আগে ডিজাইনাররা প্রিন্ট সংস্করণের মাধ্যমে তাদের ডিজাইন প্রদর্শন করতেন কাজের জন্য। তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স/ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার অনলাইনেই তাদের পোর্টফোলিও প্রদর্শন করতে পারেন। এটি মূলত যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাদের জন্য অবশ্যই জরুরী। কারণ আপনি কি কাজ জানেন সেটি এই পোর্টফোলিওর মাধ্যমেই প্রকাশ পাবে।
এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন পোর্টফোলিও প্রদর্শনের সেরা ৫টি মাধ্যম সম্পর্কে জানানো হলো।
আপনি প্রতিদিন যে ওয়েবসাইট নিয়মিত ব্যবহার করেন সেখানেই আপনি আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন। যেটি পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী যে কেউ দেখতে পারবে। যেমন- আপনি ফেইসবুকে একটি পেইজ খুলতে পারেন। এছাড়া পিন্টারেস্টে একটি বোর্ড তৈরি করতে পারেন। সেখানে আপনার পুরাতন কাজ ও নতুন কাজগুলো নিয়মিত আপলোড করতে পারবেন। আপনি পিন্টারেস্টেই আপনার আপডেটেড সিভি ও যোগাযোগের তথ্যগুলো পিন করে রাখতে পারবেন।
আপনি ফেইসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রামসহ যেসব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন সেখানে একটি কাস্টম হ্যাশট্যাক (#…) ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চাকরি/কাজ পেতে সুবিধা হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার ডেভিড মাসের কথাই ধরি। তিনি ইনস্টাগ্রামে তাদের ডিজাইনগুলো আপলোড করোর সময় #InstagramVitae এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতেন। আর এর মাধ্যমে তিনি স্পেনের একটি প্রিমিয়ার স্পোর্টস কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যান। এভাবে হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে যেকোনও কাজ কিংবা তথ্য দ্রুত ব্যবহারকারীদের পৌছে দেওয়া যায়।
আপনি যদি কোডিং এ দক্ষ না হন, সেক্ষেত্রে বিনামূল্যের ওয়েবসাইট যেমন Wix.com, অথবা অন্য কেনাও ইউজার ফ্রেন্ডলি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন, যেটা বিনামূল্যে টেমপ্লেট ও হোস্টিং সেবা দেয়। তবে যদি আরও ভালো সেবা নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ফি প্রদান করতে হবে। ওয়েবসাইট বিল্ডার ফ্রিল্যান্সার অথবা ব্যক্তিগতভাবে কাজ করা ডিজাইনারদের ডিজাইন সবার সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়ক।
আপনি যদি ভালো ডিজাইন জানেন ও কোডিং করতে পারেন তখন সেটা সবার সামনে উম্মুক্ত করা প্রয়োজন। বিনামূল্যের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে অনেক সময় নিজের মনের মতো ডিজাইন করা সম্ভব না। তাই নিজে ডিজাইন জানলে ও কোডিং করতে পারলে অবশ্যই সেটি করুন। সেখানে কিভাবে পোর্টফোলিও ফুটিয়ে তোলা যায় সেটা আগে ভালোভাবে বিশ্লেষন করেই ওয়েবসাইটটি তৈরি করুন। ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে আপনার করা ডিজাইনগুলো সেখানে আপলোড করে সেটা সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তায় মোবাইল অ্যাপসের গুরুত্ব নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। তাই নিজের কাজকে সবার সামনে মেলে ধরতে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু অ্যাপস প্লাটফর্মও রয়েছে। মিনিমাল ফোলিও, মরফোলিও, বিহ্যান্সসহ বেশ কিছু অ্যাপস প্লাটফর্ম রয়েছে যা আপনাকে ছবি ও ভিডিও আপলোডের সুযোগ দেবে। এসব অ্যাপের সুবিধা হলো আপনি পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার কাজ শেয়ার করা ও আলোচনা করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইমেইলে শেয়ার করার সুবিধাও থাকছে।
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে: এখানে
আমি তুসিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 49 টি টিউন ও 555 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তুসিন আহমেদ । আমার ব্লগ http://tusin.wordpress.com/ফেইসবুকে আমি facebook.com/tusin.ahmed and yahoo তে [email protected]
খুব ভালো। গ্রাফিক ডিজাইনে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য অবশ্য লক্ষনীয় পোস্ট।