আমাদের প্রায় সময় গুগলের কাছে লেখালেখি করতে হয়। কারণ গুগলের ভিতর সবকিছুই লুকিয়ে আছে শুধু টাইপ করলে, বিষয়টি google তুলে ধরে।
আপনারা কি জানেন গুগলে এত তথ্য প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হয়েই যায়। যারা প্রকাশ হোক বা google এ প্রকাশ করে থাকে, তারা বিভিন্ন উপায়ে google থেকে টাকা ইনকাম করে।
গুগল থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। যদিও এই বিষয়টি আপনাকে এখন হয়তো না বললেও হত! কিন্তু তবুও বললাম কারণ অনেকে বিশ্বাস এখনো করতে দ্বিধাবোধ করে। যাই হোক আজকে আমরা গুগল থেকে উপার্জন করার ১০ টি মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো!
১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- এ Google থেকে উপার্জন
২. সিপিএ মার্কেটিং- এ Google থেকে উপার্জন
৩. ফেসবুক মার্কেটিং- এ Google থেকে উপার্জন
৪. ইউটিউব মার্কেটিং- এ Google থেকে উপার্জন
৫. ওয়েবসাইট ডেভলপার- এ Google থেকে উপার্জন
৬. এপ ডেভলপার- এ Google থেকে উপার্জন
৭. ভিডিও এডিটর- এ Google থেকে উপার্জন
৮. ব্লগিং- এ Google থেকে উপার্জন
৯. প্রোগ্রামিং- এ Google থেকে উপার্জন
১০. রাইটিং- এ Google থেকে উপার্জন
উপরোক্ত ১০ টি মাধ্যমে গুগল থেকে উপার্জন করা সম্ভব। উপরোক্ত ১০ টি মাধ্যম ছাড়া যে গুগল থেকে উপার্জন করা যায় না সেটা তাও না। মাধ্যম অনেক আছে তবে টপ লেভেলে এই দশটি মাধ্যম খুবই জনপ্রিয়। তবে এখন চলুন এই দশটি মাধ্যমে গুগল থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়? বিস্তারিত জেনে আসি!
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করা। অর্থাৎ আপনি সেই কোম্পানির পণ্যগুলো শুধু গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিবেন। যদি গ্রাহক ক্রয় করে তাহলে তার থেকে কিছু কমিশন সেই নির্দিষ্ট কোম্পানি আপনাকে দিবে।
গুগলে টাকা উপার্জন করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সরাসরি মোবাইল ফোন দিয়েও সম্ভব। আপনি চাইলে ঘরে বসেই ভালো একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গুগলে আজ থেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন।
সিপিএম মার্কেটিং নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন লোক তাদের প্রতিষ্ঠান প্রচারের লক্ষ্যে, টিউন করে। আপনি তাদের নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান যত বেশি প্রচার করবেন, নিয়ম অনুযায়ী ততো কমিশন পাবেন।
স্কুল থেকে উপার্জন করার সেরা মাধ্যম সিপিএম মার্কেটিং। সিপিএম মার্কেটিং মোবাইল ফোন দিয়েও করা যায়। যদিও কম্পিউটার ল্যাপটপ হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। কারণ সিপিএম মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলির সিস্টেম এবং ভার সাধারণ মোবাইল ফোন অনেক সময় নিতে পারেনা। তবে আপনি চাইলে সিপি মার্কেটিং ছোট ছোট প্লাটফর্ম থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক সকলেরই চেনা একটি সোশ্যাল মিডিয়াম। ফেসবুকে মার্কেটিং করে বর্তমান সময়ে হাজারও মানুষ নিজের ক্যারিয়ার গঠন করে নিয়েছে। বর্তমানে আপনিও ফেসবুকে মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। তেমন দক্ষতা না থাকলেও ফেসবুক মার্কেটিং করতে তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না। ফেসবুক গ্রুপ পেজ অথবা প্রোফাইল সব কিছুতে এখন ফেসবুক অর্থ উপার্জন করার সুযোগ করে দিয়েছে।
ফেসবুক মার্কেটিং অনেকেই অনেকভাবে করে থাকে। তবে আপনার শুরুটা আস্তে আস্তে হলে ভালো হবে। কারণ ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম এক এক সময় এক এক ধরনের নিয়ম নীতি প্রকাশ করছে। তবে এটা বলতে পারি লেগে থাকলে ফেসবুক মার্কেটিং করে যে কেউ নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে।
ইউটিউব হলো ভিডিও শেয়ার করা দুর্দান্ত এক প্ল্যাটফর্ম। আপনি ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। যদিও এখনকার সময়, একটা ভিডিও তৈরি করা কয়েক মিনিটের ব্যাপার।
আপনি ছোট ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন কিংবা বড় ভিডিও উভয় ক্ষেত্রে ইউটিউব আপনাকে টাকা দিবে। তবে শুরুর দিকে ধৈর্য হারা হলে চলবে না, ধৈর্য ধরে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ও youtube এর সকল নিয়ম নীতি মেনে কাজ করতে হবে।
একটি ওয়েবসাইট development এর চাহিদা বর্তমান সময়ে প্রচুর পরিমাণে। আপনি ওয়েবসাইট ডেভেলপার হিসেবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে যেতে পারেন।
অনলাইনে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে, তাদের কাছে জনপ্রিয় একটি দক্ষতা হচ্ছে ডেভলপার। এই ডেভলপার একবার হতে পারলে তার ক্যারিয়ার নিয়ে আর চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। কারণ ডেভলপার google থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পায়। (যার মূল কারণ গুগল ডেভলপারদের ভালোবাসে!)
আমরা প্রায় সময় মোবাইলে হোক কিংবা কম্পিউটারে অ্যাপ প্রয়োজন হবেই। এই অ্যাপ ডেভলপার হতে পারলে এটিও আপনার ক্যারিয়ারের জন্য দুর্দান্ত এক দক্ষতা। যে দক্ষতার মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ারের জীবন পাল্টে যাবে।
অনলাইনে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ব্যাপক চাহিদা যেটা গুগলে অনুসন্ধান করলে বুঝতে পারবেন। আর অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটে শুধু ঢুকলেই হয় কাজের অভাব হবে না। কারণ অ্যাপ ডেভেলপারদের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক পরিমাণে বাড়ছে!
ভিডিও এডিটর হিসেবে অনলাইনেও কাজ করা যায়। আপনি হয়তো এটা একটু হলেও শুনেছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বর্তমান সময়ে খুবই চমৎকার উপস্থাপন দিয়ে থাকে! এই উপস্থাপন এক রোবট দিলেও মানুষের মতো সরাসরি সে ভিডিও এডিট করতে পারবে না।
তাই অনলাইনে অর্থাৎ গুগল থেকে উপার্জন করার সেরা একটি মাধ্যম হলো ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করা। ভিডিও এডিট করে আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
আপনি হয়তো গুগলে বিভিন্ন ব্লগ পড়ে থাকবেন। এই ব্লগ পড়ে অনেকেই গুগল থেকে অর্থ উপার্জন করে। তাই আপনি চাইলে এখন থেকে ব্লগিং সেটিও করতে পারেন।
ব্লগিং এ নির্দিষ্ট বিষয়টি সিলেক্ট করে নির্দিষ্ট কন্টেন্ট বা আর্টিকেল প্রকাশ করা। (এতোটুকুই কাজ) আর নির্দিষ্ট ব্লগিং ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপণ বসিয়ে মাসে লাখ টাকা ও উপার্জন সম্ভব।
বর্তমানে অনলাইনের দুনিয়া হলো এক প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং শিখলে আপনিও অনলাইনে অনেক উন্নয়ন কিছু করতে পারবেন। আর এই উন্নয়ন প্রতিনিয়ত বাড়তেই আছে।
সুতরাং আপনি গুগল থেকে উপার্জন করতে চাইলে সবচেয়ে বড় ও চাহিদা সম্পন্ন এবং উপযোগী মাধ্যম প্রোগ্রামিং। একবার প্রোগ্রামার হয়ে গেলে অনলাইন থেকে টাকা পাওয়ার জন্য হয়ে যাবে হাতে-খড়ি।
গুগল থেকে উপার্জন করার বড় একটি মাধ্যম হলো রাইটিং। অনলাইনে রাইটিং করার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণে অনলাইন বেশিদিন ধরে নয় পৃথিবীতে প্রকাশিত হয়েছে। আশা করা যায় এই অনলাইনের প্রযুক্তি আস্তে আস্তে আরো উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে।
এরই ফাঁকে অনলাইনে লেখালেখি কিংবা আর রাইটিং খুবই প্রয়োজন। তাই আপনি যদি গুগল থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে রাইটিং কাজ করতে পারেন। রাইটিং কাজ মোবাইল দিয়েও সম্ভব এমনকি এই মোবাইল ডিভাইসটি ব্যবহার করে অনলাইনে রাইটিং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।
আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। Techtunes প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন রাইটার সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল নিয়মিত লিখে থাকে। সুতরাং এই আর্টিকেল গুলি ভালো লাগলে আমাদের সাথে থাকবেন। আমরা Techtunes প্ল্যাটফর্মে আরো ভালো ভালো আর্টিকেল প্রকাশ করার চেষ্টা করবো! আবারো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোহাম্মদ মুন্না। Author, TechTunes, Jashore sadar। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
Student!