Sleeping Dogs গেমটির সিকুয়্যাল নাকি WATCH_DOGS!!! জ্বি! এই রকম অদ্ভুত এবং আজগুবি তথ্য পাবেন বাংলাদেশেরে গেমিং কমিউনিটিতে!! যাই হোক, সেদিকে আর না যাই!
বাংলাদেশের গেমিং ভক্তদের বহু অপেক্ষায় রাখার পর ওয়াচ_ডগস গেমটি অবশেষে মুক্তি পেলো কিছুদিন আগে!! বলা যায় ২০১৪ সালের বেষ্ট গেম হচ্ছে ওয়াচ ডগস (এখন পর্যন্ত, ইউনিটি আগে আসুক দেন দেখা যাবে নে! )
ওয়াচ ডগস (WATCH_DOGS) একটি ওপেন্ড ওর্য়াল্ড ফিচারের একশন-এডভেঞ্চার স্টেলথ ধাঁচের ভিডিও গেম নির্মাণ করেছে ইউবিসফট মন্টিয়াল এবং প্রকাশ করেছে ইউবিসফট। গেমটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লে-স্টেশন ৩ , প্লে-স্টেশন ৪, এক্সবক্স ৩৬০ এবং এক্সবক্স ওয়ান গেমিং কনসোলের জন্য মে ২৭, ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে। গেমটির Wii U সংস্করণ ২০১৪ সালের শেষের দিকে মুক্তি সম্ভাবনা রয়েছে।
গেমটির পটভূমি সাজানো হয়েছে শিকাগো সিটির “ফিকশনাল” রূপে! গেমটির স্টোরিলাইন সাজানো হয়েছে একজন হ্যাকারকে ঘিরে, যেখানে সে তার এক নিকট আত্মীয়ের খুনের প্রতিশোধ নিতে হ্যাক করে ফেলে আধুনিক জীবনের প্রায় সব কিছুই! ওপেন ওয়ার্ল্ড ফিচারের এই গেমটিতে ফ্রি রম সুবিধা রয়েছে যেখানে প্লেয়ার ফ্রি ভাবে পুরো শিকাগো শহরে ঘুরে বেড়াতে পারবে।
গেমটি থার্ড পারসন ক্যামেরা ভিউতে খেলা যাবে। গেমটিতে রয়েছে সিঙ্গেল প্লেয়ার এবং মাল্টিপ্লেয়ার সিস্টেম।
এইডেন পির্য়ারস। একজন গ্রে হ্যাট হ্যাকার এবং একই সাথে একজন ক্রিমিনালও বটে! ১১ মাস আগে মেরলট হোটেলে ডাকাতি করতে গিয়ে ফেইল হয় সে এবং এই কাহিনীর সুত্রপাতে তার একজন নিকট আত্মীয়ের খুন হয়। এবার এইডেন তার আত্মীয়ের খুনের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
তখনকার যুগে শিকাগো শহরটি ctOS (Central Operating System) নামের একটি উন্নত মানের টেকনোলজির উপর নির্ভরকরে গড়ে উঠেছে, এবং এইডেন এই ctOS কে হ্যাক করে শহরের যাবতীয় ইলেক্ট্রিকাল যন্ত্রের উপর তার অবাধ যাওয়া-আসার পথ খুলে দেয়। এখন সে পুরো শহরের সকল বাসিন্দাদের যেকোনো তথ্য তার স্মার্টফোনের সাহায্যে খুঁজে নিতে পারে!
এইডেনের সাবেক হ্যাকার পার্টনার ডেমিয়েন এইডেন মেরলট হোটেলে তথ্য ফাঁসের পক্ষে কে কে রয়েছে এটা বের করতে বললে এইডেন তা প্রত্যাখান করে দেয় কিন্তু যখন ডেমিয়েন এইডেনের বোন কিডন্যাপ করে তখন এইডেনকে এই কাজ টি বাধ্য হয়েই করতে হয়।
ওদিকে আরেকজন হ্যাকার মহিলা ক্ল্যারা লিলির সাহায্য নিয়ে এইডেন আরেকজন হ্যাকার গ্যাঙ্গ লিডারকে ট্যাক করে। সে হচ্ছে ব্ল্যাক ভাইসরয়েস গ্যাঙ্গ এর লিডার এনথনি ওয়েড। এনথনির সার্ভার হ্যাক করার পর এইডেন জানতে পারে যে, এনথনির সার্ভারে শহরের প্রায় প্রত্যেক সিটিজেনের তথ্য রয়েছে এবং এনথনি পুরো শহরকে ব্ল্যাকমেইল করতে যাচ্ছে। অতি উচ্চ সিকুরিটি থাকায় এইডেন তখনই ডিক্রিপ্ট কোড করতে না পারায় সে এটার সৃস্টিকারীর “টি-বোন” এর সাহায্য নেয়। টি-বোন এর কিছু কাজ করে দেওয়ার পর টি-বোন এইডেনকে ডিক্রিপ্টশনের আনলক করায় সাহায্য করে।
আনলক করার পর এইডেন এবং ক্ল্যারা এনথনির কমপাউন্ডের হ্যাক চালায়। এনথনির সার্ভারের হ্যাক করার পর যখন সার্ভার ডাটা ডাউনলোড করছিল তখন এনথনির সাথে এইডেনের সংর্ঘষ বাধে, এরই মধ্যে আরেকজন হ্যাকার তাদের সিস্টেমের মধ্যে প্রবেশ করে সার্ভারের ডাটা চুরি করে নিয়ে উধাও হয়ে যায়!
এনথনিকে খুন করার পর এইডেনে সার্ভারে রেখে যাওয়া একটি তথ্যের সাহায্যে জানতে পারে যে ১১ মাস আগে ডাকাতির তথ্য ফাঁসে ক্ল্যারার হাত ছিল এবং এরই জন্য তার আত্মীয়ের খুন হয়েছে। রাগের মাথায় ক্ল্যারাকে চলে যেতে বলে এইডেন। এইডেন কি পারবে শহরকে হ্যাকের হাত থেকে বাঁচাতে? পারবে তার আত্মীয়ের খুনের প্রতিশোধ নিতে?? জানতে হলে এখনই গেমটি খেলতে বসে পড়ো!!
ওয়াচ ডগস একটি একশন এডভেঞ্জার টাইপের গেম যেটি থার্ড পারসন ভিউতে খেলা যাবে। যেখানে প্লেয়ার একটি লাইনার স্টোরিলাইনের অবজেক্টটিভস পূরণের মাধ্যমে গেমটির স্টোরিতে এগিয়ে যাবে। স্টোরিলাইনের মিশন ব্যাতিত প্লেয়ার শিকাগো শহরে ফ্রি ভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবে। এটা অনেকটা জিটিএ সিরিজের মতোই!
গেমটির মূল গেম-প্লে হচ্ছে হ্যাকি! যেটা প্লেয়ারের ইন-গেম স্মার্টফোনের সাহায্যে করা হয়। স্মার্টফোনটি মাল্টিপল এপ্লিকেশন দিয়ে পূর্ণ । এসব এপ্লিকেশনের সাহায্যে প্লেয়ার গেমটিকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবে।
যেমন তুমি চাইলে স্মার্টফোনের “Crime Prevention System” এপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোনো সিটিজেনের মোবাইলে হ্যাক করে জানতে পারে সে কোনো প্রকাম ক্রাইম ঘটাতে যাচ্ছে নাকি এবং তুমি তা রুখতে পারবে। মানে তুমি চাইলে এভাবে “ভালো মানুষ” সাজতে পারো।
আবার
NPC’s ফোনে হ্যাক করে তুমি সিটিজেনদের ব্যাংক ডাটাগুলো হ্যাক করে নিয়ে টাকা, নতুন গাড়ি, অস্ত্র এবং ইন-গেম মিউজিক আনলক করতে পারো।
আবার রাস্তার ট্রাফিক লাইটে হ্যাক করে একসিডেন্টও ঘটাতে পারবে!! মূল কথা হচ্ছে প্লেয়ার চরিত্রটিকে ঈমানদার বা ক্রিমিনাল যেকোনো ভাবে সাজাতে পারো তোমার ইচ্ছে মতো! গেমটিতে তুমি ট্রেন রুখতে পারবে, সিকুরিলি লেভেল (যেমন কারফিউ) বাড়াতে পারবে, টাইমকে স্লো করে দিতে পারবে ভালো করে শুট করার জন্য! গেমটিতে রয়েছে স্টেলথ উপাদান! মানে প্ল্যান করে তুমি গেমটি খেলতে পারো! তবে সব কিছুতেই তোমাকে হ্যাক করে এগোতে হবে।
আর গেমটির সাইড মিশন খেলে এবং বিভিন্ন হিডেন আইটেম সংগ্রহ করে এইডেনের স্কিলস তুমি বাড়াতে পারবে।
ওয়াচ ডগস গেমটির জন্য ইউবিসফট নতুন একটি ইঞ্জিণ তৈরি করে গেমটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০০৯ সালে। গেমটিতে হ্যাকিং এর রিয়েল মজা দিতে গেমটিকে রাশিয়ান এন্টি-ভাইরাস প্রতিষ্টান ক্যাপারেস্কি ল্যাব অনেক সাহায্য করেছে হ্যাকিং বিষয়ে নির্মাতাদের তথ্য সরবরাহ করে। ২০১২ সালে গেমটির তথ্য প্রকাশ করে ইউবিসফট। মূলত গেমটি ২০১৩ সালের নভেম্বরে বাজারে আসার কথা ছিল। তবে গেমটিতে আরো গ্রাফিক্স আপগ্রেডের জন্য মুক্তি তারিখ ২০১৪ সালের শুরু দিকে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ইউবিসফট এসাসিনস ক্রিড, ফারক্রাই, স্প্লিন্টার সেল সহ ওয়াচ ডগস গেমটির ছায়াছবি আনবে। কলাম্বিয়া পিকচারস এর আন্ডারে এপ্রিল, ২০১৪ সালেই ছবিগুলো শুটিং শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
http://kickass.to/watch-dogs-reloaded-t9151932.html
HotFix:
http://kickass.to/watch-dogs-hotfix-reloaded-t9153218.html
গেমস জোন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, পরামর্শ, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের জন্য গেমস জোন এর ফেসুবক পেইজ http://www.facebook.com/games.zone.bd তে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি লেখক গেমওয়ালার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন http://www.facebook.com/talented.fahadসময় পেলেই ঘুরে আসো গেমস জোনের সাইট থেকে : http://www.gamewala.net
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
হাই কনফিগারেশন পিসির জন্য। আমার ল্যপুতে এটি চলবে না।