আসুন গেইম ডেভেলপ করি।প্রফেশনলি যদি গেম ডেভেলপমেন্ট শিখতে হয় তাহলে আপনাকে কি কি হতে হবে।

টিউন বিভাগ গেমস
প্রকাশিত

সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো। আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে এসেছি সেটা হয়ত অনেকেরি স্বপ্ন। গেইম ডেভেলপমেন্ট, সঠিক গাইড লাইন ও ভালো টিউটরিয়ালের অভাবে অনেকের এই স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে, সেই ফিকে হয়ে জাওয়া স্বপ্নটাকে রঙ্গিন করতে আমাদের এই উদ্ধগ।

গেইম হল প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল একটা একটা প্রযুক্তি নির্ভর বিনোদন মাধ্যম,গেইম কম বেশি সবাই খেলে থাকেন অবশরে কিংবা ক্লান্তি দূর করতে। আমি আপনাদের সাথে সব ধরনের গেইম নিয়ে আলোচনা করবো না, আমি কেবল কম্পিউটার গেইম এর সুটিং গেইম নিয়ে আলোচনা করবো, কারন গেইম ডেভেলপমেন্টের যে কোন একটা ক্যাটাগরি নিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে যদি আপনি সাক্সেস চান। অনেক ধরনের গেইম আছে জেমনঃ স্পোর্স গেইম, রেসিং গেইম, RPG গেইম,স্টাটিজি গেইম,কার্ড গেইম, শুটিং গেইম, ফাস্ট পার্সন গেইম বা থার্ড পার্সন গেইম। আপনি যেটা নিজের শেখার জন্য ঠিক করবেন আপনি সেটা নিয়েই পরে থাকেন সব ধরনের গেইম নিয়ে স্টাডি করলে আপনার কেবল সময় নস্ট হবে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

গেইম ডেভেলপের জন্য সব থেকে জরুরি হল গেইম ইঞ্জিন পছন্দ করা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোতা, আমি কয়েকটা জনপ্রিয় গেইম ইঞ্জিন এর নাম বলছি, যেমনঃ

Unreal Engine 4 :http://www.unrealengine.com
Unity: http://www.unity3d.com
CryEngine:http://www.cryengine.com
GameMaker:http://www.yoyogames.com
Havok Vision Engine:http://www.havok.com
Project Anarchy:http://www.projectanarchy.com
ShiVa:http://www.shivaengine.com
BigWorld:http://www.bigworldtech.com

এই সব গেইম ইঞ্জিন প্রায় সব গুলোই ক্রস প্লাটফর্ম, মানে একাধিক অপারেটিং সিস্টেম সাপর্ট করে।

তবে আমার আলোচনার বিষয় হবে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় গেইম ইঞ্জিন ইউনিটি নিয়ে এবং সব থেকে জনপ্রিয় ফ্রি blender game engine নিয়ে।

আর হ্যা, আপনি blender শিখলে যে কোন গেইম ইঞ্জিনে কাজ করতে পারবে।

তবে কম্পিটার গেইম ডেভেলপ আসলে কারো একা করা সম্ভব না, যদিও আপনি চেষ্টা করলে করতে পারবেন তবে সেটা বাণিজ্যিক ভালো খুব একটা সফল হবে বলে আমি মনে করি না।

আর ভালো একটা গেইম ডেভেপল করে আপনার চাই ভালো একটা ডেভেলপার টিম। এই টিম ম্যানেজমেন্টও খুবি গুরুপ্ত পুর্ন একটা ভালো গেইম প্রডাক্টশনের জন্য।
আর এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমি একটা গেইম ডেভেলপ গ্রুপ খুলতে যাচ্ছি। যা আগামি ঈদের পরে প্রকাশিত হবে। আপনারা যদি কেউ গেইম ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান বা আমার ডেভেলপার গ্রুপে জয়েন্ট করতে চান তবে তবে নিচের গুগোল ফর্ম টা খুব ভালোভাবে বুঝে শুনে পুরন করুন। আর আপনি এই ফর্মটা ভিজিট করলেও অনেক কিছু জানতে পারবেন। তবে আর দেরি কেন ?

গ্রুপে জয়েন্ট করতে ক্লিক করুন 

 

আর হ্যা, গেইম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আমি এখানে নিয়মিত টিউন করবো ইসাআল্লাহ।
আপনাদের যে কোন প্রয়জনে আমাকে আমাকে ইমেল করতে পারেন বা ফেজবুকে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

ফেজবুকে আমি ঃhttps://www.facebook.com/hasan338822

আমার ইমেলঃ  [email protected]

 

 

যারা আমার সহযোদ্ধা হতে আগ্রহী তাদেরকে বলছি প্রফেশনলি যদি গেম ডেভেলপমেন্ট শিখতে হয় তাহলে আপনাকে কি কি হতে হবে

গল্পকার==শিল্পী==আভিনেতা==মিউজিসিয়ান== প্রোগ্রামার== ফটোগ্রাফার== ভিডিও এডিটর== প্রডুসার== ডিজাইনার== গেমার==পাবলিশার== সৃজনশীল।।

এবার আসুন জানি কিছু গেম ডেভেলপমেন্ট ইনজিন সম্পর্কে

গেইম ডেভেলপমেন্টঃ গেইম এর জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে Autodesk 3ds Max. ম্যাক্স এর এমন কিছু ফীচার আছে যা তাকে গেম এর জগতে এক নম্বর করে রেখেছে। মোটামুটি ৭০% গেমই ম্যাক্সের সাহায্যে বানানো হয়। 3ds Max এর যুগান্তকারী পলিগনাল মডেলিং টুল এর জন্য ২০০৩ সালে এটি একটি World Gaming Award লাভ করে 3ds Max এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালে ম্যাক্স হেনরি এবং তার এক বন্ধুর প্রচেষ্টার মাধ্যমে।
এর পরেই আছে Maya. মায়া গেম এর জগতে ম্যাক্স এর চাইতে কোন অংশেই কম নয়। গেম এর জগতে মায়া ম্যাক্স প্রায় সমান ভাবে ব্যবহৃত হচছে। যেমন Call Of Duty, Prince of Persia, Devil May Cry ইত্যাদি সিরিজের গেমগুলি Maya তে বানানো হয়েছে। অপরদিকে Assassin’s Creed, Medal of Honor, Far Cry সিরিজের গেমগুলি 3ds Max এ বানানো হয়েছে। তারপর আছে Softimage এর নাম। এবং সর্বশেষ আসছে ফ্রী এবং জনপ্রিয় ওপেন সোর্স টুল Blender এর নাম।

এর সাথে সাথে গেম ইঞ্জিন হিসেবে জনপ্রিয় হল Call of Duty খ্যাত এবং একাধিক পুরস্কার প্রাপ্ত গেম ইঞ্জিন “Infinity Ward Engine” বা সংক্ষেপে “IW Engine“। তারপরের অবস্থানেই আছে Prince of Persia এর “Jade Engine“. এ্ররপরে আছে Devil May Cry (DMC) এর গেম ইঞ্জিন “MT Framework”

শুরু হয়ে গেল গেম ডেভেলপমেন্ট

আমরা গেম বানানোর কাজ শুরু করবো তিনটি ধাপে

ক. প্লানিং, গ্রুপ বানান  ও কাজ ভাগ করে নেয়া

খ. মুল গেম প্রোডাকশনের কাজ করা

গ. প্রোডাকশনের পরে ইডিট ও প্রকাশনা

 

ধাপ ক. প্লানিং, গ্রুপ বানান  ও কাজ ভাগ করে নেয়া

আমার পরিকল্পনা

আমি মুলত call of duty, FAR CRY , Medal of Honor, IGI টাইপের গেম এর জন্য প্লান করছি বা কাজ করছি।অর্থাৎ শতভাগ শুটিং গেম হবে।

এই প্রোজেক্ট সফল করার জন্য যারা যে কাজ ভালো পারেন বা পারবেন তারা সে কাজের দায়িত্ব নিবেন কারন এত বহু মাত্রিক কাজ একার পক্ষে করা সম্ভব না,তবে আশার কথা হল এই যে গেম প্রোজেক্ট নিয়ে আমি বেশ কয়ক বছর কাজ করছি এবং বেশ কিছু কাজ এর মাঝেই শেষ করেছি সময় পেলে শেয়ার করবো গেম এর কাজ সম্পর্কে আপডেট পাবার জন্য আমাদের গ্রুপ এ জয়েন্ট করতে পারেন।

০১. গল্প নির্মান এবং চিত্রনাট্য

প্রথমে দরকার হবে একটি ভালো গল্গ নির্মাণ করা বা থিম সেট করা। মেইন থীমকে ভিত্তি করে প্রধান গল্প এবং চিত্রনাট্য নির্মান করা হয়। এখান থেকেই মূলত একটি গেম যাত্রা শুরু হয়। গেমা এর গল্প যতবেশি শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত হবে গেমটি ততই উত্তেজনামুলক এবং আকর্ষনীয় হবে। যার ফলে তা গেমারকে চুম্বকের মত আকর্ষন করে এবং গেমটি বারবার খেলতে বাধ্য করায়। গল্প সাধারনত এমন একটি মাত্রায় রাখা হয় যার ফলে গল্পের মাঝে কিছু কিছু টুইস্ট থাকে যেগুলো দর্শককে কিছুটা সময় ভেবে ভেবে সমাধান করতে হয়। এছাড়াও গল্পের ফ্লো এবং ট্রানজিশন যদি সঠিক মাত্রার হয় তবে গেম নির্মাণের পরবর্তী ধাপগুলিও সফল হবে।

এখন বলেন কার কাছে ভালো গল্গ আছে? অবশ্যই বাংলাদেশ ভিত্তিক।

০২. স্টোরিবোর্ডিং

এই বোর্ড যারা কাজ করবেন তাদের কাজ হল গল্প গুল যাচাই বাছাই করা ও গেম এর জন্য উপযুক্ত করে তোলা। গেম গল্প সাধারনত কাগজে কলমে লেখা হয়। যার ফলে এটির কোন ভিজ্যুয়াল মুড থাকে না। তাই গল্পের প্রতিটি স্টেপ ফাইনাল মুভি স্ক্রিনে কেমন দেখাবে এটি নির্ধারন করার জন্য কাগজে কলমে থাম্বনেইল স্কেচ করার মাধ্যমে গল্পের প্রধান প্রধান অংশ বা এক্সট্রিম পার্টগুলি চিত্র এঁকে এঁকে স্টোরিবোর্ডিং করা হয়।

০৩. ক্যারেক্টার এবং কনসেপ্ট ডিজাইন

এরপরের ধাপটি হল গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্র এবং এনভায়রনমেন্ট এর কনসেপচুয়ালাইজেশন করা হয়। যেটা দেখে দেখে পরবর্তীতে থ্রিডি মডেরলাররা ক্যারেক্টার এর থ্রিডি ভার্সন মডেল করতে পারবে। পাশাপাশি এনভায়রনমেন্ট আর্টিস্টরাও তাদের কাজ এই কনসেপ্ট ডিজাইন এর উপর ভিত্তি করে করতে পারবে।

সবার মতামত চাই

০৫. প্রিভিজ্যুয়ালাইজেশন/এনিমেটিকস

প্রিভিজ্যুয়ালাইজেশন বা এনিমেটিকসকে বলা হয় স্টোরিবোর্ডিং এর ভিডিও ভার্সন। অর্থাত স্টোরিবোর্ডিং এ কেবল থাম্বনেইল স্কেচ ড্রয়িং ব্যবহার করা হয়, কিন্তু প্রিভিজ বা এনিমেটিকস এ খুব রাফ বা বেসিক লেভেলের থ্রিডি জিওমেট্রি ব্যবহার করে লো লেভেল এনিমেশন বানানো হয়।যা পরবর্তীতে গেম এ নিয়া আসা হয়।

০৬. ভয়েস রেকর্ডিং

এই ধাপে গেম সকল চরিত্রের ভয়েস রেকর্ড করা হয়। যেগুলোর উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ক্যারেক্টার এনিমেটররা এনিমেট করতে পারবে ও মিশন সেট করা হবে।

০৭. প্রোজেক্ট এবং এসেট ম্যানেজমেন্ট সেটাপ

এই পর্যায়ে সাধারনত একটি প্রজেক্টের জন্য কি কি নিয়ম কানুন থাকবে এবং কিভাবে সকল এসেট ম্যানেজ করা হবে তা নির্ধারন করা হয়।কোন লেভের পর কোন লেভেল আসবে কোন মিশন এর পর কোন মিশন আসবে ইত্যাদি।

আরও অনেক কিছু আছে সময় করে বলতে হবে। আজ এই পর্যন্ত

এখন বলেন কে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। যার যে বিষয় গুল ভালো লাগে বা ভালো পারেন বা পারবেন আমাকে জানান। যারা সফল ভাবে আমার সাথে লেগে থাকবেন শুধু তারাই যোগাযোগ করুন। আমি নিজেই আপনাদের বেশ কিছু এর দরকারি প্লাগিন ও সফটওয়্যার দিব যা আমার নগদ ডলারে কেনা।

বাকিটা পরের টিউনে বলছি। সারা রাত কাজ করলাম এখন ঘুমতে যাওয়া দরকার। কারন আমি জানি এখন অনেক কিছু বলা দরকার।

Level 3

আমি Juwel Hasan। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 124 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ডিজিটালাইজিং বাংলাদেশ


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

টিউনটি অনেক সুন্দর হইছে, চালিয়ে যান। Best of luck.

    অনেক অনেক ধন্যবাদ

এক কথায় দারুন….

    আপনাদের ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম সার্থক

wow nice tune

হাবিব ভাই , ধন্যবাদ কমেট করার জন্য

শ্রম দিয়ে তথ্যবহুল টিউন করার জন্য ধন্যবাদ।

ভাই অসাধারণ পোস্ট,,,,,

আচ্ছা android game বানাতে হলে কি করতে হবে।প্লিজ এ নিয়ে আক্টি পোস্ট দেন