হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন। আমিও ভালো আছি। আর আজকের টপিকস আমাকে আরও ভালো করে দিছে। গুগল সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে দুইটাতেই আমার সমান মজা। কারণ গুগলের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কার না জানতে ভালো লাগে।
গুগল বিশ্বের সার্চ ইঞ্জিন জগতকে করেছে সমৃদ্ধ। গুগল না থাকলে আসলে কীভাবে যে এই অনলাইন জগতে পদচারনা করতো, তা ভাবতেই অবাক লাগে। টেকনোলজির এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে এই গুগল সম্মানজনক অবদান রাখে নাই। সেই ভার্চুয়াল জগত থেকে শুরু করে ফিজিক্যাল ইলেক্ট্রনিকস প্রডাক্ট পর্যন্ত এর ভেতর আছে। গুগলের আছে সুদর প্রসারি কিছু চিন্তা-ভাবান যা গুগলকে দিয়েছে মৌলিকত্ব।
গুগল সম্পর্কে জানার আসলে কোন শেষ নেই। গুগল নামে যেমন বিখ্যাত তেমনি অসাধারণ কিছু ঘটনাইও গুগল বিখ্যাত। গুগলের অজানা কিন্তু মজার ঘটনা নিয়ে বেশ বড় একটা আর্টিকেল প্রকাশ পায়। আমি চেষ্টা করছি সেখান অসাধারণ মজাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার।
আপনার সার্চকৃত বিষয়ে পারফেক্ট রেজাল্ট দেওয়ার জন্য গুগল মিনিমাম ২০০ ফ্যাক্টরকে পর্যবেক্ষণ করে, যাতে আপনাকে কয়েকসেকেন্ডে বেস্ট এবং আপনার চাহিদামতো ফলাফল সে দিতে পারে।
গুগল গুগলের নামের সাথে মিস-স্পেলিং জাতীয় অনেক ডোমেইন অধিকরণ করে আছে। যেমন, Gooogle.com, Gogle.com, Googlr.com এবং আরও অনেক। তাছাড়া গুগল 466453.com নিজেদের করে নিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যখন গুগল যাত্রা করে তখন প্রতি দিনে ৫ লাখ সার্চ হতো গুগলে, আর এখন প্রতি সেকেন্ডে ২ মিলিয়ন সার্চ হয় গুগলে।
গুগল স্ট্রেট ভিউ চালু হয় ২০০৭ সালে, যদিও এই সময়ের মধ্যেই ৭.২ মিলিয়ন মাইল তারা ফটোগ্রাফ করে ফেলেছে।
যখন স্ত্রিট ভিউ প্রথম চালু হয় এবং ইউএসএ এর ৫ টি রাজ্য ফটোশুট করা হয়, আর এই সময় মাত্র ৫ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হতো। আর এখন প্রত্যেকটা প্রদেশ স্ট্রিট ভিউয়ের মধ্যে এবং ৭৫ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
ইউটিউবে ৬ বিলিয়ন ঘণ্টা ভিডিও দেখা হয় প্রতি মাসে, যা পৃথিবীর সব মানুষের ১ ঘণ্টা।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ইউটিউবে এতো ভিডিও আসে কীভাবে? ব্যবহারকারী প্রতি মিনিতে ৩০০ ঘণ্টার ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবে।
শুধুমাত্র গত বছরে ১ বিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড ফোন বিক্রি হয়েছে।
গুগলের ৪০ টার বেশি দেশে ৭০ টা অফিসে ৫৩৬০০ কর্মচারী আছে। যাদের সবার লান্স গুগল বহন করে।
গুগলকে নতুন কিছু করতে এখন খুব বেশি ভয় পেতে হয় না। কারণ বিশ্বের সেরা ১০০ ধনীর ২ জন এই গুগলের প্রতিষ্ঠাতা।
গুগলের বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট থাকলেও, ২০১৪ তে ৬৬% রেভিনিউ আসে অ্যাড থেকে।
১৯৯৮ সালে প্রথম লেরি পেইজ এবং সারজি বিন গুগল ডুডল অবমুক্ত করে। নাভান্ডা মরুভুমিতে গুগল ক্রিউ পাঠানো উপলক্ষে, সেই উপলক্ষে এই ডুডল ছাড়া হয়।
গুগল সার্চ ইন্ডেক্সের ডাটা ১০০ মিলিয়ন গিগা-বাইট সাইজ যা একজন পার্সোনাল পিসি ব্যবহারকারীর ১ লাখ টেরাবাইট স্পেস নিবে সেই স্পেস পূরণ করতে।
মানুষ গুগলের উপর এতোটাই নির্ভর করে যে ৫ মিনিটের জন্য ২০১৩ সালে গুগল স্লো হয়ে যায়, তাতে বিশ্ব ইন্টারনেট ৪০% ট্রাফিক ড্রপ হয়।
I’m feeling lucky বাটনের ব্যবহার নাই বললেই চলে, তবে গবেষণায় দেখা গেছে ইউজার এটি সরায়ে নিলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।
গুগল ট্রান্সলেট বিশ্বের সম্ভাব্য সব থেকে বড় নেটওয়ার্ক।
গুগল নামটা অ্যাকসিডেন্টলি উৎপত্তি। স্পেলিং মিস্টেক ছিল এই। এটার মূল উচ্চারণ ছিল Googol
গুগল কর্মকর্তাদের ২০% সময় নিজেদের পছন্দমতো কাজ করতে বলা হয়। এমনকি Orkut গুগলের কর্মকর্তার ঐ টাইমের কাজের ফল।
গুগল যখন লেরি পেইজ এবং সারজে ব্রেইন দ্বারা প্রথম লাউন্স হয় তখন গুগলের মূল পেজে কোন কপিরাইট ইনফো ছিল না। কারণ তখন সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম তারা তৈরি করতে পারেন নি। শুধু সার্চ করার কিছু ইনফো এবং বক্স নিয়ে এটার যাত্রা শুরু।
গুগল ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাককে বেশ গুরুত্ব দেই, সেজন্য গুগলকে মেইল করা মানে ব্ল্যাকহোলকে জানানো নয়।
গুগল সার্চ জগতকে করেছে সুগঠিত। এই গুগল সমগ্র বিশ্বকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়, যা হয়তো আমরা কল্পনা করতে পারতাম না এক সময়। গুগল আছে বলেই ইন্টারনেট জীবন এতো সুন্দর। গুগল আছে বলেই ইন্টারনেট মানুষ এতো খোঁজা খুঁজি করতে মজা পায়। আমি নিজে চোখ বুজলে গুগল না থাকলে কি করতাম ভেবে পাই না।
যাইহোক গুগল সম্পর্কে অজানা আর কোন তথ্য থাকলে আমাকে টিউমেন্টে জানাতে ভুলবেন। দেখা টেকটিউনসে আবার অন্য কোন টপিকসে অন্য সময়।
ধন্যবাদ সবাইকে। 🙂
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
খুব সুন্দর লাগলো। ধন্যবাদ এই সুন্দর টিউন এর জন্য। I’m feeling lucky সম্বন্ধে এক্তু বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো।