হট পারসূটের চরম গেমপ্লে এবং মোষ্ট ওয়ান্টেড এর ওপেন ওর্য়াল্ড! গেম হিট হতে আর কি লাগে!?
নিড ফর স্পিড! রেসিং গেমস জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল বিক্রিত একটি গেমস সিরিজ। সম্প্রতি সিরিজের ২০তম সংস্করণ “রিভালস” বাজারে এসেছে। রিভালস গেমটি অনেকাংশেই ২০১০ সালের “হট পারসূট” গেমটির মতো কিন্তু গেমটিতে “ওপেন ওর্য়াল্ড” ফিচার ফিরে এসেছে। গেমটি নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ এবং সুইডিশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান “গোষ্ট গেমস” সাথে রয়েছে “ক্রিটেরিয়ন গেমস”।
নিড ফর স্পিড: রিভালস গেমটি ২০১০ সালে হট পারস্যুট গেমটির সিমিলার গেম-প্লে ফিচার করবে যেখানে পুলিশ হাই-স্পিড গাড়িসমূহকে ধাওয়া করবে। প্লেয়ার পুলিশ অথবা রেসার দুই ভাবেই খেলতে পারবে। প্রত্যেক সাইডে আলাদা আলাদা রুলস, রিস্ক এবং রিওর্য়াড রয়েছে। গেমটিতে ১১টি আপগ্রেডেবল গ্যাজেট রয়েছে।
গেমটির পটভূমি একটি ফিকশনার লোকেশনে, যার নাম রেডভিউ সিটি। গেমটি ওপেন ওয়াল্ড ২০১২ সালে মোস্ট ওয়ান্টেড এর সিমিলার হবে। গেমটিতে অটোলগ ফিচার থাকছেই।
গেমটির গাড়ি কাস্টমাইজেশন ফিচারটি “আন্ডারগ্রাউন্ড” টাইটেল হতে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও গেমটিতে ফেরারি গাড়ি প্রায় ১১ বছর পর ফিরে আসে।
নিড ফর স্পিড। মনে হয় কখনোই এর প্রকাশনা বন্ধ হবে না!! হাহাহাহা। সিরিজের এই প্রথম গেমটি প্লে-স্টেশন এবং এক্সবক্স গেমস কনসোলের নতুন সংস্করণে বের হচ্ছে।
গেমটিতে প্লেয়ারের রেসার হিসেবে তার কাজ হচ্ছে স্পিড পয়েন্ট সংগ্রহ করা। স্পিড পয়েন্ট সংগ্রহ করা যাবে ঝুঁকিপূণ একশন করে। স্পিড পয়েন্ট সংগ্রহ করে এবং তা বৃদ্ধি করে প্লেয়ার বিভিন্ন লক করা গাড়ি এবং আইটেম আনলক করতে পারবে। তবে যত স্পিড পয়েন্ট বাড়তে তত পুলিশ মামার অত্যাচার বাড়বে এবং একবার ধরা খেলে সব স্পিড পয়েন্ট শেষ!! জলে গেল!!
গেমটিতে প্লেয়ারের পুলিশ হিসেবে কাজ একটাই! রেসারদের গ্রেফতার করা। যত গ্রেফতার তত র্যাঙ্ক। এবং যত বেশি র্যাঙ্ক তত বেশি নতুন নতুন টেকনোলজি আনলক হবে।
গেমটি তৈরি করা হয়েছে ফ্রোষ্টবাইট ৪ গেম ইঞ্জিণ দিয়ে। রয়েছে অলড্রাইভ সিস্টেম নামক নতুন ফিচার। এতে তোমার একা একা খেলার মজাটাই শেষ!! নেট কানেক্টশন থাকলে যেকোনো সময় তোমার ক্যারিয়ারে তোমার বন্ধু চলে আসতে পারে তোমার শত্রু হয়ে!! মনে হবে আসল দুনিয়ায় রাস্তা ক্রস করে তোমার এলাকায় এসে পড়লো!! সহজ কথায় বলতে গেলে, এটি কো-অপারেটিভ সিস্টেম এর উন্নত সংস্করণ।
গেমটি মোষ্ট ওয়ান্টেড এর ডাইরেক্ট সিকুয়্যাল না হলেও মোষ্ট ওয়ান্টেড এর অনেক থীম গেমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে।
গেমটিতে গ্রাফিক্স সাজানো হয়েছে দুই ভাবে। পিসি,প্লে-স্টেশন ৩ এবং এক্সবক্স ৩৬০ এর জন্য একধরণের গ্রাফিক্স এবং প্লে-স্টেশন ৪, এক্সবক্স ওয়ান এর জন্য আরো উন্নত গ্রাফিক্স!
২০১০ সালে হট পারস্যুট গেমটির মাধ্যমে ক্রিটিরিয়ন গেমস গেমটি তৈরিকারক হিসেবে আসে এবং হট পারস্যুট বহু এওয়াড সহ নিড ফর স্পিড গেমস সিরিজে সবোচ্চ ৮.৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি করতে সক্ষম হয়। তবে গত বছরের মোস্ট ওয়ান্টেড এর হালকা ব্যাথতায় এবার নতুন তৈরিকারককে গেমটি বানাতে বলা হয়। যাই হোক তবে ক্রিটিরিয়নও ছিল তৈরিতে। ২০১২ সালের মোস্ট ওয়ান্টেড যদি ব্যাপক হিট হতো তবে ক্রিটিরিয়ন গেমস নিড ফর স্পিড এর ভবিষ্যৎ এর সকল গেমস এর তৈরিকারক এর চুক্তি পেয়ে যেত।
গেমটি প্রি-অডার করে বোনাস হিসেবে পাওয়া যাবে আল্টিমেইন কোপ প্যাক যাতে থাকছে অনেক কিছু, যেমন নিশান জিটি-আর ব্ল্যাক এডিশন পুলিশ গাড়ি। প্রি-অডারে কোনো এক্সট্র খরচ দিতে হবে না।
নির্মাতা:
ঘোষ্ট গেমস
সহযোগী নির্মাতা:
ক্রিটেরিয়ন গেমস, গোষ্ট গেমস ইউকে, ইএ ভ্যানকোউভার
প্রকাশক:
ইএ
সিরিজ:
নিড ফর স্পিড
ইঞ্জিণ:
ফ্রোষ্টবাইট ৩
খেলা যাবে:
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,
প্লে-স্টেশন ৩,
প্লে-স্টেশন ৪,
এক্সবক্স ৩৬০ এবং
এক্সবক্স ওয়ান গেমস কনসোলে
মুক্তি পেয়েছে:
নভেম্বর ১৯, ২০১৩ সালে
ধরণ:
রেসিং,
ওপেন ওর্য়াল্ড
খেলার ধরণ:
সিঙ্গেল এবং মাল্টি প্লেয়ার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:
**উইন্ডোজ এক্সপি সার্পোট করে না এবং ৩০ গিগাবাইট হার্ডডিক্স স্পেস লাগবে (পূর্ণ সংস্করণে)**
মিমিমাম:
ইন্টেল সেলেরণ ই১৫০০ ডুয়াল কোর ২.৮ গিগাহার্জ অথবা এএমডি এথলন ৬৪ এক্স২ ডুয়াল কোর ৪৮০০+গতির প্রসেসর ,
এনভিডিয়া জিফোস জিটি ৩৩০ অথবা এটিআই রাডিয়ন এইচডি ৩৬০০ গ্রাফিক্স কার্ড ,
৪ গিগবাইট র্যাম,
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভিসতা (সার্ভিস প্যাক ২) ৩২বিট অপারেটিং সিস্টেম,
ডাইরেক্ট এক্স১০.১,
অফিসিয়াল সেটিং:
ইন্টেল কোয়াড কোর ২.৮ গিগাহার্জ অথবা এএমডি ছয় কোর বিশিষ্ট সিপিইউ,
জিফোস জিটিএক্স ৬৬০ অথবা রাডিয়ন এইচডি ৫৬৭০ গ্রাফিক্স Card,
৮ গিগাবাইট র্যাম,
উইন্ডোজ ৭ ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম,
ডাইরেক্ট এক্স ১১
আল্ট্রা সেটিং:
ইন্টেল কোর আই৭-৪৯৬এক্স ৬কোর ৩.৬০ গিগাহাটস গতির প্রসেসর,
রাডিয়ন এইচডি ৭৯৭০ ৩ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড,
১৬ গিগাবাইট র্যাম,
উইন্ডোজ ৮ ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম,
ডাইরেক্ট এক্স ১১
প্রথমেই আসি গেমটির পরিবেশ সিস্টেমে। রিভালস গেমটি একটি ডাইনামিক আবহাওয়া সিস্টেম ফিচার করে। এতে গেমটির পরিবেশ জীবন্ত মনে হয়! গেমটির পরিবেশ সিস্টেম সিরিজের সবচেয়ে উন্নত এবং রিয়েল লাইফ মনে হবে। তবে এগুলোর পূর্ণ মজা নিতে হতে তোমার কাছে থাকতে হবে উন্নত মানের পিসি এবং লেটেস্ট গ্রাফিক্স কার্ড।
গেমটিতে ফেরারী গাড়ি কোম্পানী ফিরে এসেছে প্রায় ১১ বছর পর। রিভালস গেমটি হট পারসূটের গেমপ্লে ফিচার করছে। যেখানে থাকছে এক্সোটিক গাড়ি এবং হাই-স্পিড পুলিশের ধাওয়া! গেমটিতে তুমি রেসার কিংবা পুলিশের ভূমিকায় খেলতে পারো। রেসার এবং পুলিশ উভয় সাইডের রয়েছে নিজস্ব রুলস, চ্যালেঞ্জস, ঝুঁকি এবং পুরস্কার। রিভালস গেমটি ১১টি আপগ্রেডেবল গেজেটস ফিচার করে যাদের মধ্যে রয়েছে EMPs, Shockwaves, Roadblocks ইত্যাদি। গেমটির পটভূমি হচ্ছে ফিকশনাল “রেডভিউ কান্ট্রি”। যেটি ১০০ মাইলস (১২০ কিলো) এর ওপেন রোড ফিচার করছে। উল্লেখ্য শহরটি মোষ্ট ওয়ান্টেড(২০১২) এর চেয়ে বড় কিন্তু হট পারসূট (২০১০) এর সমান। ওপেন ওর্য়াল্ড ফিচারটির অনেক বৈশিষ্ট্য থাকছে মোষ্ট ওয়ান্টেডের মতো যেমন লম্ফ!, স্পিড ট্রাপস, আনলক্যাবল গাড়িসমূহ সহ থাকছে রাস্তার শর্টকাট যা ম্যাপে দেখা যাবে না। মোষ্ট ওয়ান্টেডের অনেক ফিচার গেমটিতে ফিরে আসলেও গেমটিতে কোনো কাহিনী ফিচার করা হয়নি! যাই হোক! এহেম এহেম!
রিভালস গেমটি পুলিশ এবং রেসার দুটো ভূমিকাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ার ফিচার করে। পুলিশে ভূমিকায় খেললে, এখানে তিন ধরণের ক্যারিয়ার রয়েছে: পাট্রল, এনফরসার এবং আন্ডারকভার। গেমটির গোল হিসেবে থাকছে স্পিডলিস্ট (রেসাদের জন্য) এবং এসাইন্টমেন্টস (পুলিশদের জন্য)। এগুলোর মধ্যে আছে ঝুঁকিপূর্ণ ড্রাইভিং, ম্যানূভার এবং রেস স্ট্যাডিং। যখন তুমি নির্দিষ্ট পরিমাণ অবজেক্টটিভ পূর্ণ করবে তখন কিছু কিছু আইটেম আনলক হবে এবং প্লেয়ার লেভেল বাড়বে। সাথে অন্য অবজেক্টটিভও আনলক হবে।
ক্রিটেরিয়ন গেমসের তৈরি “অটোলগ সিস্টেম” যেটি “হট পারসূট” গেমটি হতে পরবর্তী সকল নিড ফর স্পিড গেমসসমূহে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেটিও রিভালস গেমটিতে আরো উন্নত এবং আরো দ্রুত সংস্করণ নিয়ে ফিরে এসেছে। এটি একটি ইন্টারনেট ভিক্তিক সিস্টেম যা মাল্টিপ্লেয়ার রেসিংয়ে এনে দিয়েছে নতুন এক মাত্রা।
গেমটিতে নতুন একটি সামাজিক সিস্টেম ফিচার করা হয়েছে যার নাম “AllDrive” । এটিকে “মাল্টিপ্লেয়ার এবং সিঙ্গেলপ্লেয়ার” উভয় সংস্করণ বলা হচ্ছে নির্মাতাদের দ্বারা। এই ফিচারের দ্বারা গেমটি একা একা কিংবা কো-অপারেটিভ অথবা বিপক্ষে নিয়ে খেলা যাবে যেকোনো সময়।
গেমটির কিছু ফিচার নেওয়া হয়েছে সিরিজের “আন্ডারগ্রাউন্ড” টাইটেল সমূহ থেকে। যেমন গাড়ি কাস্টমাইজেশন, রং, স্টিকার, চাকা, লাইসেন্স প্লেট থেকে গাড়ির পারফরমেন্স, বিভিন্ন পারসূট গেজেড সব কিছুই নিজের মতো সাজিয়ে নেওয়া যাবে।
২০০২ সালের “হট পারসূট ২” গেমটির পর প্রায় ১১ বছর পর গেমটিতে ফেরারী গাড়ি কোম্পানি ফিরে এসেছে। এগুলো মধ্যে রয়েছে F12berlinetta, 458 Spider, 458 Italia, FF, Enzo এবং 599 GTO ।
ডাউনলোড:
http://thepiratebay.sx/torrent/9220258/
> গেমস জোন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর উপাদান সমূহের দ্বারা কেউ মনে কষ্ট কিংবা আঘাত পেলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
> গেমস জোনে ব্যবহৃত বাংলা কভার, ওয়ালপেপারসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে লেখকের নিজস্ব সৃস্টি। এর সাথে আসল গেমটির কোনো সর্ম্পক নেই
> গেমস জোন এর সাথে উক্ত গেমসগুলোর কোনো সরাসরি সম্পৃত্ত নেই এবং থাকবে না।
> গেমস জোন এর গেমসগুলোর রিলিজ তারিখ, নির্মাতা, প্রকাশক, মুক্তির তারিখ, সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস এবং চিটকোড তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে সংগৃহকৃত। লেখক এখানে শুধুমাত্র বাংলায় লিখেছেন।
> ডাউনলোড লিংক এবং এর ফাইলসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে অন্য সাইট হতে কপিকৃত। লেখকের সাথে ডাউনলোড লিংক এর কোনো সম্পৃত্ততা নেই।
> সর্বপরি গেমস জোন লেখক গেমওয়ালার ব্যক্তিগত কর্ম মাত্র। এর সাথে এই ব্লগের কোনো সর্ম্পক নেই এবং গেমস জোনের সকল তথ্য (ডাউনলোড লিংক ব্যাতিত) এর জন্য শুধুমাত্র লেখক গেমওয়ালা দায়ী থাকবে।
> গেমস জোন একটি সর্ম্পূণ ফ্রি গেমস রিভিউ এবং প্রিভিউ টিউন। তাই এর যেকোনো উপদান স্বাধীনভাবে “ব্যক্তিগত” উদ্দেশ্যে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। তবে গেমস জোন কে “করপোরেট” ভাবে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।
> গেমস জোন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, পরামর্শ, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের জন্য গেমস জোন এর ফেসুবক পেইজ http://www.facebook.com/games.zone.bd তে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি লেখক গেমওয়ালার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন fb.com/talented.fahad
> গেমস নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে চলে আসতে পারো গেমস জোনের ফেসবুক গ্রুপে: http://www.facebook.com/groups/gameszonebd
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
ভাল হয়েছে 🙂