ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সকলেই গুগলের সঙ্গে পরিচিত। বর্তমানে গুগলকে ইন্টারনেট এর রাজা বললেও কম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেইন ভিউ শহরে অবস্থিত গুগলের প্রধান কার্যালয়। মানুষের কাছে তথ্য সহজলভ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল একসঙ্গে এত বিষয় নিয়ে কাজ করে যে সবকিছুর হিসাব রাখাই কঠিন।
চলুন, আর কথা না বারিয়ে কাজে যাওয়া যাক।
- গুগলের প্রতিষ্ঠাতা স্ট্যানর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রিন ।প্রতিনিয়ত নতুন সেবা, নতুন পণ্য দিয়ে বিশ্বে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলছে। বিজ্ঞাপন জগতে নিজেদের অবস্থান করেছে সুদৃঢ়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানী কিনে এবং অংশীদারিত্ব নিয়ে নিজেদের বহুমুখীতা সমৃদ্ধ করছে। তাই তো সার্চের পাশাপাশি ই-মেইল, ভিডিও শেয়ারং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি বিষয়ে গুগলের সেবা রয়েছে।
- গুগলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গুগলের মুল লক্ষ্য হচ্ছে "বিশ্বের যাবতীয় তথ্য সুবিন্যস্ত করা এবং সেগুলো সর্বসাধারণের জন্য উপযোগী করে প্রকাশ করা"। সময়ের সাথে নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা যোগ করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। একই সাথে নতুন কোম্পানি কিনে নিজেদের সাথে একীভূতকরণ, ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব ও বিজ্ঞাপন জগতে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ়ীকরণের মাধ্যমে নিজেদের বহুমুখিতাকে সমৃদ্ধ করেছে।
- ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এক বন্ধুর গাড়ির গ্যারেজে, ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে গুগলের যাত্রা শুরু হয় তখন দুই বন্ধুর টাকা ছাড়াও এই সময় তাদের পাশে দাঁড়ান সান মাইক্রো সিস্টেমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন্ডি বেথটোশেইম। কোম্পানি হওয়ার আগেই তিনি পেজ আর ব্রিনকে এক লাখ ডলার দেন। পরের বছর জুন মাসে দুটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গুগলে আড়াই কোটি (২৫ মিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগ করে। আর ২০০৪ সালে ৮৫ ডলারে গুগল শেয়ার বাজারে তাদের শেয়ার ছেড়ে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার জোগাড় করে! বিনিয়োগকারীরা যে ভুল করেনি, তার প্রমাণ হলো, মাত্র তিন বছরের মাথায় এর প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ৭০০ ডলারে!
- ২০০৪ সালে সার্চ ইনডেক্স নম্বর ৬০০ কোটির সীমানা অতিক্রম করে, যেখানে ৪২৮ কোটি ওয়েবসাইট ও ৮ দশমিক ৮ কোটি ছবি ছিল। অর্কুট নামে চালু করা হয়। এপ্রিলের ১ তারিখে জিমেইল চালু হয়। তবে সে সময় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হলে অন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেতে হতো। শেয়ারবাজারে গুগল তার শেয়ার ছাড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গুগল তার অফিস চালু করে।
- শেয়ারমূল্যের দিক থেকে মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলেছে গুগল। বর্তমানে গুগলের মোট শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪৯.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর অন্যদিকে মাইক্রোসফটের শেয়ারমূল্য ২৪৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবশ্য দুটি প্রতিষ্ঠানই অ্যাপলের থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। বর্তমানে অ্যাপলের মোট শেয়ারের মূল্য ৬১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। সার্চ ইঞ্জিন, অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এবং ইউটিউবের মাধ্যমে বাজারে নিজেদের শেয়ারমূল্য অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে গুগল।
- জুন ২০০০ সালে গুগল বিশ্বের সেরা সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
- জুন ২০০৬ এ, অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারী গুগল কে verb হিসাবে যুক্ত করে।
- গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ১৬ শতাংশের মালিক।
- ২০১০ এ গুগলের মোট সম্পত্তি ছিল ৫৭.৮৫১ বিলিওন ডলারের।
- প্রায় ১৬,০০০ লোকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে এই গুগল। গুগলের মোট আয় হচ্ছে ২.০৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(২০০৬), প্রতিনিয়তই গুগল সমৃদ্ধ করছে তাদের তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে গুগলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
- জানুয়ারি ২০০৩ এ, আমেরিকান ডিয়ালেক্ত সোসাইটি গুগলকে সবচাইতে প্রয়োজনীয় শব্দ হিসাবে ভোট দেয়।
- সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরুর পরে গুগলকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শুরুতে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবেই বিশ্ববাসীর কাছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় গুগল। ১৯৯৮ সালে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সালের জুলাই মাসেই ১০০ কোটি ওয়েবপেজের ইনডেক্স তৈরিতে সমর্থ হয়। ২০১১ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো এক মাসে ১০০ কোটি অনন্য ব্যবহারকারী গুগল ব্যবহার করেন। ২০১২ সালে গুগল'র রাজস্ব আয় ছাড়িয়ে যায় ৫ হাজার কোটি ডলার।
- প্রথম প্রথম গুগল প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ৩০-৫০ টি পেজ আনালাইজ করতে পারত। কিন্ত এখন কয়েক মিলিওন।
- পেজ এবং ব্রিন গুগলকে “What Box” বলে ডাকত। তাছাড়া ব্রিন “Wet box” বলেও ডাকত। যা সাধারনত বুঝাত কোন এক ধরণের কবিতার মত।
- আলেক্সা অনুযায়ী গুগল হল পৃথিবীর সবচাইতে বেশি ভ্রমন কৃত ওয়েবসাইট।
- গুগলের সার্চ ইনডেক্সের আকার ১০ কোটি গিগাবাইটেরও বেশি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে এই তথ্য জমা রাখতে চান, তবে তাঁর এক টেরাবাইট আকারের এক লাখ হার্ডড্রাইভের দরকার হবে।
- গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপারেটিং এর জন্য ১ বিলিয়ন সার্চ অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে ১ মিলিয়ন কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয় টাও আবার প্রতিদিন ।
- স্টিভ জবস তার মৃত্যুর ১ বছর পূর্বে গুগলের বিরুদ্ধে একটি পবিত্র যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কারন ছিল বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম Android চালু করা।
- আপনি যতই লুকানোর চেষ্টা করেননা কেন, গুগলের কাছ থেকে তা করা অসম্ভব। গুগল আপনাকে খুজে বের করবেই।
- প্রাথমিকভাবে ল্যারি পেইজ ও সের্গেই বিন তাদের কোম্পানির নাম রাখেন ‘ব্যাকরাব’। পরবর্তীতে এই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গুগল। তবে আজ আমরা যেই গুগলকে চিনি ও জানি যদি ভুল না হতো তাহলে সেটি আজ আমাদের কাছে “GOOGOL” নামেই পরিচিতি পেত। পরিকল্পনা গ্রহণের ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন গুগল ডট কম নামে একটি ডোমেইন নিবন্ধন করেন। কিন্তু তারা যেই ডোমেইনটি নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন সেটি না হয়ে ভুলবশত নিবন্ধিত হয় “Google” নামে। এ নিয়ে অবশ্য সে সময় তারা খুব মনোকষ্টে ভুগেন। Google শব্দের মানে যেটা দাঁড়ায় সেটা হলো এমন একটা অঙ্ক যেটা ১০ এর উপর একশ পাওয়ার! 10^100 = 10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000, 000,000,000, 000,000,000, 000,000, 000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000, 000,000.
- গুগলে প্রতি সেকেন্ডে ২০ লাখেরও বেশি সার্চ হয়।
- বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের লোগো পাল্টে ফেলে। আর এই পাল্টে ফেলা বিশেষ লোগোর নাম ‘ডুডল’। এখন পর্যন্ত গুগল ১৯০০-এর বেশি ডুডল প্রকাশ করেছে। ১৯৯৮ সালের ‘বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল’-এর জন্য প্রথম ডুডলটির ডিজাইন করেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রাইন। তবে বর্তমানে লোগোর ডিজাইন করার জন্য গুগলের একটি বিশেষ টিম রয়েছে, এই টিমের সদস্যদের ডাকা হয় ডুডলার নামে।
- ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন মিলে ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে প্রথম ডুডল তৈরি করেন। ‘তাঁরা অফিসের বাইরে আছেন এবং এ সময় কারিগরি কোনো ত্রুটির সমাধান করা যাবে না’—এই বার্তা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রথম ডুডলটি তৈরি হয়।
- স্ট্রিট ভিউ ম্যাপের জন্য গুগল এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ মাইল রাস্তার ছবি তুলেছে।
- শুধু গত বছর গুগল ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে কিনে নিয়েছে। অর্থাত্ প্রতি মাসে গড়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান কিনেছে গুগল।
- গুগলের ভিডিও সেবা ইউটিউবে প্রতি মাসে ৬০০ কোটি ঘণ্টারও বেশি ভিডিও দেখা হয় । অর্থাত্ যা বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের মাসে এক ঘণ্টা করে ভিডিও দেখার মতো।
- গুগলে যখন কোনো বিষয় সার্চ দেওয়া হয়, তখন আমরা খুব দ্রুত ফল দেখতে পাই। কিন্তু মজার বিষয় এই ফল দেখানোর আগে গুগল কমপক্ষে ২০০টি বিষয় বিবেচনা করে, তবেই তা প্রদর্শন করে।
- ২০১১ সালের প্রথম ফেব্রুয়ারি গুগলে রেকর্ড সংখ্যক ৭৫ হাজার চাকুরীর আবেদন জামা পড়ে মাত্র ৬০০০ কোঠার প্রেক্ষিতে।
- গুগলের প্রধান পাতা অর্থাৎ Google.com এ কোন বিজ্ঞাপন রাখা হয়না। যদি গুগল সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে তবে তার জন্য বিজ্ঞাপনদাতারা কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিত!
- গুগলের আয়ের ৯৯ শতাংশ আসে বিজ্ঞাপন থেকে ।
- ক্যালিফোর্নিয়া গ্যাজলিং নামের এক প্রতিষ্ঠান থেকে গুগল প্রতিবছর ছাগল ভাড়া করে থাকে! ছাগল শুনে হয়তো ভ্রু কুঁচকে ফেলছেন, আসলে এর পেছনে রয়েছে এক চমকপ্রদ কারণ। এই ছাগলগুলোর কাজ গুগল হেডকোয়ার্টারের পাশে জমে যাওয়া আগাছা আর ঘাস সাবাড় করা। ঘাস কাটার কাজে গুগল পরিবেশসচেতনই বটে!
- বর্তমানে ৪০০ বিলিয়নেরও বেশি মূল্যের গুগল কিন্তু ১৯৯৯ সালেই বেঁচে দিতে চেয়েছিলেন দুই প্রতিষ্ঠাতা। তখন দাম উঠেছিল মোটে এক মিলিয়ন ডলার! ভাগ্যিস শেষ পর্যন্ত আর মনে সায় দেয়নি ল্যারি ও ব্রাইনের!
- গুগলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষীই বলতে হয়। ২০২০ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীর প্রায় ১২৭ মিলিয়ন বই স্ক্যান করে নিজস্ব ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে গুগল। তা ছাড়া তারা এমন একটি কম্পিউটার বানানোর চেষ্টা করেছে, যেটি নিজেই প্রোগ্রাম লিখতে পারবে। বুদ্ধিমান কম্পিউটার বুঝি একেই বলে!
- গুগল হোমপেজ দেখা যায় প্রায় নব্বইটি ভাষায়। এর ভেতরে কিছু অদ্ভুত ভাষাও আছে। যেমন জনপ্রিয় মুভি সিরিজ স্ট্রারট্রেক-এ ব্যবহৃত ‘ক্লিংওন’ ভাষা কিংবা দ্য মাপেট সিনেমায় ব্যবহৃত ‘বর্ক বর্ক বর্ক’ ভাষা।
- গুগল সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে প্রায় এক মিলিয়ন সার্ভার চালায়। এক বিলিয়নের ওপর সার্চের অনুরোধ এবং প্রায় ২৪ পেটাবাইট ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে।
- ২০০৬ সালে কোম্পানিটি যখন মাউন্ট ভিউতে স্থানান্তরিত হয়, তখন থেকেই এটি সবদিকে বাড়তে শুরু করে। তথ্য খোঁজার পাশাপাশি বর্তমানে ইমেইল, সামাজিক নেটওয়ার্কিং, অফিস প্রোডাক্টিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে গুগলের সেবা রয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তি আর পণ্য দিয়ে গোটা ভূগোলের চেহারা পালটে দিচ্ছে গুগল।
- ২০০৭ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী ফোবস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় “এমেরিকাতে কাজের সেরা জায়গা গুগল” নামক প্রতিবেদন।
- গুগলে একটি “Chief Culture Officer” পদ আছে। তাঁর কাজ হল নতুন নতুন সংস্কৃতি তৈরি করা এবং গুগলের কর্মকর্তাদের সবসময় আনন্দে এবং খুশিতে রাখা।
- গুগল যখন প্রথম পথ চলা শুরু করে তখন টুইটারে তাদের প্রথম টুইট ছিলোঃ
I’m 01100110 01100101 01100101 01101100 01101001 01101110 01100111 00100000 01101100 01110101 01100011 01101011 01111001 00001010
যেটার মানে হলঃ I’m Feeling Lucky । এবং সেটি প্রকাশিত হয়েছিল ফেব্রুয়ারি ২০০৪।
- গুগলের সদস্যদের তারা ডাকে “Googler” কিন্তু যখন কোন নতুন সদস্য যোগ দেয়, তাকে ডাকা হয় “Noogler.”
- ১৯৯৮ সালে স্ট্যানফোর্ডের PHD স্টুডেন্ট হিসেবে থাকার সময় পেজ এবং ব্রিন কাজ করছিলেন Digital Library Project নিয়ে। Page Rank Algorithm নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের World Wide Web এ বেশ বড় পরিমাণের ডিস্ক স্পেসের দরকার ছিলো। কিন্তু তখন সবচেয়ে বড় হার্ডডিস্ক ড্রাইভের মেমোরি সাইজ ছিলো ৪ গিগাবাইট। তাই তারা কম দামে লেগো সেট দিয়ে বানানো একটি কেবিনেটে ১০টি হার্ড ড্রাইভের সমাবেশ ঘটান।
ধরুন, আপনি google.com লিখতে গিয়ে ভুল করে লিখে ফেললেন gogle.com কিংবা gooogle.com কিংবা googlr.com। কি ঘটবে তাহলে ? অন্য কোন ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস লিখতে গিয়ে ভুল করে থাকলে হয়তো বলা যেত যে আপনাকে Server Not Found মেসেজ দেখাবে। কিন্তু গুগল এর ক্ষেত্রে কোন চিন্তা নেই। কারন গুগল ইংরেজিতে লিখতে গিয়ে আমরা ভুল করে অন্য কি লিখতে পারি, সেগুলো মাথায় রেখে সেই ডোমেইনগুলোও কিনে রেখেছে গুগল। ফলে আপনি যদি উপরের ভুল করে থাকেন, তাহলেও আপনার সামনে হাজির হবে গুগল। এছাড়া আপনি যদি 466453.com এ প্রবেশ করেন, তাহলেও আপনি গুগলকেই পাবেন। কিভাবে ? আপনার ফোনের কীপ্যাড খুঁজে দেখুন 466453 এবং google এর মধ্যে কোন মিল খুঁজে পান কিনা।
তো আজ আর না। আমি টেকটিউনে নতুন। তাই ভুল ক্রুটি হলে আশা করি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং আপনাদের কাছ থেকে কিছু উপদেশও আশা করছি। আর মন্তব্য করতে ভুলবেন না যেন।
ধন্যবাদ
বিশাল তথ্যভান্ডার!!!
সত্যিই মনে রাখার মত একটি পোষ্ট।।।
প্রিয়তে রেখে দিলাম।।।