ফারক্রাই ৩ এবং নিড ফর স্পিড রাইভালস এর বাংলায় Walkthrough বা নির্দেশিকায় তোমাদের ব্যাপক সাড়া পাবায় আমি খুবই আনন্দিত! তবে জিটিএ ৫ এর গাইড শুরু করলেও যেহেতু গেমটি এখনো পিসি সংস্করণে আসে নি তাই আর জিটিএ ৫ এর গাইড গেমটির পিসি সংস্করণ বের না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখবো!
আর এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র টেকটিউনস এবং আমার সাইট (gamewala.net) এই দুটি জায়গায় পাওয়া যাবে। অন্যত্র কোথাও আমার এই গাইডের কপি পাওয়া গেলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। প্রচুর পরিশ্রম এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার এই গাইড বানানো।
(You’re being watched!)
ওয়াচ ডগস! ইউবিসফটের একটি চমৎকার একশন ধাঁচের গেম! জিটিএ সিরিজের মতো গেমটি হলেও গেমটি জিটিএ সিরিজের থেকে আলাদা! কারণ . . . . . গেমটিতে রয়েছে হ্যাক করার ফিচার! হুম! তোমাকে এবার হ্যাকারের চরিত্রে খেলতে হবে। আর বোঝাই যাচ্ছে যে গেমটির মূল ফিচার হলো হ্যাক!!
গেমটির পটভূমি সাজানো হয়েছে শিকাগোর সিটির আদলে (যেটা জিটিএ ৩ এবং জিটিএ ৪ য়েও ছিল)। গেমটির প্লেয়ার চরিত্রের সবচেয়ে পাওয়ারফুল অস্ত্র হচ্ছে তার হ্যাকিং স্কিল! গেমটি নির্মাণ করেছে কয়েকটি গেম স্টুডিও যাদের মধ্যে ইউবিসফট মন্টিয়াল লিডে রয়েছে। এই ইউবিসফট আমাদেরকে এসাসিন্স ক্রিড, টম ক্যান্সিস রেইবো সিক্স, ফারক্রাই সিরিজ সহ আরো বেশ কয়েকটি চমৎকার গেমস সিরিজ উপাহার দিয়েছে। দেখা যাক ওয়াচ ডগসটি শুধু গেম হিসেবে এলো নাকি আমাদের জন্য চমক হিসেবে গেমটি সিরিজ হয়ে ফিরে আসছে!!
তো গেমটির নির্দেশিকা বা বাংলা Walkthrough শুরু করছি। আজ সরাসরি কোনো মিশনে যাবো না। প্রথমে গেমটির বেসিক বা মূল কিছু জিনিস জেনে নেওয়া যাক। আসো তাহলে শুরু করি।
ভূমিকাঃ
ওয়াচ ডগস গেমটি থার্ড পারসন ভিউতে খেলা যাবে এবং গেমটির মূল ফিচার হচ্ছে হ্যাকিং! গেমটিতে তোমাকে সাবেক ক্রিমিনাল এবং এন্টি-হিরো “এইডেন পিয়ারস” এর ভূমিকায় খেলতে হবে। এইডেন হ্যাকিং এ দক্ষ! সে চাইলে ট্রাফিক লাইটে হ্যাক করে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে, এটিএম মেশিনে হ্যাক করে টাকা চুরি করতে পারে, আশেপাশের মানুষদের ফোন হ্যাক করে উক্ত মানুষের সকল তথ্য জেনে নিতে পারে ইত্যাদি!
এসকল কিছুই শহরের Central Operating System কিংবা ctOS এর জন্য করা যায়। এই ctOS শহরের সকল পাওয়ার সাপ্লাই, আরবান সাবওয়ে, ট্রাফিক লাইট, সিকুরেটি ক্যামেরা সহ সকল ভার্চুয়াল নেটওর্য়াকের সাথে কানেন্টেড থাকে। এর ফলে, শহরের মেট্রোপলিটর এরিয়াগুলো কম্পিউটারের দ্বারা পরিচালনা করা হয় এবং কম্পিউটারগুলো প্রাইভেট কোম্পানিরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
তবে হ্যাকিংই শেষ কথা নয়, এইডেনকে গেমটিতে শারীরিক কসরত এবং যুদ্ধ অস্ত্রদিয়েও সংর্ঘষ করতে হয়! আর গেমটির আরেকটি মুল ফিচার হলো, গেমটি স্টেলথ ধাচেঁর!! তবে চাইলে গেমটি যেকোনো ভাবে তোমার ইচ্ছে মতো খেলা যাবে।
ওয়াচ ডগস গেমটির প্রায় সকল কার্যক্রম দু ভাগে সম্পন্ন করা যায়। স্টেলথ মোডে এবং বাই ফোর্সে!
স্টেলথ ভাবে গেমটি খেললেই গেমটির আসল মজা পাওয়া যাবে। তবে তোমার রক্তে যদি স্টেলথ সহ্য না হয় তাহলে একটি অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ো এবং দেখিয়ে দাও রক্ত কত গরম তোমার!!
স্টেলথ ভাবে খেললে প্রথমেই আসে আত্মরক্ষা! আর সেটা করা কভারে লুকিয়ে। গেমটির প্রায় প্রত্যেক জিনিসে তুমি নিজেকে কভার করতে পারো। হয় সেটা গাড়িতে লুকিয়ে হোক কিংবা দেয়ালে লুকিয়েই হোক!
তবে শত্রুদের কাছে ধরা খেলে গেলেও চেষ্টা করা উচিত তাদের সাথে Hand to Hand মারামারিতে যাবার। এতে যেমন তোমার গেমটির আসল মজা পাওয়া যায় সেভাবে বিভিন্ন ধরণের স্কিল পয়েন্টও অর্জন করা যায়।
আর দূর থেকে সংর্ঘষ করতে চাইলে তোমার কাছে অবশ্যই অস্ত্র থাকা চাই। শিকাগো শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো অস্ত্রের দোকান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, সেখান থেকে টাকার বিনিময়ে ভালো ভালো এবং শক্তিশালী অস্ত্র কিনতে পাওয়া যাবে। আর এছাড়াও বিভিন্ন শত্রুর হাত থেকে পড়ে যাওয়া অস্ত্রগুলোও কুড়িয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারো তুমি। তবে তোমার ইনভেন্টরিতে তোমার পছন্দমতো অস্ত্র ঢুকিয়ে নিবে, এতে অস্ত্রগুলো স্থায়ীভাবে তোমার কাছে থাকবে। পরে অবশ্য গুলি সংগ্রহ কিংবা কিনতে হতে পারে!
ওয়াচ ডগস গেমটিতে যাবতীয় শত্রুদেরকে মোট পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। তা নিচে দেওয়া হলোঃ
> Gunman: এদের কাছে সাধারণ অস্ত্র থাকে এবং অধিকাংশ সময়ে এদের কাছে এক্সট্রা বডি আরমর থাকে না। তাই এদেরকে টার্গেট করা অতিব সহজ!!
> Veteran: এরা গানম্যানদের থেকে একটু চালাক হয়। তাদেরকে দূর থেকে মারলে ভালো হয় কিংবা Melee আক্রমণে মারা ভালো। তবে কোনো ভাবেই তাদের সাথে Hand to Hand ফাইটে যাওয়া ভালো নয়।
> Elite: এই টাইপের শত্রুদের কাছে খুব ভালো মানের অস্ত্র এবং আরমর থাকে। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তেমন কাজ করতে পারে না। তাদেরকে মারতে হলে মাথায় টার্গেট করতে হবে!
>Enforcer: মিলিটারীর মতো এরা খুবই হেভি আরমর আর মেশিনগান ব্যবহার করে। এদেরকে মারতে হলে বোম কিংবা গ্রেণেড লাঞ্চারের ব্যবহার আবশ্যক!
> Marksman: এরা হালকা আরমর ব্যবহার করলেও এদের কাছে স্নাইপার রাইফেল থাকে এবং এটা এইডেনকে মুহূর্তেই মেরে ফেলতে পারে। এদেরকে প্রথমে স্নাইপার রাইফেল থেকে আসা লেজার রশ্মির দ্বারা স্পট করতে হবে এবং পারলে যত দ্রুত সম্ভব মেরে ফেলতে হবে অথবা এদেরকে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম!
আর যেসকল শত্রু গাড়িতে করে তোমাকে ধাওয়া করতে আসবে সে ক্ষেত্রে গাড়ির ইঞ্জিণে গুলি করে বা বোম মেরে গাড়িতে ধ্বংস করে দিতে হবে। আর হেলিকপ্টারের ক্ষেত্রে প্রথমে হেলিকপ্টারের গানম্যানদের ক্ষতম করতে হয় কারণ হেলিকপ্টার টি তোমার কোনো ক্ষতি করবে না।
এইডেন এর কিন্তু তেমন কোনো স্পেশাল আরমর নেই আর গেম জুড়ে প্লেয়ার চরিত্রে তেমন কোনো বিশেষ আরমর পাবে না। তাই সে শত্রুদের গুলি থেকে অতটা সুরক্ষিত নয়! বেশি ডেমেজ খেলে মনিটর প্রায় লালসে হয়ে যাবে এবং ডেমেজ থেকে নিজে নিজেই মুক্তি মিলবে (Auto Charge) কিন্তু এই চার্জিং এর সময় তোমাকে কভাবে লুকিয়ে থাকতে হবে। আর গেমটিতে একবার মরে গেলে হয় কিছু টাকা ক্ষয় হবে কিংবা কিছু যন্ত্রপাতি লুজ হবে!
মিশনের মাঝে মরে খেলে আগের চেকপয়েন্ট থেকে আবার মিশনটি শুরু হবে। আর ফ্রি রমে মরে থেকে কিছুক্ষণ পর নিকটস্ত হাইডআউট থেকে আমার গেমটি শুরু করা যাবে।
গেমটির মূল গেম-প্লে উপাদান হলো হ্যাকিং এবং এটা এইডেনের স্মার্টফোনের সাহায্যে করা হয়। তোমার আশে পাশে হ্যাক করা যাবে এমন উপাদান যদি পাও (Hack-able) তখন একটি বাটন চেপে রাখতে হবে এবং হ্যাকিং হয়ে যাবে। তবে Cover রে থাকা অবস্থায় হ্যাকিং করলে তোমার অবস্থান সম্পর্কে শত্রুরা জেনে যাবে। তাই একটু সাবধান থাকতে হবে।
গেমটির ছোটখাট ডিভাইস যেমন অন্যের মোবাইল, ভেন্ডিং মেশিন ইত্যাদিকে আনলিমিটেড বার হ্যাক করা যাবে। তবে আরো এডভান্স হ্যাকিং এর জন্য তোমার ব্যাটারি পাওয়ার ক্ষয় হবে। আর স্ক্রিণের নিচের বাম দিকে একটি ব্যাটারির আইকন থাকবে আর সেখানে দেখা যাবে যে ব্যাটারিতে কতটুকু পাওয়ার রয়েছে। উন্নত আপগ্রেড ব্যবহার করে ব্যাটারির পাওয়ার ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
তবে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হচ্ছে, কোনো হ্যাকিং থেকে ডাইরেক্ট সুবিধা ভোগ করলে (যেমন ড্রব্রিজের মাধ্যমে পুলিশের হাত থেকে বাঁচা) তোমার ব্যাটারি থেকে উল্লেখ্যযোগ পরিমাণ পাওয়ার খরচ হবে!
নোটঃ ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য তোমাকে তোমার হাইডআউটে যেতে হবে!
আর আরেকটি কথা হলো, গেমটির শুরুতেই শহরের সকল নাগরিকের মোবাইলে হ্যাকিং, এটিএম মেশিনে হ্যাকিং ইত্যাদি করা যাবে না। নির্দিষ্ট অঞ্চলে এই সুবিধা ভোগ করা যাবে। আর অনান্য অঞ্চলে এই হ্যাকিং পরিধি বাড়ানো জন্য তোমাকে উক্ত এরিয়ার ctOS Control Center কে হ্যাক করতে হবে এবং উক্ত এরিয়াকে হ্যাকিং এর জন্য আনলক করতে হবে! আর এই স্পেশাল হ্যাকিং স্ক্রিল তোমাকে আগেই আনলক করে নিতে হবে!
আর গেমটির একেবারে এডভান্স এবং প্যাচওয়ালা হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে, অনেক সময় তোমাকে হ্যাকিং মিনিগেম কমপ্লিট করতে হয়।
গেমটি যেহেতু স্টেলথ সিস্টেমকে সরাসরি সার্পোট করে তাই গেমটি তুমি স্টেলথ মোডে খেলতে পারো। আর বলা বাহুল্য যে, গেমটি সরাসরি তোমাকে জানাবে যে কোন স্পটে আসলে তুমি শত্রুদের নজর থেকে বেঁচে থাকবে এবং কোন স্পটে গেলে তুমি শত্রুর দৃষ্টির সীমানায় আসবে। তাই গেমটিতে স্টেলথ ভাবে খেলা অতটা কঠিন নয়। আবার অতটা সহজও নয়!!
আর স্টেলথ মানেই লুকিয়ে থাকা, সুযোগ বুঝে শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পড়া, শত্রুর পথ বুঝে এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি!
আর এভাবে তোমার সামনে যদি অস্ত্রবিহীন শত্রু থাকে তখন তোমার উচিৎ তার পিছন থেকে এসে Melee কী বাটন চেপে ঘায়েল করা। আর অস্ত্র থাকলে সরাসরি মাথায় টার্গেট করা উচিত।
নোটঃ ডিফল্ট হিসেবে Enforcers শত্রুদের কাছে Melee টেকডাউন সিস্টেম কাজ করবে না যেহেতু আর হেভি আরমর পড়ে থাকে। তবে একটি স্পেশাল স্ক্রিল এর মাধ্যমে এদেরকেও টেকডাউন করা যায়।
আর টেকডাউন করার সময় মনে রাখতে হবে যে, এইডেন কিন্তু শত্রুর মৃত বডি ড্রাগ করতে পারবে না, তাই ভালো স্পট থেকে Melee টেকডাউন করা উচিত।
এইডেন এর যাবতীয় Equipment কে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা যায়ঃ
স্মার্টফোনঃ
স্মার্টফোন দিয়েই এইডেন হ্যাকিং করতে পারে এবং এর জন্যই এটি খুব দরকারি জিনিস! এছাড়াও স্মার্টফোনের মেনু থেকে আরো কাজ করা যায় যেমন, গেমটিতে তোমার Progression , এবিলিটি ট্রি, Statistics, DedSec Field Guide, Car On Demand, Fixer Contracts, City Hotspots, Audio Logs অপশন সহ বিভিন্ন মিনিগেম থাকে।
অস্ত্র এবং গেজেডঃ
নির্দিষ্ট কী বাটন চেপে এইডেনের ইনভেন্টরিতে প্রবেশ করা যায়। এর মাধ্যমে যেকোনো সময় দরকারি গেজেড এবং অস্ত্র বেছে নেওয়া যায়। আর কোনো অস্ত্র একবার এইডেনের ইনভেন্টরিতে আসলে তা স্থায়ী রূপে সেখানে জমা থাকে। অবশ্য তোমাকে গুলি সংগ্রহ করতে হবে উক্ত অস্ত্রের জন্য!
পোষাকঃ
গেমটিতে তুমি এইডেন এর পোষাক পরিবর্তন করতে পারো, আর এটার জন্য তোমাকে শহরের বিভিন্ন কাপড়ের স্টোরে ভিজিট করতে হবে। উল্লেখ্য যে, পোষাক পরিবর্তন শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। পোষাক পরিবর্তন করে এইডেনের এবিলিটি কিংবা স্ক্রিলের পরিবর্তন করা যায় না।
ক্র্যাফটিং (Crafting):
ওয়াচ ডগস গেমটিতে গেজেড কিনতে পাওয়া যায় এবং Crafting এর মাধ্যমে নিজের মতো করে গেজেড বানিয়ে নেওয়া যায়! আর ক্র্যাফটিং এর জন্য তোমার কাছে অবশ্যই উল্লেখ যোগ্য পরিমাণে ingredients থাকতে হবে, যা তুমি শহরের বিভিন্ন জায়গা হতে সংগ্রহ করতে পারো অথবা Pawn Shops কিংবা ফার্মেসির দোকান থেকে টাকার বিনিময়ে কিনতে পারো।
তবে শপগুলোতে আগে থেকেই অনেক রেডি মেড গ্যাজেট থাকে আর তোমার কাছে টাকা থাকলে তা বাগিয়ে নেওয়া ভালো।
আর ক্র্যাফটিং এর জন্য তোমার একটি বিশেষ এবিলিটি আনলক করা থাকতে হবে। আর এর পরই তুমি ক্র্যাফটিং শুরু করতে পারবে।
নোটঃ ক্র্যাফটিং গেমটির যেকোনো জায়গায় যত খুশি তত করা যাবে। তবে যেকোনো গেজেড এর পরিমাণ থাকবে লিমিটেড। তবে আর যোগান তুমি বাড়াতে পারো আপগ্রেডের মাধ্যমে।
গেমটির পটভূমির শহরটি বিশাল বড়, আর এর জন্যই তোমাকে যানবাহনে উল্লেখ যোগ্য পরিমাণ সময় ব্যায় করতে হবে শহরটিকে চেনার জন্য। আর বিভিন্ন মিশনে নির্দিষ্ট যানবাহন দেওয়াই থাকে ট্রান্সপোর্ট এর জন্য। আর ফ্রি রোমের ক্ষেত্রে তোমাকে নিজের যানবাহন নিজেই যোগাড় করে নিতে হবে।
এর জন্য প্রথমেই একটি গুরূত্বপূর্ণ কথা হলো, তোমার Car Unlock এবিলিটি থাকতে হবে। আর গেমটির প্রথম মিশনের পরেই এই এবিলিটি আনলক করা যাবে। আর আরেকটি হচ্ছে গাড়িটির চালককে গাড়ি হতে ফেলে দেওয়া। তবে এটা করার পর চালকটি তোমার নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারে । আর তুমি যদি দেখো যে, চালকটি পুলিশকে ফোন করছে তখনি তার কাছে গিয়ে তার হাত থেকে ফোনটি ফেলে দিতে হবে। আর এটি না করলে হয়তো তোমার পিছে পুলিশ লাগতে পারে!!
আরেকটি উপায় হলো এইডেনের স্মার্টফোনের Car On Demand এপপ! এর সাহায্যে তোমার পছন্দের গাড়িকে ম্যাপে পিন পয়েন্ট করে রাখতে পারো। তবে এক্ষেত্রে যেসকল গাড়িতে তুমি ড্রাইভ করেছো শুধুমাত্র সে সকল গাড়িকেই পিন পয়েন্ট করে রাখা যাবে। আর এর সাহায্যে গাড়ি অর্ডার করা যাবে তবে সেটা হবে ব্যয়বহুল!
ওয়াচ ডগস গেমটিতে পুলিশের হাত থেকে পালানো হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তোমার বিভিন্ন বেআইনী কাজের জন্য পুলিশ তোমার পিছনে লাগতে পারে এবং তোমার তাদের হাত থেকে পালাতে হবে!!
সাধারণত যেসকল কাজের জন্য পুলিশ তোমার পিছে লাগতে পারেঃ
> শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানো! হুম! শুধুমাত্র দরকারের সময় অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত
> পাবলিক প্লেসে সাধারণ নাগরিকদের আহত এবং নিহত করা!!
> গাড়ি এবং বাইকের ড্রাইভারদের ফেলে দেওয়া ! এক্ষেত্রে আগের বলেছি তাদের ফোন তাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে হবে এবং ভেঙ্গে ফেলতে হবে পুলিশকে ফোন দেবার আগেই।
> যেসকল এরিয়াতে এইডেনের ওয়ান্টেড স্টেটাস বিদ্যমান সেকল এরিয়াকে যাতায়াত!
পুলিশের ধাওয়া (Persuit) শুরু হলে মিমিম্যাপে একটি হলুদ বৃত্তাকার চিহ্ন আসবে। তোমার প্রথম কাজ হলো উক্ত বৃত্তাকার হতে বেরিয়ে আসা। এছাড়াও আরেকটি সমাধান হলো Jam Coms গেজেড ব্যবহার করা। এর সাহায্যে পুলিশ আর একটিভ স্ক্যান করতে পারবে না।
এছাড়াও হ্যাকিং করে ড্রব্রিজ আনতে পারো পুলিশের গতিবেগকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য!
গেমটিতে তোমার একটি রেপুটেশন মিটার রয়েছে। এর সাহয্যে তুমি অনেক এডভান্সি পেতে পারো অনেক ক্ষেত্রে। যদি তোমার রেপুটেশন লেভেল উচ্চ থাকে তাহলে পুলিশের পারসূট বেশি উচ্চ লেভেলের হবে না।
আর রেপুটেশন যত বেশি হবে, এইডেনের বিপক্ষে ব্রডক্যাষ্ট তত কম হবে। রেপুটেশন বাড়াতে অবশ্যই “ভালো কাজ” করতে হবে। যেমন নিরীহ মানুষদের ক্রিমিনাল হতে বাঁচানো। তবে তুমি নিজেই যদি সন্ত্রাসী কাজ করো তাহলেও রেপুটেশন বাড়বে!! কিন্তু সেটি হবে “Bad Reputaiton”!!!
গ্র্যান্ড থেফট অটো সিরিজের সেইফ হাউসের মতোই ওয়াচ ডগস গেমটির হাইড আউট সিস্টেম।
সাধারণত হাইডআউটে তুমি রেস্ট নিতে পারবে, গেম সেভ করতে পারবে, ব্যাটারী রিচার্জ করতে পারবে, “ফোকাস” রিচার্জ করতে পারবে এবং ঘড়ির সময় পরিবর্তন করতে পারবে (ঘুমিয়ে)।
ওয়াচ ডগস গেমটিতে মিশনসমূহে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মেইন মিশন এবং সাইড মিশন।
মেইন মিশনগুলো গেমটির স্টোরিলাইনের সাথে সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে। অধিকাংশ মেইন মিশন আনলক করতে হলে তোমাকে সাইড মিশন খেলতে হবে। যেমন, একটি মেইন মিশনে প্রবেশের পূর্বশর্ত হচ্ছে তোমার কাছে একটি অস্ত্র থাকতে হবে। এজন্য তোমাকে সাইড মিশনে গিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করতে হবে। তবে টাকা থাকলে সরাসরি অস্ত্রের দোকানে গিয়েও অস্ত্র সংগ্রহ করা যায়!!
আর এ জন্য প্রতিটি মেইন মিশন খেলার পর শহরটিতে ভালো করে একটু খোঁজ নেওয়া দরকার সাইড মিশনের জন্য।
ওয়াচ ডগস গেমটিতে টাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গেমটিতে অস্ত্র, গাড়ি, গেজেড, মেডিসিন এবং কাপড়-চোপড় ইত্যাদি কেনার জন্য তোমার চাই টাকা! গেমটিতে তুমি বিভিন্ন ভাবে টাকা আয় করতে পারে। যেমনঃ
> মেইন মিশন খেলে টাকা আয় করা যায়। তবে সব মেইন মিশন তোমাকে টাকা দেবে না অবশ্য!
> সাইড মিশন খেলে টাকা আয় করা যায়। বিশেষ করে Fixer Contracts সাইড মিশনটিতে বেশি টাকা আয় করা যায়।
> হ্যাক করে টাকা আয়!! যেমন আশেপাশের মানুষদের ফোন হ্যাক করে তাদের একাউন্ট থেকে টাকা এনে এটিএম মেশিনে টাকা তুলে নেওয়া যায়!!
> গাড়ি চুরি!! শহরের পাকিং লটে বিভিন্ন গাড়িতে টাকা পয়সাও লুকানো থাকে!
> শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন (?) চিহ্নিত পেপার ব্যাগ পড়ে রয়েছে। এগুলো থেকেও হালকা আয় করা যায়।
> শপে ডাকাতি করে!! তবে এখানে মনে রাখা দরকার যে, পুলিশ আসতে পারে!
> মিনিগেম খেলে! প্রত্যেকটি মিনিগেমে যত বেশি র্যাঙ্ক অর্জন করতে পারবে তত বেশি পরবর্তীতে আয় করা যাবে। একই ভাবে হারলে ততই টাকা খোয়া যাবে!!
ম্যাপে ctOS টাওয়ার গুলো Red Hexagons হিসেবে মার্ক করা রয়েছে। এবং সিটিওএস টাওয়ারগুলোকে অবশ্যই গুরূর্ত্বের সাথে দেখা উচিত।
কারণ টাওয়ারগুলোতে হ্যাক করে ট্রোজান ইন্সটল করলে উক্ত এরিয়ার নতুন হাইডআউট আনলক হবে এবং এরিয়ার যাবতীয় গোপনীয় উপাদান সম্পর্ক্ জানা যাবে!
টাওয়ার হ্যাক করার জন্য প্রথমে টাওয়ারের কাছে যেতে হবে। এরপর টাওয়ারের বেইসে যাবার জন্য যাবতীয় কোড তোমার কাছে থাকতে হবে। কোডসমূহ তুমি টাওয়ারের দারোয়ানের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে!!
এরপর বেইসে গিয়ে এর কনট্রোল প্যালেনে একটি হ্যাকিং মিনিগেম খেলতে হবে এবং হ্যাক কমপ্লিট করতে হবে!
নোটঃ যেকোনো এরিয়ার টাওয়াকে হ্যাক করার জন্য প্রথমে তোমাকে উক্ত এরিয়ার ctOS কনট্রোল সেন্টারে হ্যাক করতে হবে!
সিটিওএস কনট্রোল সেন্টারগুলো ম্যাপে লাল আইকন দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। কনট্রোল সেন্টার হ্যাক করেই উক্ত এরিয়ার নাগরিকদের ফোনে হ্যাকিং চালানো যাবে এবং টাওয়াগুলোতে ট্রোজান আপলোড করা যাবে!
কনট্রোল সেন্টার হ্যাক করতে হলে প্রথমে তোমাকে Profiler App দিয়ে সেন্টারের একসেস কোড কার কাছে আছে তা বের করতে হবে। এরপর কোড টি সংগ্রহ করে (মানে চুরি করে!!) সেন্টারের সার্ভার রুমে গিয়ে ট্রোজান ভাইরাসটি আপলোড করতে হবে।
ওয়াচ ডগস গেমটিতে রয়েছে বিল্ট ইন স্কিল বা এক্সপেরিয়েন্স পয়েন্টস। প্রধানত, মেইন এবং সাইড মিশন খেলে XP পাওয়া যায় তবে এছাড়াও পুলিশের পারসূট হতে পালিয়ে এবং শত্রুদের বিভিন্ন কৌশলে হত্যা করেও XP অর্জন করা যায়। আর এই পয়েন্টগুলো দিয়ে এইডেনের বিভিন্ন এবিলিটি আনলক করা যাবে। এদের মধ্যে অন্যতম এবিলিটি হলো Focus. এটি ম্যাক্স পেইন সিরিজের বুলেট টাইমের মতোই। টাইম কে স্লো করে দেয় যাতে তুমি ভালো করে গুলি করতে পারো।
এ যুগের প্রায় প্রত্যেকটি গেমেই রয়েছে রয়েছে ১০০% কমপ্লিট করার সুবিধা। ওয়াচ ডগস গেমটি ১০০% কমপ্লিট করতে হলে তোমাকে যা যা করতে হবে তা হলোঃ
> গেমটির ৩৯টি মেইন মিশন কমপ্লিট করতে হবে। যা পাঁচটি চ্যাপটারে বিভক্ত রয়েছে।
> ১৮টি ক্রিমিনাল কনভয় মিশন কমপ্লিট করতে হবে।
> ২০টি ক্রাইমস ডিটেকটেড মিশন কমপ্লিট করতে হবে।
> ৪০টি ফিক্সার কনট্রাকস মিশন কমপ্লিট করতে হবে।
> ১৫টি গ্যাঙ্গ হাইডআউটস মিশন কমপ্লিট করতে হবে।
> তোমাকে ২৩টি গান সম্বলিত একটি প্লে-লিষ্ট সংগ্রহ করতে হবে (SongSneak)
> ৩০টি প্রাইভেসি ইনভেশন চালাতে হবে
> ১৩টি সিটিওএস টাওয়ারকে হ্যাক করতে হবে
> ১৬টি সিটিওএস সেন্টারকে হ্যাক করতে হবে
> ১০০টি সিটি হটস্পটে ভিজিট করতে হবে
> ১০টি অডিও লগ সংগ্রহ করতে হবে।
> ১০টি অনলাইন Tailings, ১০টি অনলাইন রেস, ১০টি অনলাইন হ্যাকিং এবং ১০টি অনলাইন Decryptions কমপ্লিট করতে হবে।
> ৩টি Shell Games, একটি Poker মিনিগেম, একটি NVZN মিনিগেম, ৬টি ড্রিকিং মিনিগেম, ১০টি দাবা মিনিগেম এবং একটি Cash Run মিনিগেম কমপ্লিট করতে হবে।
ওয়াচ ডগস গেমটির Intro নির্দেশিকা শেষ করবো সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ বিষয় দিয়ে। আর তা হলো সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস।
ওয়াচ ডগস গেমটি একটি হেভি গেম! গেমটি পিসিতে খেলতে হলে ৬ গিগাবাইট র্যাম এবং জিফোর্স জিটিএক্স ৪৬০ গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজন হবে। আর গেমটির আসল মজা পেতে হলে মানে হাই গ্রাফিক্সে খেলতে হলে তোমার দরকার আট কোর বিশিষ্ট ইন্টেল কোর আই৭ প্রসেসর এবং জিফোর্স জিটিএক্স ৭৮০ মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড ।
গেমটির গাইডের জন্য আমি গেমটি প্লে-স্টেশন ৪ গেমস কনসোলে High গ্রাফিক্স সেটিং দিয়ে খেলেছি।
পিসি কনফিগারেশনঃ
উল্লেখ্য যে গেমটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ এর ৬৪বিট সংস্করণে চলবে! উইন্ডোজ এক্সপি সার্পোট করবে না। আর হার্ডডিক্স এর জায়গা লাগবে ২৫ গিগাবাইট
মিনিমামঃ
ইন্টেল কোর ২ কোয়াড অথবা চার কোর বিশিষ্ট যেকোনো প্রসেসর,
৬ গিগাবাইট র্যাম,
রাডিয়ন এইচডি ৫৭৭০ কিংবা জিফোর্স জিটিএক্স ৪৬০ গ্রাফিক্স কার্ড
ভালো ভাবে খেলতে হলেঃ
ইন্টেল কোর আই৭-৩৭৭০ অথবা আট কোর বিশিষ্ট প্রসেসর,
৮ গিগাবাইট র্যাম,
রাডিয়ন এইচডি ৭৮৫০ কিংবা জিফোর্স জিটিএক্স ৫৬০ গ্রাফিক্স কার্ড,
আল্ট্রা গ্রাফিক্স সেটিং এর জন্য রাডিয়ন এইচডি ৭৯৭০ অথবা জিফোর্স জিটিএক্স ৭৮০ গ্রাফিক্স কার্ড
ল্যাপটপে ওয়াচ ডগস গেমটি খেলা যাবে অবশ্য তবে ল্যাপটপটি হতে হবে অতি উচ্চ মানের। যেমন Intel Iris Pro 5200 এবং সাথে অবশ্যই ৬ গিগাবাইট র্যাম।
তো, সামনের পর্বে নিয়ে আসছি ওয়াচ ডগস গেমটির মেইন মিশনগুলোর নির্দেশিকা। সবাইকে আমন্ত্রণ রইলো।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
ভাই জিফোর্স জিটিএক্স ৪৬০ এবং জিফোর্স জিটিএক্স ৭৮০ মডেলের গ্রাফিক্স কার্ডের দাম কেমন হবে?