এবারের ফারক্রাই গেমটি এসাসিন্স ক্রিড ৩ এবং ফারক্রাই ৩ গেমসগুলোর পরিচালক এবং নির্মাণ টিম একসাথে মিলে বানাচ্ছে। তো আশা করা যায় ফারক্রাই ৪ গেমটি ভালই হবে। আজকাল যুগের গেমসগুলোতে গ্রাফিক্স এর দিকে জোড় দেওয়া হয়। আগেরকার দিনের গেমসগুলোতে গেম-প্লে এবং স্টোরিলাইনে জোড় দেওয়া হতো বেশি।
হিমালয়ের শরীল কাঁপানো শীতের ভিতর হাতির পিঠে চড়ে শত্রুর আউটপোস্টে হামলা করতে কতই মজা! আর এ মজা পাওয়া যাবে এবারের ফারক্রাই গেমে! আর বনের ভিতর গাড়ি চালাতে চালাতে গন্ডারের দলের হামলার মুখে পড়ে গাড়ির দশা বারোটা বাজলো! আর গন্ডারের শিংয়ের গুতোঁ থেকে সাবধান হে!
আর এবারের ফারক্রাই গেমের নায়ক হতে যাচ্ছে একজন নেপালীয় চরিত্র যার নাম অজয় ঘালি। আর পটভূমি হিসেবে থাকছে হিমালয়ের একটি কল্পিত অঞ্চল কায়রাত! গেমটির কাহিনীচক্র শুরু হবে অজয় তার মায়ের দেহাবশেষ কে তাদের মাতৃভূমি হিমালয়ে দাফন করতে যাবে, আর এরই সাথে যে জড়িয়ে যাবে এক অন্য সন্ত্রাসীদের জগতে!
আর হিমালয়ের সন্ত্রাসীদের লিডার এবং ফারক্রাই ৪ গেমটির খলনায়ক হিসেবে আমরা পাচ্ছি পেগান মিন কে! বলাবহুল্য যে ফারক্রাই ৩ যে চিত্রার দুষ্টামির এবার ফারক্রাই ৪ য়ে পেগান মিনকে উভয়লিংঙ্গ হিসেবে বানানো হয়েছে! (লুল)
গেমটিতে তোমাকে সঙ্গ দিবে ফারক্রাই ৩ এর কো-অপারেটিভ চরিত্র হার্ক, যে গেমটিতে তোমার সাথে যুদ্ধ করবে। আর এবার যেহেতু বরফের অঞ্চলে যাচ্ছে ফারক্রাই সিরিজ তাই থাকছে নতুন নতুন চমক। তবে গেমটির মূল পটভূমি কায়রাত অঞ্চলটি বরফের অঞ্চল নয়। কায়রাত হচ্ছে নেপালিয় এবং ভারতীয় কিছু সবুজভূমি মিশ্রিত একটি “কাল্পনিক” অঞ্চল। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে গেমটির অসাম গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আর গ্রাফিক্সের কথা বলতে গেলে এবারের ফারক্রাই গেমটিতে থাকলে বিশাল প্রাণীজগত! এদের মধ্যে রয়েছে হাতি, গন্ডার, কাঠবিড়ালি, বন ভাল্লুক, সাদা ভাল্লুক, মুরগী! এক কথায় বলা চলে যে কায়রাতে পর্যটন ব্যবসা খুবই জমজমাট হবে!!
কায়রাতে দুটি দল রাজনৈতিক বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। একটি হচ্ছে পেগান মিনের গ্রুপ আরেকটি হচ্ছে “দ্যা গোল্ডেন প্যাথ” গ্রুপ যারা কায়রাতকে মিনের দল থেকে বাঁচাতে কাজ করে যাচ্ছে। আর অজয় কায়রাতে এসে পড়ে গোল্ডেন এবং মিনের দলের মাঝের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আর স্বাভাবিক ভাবেই অজয় গোল্ডেন গ্রুপে ঢুকে পড়ে মিনের বিরুদ্ধে লড়তে। আর গোল্ডেন প্যাথে যোগ দেবার পর অজয়ের দুটি বন্ধু হয়, একজন আমিতা এবং সাবাল। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এই আমিতা হচ্ছে আমাদের এবারের “চিত্রা”!! (ব্যাপক লুল)!
তবে ফারক্রাই ৪ এর স্টোরিলাইন তোমার ইচ্ছে মতো চলবে। যদি তুমি পেগানের ড্রাগ ব্যবসাতে জয়েন করো তাহলে স্টোরি এক রকম হবে আর গোল্ডেন প্যাথে জয়েন করতে আরেক রকম স্টোরিলাইন পেতে যাচ্ছো তুমি।
গেমটির মূল স্টোরিলাইনটি পাঁচ ঘন্টার গেম-প্লে ফিচার করবে। তবে সিরিজের আগের গেমসগুলার মতো ফারক্রাই ৪ গেমটিতেও থাকছে ব্যাপক সাইড মিশন এবং এক্টিভিটিস। আর ফারক্রাই ৩ এর লোকেশন আনলক, ক্র্যাফ্টিং সিস্টেম, এক্সপিরিয়েন্স পয়েন্ট সিস্টেম সহ অনেক ফিচার ফিরে আসবে গেমটিতে। আর যেহেতু এসাসিন্স ক্রিড ৩ গেমটির গেম-প্লের হালকা ছোঁয়া হিসেবে থাকছে নতুন প্রাণীবধ সিস্টেম। যদি অস্ত্রের সাহায্যে গুলি বা বোমের সাহায্যে কোনো প্রাণী হত্যা করো তাহলে তুমি ওই প্রাণীর কাছ থেকে তেমন ভালো মানের মাংস এবং চামড়া পাবে না। তবে জাল, ফাঁদ এবং ছুড়ি ব্যবহার করে প্রাণী হত্যা করলে ওই প্রাণী থেকে শতভাগ বেনিফিট পাওয়া যাবে। এই রকম সিস্টেম এসাসিন্স ক্রিড ৩ তে ছিলো।
আর ফারক্রাই ৩ এর হাতের ট্যাটুতে স্কিল সিস্টেম এবারে ফারক্রাই গেমে থাকছে না। এবারের ফারক্রাই গেমে স্কিল সিস্টেমকে দুটি দলে ভাগ করা হয়েছে, দ্যা পাথ অফ দ্যা টাইগার এবং দ্যা পাথ অফ দ্যা এলিফেন্ট এই দুটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে। টাইগার গ্রুপে পয়েন্ট খরচ করে তুমি অস্ত্রের একুরেসি, স্প্রিন্ট এর ক্ষমতা বাড়ানো ইত্যাদির স্কিল বাড়াতে পারবে। আর এলিফেন্ট গ্রুপে তুমি মূলত ডিফেন্সিভ স্কিলগুলো যেমন এক্সট্রা লাইফ বার এবং হিলিং পাওয়ার ইত্যাদি বাড়াতে পারবে।
গেমটিতে নতুন ফিচার হিসেবে থাকছে মাল্টি-সাইডেড স্টোরিলাইন, মাইক্রোলাইট চোপার; যেটির সাহায্যে গেমটির দুনিয়ার এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে এবং চোপারটির সাহায্যে সরাসরি কোনো রাডার টাওয়ারের উপরে যাওয়া যাবে! আর হাতির পিঠে চড়ার কথা তো আগেই বলেছি। তবে হাতির পিঠে চড়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্কিল আনলক করার প্রয়োজন পড়বে।
ফারক্রাই ৪ একটি আপকামিং একশন এডভেঞ্চার FPS ভিডিও গেম যেটি নির্মাণ এবং প্রকাশ করবে ইউবিসফট। গেমটি নভেম্বর ১৮, ২০১৪ সালে বর্তমান এবং পরবর্তী প্রজন্মের গেমিং কনসোলে মুক্তি পাবে। গেমটি ২০১২ সালের ফারক্রাই ৩ গেমটির সিকুয়্যাল এবং ফারক্রাই সিরিজের ৪র্থ সংস্করণ।
ফার্স্ট পারসন শুটার,
একশন এডভেঞ্চার
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
মিনিমামঃ
কোর ২ ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর
২ গিগাবাইট র্যাম
জিফোর্স জিপি ৬৩০ অথবা রাডিয়ন এইডডি ৬৫৭০ ডিডিআর৩ এক জিবি গ্রাফিক্স কার্ড,
উইন্ডোজ এক্সপি (৬৪বিট)
ডাইরেক্ট এক্স ৯ এবং ১৫ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস।
ভালোভাবে খেলতে হলেঃ
কোর আই ৫ ৩.৪ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
৮ গিগাবাইট র্যাম,
জিফোর্স জিটিএক্স ৭৬০ অথবা রাডিয়ন আর৯ ৭৬০ গ্রাফিক্স কার্ড,
উইন্ডোজ সেভেন (৬৪বিট) অপারেটিং সিস্টেম,
ডাইরেক্ট এক্স ১১ সাথে ১৫ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
অশাধারন ভাই। ধন্যবাদ। এভাবেই চালিয়ে জান