স্প্লিন্টার সেল বিখ্যাত কাহিনী লেখক টম ক্ল্যন্সির এক অনবদ্য সৃষ্টি। গেম ডেভেলপার উবিসফ্ট ২০০৪ সালে প্রথম স্প্লিন্টার সেল বের করে। সেটা ছিল সে বছরের বিরাট হিট। সর্বোচ্চ স্কোর প্রাপ্ত গেম। এরপর আরো অনেক স্প্লিন্টার সেল গেম বের হয়েছে। স্প্লিন্টার সেল মূলত স্টিল্থ একশন গেম। তবে স্টিল্থ একশন গেমের ধাঁচ থেকে বেরিয়ে মূলত এ্যকশন ধাঁচের গেম হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে স্প্লিন্টার সেল: কনভিকশন।
স্প্লিন্টার সেল: কনভিকশনের নায়ক স্যাম ফিশার আর সরকারের সিক্রেট এজেন্ট না। সে এখন রিটায়ার করেছে। তার মেয়েকে ভিলেনের দল তুলে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছে। সে তাকে খুজে বের করার উদ্দেশ্যে অভিযানে বের হয়। অভিযান শুরু হয় মাল্টা নামক স্থান থেকে। কাহিনীর প্রয়োজনে তাকে ওয়াশিংটনেও যেতে হয়। বিভিন্ন শয়তানকে কুপোকাত করে সে তার মেয়ের হদিস বের করে।
গেমের চিত্রায়ন এমন ভাবে করা হয়েছে দেখলে মনে হয় গেম নয় যেন কোনো এ্যাকশন মুভি দেখছি। গেমে কাউকে ইন্টারোগেশন বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুর্ন কন্ট্রোল থাকে আপনার হাতে। আশেপাশের পরিবেশের যেকোনো কিছু এমনকি দেয়াল ব্যাবহার করেও আপনি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কষ্ট দিতে পারবেন তার মুখ থেকে কথা বের করার উদ্দেশ্যে।
গেমের একটি নতুন জিনিষ হল এর কাহিনী ব্যাক্ত করার সিস্টেমটা। এখানে কাহিনী বলার সময় (স্টোরিটেলিং) দেয়ালে প্রজেক্টরের মাধ্যমে কাহিনী দেখানো হয়। প্রজেক্টর সিস্টেমটা পুরো গেমেই রয়েছে। আপনার লক্ষ্য (অবজেকটিভ) এর গায়ে সরাসরি প্রজেক্টরের মাধ্যমে না দিয়ে দেখানো হবে যে এটাই অবজেকটিভ। যেমন ধরুন কোনো বিল্ডিং এ আপনাকে ঢুকতে হবে। পুরো বিল্ডিং এর গায়ে প্রজেক্টর দিয়ে বিল্ডিং এর নাম লেখা হবে। এতে অবজেকটিভ খুজে পেতে বেগ পেতে হবেনা। সমস্যা হল এতে গেমটা বেশ সহজ হয়ে যায়।
গেমের আরেকটি নতুনত্ব হল এর মার্ক এন্ড এক্সিকিউট সিস্টেম। এ পদ্বতিতে আপনি কোনো যায়গায় কভার নিয়ে আগে থেকেই শত্রুকে টার্গেট করে রাখতে পারবেন। কভার থেকে বের হয়ে গুলি করলে অটোমেটিক টার্গেটের গায়ে শুট হবে। এতে বহু সংখ্যক শত্রুদের আকস্মিকভাবে আক্রমন করতে সুবিধা হবে। শত্রুরা স্যামকে দেখে ফেলে দ্রুত লুকিয়ে গেলেও শত্রুরা স্যামের শেষ অবস্থানে এসে খোজ করে। তাই কাছাকাছি না থাকাই ভালো। স্যাম আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালি এ গেমে। অনেক বেশি মুভ ও যুক্ত করা হয়েছে।
গেমের মধ্যে স্যাম মাত্র ২ টো অস্ত্র বহন করতে পারে। একটি বড় অস্ত্র এবং একটি ছোট। স্যামের বিস্বষ্ত অস্ত্র তার সাইলেন্সর লাগানো গুলি এখানে তার কাছে থাকে। বাকি অস্ত্র শত্রুদের থেকে সংগহ করতে হয়।
গেমটির গ্রাফিক্স অসাধারন সেটা বলাই বাহুল্য। সাউন্ড ও চমৎকার। এ গেম খেলতে পিক্সেল শেডার মডেল ৩ সম্বৃদ্ধ গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন। র্যাম দরকার ৫১২ কমপক্ষে। প্রসেসর বর্তমানের যে কোনোটি হতে পারে।
আরো আলোচনা টুমরোজ গেমিং এ করতে পারেন।
প্রথমে প্রকাশিত "গেম রিভিউ বাংলাদেশ" এ। আরো গেম রিভিউর জন্যে ভ্রমন করুন "গেম রিভিউ বাংলাদেশ"।
আমি মেরাজ০৭। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 349 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একাধারে গেমার, টেক টিউনার, মেকানিক, গেমার, গেমার, ফোরামার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, গেমার, গেমার, চ্যাটার, মুভি ওয়াচার....................
sam fisher আমার প্রিয় গেমিং চরিত্রগুলোর একজন। কিছুদিন পূর্বে আমি Splinter Cell এবং Splinter Cell: Pandora Tomorrow game over করলাম। আমার pc config: Windows 7, Ram: 2gb, Graphics card:nVidia 9400 GT. Conviction কী আমার চলবে। না হলে অন্য কোন ভারশনগুলো খেলা যাবে? thanks for oyur review.