ইদানিং গেমস ডেভেলপাররা যে হারে হরর গেমস নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাতে মনে হচ্ছে একসময় ভুরি ভুরি হরর গেমস, ভিডিও গেমসের জগতে দেখা যাবে। কারন হরর গেমস নির্মাণে পরিশ্রম এবং খরচ দুইটিই কম । বেশির ভাগ হরর গেমসের গ্রাফিক্স অতো উন্নত নয় , গেমপ্লে একই রকম , সাথে সাধারন এবং নিম্ন মানের ঘটনা । তারপরও অনেক গেমার এসব গেমস খেলছে । কারন ভৌতিক জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি ।
কিন্তু হরর গেমস গুলো যদি একটু যত্ন পেতো তাহলে সেগুলো হয়ে থাকতো স্মরণীয় । যেমন : হাউস অফ দ্যা ডেড , ডেড রাইজিং , রেসিডেন্ট এভিল ইত্যাদি । এর জন্য ডেভেলপারদের উচিত অতি লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে ভালো কিছু নির্মাণের চেষ্টা করা ।
এই টিউনটি অনেক দিন আগেই লেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু ব্যস্ততার কারনে শেষ করা হয়নি । তাই আজকে সময় পাওয়ায় লেখা শুরু করে দিলাম 🙂 ।
আজকে যে গেমসের প্রিভিউ লিখতে যাচ্ছি , সেই গেমসটির নাম ডেলাইট । জম্বি স্টুডিও গেমসটি নির্মাণ করছে । গেমসটি প্রকাশ করবে অ্যাটলাস ইউএসএ । গেমসটি নির্মাণে আনরিয়েল ইঞ্জিন ফোর ব্যবহার করা হচ্ছে । গেমসটি এই বছরের এপ্রিল মাসের যেকোন এক সময়ে মুক্তি পাবে ।
গেমসের প্রথমেই একজন নারী দেখা যাবে । যাকে নিয়ে গেমার তার গেমস এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
গেমসের শুরুতেই সেই নারী নিজেকে একটি পরিত্যক্ত পুরাতন হাসপাতালে নিজেকে আবিষ্কার করবে । সে নিজেই জানে না সে কিভাবে সেই হাসপাতালে এলো ! । তবে সে খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে , জায়গাটি তার জন্য নিরাপদ নয় ।
গেমসটি হরর গেমস । তবে কি রকমের হরর তা সম্পর্কে নির্মাণকারীরা তেমন বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেনি । তবে সব হরর গেমস ঘুরে ফিরে একই রকম :p । তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও চলবে :v । তবে আমি আশা করছি গেমসটি অন্য হরর গেমসের তুলনায় ভালো হবে ।
পরের ঘটনায় আসি , জেগে উঠার পর সেই নারী ওই হাসপাতালের চারিদিক ঘুরে দেখতে শুরু করে । সে বুঝতে পারে না সে এখানে কেন এসেছে , কিভাবেই বা এই স্থানে এলো ! । সে সেই জায়গায় বিভিন্ন আসবাসপত্র দেখতে পায় । আর সেগুলো হল ভাঙ্গা হুইল চেয়ার , রঙচটা ফার্নিচার , ভাঙ্গা কাঁচ ইত্যাদি । সে এসব দেখে বুঝতে পারে তাকে খুব তাড়াতাড়ি সেই স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে হবে ।
কিছু খেলার পরই গেমার ভূতে সামনাসামনি পড়বে । গেমার ভূতে কাছ থেকে পালিয়ে আসার জন্য নিচের তলায় যাবে ।
গেমসটি গেমপ্লে ট্রেইলার দেখে বুঝতে পেরেছি গেমসটি গ্রাফিক্স কোয়ালিটি উন্নত মানের ইনভাইরোমেন্টাল ইফেক্ট , সাউন্ড ইফেক্ট চমৎকার । গেমসটি খেলে গেমারের মধ্যে এক ধরনের উদ্দীপনা জেগে উঠবে । প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর হাতছানি থেকে নতুন জীবন লাভ করবে গেমার । গেমসটিকে বাস্তবের সাথে অনেক মিল আনার জন্য জম্বি স্টুডিও অনেক কষ্ট করেছে । গেমসটি প্রথম কোয়াটারের সেরা গেমসগুলি সাথে স্থান দখল করতে পারে গেমসটি ।
আমি নভোজিত দাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 61 টি টিউন ও 156 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি Novojit das dipta । টেকটিউনে dj ndd forever নামে পরিচিত । গেমস ওয়ার্ল্ড নামে চেইন টিউন করছি । যা গেমস সম্পর্কিত । আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিংকে https://www.facebook.com/novojitdas.dipta । গেমস ওয়ার্ল্ডের সাথে সব সময় থাকতে যোগদান করুন ঃ https://www.facebook.com/groups/gamesworldfans/ আর https://www.facebook.com/games.world.bangladesh