আপনি কি ভিডিও গেম খেলতে ভালবাসেন? তাহলে জেনে নিন ভিডিও গেম খেলার কিছু অদ্ভুত স্বাস্থ্য উপকারীতা

টিউন বিভাগ গেমস
প্রকাশিত

হ্যালো টেকটিউনসারস, আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো অদ্ভুত কিছু বিষয় নিয়ে। আমরা সবাই কম বেশি ভিডিও গেম খেলে থাকি তো আজকে আমার আলোচনার বিষয় হচ্ছে গেম খেলার কিছু অদ্ভুত স্বাস্থ্য উপকারিতা।

আমরা সব সময় শুনতে পাই কিভাবে ভিডিও গেম শিশুদের স্বাস্থ্যর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেলার ফলে শিশুরা শারীরিক এবং মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের উচিত তাদের এ ভিডিও গেম খেলা থেকে নিরুৎসাহিত করা এবং তারা ভিডিও গেম খেললেও এটা খেলার নিদিষ্ট সময় সীমা বেধে দেওয়া।

ভিডিও গেমের অনেক নেগেটিভ ইফেক্ট থাকা স্বতেও আমরা এটা খেলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনা। ভিডিও গেম খেলার যতই নেগেটিভ ইফেক্টের কথা বলি না কেন এর অপকারীতার সাথে কিছু উপকারিতাও রয়েছে। ভিডিও গেম খেলা আমাদের শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ভিডিও গেম খেলে আমাদের শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয় তা আমরা অনেকে বুঝতেও পারি না।

আসুন সমস্ত বিস্ময়কর তথ্য গুলি জানি যে কিভাবে ভিডিও গেম খেলা আমাদের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করছে। আমার আজকের টিউনেই ভিডিও গেম খেলার অনেকগুলো বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্বধে পড়ুন।

শুধুমাত্র সতর্কতার জন্য একটি নোট

আমরা বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারীতা জানার আগে অল্প কিছু কথা, এ তথ্য গুলো প্রতিদিন ভিডিও গেমস খেলে সময় ব্যয় করার কোনো অজুহাত হিসেবে বেছে নিবেন না। আর যদি অজুহাত হিসেবে বেছে নেন তাহলে টিউনার কোন প্রকার দায়বদ্ধ থাকবে না ও নিচে সরাসরি ভিডিও গেম খেলার উপকারীতা বর্ণনা করা হল:

ডিসলেক্সিয়া (উচ্চারণগত সমস্যা) থেকে মুক্তি পেতে পারেন:

আপনি যদি ডিসলেক্সিয়া (উচ্চারণগত সমস্যা) ভোগেন তবে এটি আপনার জন্য কিছু চমৎকার খবর আছে, ভিডিও গেমিং এ আপনাকে মানসিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে সাহায্য করতে পারে। যদিও গবেষকরা ডিসলেক্সিয়া নিয়ে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেনি কেন এটি কেবল কিছু লোককেই প্রভাবিত করে, কিন্তু এ বিষয় নিয়ে কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব রয়েছে এবং এ গবেষণায় ফলাফলগুলি অস্বীকার করা যায় না।

এর গবেষণায় একটি তত্ত্ব এমন যে, কোন শব্দ পড়তে অমনোযোগীতার কারনে ডিসল্যক্সিয়া সমস্যা হতে পারে। কম্পিউটার গেমগুলির সুবিধা হল যে কম্পিউটার গেমিং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মনোনিবেশ করতে বাধ্য করে। এর ফলে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না আপনি এই দীর্ঘ সময় আপনার কাছে কঠিন শব্দটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন।

এখনকার গেমগুলো সিনারিওপূর্ণ। গেম খেলার সময় আপনার প্রতিটি নির্দেশগুলি পড়তে হয়, সে নির্দেশ গুলোর মাঝে প্রায়ই আপনার সে পাঠ্য শব্দটি দেখা যায় যা আপনার উচ্চারণে সমস্যা হয়, কিন্তু সে শব্দটি গেমসে আপনি একের অধিকবার পড়েন। প্রয়োজনীয় যে নির্দেশাবলী আছে তা আপনি অনুসরণ করে আপনাকে মিশন সম্পূর্ণ করতে হয়, এতে করে গেমের নির্দেশাবলীর শব্দ গুলী মনোযোগ সহকারে পড়েন। এরকম গেমের উদাহরণ দিতে হলে যে গেম গুলোর নাম না বললেই নয় সেগুলো হল : ''কল অফ ডিউটি এবং গড অফ ওয়ার'' শুধুমাত্র এ দুটি গেমসই নয়, ডিজনি এর ইনফিনিটি এবং স্ক্যাইল্যান্ডের মত আরও কিছু শিশু-তোষ গেম রয়েছে যেখানে নির্দেশমালা পড়ে মিশনগুলি সম্পূর্ণ করতে হয় এবং অনেক বেশী সিনারিওপূর্ণ।

আপনার চোখের দৃষ্টির উন্নতি হতে পারে

আগেকার মুরুব্বীদের মতে আপনি যদি কম্পিউটার বা টিভিতে খুব কাছাকাছি বসে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার দৃষ্টি সমস্যার সৃষ্টি হবে। ওকে ঠিক আছে, আমরা আসলে বেশিরভাগ সময় টিভি দেখা বা কম্পিউটারে গেম খেলার সময় মনিটরের খুব একটা কাছেও বসি না। এখন গেম খেলার জন্য গেমিং কন্ট্রোলারের ক্যাবল এতো বড় যে চাইলে আমরা অনেকে রুমের এক কোনায় গিয়ে বসে গেমস খেলতে পারি।

অন্যান্য গবেষণা দেখা গেছে যে, কম্পিউটার গেমিং আপনার চোখের দৃষ্টিকে উন্নত করতে পারে। কারণ আপনি কম্পিউটার গেমিং এর সময় কম্পিউটার স্ক্রিনে গেমের মিশনের সব কিছু সন্ধান করতে বাধ্য হন এবং একই রঙের বিভিন্ন ধাপ গুলির মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন। এই ক্ষমতাটি আপনার বাস্তব জীবনে কাজে লাগে। ইভেন আপনি যখন হাঁটাচলার মধ্যে তখনো সহজে যেকোনো রঙের মধ্যে পার্থক্যটি খুঁজে পাবেন। এবং রংটির মাঝে কোন খুঁত থাকলেও বুঝতে পারবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন গেমিং কিভাবে আপনার দৃষ্টি শক্তিকে আরও বেশী উন্নত করে।

গেমিং আপনাকে দৈহিক ভাবে আরো বেশী একটিভ করতে পারে

প্রথম কম্পিউটার গেম আবিষ্কারের পর দীর্ঘদিন পার হয়ে গেছে। এক সময় ছিল, যখন শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্করা গেমের মিশন সম্পন্ন করার জন্য ঘন্টার পর ঘণ্টা গেম খেলে যেত। আমি এখনো মনে করতে পারি, যখন আমি ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে গেমের লেভেল পার করার জন্য খেলে গেছি তার কারণ ছিল তখন কোন গেম সেভ করার ফাংশন ছিল না - আমি এখনও সুপার মারিও এর লেভেল 8.2 কমপ্লিট করতে পারিনি।

এখন গেমিং এর সাথে শারীরিক দিকও অন্তর্ভুক্ত। ''জাস্ট ডান্স'', ''উই ফিট'', ''গিটার হিরো'' এবং আরও অনেক গেম আছে যেসব গেম আপনাকে রুমে দাঁড়িয়ে দাঁড়াতে ও ঘুরে এবং হেটে খেলতে হচ্ছে। এতে করে আপনি আপনাকে ফিজিক্যালি একটিভ রাখতে পারেন, আপনি আপনার ফোকাসে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবেন এবং আপনি চাইলে ওজন কমাতে পারেন গেম খেলার মাধ্যমে।

আপনি এই ধরনের গেম না খেলেও আরও বেশি শারীরিকভাবে নিজেকে এবং আপনার বাচ্চাদের সক্রিয় রাখতে পারেন। বাচ্চারা যারা বেশি স্পোটসি গেম খেলতে পছন্দ করে তাদের বাড়ির বাইরে গিয়ে খেলাতে আপনি আগ্রহী করে তুলতে পারেন। এতে করে তারা বিভিন্ন দলে যোগদানের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে খেলাকে উপভোগ করতে শিখবে। বাচ্চারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলার মাধ্যম তাদের নিজস্ব দক্ষতাকে বিকাশ করতে পারবে।

একমাত্র বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের আরও বেশি উৎসাহিত করতে সাহায্য করতে পারেন। তারা কি ধরনের খেলাধুলায় আগ্রহী এবং তা খুঁজে বের করে তাদের তা খেলতে দিয়ে প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করতে পরেন।

গেমিং আপনার সৃজনশীলতা বৃদ্বিতে সাহায্য করে

সৃজনশীলতা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীতা নিয়ে আসে, এবং ভিডিও গেমিং অবশ্যই সৃজনশীলতার বিকাশ করে। এটি সব ধরনের গেমিং এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

চলুন শুরু করা যাক যেকোনো ম্যালেটারী মিশন বা শুটিং গেম দিয়ে, গেমে প্রথমে আপনি আপনার মিশন সম্পর্কে বুঝতে হবে, এবং আপনাকে ম্যাপে কোথায় যেতে বলেছে, এবং বিভিন্ন অস্ত্র সম্পর্কে সবকিছু জানার প্রয়োজন পড়ে। এসব গেমে বিশেষ করে যখন কঠিন লেভেলে আছেন তখন আপনি কখনও কখনও শত্রুকে মেরে ফেলা বা হারানোর জন্য সৃজনশীল উপায়গুলি খুঁজে বের করেন।

আপনাকে সৃজনশীল করে তোলার জন্য আরও কিছু গেম রয়েছে যেমন Minecraft এবং Sims। এসব গেমে আপনাকে আপনার পরিবার, বাড়ি, এবং আপনার পৃথিবীকে তৈরি করতে হয়। এবং আপনার তৈরি ক্যারেকটার গুলোকে আপনার ডেভেলপ করতে হয় যেসব জিনিস গুলোর আগে কখনও অস্তিত্ব ছিল না। এসব গেম খেলা শুরু করার আগে আপনাকে গেম থেকে অল্প কিছু ধরনা দেওয়া হয়, যা কিনা আপনার সৃজনশীলতা বিকাশে সহয়তা করে।

সৃজনশীলতা আপনার বাস্তব জীবনে বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার করতে সাহায্য করে। এ সৃজনশীলতা আপনি বাস্তব জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য নতুন একটি উপায় খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এবং আপনার কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতা আপনাকে আরও অনেক মূল্যবান করে তুলতে সাহায্য করে, যা থেকে কিনা আপনকে সন্তুষ্টি প্রদান করে এবং এ সন্তুষ্টি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করবে।

গেমিং আপনার স্মৃতিশক্তি এবং অন্যান্য প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে

আমরা সর্বদাই শুনতে পাই কিভাবে আমরা আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। সেজন্য অনেকেই ক্রসওয়াডস এবং সুডকো পাজল দিকে মনোনিবেশ করে থাকেন, এটা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না যে কম্পিউটার গেমসও সেক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করে থাকে। শুধু এটা চিন্তা করতে হবে যে যখন আমরা গেমস খেলছি তখন আমরা আমাদের ব্রেইনের কতটা ব্যবহার করছি।

গেমস খেলতে খেলতে আপনাকে গেমের প্যাটার্ন সম্পর্কে বুঝতে হবে, এবং আপনাকে মিশন, চরিত্র, এবং যা যা করতে হবে সব মনে রাখতে হয়। গেমের প্রতিটা ষ্টেজ যখন আপনার creative আইডিয়া দ্বারা অতিক্রম করতে চাইবেন তখন আপনার ব্রেইন কাজ করবে। এবং আপনার ব্রেইনে সে আইডিয়া গেঁথে থাকবে।

আপনার ব্রেইনকে ট্রেইন করার জন্য ইতিপূর্বেই বিশেষভাবে অনেক গেম তৈরি করা হয়েছে। এরকম গেমের মধ্যে Wii Fit নামে একটি গেম রয়েছে যা আপনাকে গণিতের সমস্যা সমাধানে ট্রেইন করবে, hitting balls গেমে আপনাকে চলন্ত অবস্থায় প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এ গেমে আপনি একই সময়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজে সক্রিয় রাখছেন। এ ক্যাটাগরির অনন্য যেসব গেম রয়েছে সে সব গেমে আপনাকে আপনার ব্রেইনকে কাজে লাগাতে হবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য, প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে আপনাকে পরবর্তী প্রশ্ন করা হবে।

যখন আপনার স্মৃতিশক্তি এবং অন্যান্য জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনি আপনার এ উন্নতির জন্য নিজেকে আগের থেকে মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান মনে করবেন। সুতরাং, যখন আপনি সেরোটোনিনকে সক্রিয় করেন, তখন আপনার কোষগুলি সতেজ হয়ে যায়। এবং এতে আপনার হিপোক্যাম্পাস বৃদ্ধি পায়, এবং আপনি পরবর্তী জীবনে স্মৃতিভ্রংশ বা স্মৃতি হারানোর কম ঝুঁকিতে থাকেন।

আর হ্যাঁ, আপনি সত্যিই গেমিং এর মাধ্যমে আপনার বার্ধক্যকে রুখে দিতে পারেন। পরের বার যখন কেউ যদি আপনাকে গেম খেলা বন্ধ করার জন্য বলে, তখন তাকে বলে দিবেন যে, আপনি শুধু আপনার মানসিক বিকাশ প্রক্রিয়ার চালু রাখার জন্যই খেলছেন। আর কিছু না। 😛

গেমিং আপনাকে মানসিক যন্ত্রনা থেকে তাৎক্ষনিক মুক্তি দিতে পারে

একাকীত্ব থেকে আপনার ভিতর অশান্তি তৈরি হতে পারে, আপনার এ একাকীত্ব এক নিমিষেই দূর করে দিতে গেমিং এর জুড়ি নেই। ভিডিও গেমিং আপনার মানসিক অশান্তির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আপনি যখন ভিডিও গেম খেলেন আপনার পুরো মনোযোগ তখন গেমের ভিতর থাকে, আর গেমের ভিতর তখন এমন কিছু ঘটছে যা আপনি উপভোগ করছেন, আর আপনার এ উপভোগের সময়ই আপনি আপনার দুঃখ ব্যথা ভুলে যান।

আমি ১০০% গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি যে এটা কাজ করে। আমার এখনো মনে আছে যে, ছোট বেলায় একদিন আমার বন্ধু তার বাড়িতে গেম খেলতে নিয়ে যায় সেখানে যাওয়ার পথেই আমার পেট ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু আমরা সেখানে পৌঁছে কেবল আমরা কিছুক্ষণ ভিডিও গেম খেলেছিলাম, কিন্তু ফিরে আসার পর বুঝতে পারছিলাম যে গেম খেলতে খেলতে আমি আমার পেট ব্যথার কথা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলাম!

গেমিং আপনার শরীরে পেন কিলারের মত কাজ করে। গেম খেলে যদি ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তাহলে খারাপ কি বলুন?

পরের বার আপনি যদি কোন ব্যথা পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বিছনায় বসে ২০ মিনিট বা তার বেশি সময় আপনার প্রিয় গেমটি খেলুন। দেখবেন আপনার ব্যথা অনেকটা কমে গেছে। এর কারণ আপনি আপনার ব্যথাটি নিয়ে তখন কোন প্রকার মাথা খাটাচ্ছিলেন না। 😉

গেমিং আপনার সামাজিক দক্ষতাকে উন্নত করে এবং নতুন সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করে করে

আপনি এখনকার সময় গেম খেলতে খেলতে আপনার সামাজিক দক্ষতার উন্নতি করতে পারবেন। তার কারণ এখন বেশিরভাগ গেম এখন আপনার অনলাইনে খেলার সুযোগ রয়েছে, সেখানে আপনি অন্য প্লেয়ারদের সাথে চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন। কিছু গেমে এখন আপনি লাইভে চ্যাটের মাধ্যমে কথা  বলতে পারবেন।

আপনি গেমিং এর  মাধ্যমে অন্য মানুষের সম্পর্কে জানতে পারবেন, এবং তাদের সাথে রিলেশন ক্রিয়েট করতে পারবেন। এবং আপনার ফিলিংস তাদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। ও আপনারা আপনাদের আনন্দ, ভালোবাসা, সবকিছু একই সাথে সেলিব্রেট করতে পারবেন।

গেমিং আপনাকে মানসিক চাপে থেকে সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে শিখাবে। ধরুন আপনি টিম মেম্বারদের সাথে নিয়ে  কোন শুটিং গেম খেলছেন, যখন কিনা আপনার গেমে আপনার শত্রুরা আপনার টিমকে এটাক করছে তখন আপনার টিমকে সহায়তা করার জন্য আপনাকে কোন কিছু অর্ডার করতে হতে পারে আপনার টিম মেম্বারকে। গেম আপনাকে এ চাপে সময় আপনার টিমকে কি করতে হবে সে জন্য আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি ডিসিশন নিতে শিখায় এবং টিমের এ পরস্পর তড়িৎ যোগাযোগ আপনার সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

এ থেকে আপনার কর্মক্ষেত্রে কলির্গের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক আগের থেকে অনেক সহজ এবং সুন্দর হবে। এবং বিশেষ করে আপনি যখন কোন মানসিক চাপে রয়েছেন তখন আপনার পরিবারের সাথে কমিউনিকেশন এপ্রোচ অারো ভালো হবে। আপনি আপনার সামাজিক দক্ষতা সম্পর্কে আপনার আর কোন প্রকার কনফিউশন থাকবে না এবং আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝেও স্পেশাল হয়ে উঠবেন।

আপনার জীবনকে আরো উন্নত করতে গেমিং আপনাকে দ্রুত সিদ্বান্ত নিতে শিখায়

কিছু কিছু গেম খেলার সময় আপনাকে দ্রুত ভাবতে হয়। আপনি গেমে মিশন কমপ্লিট করার জন্য কি কি করবেন, কোন পথ বেছে নিবেন, শত্রুর বিপরীতে কি একশন নিবেন এগুলো আপনাকে খুব দ্রুত চিন্তা ভাবনা করতে হয়। এ সব গেম আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিখায়।

গেমে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী নয়। গেমে আপনাকে শিখানো হয় আপনি কিভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন বিষয়ে। আপনার সিদ্ধান্তহীনতা আপনাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গেম আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে নয় বরং আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা দিয়ে থাকে। আমাদের জীবনে মাঝে মাঝে সুযোগ গ্রহণে কিছু দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আমরা গেম খেলার মাধ্যমে এ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিখতে পারি। .

ভিডিও গেম খেলা মানে আপনাকে এখন এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত সবসময় সঠিক হতে হবে তা নয়, কিন্তু এটা এমন এক সিদ্ধান্ত পিছনে দাঁড়িয়ে আছে আপনার হাজারো প্ল্যানিং। গেমে আপনাকে প্রতিটি স্টেজের জন্য চাপে থেকে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ থেকে আপনি আপনার বাস্তব জীবনে উপকৃত হবেন। এবং এটা আপনাকে ভালো অনুভূতি দিবে। ও আপনার কাজে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

এটি আপনার মেমরির ধারণ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। দ্রুত সিদ্ধান্তের অর্থ হল আপনি স্মরণে থাকা তথ্য গুলো আরও ভালোভাবে স্মরণ করেন। এবং এটা সেল বৃদ্ধিতে এবং রিপেয়ার করতে সাহায্য করে।

তো আরো বেশি ভিডিও গেম খেলুন নিজেকে সুস্থ ও একটিভ রাখুন

এখন আপনার কাছে প্রতিদিন ভিডিও গেম খেলার সব কারণ আছে। কারণ গুলো আপনার জন্য আশ্চর্যজনক ভাল কিন্তু তা শুধুমাত্র লিমিটেশনের ভিতর থাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন আপনি গেম খেলে ২০-৩০ মিনিট ব্যয় করছেন সব গেম গুলো নিয়ে চিন্তা করুন আপনি কি ধরনের গেমস খেলছেন এবং গেম থেকে আপনি কি কি শিখতে পেরেছেন।

শিশুরা সামাজিকভাবে সামঞ্জস্য বজায় রাখে, এবং তারা এখনও বাইরে গিয়ে খেলতে পছন্দ করে। মাতাপিতা হিসাবে, আপনি আপনার বাচ্চাদের বাইরে গিয়ে খেলতে উৎসাহিত করতে পারেন। একমাত্র আপনি আপনার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারেন।

এখন আর গেমিং এর সুফলকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। গেমিং আপনার মেমোরিকে প্রখর এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলে, যা আপনার সমাজ ও কর্মক্ষেত্রের চাপ এবং সমস্যা মোকাবেলা করাকে সহজ করে তুলবে।

আপনার সাপ্তাহিক রুটিনের অংশ হিসাবে গেমিংকে অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি দিনের ব্যস্ত সময় সূচি শেষে কিছু মিনিট গেম খেলার জন্য বেছে নিতে পারেন। খেলার জন্য এমন ধরনের গেম সিলেক্ট করুন যে গেম দ্বারা আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা সম্ভব হবে।

আমার টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই প্রিয়তে রাখবেন ও নির্বাচিত মনোনয়ন করবেন। এবং টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন কেমন লাগলো টিউনটি। আর টিউনটি লিখতে সার্বিক সহযোগিতা এবং উৎসাহিত করেছেন রাইসাত আমিন ভাই।

আজকে এ পর্যন্তই দেখা হবে আগামী কোন টিউনে। টেকটিউনসের সাথে থাকুন, মেতে উঠুন প্রযুক্তির সুরে।

আল্লাহ হাফেজ।

Level 0

আমি সৈকত রায়ান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

without you i more


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস