আমরা পৃথিবীর যেখানেই জন্ম নেই না কেন,যদি এমন হত....শুধুমাত্র পৃথিবীর জন্ম নেওয়া একজন মানুষ হিসেবে কোন পাসপোর্ট ছাড়াই আমাকে বিশ্বের যেকোনো দেশে যাওয়ার স্বাধীনতা দিত.....কিন্তু বাস্তবে তা হইনা। আমার কাছে ইন্টারনেট এর জগৎটা একটা মহাবিশ্বের মতই। নামকরা Website গুলো এখানে এক একটা গ্রহ যেগুলো আলাদা আলাদাভাবে এই মহাবিশ্বে অবস্থান করছে।আর Google হল এই মহাবিশ্বের ( ইন্টারনেট মহাবিশ্ব ) সবচেয়ে বড় এবং পরিচিত গ্রহ।আর যখন আপনি Google এর যেকোনো একটি দেশে ( Google এর যেকোন সেবা ) একাউন্ট খুলবেন আপনি সাথে সাথে Google এর পুরো বিশ্ব ভ্রমন এর পাশাপাশি সকল সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন।তাই বলতে পারেন আপাতত ইন্টারনেট বিশ্বে Google সবার চাইতে এগিয়ে।
একটি একাউন্ট দিয়েই আপনি Google+,Google Map,Youtube,Gmail,Google Drive,Blogger,Google Docs সহ আরও অনেক সুবিধা,যা এখনও পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি।
আজকে Google একাউন্ট থাকার ফলে আপনি গুগল থেকে যেসব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তাই আজকে আলোচনা করব।আগেই বলি এই টিউনটি অনেক বড় হবে 😛 তাহলে শুরু করা যাক।
প্রথমত গুগল নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই আসে গুগল সার্চ এর কথা।বর্তমানে ওয়েবে সবচেয়ে বড় ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন।১৯৯৭ সালে ল্যারি পেজ এবং সার্গে ব্রিন ধারা গুগল সার্চ এর এই রুপ এর কাঠামো পাওয়া যায়। বর্তমানে Alexa Rank এ এক নম্বরে আছে এটি।কিন্তু আপনি একটি google একাউন্ট ছাড়াও গুগল সার্চ এর সব সুবিধা পেতে পারেন কেননা গুগল সার্চ এ কোন কিছু সার্চ করতে আপনাকে গুগল একাউন্ট খোলা লাগেনা।
তবে আপনি গুগল দিয়েই সবকিছু শুরু করবেন তথা অন্য সব সেবায় এই গুগল একাউন্টই আপনার পরম বন্ধু। তাই এখানে একাউন্ট লাগে বা না লাগে তা বেপার ন,এটাই আপনআকে জি একাউন্ট এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যা আপনার অন্য সবখানে কাজে লাগে।
সামাজিক যোগাযোগে গুগল এর অন্যতম একটি সৃষ্টি গুগল প্লাস। বর্তমানে ফেইসবুক এর পরেই এর স্থান! ২০১৩ সালেই এটি টুইটার কে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। বাংলাদেশে মানুষের মন খুব একটা জেতাতে না পারলেও অনেক দেশে এটাই সবার প্রিয় সামাজিক Website.
ধরুন,আপনার গুগল একাউনট আছে। তাহলে ওটা দিয়েই আপনি গুগল প্লাস এ প্রবেশ করতে পারবেন। গুগল প্লাস দিয়েই আপনার গুগল একাউন্ট পরিপূর্ণতা লাভ করে।আপনি আপনার গুগল একাউন্ট এর সকল পরিচিতি এই প্লাস দিয়ে দিতে পারেন।আপনি আপনার নাম,পরিচিতি,ছবি সহ সব কিছু সংরক্ষন করবেন গুগল প্লাস ধারা।মুলত গুগল প্লাস আপনার গুগল একাউন্ট এরই পূর্ণতা দেয় যা অন্য সেবাগুলোতে তা সুন্দরভাবে দেখানো সম্ভব হয়।আপনার জিপ্লাস থাকলে আপনি জিমেইল ইনবক্স থেকে কারও প্রাপ্ত ছবি বা তথ্য সরাসরি জিপ্লাস এ শেয়ার করার সুযোগ পাবেন জিমেইল ত্যাগ না করেই।আর গুগল প্লাস একাউন্ট আপনার গুগল একাউন্টকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।
আপনি গুগল একাউন্ট দিয়েই Youtube এর সকল সুবিধা পাবেন।প্রথমত ভিডিও আপলোড করার জন্য একাউন্ট লাগবেই।আপনি যখন একটি ভিডিও আপলোড করবেন তা আবার জি প্লাস এ শেয়ার করে Viewer বাড়াতে পারবেন।আপনি নিজের Channel তৈরি করতে পারবেন।এছাড়া আপনি আপনার পছন্দের Channel গুলোতে Subscribe করে সেগুলো আপনার চোখ এর সামনে রাখতে পারবেন।একাউন্ট ছাড়া আপনি ইউটিউব এ ভিডিও দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। 🙁
জিমেইল হল গুগল এর মেইল আদান প্রদান এর সেবা।আপনি যদি জিমেইল দিয়ে গুগল একাউন্ট না খুলেন তাহলে আপনাকে ওই একাউন্টে জিমেইল আইডি যোগ করাতে হবে।বর্তমানে জিমেইল এ নতুন ইনবক্স সিস্টেম চালু হয়েছে যা জিমেইল এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ বারাবে।আপনি জিমেইল এ গুগল প্লাস এর বন্ধুদের যোগ করিয়ে মেইল এ থেকেই ভিডিও চ্যাট,তথ্য শেয়ার সহ নানা সুবিধা পাবেন যা গুগল একাউন্ট ছাড়া সম্ভব নয়।
আমরা বেশিরভাগ মানুষ তখনই গুগল একাউন্ট এর প্রয়োজন বোধ করি যখন আমরা কোন Android স্মার্টফোন কিনি।তখন আমরা গুগল প্লে তথা গুগল স্টোর থেকে অ্যাপ নামাতে এইটা করি। এটা ছাড়া আপনি প্লে থেকে কোন অ্যাপ, Music,Movie কিছুই নিতে পারবেন না।গুগল একাউন্ট আপনাকে আপনার জিপ্লাস এর বন্ধুদের ব্যাবহার করা অ্যাপ দেখাবে।এছাড়া আপনি কোন অ্যাপ নেওয়ার জন্য আপনার বন্ধুকে Suggest করতে পারবেন।
আমরা প্রায় অনেকে ব্লগ করি আর ব্লগার হল গুগল এর তৈরি ব্লগ সাইট।এখানে আপনি Visitor বারান,ব্লগ পোস্ট বন্ধুদের শেয়ার করা ইত্যাদি করতে পারবেন খুব সহজে। ওই জি একাউন্ট দিয়ে আপনি এর কাজ চালিয়ে জেতে পারবেন।
আজকে এই বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা করব,কারন অনেকেই এই সেবা ব্যাবহার করেন কিন্তু এই ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা রাখেন না।আপনি যদি কোনো ধরনের সোশাল মিডিয়া (ফেইসবুক) বা অনলাইন ডেটা ড্রাইভ (গুগল ড্রাইভ) ব্যবহার করেন, তবে আপনি ক্লাউড ব্যবহার করছেন। যদিও এটা কোনো ডিভাইস বা যন্ত্র নয়। এটা সার্ভারগুলোর নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সার্ভারের কাজ আবার বিভিন্ন। কোনো সার্ভার কম্পিউটার শক্তি ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য কাজ করে। কোনোটা আবার কাজ করে নির্দিষ্ট সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ব্যবহারকারীরা বিভিন্নধরনের তথ্যও রাখতে পারেন ক্লাউডে।আপনি যদি স্মার্টফোনে তোলা কোনো ছবি ফেইসবুকে বা ড্রাইভ এ আপলোড করেন, তবে তা আপনি ক্লাউডেই রাখছেন। তবে আপনি যদি স্মার্টফোনে তোলা ছবি সেখানেই রাখেন, তবে আপনি ক্লাউড ব্যবহার করছেন না। ক্লাউডিংয়ের জন্য ব্যবহারকারীর হার্ডডিস্কের প্রয়োজন নেই।আপনি যদি জিমেইল, ইয়াহু মেইল হটমেইল বা এই শ্রেণির কোনো ওয়েবভিত্তিক ইমেইল সেবা ব্যবহার করেন তাহলে আপনিও ক্লাউড ব্যবহারকারী।
নানা কারণেই বিভিন্ন সেবা ক্রমশ হচ্ছে ক্লাউডভিত্তিক।কেননা এতে আপনার ফাইল হারিয়ে যাওয়া আর হার্ডডিস্ক খারাপ হঅয়ার ভয় নেই।তবে এই সেবা পেতে আপনাকে মাসিক একটি নির্দিষ্ট অর্থ খরচ করতে হবে।আর নিঃসন্দেহে গুগল ড্রাইভ হল এই ধরনের সেবা গুলোর মধ্যে সেরা।কারণ এর নিরাপত্তা অন্য যেকোনো কিছুর চাইতেও বেশি।
গুগল ড্রাইভ দিয়ে আপনি অনলাইনে নির্দিষ্ট পরিমানে আপনার ছবি,ডাটা,ফাইল,উপস্থাপনা ইত্যাদি সংরক্ষন করতে পারবেন এবং তা শেয়ার করতে পারবেন যখন খুশি তখন।২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল এর যাত্রা শুরু হয়।গুগল ড্রাইভ সফটওয়্যার এর সাহায্যে আপনি এই কাজ করতে পারবেন।এছাড়া Android,IOS ইত্তাদির জন্য আছে অ্যাপ।তবে গুগল ড্রাইভ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় জিনিসটি হল গুগল ডক্স।এটি একটি অফিস স্যুট যা দিয়ে আপনি দস্তাবেজ তৈরি করে তা অনলাইনে সম্পাদনা করতে পারবেন।এর জন্য আপনার প্রয়োজন একটি গুগল একাউন্ট।
সবশেষে বলব গুগলে আপনি একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে অনেকগুলো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন যা আমাদের জন্য সহজ এবং আরামদায়ক।আমরা যদি এক একাউন্ট দিয়েই ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো সাইটে সেবা গ্রহন করতে পারতাম তাহলে আমাদের তথ্য গুলোর আদান প্রদান অনেকটা সহজ হত তেমনি কোম্পানি গুলো তাদের সেবার মান বারাতে পারত।তবে তা বাস্তবে ঘটা অনেকটা অসম্ভব। এটা সত্য যে প্রত্যেকটা মানুষ অনেকগুলো একাউন্ট আর অনেকগুলো পাসওয়ার্ড মনে রাখতে গিয়ে হিমশিম খান।আজ এই পর্যন্ত।ভাল থাকবেন আশা করি।
আমি আছি আপনার কাছাকাছি,শুধু খুজে নিন। 😎
আমি আদিল শাহরিয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 113 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একটু বেশিই অসামাজিক।
thanks, G Drive sompokke kesu bolen ?