পারে। এখন ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এর কর্মক্ষমতা ৩০% এর উপর কমে যাবে তখন দেখা যাবে ১২ ভোল্টে ১৫ কি ১৬ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট বা ১৯০-১৯৫ ওয়াট সাপ্লাই দিচ্ছে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই কিনার আগে টেম্পারেচার রেটিং দেখে কিনা উচিত। কম দামী ৫০০/৬০০টাকা দামের নরমাল পাওয়ার সাপ্লাই গুলার টেম্পারেচার রেটিং অনেক কম থাকে+ কুলিং সিস্টেম অত ভালো থাকে না ফলে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলাতে ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস টেম্পারেচার রেটিং দেওয়া থাকে।
এইবার একটি মজার ব্যাপারে আসি, উপরে ৫টি রেইল দেওয়া আছে প্রতি রেইলে কারেন্টের পরিমান ও দেওয়া আছে, +3.3V ও +5V রেইলে ১৪০ ওয়াট, +12V রেইলে ৫২৮ ওয়াট, -12V রেইলে ৩.৬ ওয়াট, আর +5Vsb রেইলে 12.5 ওয়াট সব মিলিয়ে তো ৬৮৪ ওয়াটের মত আসে, কিন্তু টোটাল পাওয়ারে তো ৫৫০ ওয়াট লেখা?? আবার +3.3V ও +5V রেইলে ২৪ অ্যাম্পিয়ার হিসাবে আসে ১৯৯ ওয়াট আসে, দেয়া আছে ১৪০ ওয়াট। এখন পিসির কিছু কম্পোনেন্ট +3.3V ও +5V রেইল শেয়ার করে দুটি রেইল যখন শেয়ার হয় তখন হিসাব টা সিম্পল থাকেনা, ধরুন কোন কম্পোনেন্ট +3.3V রেইলে 10A মানে ৩৩ ওয়াট ইউজ করছে তখন সেই কম্পোনেন্টটি +5V রেইলে সর্বোচ্চ (140-33)/5= 21.4A ইউজ করতে পারবে মানে ১০৭ ওয়াট। আবার কিছু কম্পোনেন্ট +3.3V, +5V এবং +12V রেইল শেয়ার করে, ধরা যাক কম্পোনেন্ট গুলা +3.3V ও +5V রেইলে ১৪০ ওয়াট ইউজ করলো তখন +12V রেইলে 34A পাওয়া যাবে মানে ৫২৮ ওয়াটের পরিবর্তে ৪১০ ওয়াট পাওয়া যাবে। একই কাহিনী মাল্টি রেইল পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলোর ক্ষেত্রে,
ধরা যাক দুইটি +12V রেইল সম্পন্ন একটি পাওয়ার সাপ্লাই এ একটি +12V রেইলে ম্যাক্সিমাম 25A কারেন্ট ফ্লো করতে পারে মানে ৩০০ ওয়াট পাওয়া যায় এবং আরেকটি +12V রেইলে ম্যাক্সিমাম 20A কারেন্ট ফ্লো করতে পার মানে ২৪০ওয়াট পাওয়া যায়। দুই রেইল মিলিয়ে ৫৪০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই হওয়ার হিসাব থাকলেও সর্বোচ্চ ৫০৪ ওয়াট সাপ্লাই হতে পারে। এখন প্রথম রেইলে যদি ৩০০ ওয়াট ইউজ হয় অন্য রেইলে (৫০৪-৩০০) = ২০৪ ওয়াট পাওয়া যাবে মানে 21A এর বদলে 17A কারেন্ট ফ্লো করবে তখন।
এইটা এক এক কোম্পানীর এক এক রকম মার্কেটিং পলিসি, কিছু কোম্পানীর পিএসইউ পাওয়ার রেটিং Peak power এ দেয়া থাকে, সহজ ভাবে বলতে গেলে Peak power হচ্ছে একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট সর্বোচ্চ কত ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারে, এই Peak power কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়। আর Continuous Power হচ্ছে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট বেশিরভাগ সময় কত ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই দিচ্ছে। যেমন একটি পাওয়ার সাপ্লাই বেশিরভাগ সময় ৬৫০ ওয়াট বা তার কাছাকাছি সাপ্লাই দেয়। ওই পাওয়ার সাপ্লাইটি মাঝে মাঝে সর্বোচ্চ ৭০০ ওয়াট সাপ্লাই দিতে পারে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য। তাহলে ওই পাওয়ার সাপ্লাই টির পাওয়ার রেটিং continuous power হিসাবে হবে ৬৫০ ওয়াট, আর peak power হিসাবে হবে ৭০০ ওয়াট। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কোম্পানি গুলা এই দুই ভাবে তাদের পাওয়ার রেটিং দিয়ে থাকে।
ভালো কোম্পানী গুলা continuous power হিসাবে পাওয়ার রেটিং দিয়ে থাকে। কিছু নরমাল কোম্পানি peak power কে continuous power হিসাবে রেটিং দিয়ে থাকে মানে ৬৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই কে ৭০০ ওয়াট বলে বিক্রি করে। এই দুইটি টার্ম আসলে দুইটি আলাদা স্ট্যান্ডার্ড এজন্যই ভালো ব্র্যান্ডেড কোম্পানির পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনা উচিত।
একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কি পরিমান পাওয়ার AC গ্রিড/ওয়াল সকেট থেকে টানে আর তার কতটুকু পরিমান DC তে কনভার্ট করে তা বিভিন্য কম্পনেন্টকে ডিস্ট্রিবিউশন করতে পারে সেটা সেই পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের Efficiency দিয়ে বুঝা যায়। সহজ কথায় বলতে গেলে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি যে পরিমান পাওয়ার পিসি কম্পোনেন্ট কে সাপ্লাই দিচ্ছে এবং যে পরিমান পাওয়ার ওয়াল সকেট থেকে কনসিউম করছে তার অনুপাত কেই PSU Efficiency বলে।
যেসব ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিতে inductive or capacitive কম্পোনেন্ট থাকে, সেগুলো দুই ধরনের পাওয়ার ইউজ করে,
১. Active Power
২. Reactive Power.
এই Active Power আর Reactive Power এর ভেক্টর যোগফল কে বলা হয় apparent power
Active Power কি?
একটি সার্কিটে সরবরাহকৃত পাওয়ারের যে অংশটুকু আপনার কাজ করে দিচ্ছে সেটাই হল ঐ সার্কিটের Active Power. মনে করুণ, একটি সার্কিটে একটা বাল্ব আছে, আপনি ঐ সার্কিটে Power Supply দিলেন বাল্ব থেকে আলো পাওয়ার জন্য। আপনার সরবরাহকৃত পাওয়ারের যে অংশটুকু রূপান্তরিত হয়ে আলো দিচ্ছে তা হল অ্যাক্টিভ পাওয়ার।
এক কথায় বলা যায়, অ্যাক্টিভ পাওয়ার হল কাজে রূপান্তরিত ক্ষমতা বা, ব্যয়িত ক্ষমতা।
The actual amount of power being used, or dissipated, in a circuit is called true power, and it is measured in watts (symbolized by the capital letter P, as always).
Reactive Power কি?
সার্কিটে যদি inductive or capacitive কম্পোনেন্ট থাকে তবে এরা কিছু পরিমাণ পাওয়ার সঞ্চয় করে রাখে। কারণ আমরা জানি capacitor এবং inductor চার্জ সঞ্চয় করে রাখতে পারে। লক্ষণীয় ব্যাপার হল এ শক্তি কিন্তু খরচ হচ্ছে না (মানে রূপান্তরিত হচ্ছে না)। capacitor কিংবা inductor যখন discharge হবে তখন তা ফেরত পওয়া যাবে। এ কারণে এ পাওয়ারকে বলা হয় reactive power বা, পুনরায় ফেরতযোগ্য পাওয়ার। reactive power অনবরত source থেকে load এবং load থেকে source এ ঘুরপাক খেতে থাকে।
The powers that continuously bounce back and forth between source and load is known as reactive Power (Q).
Power merely absorbed and returned in load due to its reactive properties is referred to as reactive power।
পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power Factor) কি?
দেখা যাচ্ছে, কোন সার্কিটে যদি inductive or capacitive কম্পোনেন্ট থাকে তবে মোট সরবরাহ করা power এর কিছু অংশ সঞ্চিত হবে এবং বাকি অংশ কাজে রুপান্তারিত হবে।
অর্থাৎ, সার্কিটে প্রদত্ত Power = কাজে রুপান্তারিত power + সার্কিটে সঞ্চিত power
বই এর ভাষায় বলতে গেলে, apparent power= real power + reactive power
কোন সার্কিটের মোট প্রদত্ত Power এর কত অংশ কাজে রূপান্তরিত হওয়ার উপযোগী বা কাজে রূপান্তরিত হচ্ছে, সেটাকেই বলা হয় power factor.
কোন সার্কিটের power factor, 0.9, মানে হল সার্কিটে ১০০ একক power সরবরাহ করা হলে এর ৯০ একক কাজে রূপান্তরিত হওয়ার উপযোগী থাকবে এবং বাকি ১০ একক সঞ্চিত থাকবে।
টার্ম গুলা সম্পর্কে অনেকের ই ধারনা না থাকতে পারে, গোলমাল লাগছে?? সহজ করেই বুঝাই,
একটি ড্রিঙ্কসের বোতল প্রথমে খুললে বোতল থেকে কিছু ড্রিংকস বুদবুদ করে ফেনা হয়ে বেরিয়ে যায়, এই বুদবুদ আকারে উড়ে যাওয়া ড্রিংকসটুকুর অস্তিত্ত্ব আছে, কিন্তু আমাদের কোনো কাজে আসে না। কিন্তু বাকি ড্রিংকসটুকু যেটা থাকে, সেটা আমরা পান করতে পারি। এটা আমাদের কাজে আসে। ড্রিঙ্কসের এই ফেনার মতো বুদবুদ অংশকে রিয়েকটিভ পাওয়ার, আর মুল অংশকে রিয়েল পাওয়ারের সাথে তুলনা করলে রিয়েল পাওয়ার আর রিয়েকটিভ পাওয়ার এর অনুমান পাওয়া যায়। অর্থাত যে পাওয়ারটুকু আমাদের কাজে আসে, সেই পাওয়ারটুকু রিয়েল পাওয়ার, আর যেই পাওয়ারটুকুর অস্তিত্ত্ব আছে, বাট আমাদের কোনো কাজে আসে না, সেটা রিয়েকটিভ পাওয়ার। কিন্তু ক্যালকুলেশনের সময় দুটুই হিসেবে আনতে হয়।
Apparent Power(Total Power)= Real Power+ Reactive Power
পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power Factor) কম এর অর্থ হল আপনার সিস্টেম যে পরিমাণ পাওয়ার উৎপন্ন করে বা, গ্রহণ করে সে পরিমাণ কাজে লাগাতে পারে না, কিছু অংশ অযাথাই সঞ্চয় হয়ে থাকে।
একটি Generator এর power factor 0.৮ এর অর্থ হল এটি যে পরিমাণ পাওয়ার উৎপন্ন করে তার ৮০% ব্যবহার করা যাবে, বাকি ২০% এর অভ্যন্তরে ঘুর-পাক খাবে।
একটি IPS এর পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power Factor) ০.৮৫, এর অর্থ হল এটি ব্যাটারি থেকে কোন মুহূর্তে যে পরিমাণ পাওয়ার নেয় তার ৮৫% আপনার লাইট, ফ্যান ইত্যাদি লোডগুলা ব্যবহার করতে পারবে, বাকি ১৫% IPS সার্কিটের মধ্যে সঞ্চিত থাকবে।
উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power Factor) কম মানে হল আপনি আপনার যন্ত্রের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছেন না। ধরা যাক আপনি একটি বাজার থেকে ৫০০টাকা দিয়ে একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনলেন ৫০০ ওয়াটের, এই ৫০০ টাকা দামের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলোর Power Factor ০.৬০-০.৭০ এর মাঝে থাকে, তার মানে সেটিতে ৫০০ ওয়াট লেখা থাকলে আপনি ৩০০ ওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ ওয়াট পরিমান পাওয়ার আউটপুট পাবেন বাকি ১৫০-২০০ ওয়াট অভ্যন্তরে ঘুর-পাক খাবে উপরের প্রথম পিকচারটির মত।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলা Power Factor ইম্প্রুভ করার জন্য power factor correction filter অথবা circuits ইউজ করে থাকে যেটাকে সংক্ষেপে (PFC) বলা হয়, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলাতে সাধারনত দুই ধরনের (PFC) দেখা যায়,
১. Passive PFC : এই ধরনের (PFC) পাওয়ার ফ্যাক্টর ইম্প্রুভ করার জন্য capacitive filter ইউজ করে, অত ভালো পাওয়ার ফ্যাক্টর কারেকশন করতে পারেনা, Passive PFC ইউজ করে 0.60 (60%) থেকে সর্বোচ্চ 0.80 (80%) পরিমান power factor correction করা যায়, সস্তা নন ব্র্যান্ড পাওয়ার সাপ্লাই গুলো এই ধরনের PFC ইউজ করে থাকে।
2. Active PFC: power factor correction এর জন্য একধরনের সার্কিট ইউজ করে যেটাতে বিভিন্য ট্রাঞ্জিস্টর এবং ডায়োড থাকে, এটি অটোমেটিক ভাবে ইনপুট AC ভোল্টেজ কে কারেকশন করে নেয়। এর সাহায্যে খুব উচ্চমানের পাওয়ার ফ্যাক্টর পাওয়া সম্ভব 0.95 (95%) এর উপরে!! ব্র্যান্ডেড দামী পাওয়ার সাপ্লাই গুলা এই ধরনের PFC দিয়ে তৈরি হয়। পাওয়ার সাপ্লাই কিনার আগে PFC অবশ্যই দেখে কিনা উচিত।
80plus নামে একটি অর্গানাইজেশন PSU Certification দিয়ে থাকে, কোন নতুন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট বের হলে এই অর্গানাইজেশন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলোকে বিভিন্য ভাবে কিছু টেস্ট করে থাকে, সফল ভাব টেস্ট গুলো উত্তির্ন হতে পারলে তবেই পাওয়া যায় সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট মুলত PSU Efficiency এবং power factor correction (PFC) এর উপর দেওয়া হয়,
আমরা অনেক সময় দেখি পাওয়ার সাপ্লাই এর গায়ে লেখা থাকে 80+ অথবা 80+ Bronze অথবা 80+ Gold। টোটাল ৬ ধরনের সার্টিফিকেট আছে, উপরের সিম্বল গুলোর যেকোন একটি থাকলে বোঝা যাবে পাওয়ার সাপ্লাইটি 80plus অর্গানাইজেশন দ্বারা certified. নিচে একটি চার্ট দিচ্ছি যেটা দেখলে Certification সম্পর্কে হালকা আইডিয়া পাবেন। একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের কত পার্সেন্ট লোডে কত Efficiency এবং কত PFC থাকে সেটার উপর ভিত্তি করেই ক্যাটাগরি করা হয়, যেমন 80+ Gold ক্যাটাগরির PSU হতে হলে ২০% লোডে ৯০% Efficiency থাকতে হবে, ৫০% লোডে ৯২% Efficiency থাকতে হবে আর ১০০% লোডে ৮৯% Efficiency এবং সব মিলিয়ে 0.90 (PFC) থাকলে তবেই ওই পাওয়ার সাপ্লাই 80+ Gold Certified হবে।
বর্তমানে সবচেয়ে ভালো রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই হল 80+Titanium ইউনিট গুলা, ৯৪-৯৬% Efficiency আর 0.95 এর উপর PFC হলেই পাওয়া যায় Titanium certificate, দেখেই বোঝা যায় কত ভালো আর কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে পারে পাওয়ার সাপ্লাই গুলা, এরকম একটি উদাহরন হচ্ছে, corsair Ax1500i
অনেক সময় দেখা যায় কিছু কোম্পানি বা কোন ব্র্যান্ডের একটি সিরিজ দাবী করে তাদের এই পাওয়ার সাপ্লাইটি বা এই সিরিজের পাওয়ার সাপ্লাই গুলা 80+ বা আশি শতাংশের উপর Efficiency.
উদাহরন হিসাবে বলা যেতে পারে Thermaltake smart SE সিরিজের কথা, তারা নিজেরা দাবী করে তাদের এই সিরিজের পাওয়ার সাপ্লাই গুলার 87% পর্যন্ত Efficiency হয়ে থাকে, কিন্তু এটি 80plus অর্গানাইজেশন দ্বারা স্বীকৃত নয়, এই সিরিজটিকে খারাপ বলছিনা কিন্তু আমার কাছে রিলায়েবল লাগেনা। 80plus দ্বারা স্বীকৃত সব পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলা সাধারনত ভালো কোয়ালিটির হয়, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনার সময় এটি দেখে কিনা উচিত।
আমাদের অনেকের মাঝে একটা ধারনা আছে যে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট যত ওয়াটের সেটি ঠিক তত ওয়াট বা Efficiency হিসাবে যত ওয়াট আসে সেই পরিমান পাওয়ার ওয়াল সকেট থেকে কালেক্ট করবে। যেমন, ৭৫০ ওয়াট (80+ Gold) একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ওয়াল সকেট থেকে সব সময় ৮৮২ ওয়াট পাওয়ার কনসিউম করবে এই ধারনা ভুল। আসলে একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কত ওয়াট পাওয়ার কনসিউম করবে সেটা সম্পুর্ন সিস্টেম লোডের উপর নির্ভর করে মানে আপনার পিসির কম্পোনেন্ট গুলোর ঠিক কত পাওয়ার দরকার পরছে। যদি সিস্টেম লোড ২৫০ ওয়াট হয় তাহলে ওয়াল সকেট থেকে ওই পাওয়ার সাপ্লাই কনসিউম করবে ২৯৪ ওয়াটের কাছাকাছি, যদি সিস্টেম লোড ৪০০ ওয়াট হয় তাহলে ওয়াল সকেট থেকে ওই পাওয়ার সাপ্লাই কনসিউম করবে ৪৭০ ওয়াটের কাছাকাছি পাওয়ার কালেক্ট করবে। ৮৮২ ওয়াট পাওয়ার তখন ই কনসিউম করবে যখন সিস্টেম সিস্টেম লোড ৭৫০ ওয়াট হবে মানে, পিসির সবগুলা কম্পোনেন্ট গুলোর চাহিদা সব মিলিয়ে ৭৫০ ওয়াট হবে। তার মানে সিস্টেম লোড কম হলে যদি বেশী ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই লাগানো হলেও তেমন সমস্যা নেই, মানে হচ্ছে আপনার বাড়ির পিসির বিদ্যুৎ বিল আপনার সিস্টেম লোডের উপর নির্ভর করে পাওয়ার সাপ্লাই এর ওয়াটেজের উপর না।
এবার মুল টপিকে আসি দুইটা পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট একটা ৫০০ ওয়াট এর অন্যটা ১০০০ ওয়াট এর এবং দুইটাই 80+ bronze certified, এখন ধরুন আপনার সিস্টেম লোড হচ্ছে ৩০০ ওয়াট, কোন পাওয়ার সাপ্লাইটা ইউজ করলে বেটার?
আমরা আগেই জেনেছি কোন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের ক্ষেত্রে ৫০-৬০% লোডে সর্বোচ্চ পরিমান Efficiency পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে সিস্টেম লোড ৩০০ ওয়াট হচ্ছে ৫০০ ওয়াটের ৬০%। সুতরাং এই লোডে ৮৭-৮৮% Efficiency পাওয়া যাবে এবং ৩৪০ ওয়াটের কাছাকাছি পাওয়ার কনসিউম করবে ওয়াল সকেট থেকে।। আবার সিস্টেম লোড ৩০০ ওয়াট হচ্ছে ১০০০ ওয়াটের ৩০%, সেক্ষেত্রে ১০০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই থেকে সামান্য কম পরিমান Efficiency পাওয়া যাবে প্রায় ৮৫-৮৬% পর্যন্ত। সেই হিসাবে ওয়াল সকেট থেকে কনসিউম করবে ৩৫২ ওয়াটের কাছাকাছি, ডিফারেন্স কিন্তু খুব বেশী না মাত্র ১০-১২ ওয়াটের। সুতরাং বেশী ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট নিয়ে চিন্তা করার কিছু নাই।
...
আমরা বিভিন্ন ভোল্টেজ রেইল সম্পর্কে আগেই জেনেছি, এটাও জেনেছি পিসির বিভিন্ন কম্পোনেন্ট ভিন্ন ভিন ভোল্টেজের রেইলে অপারেট করে, রেইল গুলোর ভোল্টেজ স্ট্যাবল থাকা খুব জরুরী, ধরুন একটি পিসি কম্পোনেন্ট ১২ ভোল্টে অপারেট করছে, এখন কিছু সময়ের জন্য ১২ ভোল্ট যদি ১৩ ভোল্ট অথবা ১১ ভোল্ট হয়ে যায় তাহলে কম্পোনেন্ট গুলোর কি অবস্থা হবে ভাবতে পারেন?? মজার ব্যাপার ডিসি ভোল্টেজ হলেও রেইল গুলোতে ভোল্টেজ কিন্তু Constant থাকেনা, রেইলের উপর লোড বাড়লে ভোল্টেজ ড্রপ করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়, কিন্তু তাই বলে ১২ ভোল্ট ১৩ ভোল্ট হয়ে যাবে বা ১১ ভোল্টে ড্রপ অথবা ৫ ভোল্ট, ৪ ভোল্ট হয়ে যাবে করবে সেটা হতে পারে না।
পজেটিভ রেইল গুলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ±5% এবং নেগেটিভ রেইল গুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ±10% টলারেন্স সহ্য করা যায়। মোট কথা রেইলে ভোল্টেজ উঠানামা করবেই, যে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এ Voltage Fluctuation যত কম মানে ভোল্টেজ যত বেশি স্ট্যাবল সেটি তত ভালো।
এবার আসি নয়েজ এবং রিপল এর ক্ষেত্রে, আগেই জেনেছি রেইলে ভোল্টেজ Constant থাকে না যেমন ১২ ভোল্ট রেইলে সব সময় ১২ ভোল্ট পাওয়া যাবেনা, উঠানামা করতে থাকবে উপরের ছবিটি দেখলে ধারনা পাবেন, রেইলে যদি ১২ ভোল্ট Constant থাকতো তাহলে একটি সরল রেখা পাওয়া যেতো,
যাই হোক oscilloscope দিয়ে দেখলে ভোল্টেজের এইরকম oscillation দেখা যায় অনেকটা AC ভোল্টেজের মত, একে (Ripple) রিপল বলা হয়, আর এই oscillation এর উপরের দিকে কিছু Spike (স্পাইক) দেখা যায় একে (Noise) নয়েজ বলে।
Low Ripple and Noise
High Ripple and Noise
+12V রেইলে (Ripple) আর (Noise) মিলিয়ে 120 mV এবং +5V, +3.3V রেইলে 50 mV এর বেশি হওয়া উচিত নয়। এর বেশি হলে পিসি কম্পোনেন্ট ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নরমাল পাওয়ার সাপ্লাই গুলাতে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলিটি খুব খারাপ থাকে+নয়েজ এবং রিপলের পরিমানও অনেক বেশী থাকে।
...
অনেক সময় দেখা যায় বাড়ির আশেপাশে বাজ পরলে বা হটাৎ ভোল্টেজ একটু উঠানামা করলে পাওয়ার সাপ্লা ইউনিট জ্বলে যায়। কমন একটি সমস্যা আবার অনেক সময় ভাগ্য খারাপ থাকলে পাওয়ার সাপ্লাই এর সাথে মাদারবোর্ড বা গ্রাফিক্স কার্ড ও জ্বলে যেতে পারে। নরমাল পাওয়ার সাপ্লাই গুলা ইউজ করলে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে, ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই গুলোতে বিভিন্য প্রোটেকশন সার্কিট থাকে যা পিসির কম্পোনেন্ট গুলোকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই কিনার সময় অবশ্যই এই ফিচার গুলো দেখে কিনা উচিত।
১. Short Circuit Protection (SCP) : আউটপুটে কোন শর্ট সার্কিট ডিটেক্ট হলে সাথে সাথে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট অফ হয়ে যাবে, শর্ট সার্কিট থাকলে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ই অন হবে না।
২. Under Voltage Protection (UVP) : কোন আউটপুট রেইলের ভোল্টেজ যদি টলারেন্স লিমিটের চেয়ে কমে যায় (যেমন +৫ ভোল্ট রেইলে ভোল্টেজ +৪.৫ ভোল্ট পাওয়া গেলো) তখন এই সার্কিট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটকে অফ করে ফেলবে।
৩. Over Voltage Protection (OVP) : কোন আউটপুট রেইলের ভোল্টেজ যদি টলারেন্স লিমিটের চেয়ে বেড়ে যায় (যেমন +১২ ভোল্ট রেইলে ভোল্টেজ +১২.৮ ভোল্ট পাওয়া গেলো) তখন এই সার্কিট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটকে অফ করে ফেলবে।
৪. Over Current Protection (OCP) : কোন আউটপুট রেইলে লিমিটের চেয়ে অতিরিক্ত কারেন্ট ফ্লো করলে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট অফ হয়ে যাবে, যেমন কোন পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট +১২ ভোল্ট রেইলে সর্বোচ্চ 25A কারেন্ট দিতে পারে, এখন এমন একটি কম্পোনেন্ট ওই রেইলে লাগানো হল যেটি রান করতে 30A পরিমান কারেন্ট লাগে সেক্ষেত্রে এই সার্কিট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটকে অফ করে ফেলবে।
...
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের অনেক ব্র্যান্ড আছে কোন ব্র্যান্ডের আবার বিভিন্য সিরিজ থাকে যেমন Thermaltake একটি ব্র্যান্ড এবং এই ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের অনেক সিরিজ আছে যেমন lightpower সিরিজ, Smart সিরিজ, Smart SE সিরিজ, TR2 সিরিজ, Toughpower সিরিজ ইত্যাদি।
আবার Gigabyte এর Odin Pro সিরিজ, Superb সিরিজ, Sumo সিরিজ, ODIN GT সিরিজ, GreenMax Plus সিরিজ, PLUS সিরিজ, PoweRock AX সিরিজ, Hercules সিরিজ ইত্যাদি।
Corsair এর RM, সিরিজ, CX সিরিজ, CS সিরিজ, VS সিরিজ, AX সিরিজ, HX সিরিজ ইত্যাদি।
Cooler master ব্র্যান্ডের Elite Power সিরিজ, GX সিরিজ, V সিরিজ, Thunder সিরিজ, B সিরিজ, Silent Pro Platinum সিরিজ ইত্যাদি।
সিরিজ ব্র্যান্ডের সব গুলা সিরিজ এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ভালো হবে এমন না, যেমন thermaltake এর lightpower সিরিজ টা ফালতু, আবার Toughpower সিরিজটা অত্যান্ত ভালো। আবার গিগাবিটের Superb সিরিজ, Hercules সিরিজ তেমন ভালো নয় কিন্তু Sumo সিরিজ, Odin Pro সিরিজ, GreenMax Plus সিরিজ, PLUS সিরিজ গুলা খুবই ভালো। ব্র্যান্ডের একটি সিরিজ খারাপ মানে ঐ ব্র্যান্ডের অন্যান্য সিরিজ খারাপ হবে এমনটা না।
যেমন গিগাবাইটের Superb সিরিজ ও Hercules সিরিজ তেমন ভালো নয় সেই জন্য অনেকে গিগাবাইট কে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের জন্য খারাপ ব্র্যান্ড মনে করে, এই ধারনা ভুল। গিগাবাইট Odin Pro সিরিজ, PLUS সিরিজ,, PoweRock AX সিরিজ ফাটাফাটি, আর প্লাটিনাম গ্রেডের Sumo সিরিজের তো কথাই নেই, রিসেন্টলি বাংলাদেশে PLUS সিরিজের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলা পাওয়া যাচ্ছে, অত্যান্ত ভালো কোয়ালিটির এবং দামও তুলনামুলক অনেক কম।
Tharmaltake এর Light Power সিরিজ খারাপ হলেও প্লাটিনাম গ্রেডের Toughpower Grand Platinum সিরিজটিও অস্থির, তাছাড়া Corsair এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গুলা অনেক ভালো এবং এর অনেক গুলো সিরিজ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। আমি মনে করি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের জন্য অন্তত ৩০০০-৩৫০০ টাকা বাজেট রাখা উচিত কারন এর নিচে ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট পাওয়া খুব কঠিন, আপনাদের সুবিধার একটি রেঞ্জ দিয়ে দিচ্ছি।
...
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনতে যাবার আগে আপনার পিসির কম্পোনেন্ট গুলার জন্য কত পাওয়ার দরকার সেটা হিসাব করে যাওয়া উচিত, পিসির সবচেয়ে পাওয়ার হাংরি কম্পোনেন্ট দুটি হচ্ছে সিপিইউ এবং ভিডিও কার্ড
একটি রেগুলার মাদারবোর্ডের জন্য ২৫-৪০ ওয়াট পাওয়ার দরকার হয়। একটি হাই এন্ড গেমিং মাদারবোর্ড জন্য ৪৫ থেকে ১০০ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার দরকার হয়।
একটি DDR2 র্যামের জন্য সর্বোচ্চ ৪.৫ ওয়াট পাওয়ার লাগে, এবং প্রতিটি DDR3 র্যামের জন্য সর্বোচ্চ ৩ ওয়াট পাওয়ার দরকার হয়।
.
গ্রাফিক্স কার্ডের উপর আমার লেখা টিউন টি দেখতে পারেন এখানে
.
কিছু ইনফরমেশন ও ছবি গুলো ইন্টারনেট থেকে কালেক্ট করা হয়েছে।
কৃতজ্ঞতাঃ আসিফ আন্দালিব হক (তিয়ান)
আজকে এই পর্যন্তই, ভবিষ্যতে আবার দেখা হবে।
আমি শুভ্র আকাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 72 টি টিউন ও 1922 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জাস্ট গিগা টিউন,প্লিস নিয়মিত টিউন করবেন আপনার টিউন গুলো অনেক মিস করি ।অনেক দিন পর আপনার Activity পেয়ে ভালো লাগছে ।