গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশার আদ্যোপান্ত! ক্যারিয়ার গড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনে

Level 6
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

ডিজিটাল সেক্টরে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বললেই প্রথমে চলে আসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কথা। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয় এবং উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন একটি স্কিল। তাইতো বর্তমান জেনারেশন এর একটা বিশাল অংশ দিনকে দিন এই পেশায় নিজেকে যোগ্য করে তুলছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর আছে হরেক রকম সেক্টর তাই কাজ পাওয়া নিয়ে খুব একটা চিন্তায় পড়তে হয় না। তবে কাজ শিখতে হবে শতভাগ নিখুঁত ও চমৎকারভাবে।

অনেকেই হয়তো জানেন না এই গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কী, কেনই বা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর এতো গুরুত্ব। তাই ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনার সময় এই সেক্টর সম্পর্কে কোনো বিষয় মাথায়ই আসে না। আজকের টিউনে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা থাকবে। তাই যারা ডিজিটাল সেক্টরে ক্যারিয়ার নিয়ে আগাতে চান তাদের জন্য আজকের টিউনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কী?

গ্রাফিকস ডিজাইন এর সংজ্ঞা

কোনো কাল্পনিক চিত্র, তথ্য বা টেক্সট কে ডিজিটাল ডিভাইস এর মাধ্যমে দৃশ্যমান চিত্রে পরিণত করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। Poster, ব্যানার, ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশের যে সকল ডিজাইনগুলো দেখতে পাই তার সবকিছুই মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অন্তর্ভুক্ত। কম্পিউটার সফটওয়্যার বা অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার এর বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে ডিজাইন এক্সপার্টরা তাদের সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তোলে ঠিক যেমন শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে কাগজে নকশা ফুটিয়ে তোলে। ডিজাইন গুলো হতে পারে কোনো তথ্য নির্ভর, কোনো পরিসংখ্যান নির্ভর, কোনো প্যাটার্ন নির্ভর কিংবা একদমই কাল্পনিক।

এই ডিজাইন গুলো প্রিন্ট করে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে, তাছাড়া ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলোতেও বিভিন্ন ডিজাইন প্রয়োজন হয়। আর অনলাইন কিংবা অফলাইনে যে ডিজাইন আমরা দেখি তার সবই হয় হাতে আঁকা নয়তো তা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অবদান। তাহলে বলা যায় আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্স ডিজাইন কোনো না কোনো ভাবে জড়িত। সুতরাং বুঝতেই পারছেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বাজার মূল্য কতটা বেশি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার

গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে সব সেক্টরেই কম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ডিজিটাল সেক্টর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সহ সব সেক্টরেই গ্রাফিক্স ডিজাইন সমানভাবে গুরুত্ব বহন করে। এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যবহার সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

১. পোশাক শিল্পে গ্রাফিক্স ডিজাইন

আমাদের দেশের পোশাক শিল্প পুরো বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত এটা আমরা সকলেই জানি। একটি পোশাকের মূল কাঠামো প্রথমে একজন ডিজাইনার তার ডিজিটাল ডিভাইসে তৈরি করে। তারপর ঐ ডিজাইন অনুযায়ী পোশাকটির সঠিক আউটপুট তৈরি করা হয়৷ অবশেষে সবগুলো পোশাক এর প্রোডাকশন হয়। এক্ষেত্রে একটি পোশাক তৈরির প্রথম স্টেপ কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর হাতেই সম্পন্ন হয়।

এরপর আসে পোশাকের প্রিন্ট করার চ্যাপ্টার। যে কোনো পোশাকে প্রিন্ট করার জন্য মূল ডিজাইন একজন গ্রাফিকস ডিজাইনার তার কম্পিউটারে প্রস্তুত করে। সেই ডিজাইন সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন পোশাকে প্রিন্ট করা হয়। শুধু প্রিন্ট না, যে কোনো নকশা বা ডিজাইন পোশাকে ফুটিয়ে তোলার আগে তা ডিজিটাল ডিভাইস এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

সুতরাং বলা যায় পোশাক শিল্পের একটি বড় অংশ গ্রাফিকস ডিজাইন এর ওপর নির্ভর করে আছে।

২. শিক্ষা ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন

এই যে শিক্ষার্থীদের রং বেরঙের বই, খাতা, ডায়েরি এগুলোও কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর হাত ধরে বাজারে এসেছে। একটি বইয়ের কভার পেইজ থেকে শুরু করে একদম শেষের মলাট পর্যন্ত প্রতিটি ডিজাইন তৈরি করা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে। বইয়ের ভেতরের যে প্যাটার্ন বা নকশা তা-ও একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর সাহায্যে করিয়ে নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তা সকল বইয়ে প্রিন্ট করে দেয়া হয়।

একই ভাবে অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রীর প্রতিটি ডিজাইন করা হয় এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে। তাই শিক্ষাসামগ্রী তৈরির যত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার প্রতিটিতেই গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কর্মসংস্থান রয়েছে।

৩. ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন

ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলোর বেশিরভাগই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কল্যাণে প্রস্তুত করা ও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। যেমন একটি ওয়েবসাইট এর পুরো ফ্রন্ট পেইজের ডিজাইন তৈরি করা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর সাহায্যে। তাছাড়া ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা প্রতিটি ছবি, কনটেন্ট কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত ব্যবসায়িক কভার ফটো, ব্যবসায়িক পেইজের যাবতীয় সেটআপ আরও আকর্ষনীয় করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অবদান রয়েছে। ডিজিটাল সিভি তৈরি, ব্যবসায়িক লোগো তৈরি, ওয়েবসাইট এর ডিজাইন তৈরি, ডিজিটাল ফটো তৈরি থেকে শুরু করে আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ডিভাইসের যে কোনো ডিজাইন গ্রাফিকস ডিজাইন এর কল্যাণেই প্রস্তুত করা হয়েছে।

৪. Poster, ব্যানার, লিফলেট তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন

যে কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা লিফলেট, Poster কিংবা ব্যানার ব্যবহার করি। এই Poster বা ব্যানারের ডিজাইন গুলো করে থাকেন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। তাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কল্যাণে আমরা পাই রং বেরঙের Poster ও ব্যানার। মার্কেটিং এর একটি জনপ্রিয় উপায় এই Poster ও লিফলেট। সুতরাং শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং নয় বরং তথাকথিত মার্কেটিং পদ্ধতিতেও গ্রাফিক্স ডিজাইন সমান তালে অবদান রেখে যাচ্ছে।

একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য যে সকল গুনাবলি প্রয়োজন

একজন প্রফেশনাল গ্রাফিকস ডিজাইনার হওয়ার জন্য যে সকল গুনাবলি প্রয়োজন

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজে প্রতিযোগী কম বিধায় এই সেক্টরের খুব সহজেই কাজ পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ মূলত সবাই করতে পারে না। এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন এক্সপার্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিছু গুনাবলি ও দক্ষতা। এখানে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর বিশেষ কিছু কোয়ালিটি তুলে ধরা হলো।

১. বেসিক কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর পুরো কাজ মূলত কম্পিউটার নির্ভর। কেননা প্রফেশনাল ভাবে কাজ করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রফেশনাল সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করতে হবে। আর এই সফটওয়্যার গুলো কম্পিউটারে পরিচালনা করার জন্য প্রথমেই আপনাকে বেসিক কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কেননা আমরা সবাই জানি কম্পিউটারে অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ শিখতে হলে প্রথমে অবশ্যই বেসিক লেভেলের কাজগুলো জেনে নিতে হবে।

২. সৃজনশীলতা থাকতে হবে

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে সৃজনশীলতা থাকতে হবে। কেননা তার মূল কাজই হলো ডিজাইন করা। সুতরাং একজন ডিজাইনার যত বেশি সৃজনশীল হবে ঠিক ততটাই দক্ষতার সাথে নতুন নতুন কাজ তার ক্লায়েন্টকে উপহার দিতে পারবে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ডিজাইন আউটপুট করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনার সৃজনশীলতার ওপর।

মনে রাখবেন, আপনি অনেক অনেক ডিজাইন কপি করে মার্কেটে বেশ কিছুদিন টিকে থাকতে পারবেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার চিন্তা ভাবনা থাকলে কিংবা তুলনামূলক বেশি আয় করতে চাইলে আপনাকে দিন দিন ক্রিয়েটিভ ডিজাইন আউটপুট করতেই হবে।

৩. প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন দেখা যতোটা সহজ তা বস্তবে রূপান্তর করা কিন্তু ততোটাও সহজ না। কেননা এই কাজে আপনাকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে এবং অনেক ক্রিটিক্যাল স্তর প্রতিনিয়ত পাড় হতে হবে। তাই যথেষ্ট ধৈর্য না থাকলে শেষ পর্যন্ত আপনি কাজ শিখে এক্সপার্ট হতে পারবেন না। মূলত ঠিক এই কারনেই গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে প্রতিযোগিতা খুব বেশি একটা থাকে না। কেননা শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে টিকে থাকাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি যে সকল সেক্টরে কাজ করতে পারবেন

গ্রাফিকস ডিজাইনার হিসেবে আপনি যে সকল সেক্টরে কাজ করতে পারবেন

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার দের কাজের ক্ষেত্রে বেশ বৃহৎ। মুক্ত পেশা থেকে শুরু করে তথাকথিত চাকরিতে যোগদান করে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাসে বেশ ভালো একটি অ্যামাউন্ট আয় করতে পারবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজের কয়েকটি ক্ষেত্র সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

১. গার্মেন্টস সেক্টরে চাকরি

গার্মেন্টস বা তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানায় মাসিক বেতনভুক্ত অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার কাজ করছে। অনেকেই মূলত গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করার জন্য গ্রাফিকস ডিজাইন শিখে থাকে। এই সেক্টরে চাকরির সুযোগ যেমন বেশি তেমন খুব হ্যান্ডসাম একটি বেতন পাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই আপনি যদি মোটামুটি ভালো ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখে যান তাহলে গার্মেন্টস সেক্টরে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

২. সরকারি চাকুরি

বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যক্তিগত ডিজাইনিং এর কাজের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। তাই যারা সরকারি চাকুরি করতে আগ্রহী তাদের জন্যও কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার থেকেও আপনার পেশাগত দক্ষতা খুব বেশি কাজে আসবে। সুতরাং সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাইলে এই এক্সট্রা স্কিল টি আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হয়ে উঠবে।

৩. ফ্রিল্যান্সিং

ডিজিটাল সেক্টরের যতোগুলো স্কিল রয়েছে তার সবগুলো স্কিল ব্যবহার করেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর উচ্চ চাহিদা রয়েছে। দেশী বিদেশি বিভিন্ন ক্লায়েন্ট তার প্রতিষ্ঠানের জন্য কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ফ্রিল্যান্সার দের কাছ থেকে নানান ডিজাইন করিয়ে নেয়। বিনিময়ে তাদের চুক্তি ভিত্তিক পারিশ্রমিক প্রদান করে।

ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু একটি মুক্ত পেশা তাই বেশিরভাগ গ্রাফিক্স ডিজাইনার এই সেক্টরের দিকে বেশি আগ্রহী হয়। চাইলে আপনিও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে কাজের যেমন কোনো ধরাবাঁধা সময় থাকবে না তেমনই আয়েরও কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।

৪. ট্রেনিং সেন্টার চালু করে

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখতে আগ্রহী এমন স্টুডেন্ট এর অভাব নেই। কিন্তু তারা একজন বিশ্বস্ত ট্রেইনার পায় না বিধায় ভালোভাবে কাজ শিখতে পারে না। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারেন তাহলে নিজেই একটি ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে পারবেন। ট্রেইনার হিসেবে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক বা কোর্স ফি এর বিনিময়ে আপনি অন্যদের গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখাতে পারবেন।

চাইলে আপনি অনলাইন কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। কেননা বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স এর মার্কেট ভ্যালু বেশ উচ্চ। তাছাড়া নিজ লোকালয়ে একটি অফলাইন ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে পারেন৷ এখানে বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এর পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্লাসগুলো রাখবেন৷ আশাকরি এভাবে খুব দ্রুত আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন ট্রেইনার হিসেবে নিজের সুনাম কুড়াতে পারবেন৷

আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি স্কিল যা কখনও অকেজো পড়ে থাকবে না। সঠিক ভাবে কাজ জানলে কর্মসংস্থান হবেই। বিশেষ করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই সেক্টরের কর্মসংস্থান সবথেকে বেশি হয়ে থাকে।

শেষকথা

গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত তাদের জন্য যারা সত্যিই ডিজিটাল সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চায়৷ তাই সবকিছু বিবেচনা করে যদি মনে হয় আপনি এই সেক্টরে সফল ভাবে কাজ করতে পারবেন তবেই এদিকে প্রচেষ্টা শুরু করুন। আশাকরি খুবই ভালো একটি ক্যারিয়ার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আজ থেকেই নিজের বেসিক লেভেল মজবুত করে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ওপরে প্রশিক্ষণ শুরু করতে পারেন।

আশাকরি গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায় আগাবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নিতে পেরেছেন। আপনার ক্যারিয়ার এর একটি সঠিক পথ তৈরি হোক এই প্রত্যাশা রইলো। টিউনটি ভালো লাগলে একটি জোসস করে দিবেন প্লিজ। ডিজিটাল সেক্টরে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত নতুন নতুন টিউন পেতে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।

Level 6

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 মাস 1 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস