যতই দিন যাচ্ছে, গেমস জোনকে আরো তথ্যবহুল এবং সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রথম প্রথম যখন গেমস জোন শুরু করেছিলাম তখনকার টিউন আর এখনকার টিউনগুলো একটু ভালো করে পড়ে দেখো অনেক পার্থক্য খুঁজে পাবে। তবে একটা কথা বলতে পারি যে, গেমস জোন নিয়ে আমি গর্ব করি না কখনোই, কারণ, সবকিছুরই শুরু এবং শেষ রয়েছে। গেমস জোনও একদিন না একদিন বন্ধ করে দিবো, যখন গেমস আর ভালো লাগবে না। আর গেমস জোন লেখা তেমন কোনো কঠিন ব্যাপার নয়, যে কেউ চাইলে আমার থেকেও আরো উন্নত গেমস এর রিভিউ লিখতে পারো, ব্যাপার না । তবে আমার মতো ধৈর্য্য নিয়ে এতগুলো গেমস এর টিউন আমি আর অন্য কোনো সাইটে দেখি নি (প্রায় ৩৪টির মতো বাংলা ব্লগ ঘেঁটে)। আরেকটি কারণ হলো, গেমস উদ্দেশ্য হলো বিনোদন দেওয়া। তবে এই “বিনোদেনে” বর্তমান যুগে “অশ্লীলতা” ব্যাপক ভাবে ঢুকে গিয়েছে, তাই এখন অনেক অভিভাবকেরা শুধুমাত্র কম্পিউটারের উপর চাপ পড়বে বলে বাচ্চাদের গেমস খেলতে দেন না তা নয়, এইসব “অশ্লীলতায়” যাতে আমাদের বাচ্চারা ডুবে না যায় তাই গেমস এখন অনেকেই পছন্দ করেন না। এটি প্রায় ভয়াবহ “রোগে” পরিণত হয়েছে। একটি সাইটে দেখলাম “Don’t hate the GAMERS, hate the GAME!!!” তা ছাড়া কিছুদিন আগে একজন সম্মানিত পাঠক আমার গেমস জোনের কোনো একটি পর্বে “সমালোচনামূলক” কমেন্ট করেছেন যা আমার মাইন্ডে লেগেছে প্রচুর! তবে উনার কথা সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়াও যায় না! তাই ভাবছি গেমস জোনের টিউনের মান আরো উন্নত করবো এবং যথাসম্ভব গেমস জোনের টিউনের পরিমাণ কমিয়ে দিবো . . . . বাকি সব তোমাদের হাতে ।।।।।
দ্যা গডফাদার ২। ১৯৭৪ সালের ব্লকব্লাস্টার ক্রাইম ড্রামা ফিল্ম “দ্যা গডফাদার পার্ট ২” এর উপর ভিক্তি করে নির্মিত একটি ভিডিও গেম। নির্মাণ করেছে ইএ রেডউড সোরস এবং প্রকাশ করেছে ইলেক্ট্রনিক আর্টস ২০০৯ সালে। গেমটি ২০০৬ সালের “দ্যা গডফাদার: দ্যা গেম” গেমটির সিকুয়্যাল যেটিও প্রকাশ এবং নির্মাণ করেছিল ইলেক্ট্রনিক আর্টস। দ্যা গডফাদার ২ গেমটি মূলত “মাফিয়া” পটভূমি নিয়ে “গ্রান্ড থেফট অটো” টাইপের গেম। গেমটি তৃতীয় ব্যক্তি ক্যামেরা ভিউতে খেলতে হয়।
বিংশ শতাব্দির শুরুতে নির্মাতা হুমরি খেয়ে পড়েছিলেন “ওপেন ওয়ার্ল্ড” টাইপের গেমসগুলোর উপর। যার প্রমাণ “জিটিএ, মাফিয়া” ইত্যাদি গেমসগুলো। তেমনটি “দ্যা গডফাদার” ও এমন একটি গেম যেখানে জানালার কাঁচ ভাঙ্গবে, শক্ত বস্তুতে মানুষের মাথা ফাটাবে এবং ছাদের উপর দিয়ে আগুনের গোলা ছুঁড়ে মারবে! মজা!! তাই না!! আর চরিত্র হিসেবে পাবে ক্ল্যাসিক মাফিয়া চরিত্র! হুহুহুহাহাহাহাহা!
দ্যা গডফাদার ২ গেমটির পটভূমি ১৯৫০ দশকের পরে এবং ১৯৬০ দশকের আগে সেট করা হয়েছে হ্যাভানা, কুবা, নিউ ইর্য়ক সিটিতে এবং মায়ামী, ফ্লোরিডায়। মাইকেল করলিয়ন প্লেয়ার চরিত্রকে যাবতীয় আদেশ-নিষেধ দিবে। প্লেয়ার চরিত্র হিসেবে পাবে ডমিনিক, যে তার বসের মৃত্যুর পর ফ্যামিলিকে হ্যান্ডেল করছে। তার বস ছিল “দ্যা গডফাদার: দ্যা গেম” এর মূল চরিত্র এবং নিউ ইর্য়ক এর ডন আলডো ট্রাপানি। গেমটির মূল উদ্দেশ্য হলো ডমিনিক কর্তুক আর্ন্তজাতিক মাফিয়া ফ্যামিলির উপর ক্ষমতা নেওয়া এবং আমেরিকা ও কুবার সবচেয়ে পাওয়ার ডন হওয়া।
গেমটির কাহিনীচক্রে ছবিটির অনেক প্লট আনা হয়েছে যেমনি, তেমনি অনেক প্লট বাদও দেওয়া হয়েছে।
নির্মাতা:
ইএ রেডউড সোরস
প্রকাশক:
ইলেক্ট্রনিক আর্টস
ইঞ্জিণ:
গডফাদার ইঞ্জিণ (অধিকাংশে পরিবর্তিত)
খেলা যাবে:
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,
প্লে-স্টেশন ৩,
এক্সবক্স ৩৬০ গেমস কনসোলে
মুক্তি পেয়েছে:
এপ্রিল, ২০০৯ সালে।
ধরণ:
একশন-এডভেঞ্চার,
ওপেন ওয়ার্ল্ড
খেলার ধরণ:
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:
কমপক্ষে (সর্বনিম্ন গ্রাফিক্স + ৭০% স্পিড) :
উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩,
পেন্টিয়াম ৪ ৩.০ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
২ গিগাবাইট র্যাম,
২৫৬ মেগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড (জিফোর্স ৬৮০০ অথবা রাডিয়ন এক্স১৬০০প্রো)
৯ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস,
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি সাথে শেডার মডেল ৩.০
ভালো ভাবে খেলতে হলে (মিডিয়াম গ্রাফিক্স + ৮০% স্পিড) :
ডুয়াল কোর ২.৬ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
২ গিগাবাইট র্যাম,
রাডিয়ন এক্স১৯০০ মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড,
৯ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস,
উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩,
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি সাথে শেডার মডেল ৩.০
আল্ট্রা সেটিং (এইচডি গ্রাফিক্স + ৯৯% স্পিড):
কোয়াড কোর ২.৮ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
৪ গিগাবাইট র্যাম,
৫১২ মেগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড,
৯ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস,
উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩ (৬৪বিট),
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি সাথে শেডার মডেল ৩.০
রেটিং:
এডাল্ট!
কারণ: দুনীর্তিগ্রস্থ সমাজ ব্যবস্থা, বেআইনি কাজকর্ম, রক্তা রক্তি অবস্থা, অশ্লীল চিত্র এবং মারাত্বক অশ্লীল ডায়ালগস ইত্যাদি।
সিদ্ধান্ত: ১৩ বছরের নিচের কাউকে খেলতে দেওয়া উচিত নয়!
গ্রাফিক্স: ৭.৫ / ১০,
গেমপ্লে: ৯.৫ / ১০,
স্টোরিলাইন: ৭.০ / ১০,
ব্যাপ্তি: ৬.০ / ১০
মাল্টিপ্লেয়ার : ৬.৫ / ১০
সবমিলিয়ে: ৭.৫ / ১০ ।
কাহিনীচক্র:
ডিসেম্বর ৩১, ১৯৫৯। হাভানা অঞ্চল, কুবা সিটি। আলদো ট্রাপানির ডন হবার ৪ বছর পর। হাইম্যান রথ একটি মিটিং ডাকেন যেখানে বিভিন্ন মাফিয়া পরিবারের প্রধানরা আসেন এবং তারা হলেন ম্যানজানোস ফ্যামিলি, গ্রানাডোস ফ্যামিলি এবং কর্নলিওনস ফ্যামিলি। আলমেইডাস ফ্যামিলির পক্ষ হতে তাদের সোল্জার আলমেইডা আসে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে। এছাড়াও প্রথম গেমটির মূল চরিত্র আলদো ট্রাপানি এবং গেমটির প্লেয়ার চরিত্র ডোমিনিকও মিটিংয়ে উপস্থিত রয়েছে।
মিটিংয়ের মাঝে “কুবান রিভোলূশন” আক্রমণ করে বসে এবং ডোমিনিক এবং আলদো এর উপর দায়িত্ব পরে যে ডন মাইকেল কর্নলিওন এবং ফ্রেডো কে অক্ষত অবস্থায় নিউ ইর্য়কে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। তবে এয়ারপোর্টে শত্রুপক্ষের স্নাইপারের গুলিতে আলদো ট্রাপিনি মারা যায়। ফলে ডোমিনিক এর উপর নিউ ইর্য়ক এর দায়িত্ব পড়ে।
ঘটনার ছয় সপ্তাহ পর . . . . . . .
কনর্লিওন ফ্যামিলির দুই ক্যাপো, দ্যা রোসাটো ব্রাদারস তাদের সাবেক দলে ফিরে গিয়ে তাদের আলাদা নিজস্ব ক্রাইম ফ্যামিল তৈরি করে যা কনর্লিওন ফ্যামিলির সাথে বেঈমানী করে। ডোমিনিক এর উপর দায়িত্ব পড়ে যে, এই কারমাইন ফ্যামিলির নতুন “প্রফিট র্যাকেটস” গুলো দখল করা যাতে কারমাইন ফ্যামিলির কনর্লিওন ফ্যামিলির সাথে পাল্লা না দিতে পারে।
ডোমিনিক কর্তৃক বেশ কয়েকটি র্যাকেটস দখল হবার পর, কারমাইন শান্তির জন্য একটি মিটিং এর আহ্বান করে। মিটিংয়ে কনর্লিওন পরিবারে পক্ষ হতে ডোমিনিক এবং ফ্যাঙ্ক যায়। মিটিংটি যদিও পরে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত, তবে ডোমিনিক পুলিশের সাহায্যে সেখান হতে পালিয়ে আসতে পারে কিন্তু ফ্যাঙ্ক খুন হয় Agarotte নামক একটি চেয়ার সদৃশ্য অস্ত্রে।
সমস্ত র্যাকেটস নিজেদের দখলে নিয়ে এবং সমস্ত কারমাইনের ফ্যামিলির “মেইড ম্যান” দের খুন করে ডোমিনিক, কারমাইনেরে কমপাউন্ডে হামলা করে কারমাইনকে মেরে ফেলে এবং বোম মেরে কমপাউন্ডটি উড়িয়ে দেয়।
কারমাইনের মৃত্যুর পর, হাইম্যান রথ ডোমিনিকে খবর দেয় যে রথের এসোসিয়েট স্টিভেনকে বাঁচাতে যাকে গ্রানাডোস পরিবার কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে, তাই ডোমিনিকে রথ মায়ামী, ফ্লোরিডায় আসতে বলে।
কিডন্যাপারকে ধরতে গিয়ে ডোমিনিক রথের সাথে ভালো সর্ম্পক স্থাপন করতে সক্ষম হয়। ডোমিনিক নিজেকে মায়ামিতে প্রতিষ্ঠিত করে এবং গ্রানাডোস ফ্যামিলির ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করে এবং পড়ে তাদের কমপাউন্ডগুলোও দখলে নিয়ে নেয়।
ওদিকে ম্যানগানো পরিবারের ডন, স্যামুয়েল ম্যানগানো তার পরিবারকে মায়ামীকে নিয়ে আসলে, ডোমিনিক স্বভাবতই বন্ধুতের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং তার এই বন্ধুত্ব ম্যানগানো পরিবার গ্রহণ করে। এর কয়েক ঘন্টা পর ডোমিনিক এবং ফ্রেডোর উপর হামলা হয় তবে তারা দুজনই বাঁচতে সক্ষম হয় ডোমিনিক এর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে।
ফ্রেডোর ধারণা মতে, ম্যানগানো পরিবার তাদের বন্ধুত্ব ভঙ্গ করেছে এবং ফ্লোরিডায় অস্ত্র এবং সৈন্য আনছে যুদ্ধের জন্য।
ম্যানগানো পরিবারের ওয়ারহাউস ডোমিনিক দখলে নেবার পর ডন ম্যানগানো ডোমিনিককে ফোন করে বলে যে ম্যানগানো পরিবারে ওই হামলার পিছনে ছিল না এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপের জন্যে ডোমিনিককে ডডজি আইল্যান্ডে পুরাতন বাংলোতে আসতে বলে। তবে সেখানে ম্যানগানো নিজে না এসে তার “মেইড ম্যান” পউলো রিচিট্যালোকে পাঠায়। মিটিংয়ে ডোমিনিককে বুঝানো হয় যে ম্যানগানো পরিবারের হাত নেই হামলাগুলোর উপর।
তবে মিটিং চলাকালেই ডোমিনিকের ছয়টি র্যাকেটস এর উপর ম্যানগানো পরিবারের আন্ডারবস আক্রমণ করে।
এই অবস্থায় ফ্রেডো ডোমিনিককে রথের কাছে যেতে বলে, কারণ একমাত্র রথই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। তবে রথ ডোমিনিককে সাহায্য করবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত ডোমিনিক রথকে সাহায্য না করছে। রথ ডোমিনিককে সিআইএ এজেন্ট হ্যানরি মিথশেল এর কাছে পাঠায় যে ফিডেল ক্যাস্ট্রো হত্যার জন্য মুখিয়ে আছে। অবস্থা এমন হয় যে সিআইএ মাফিয়াসদস্যকে কাজে লাগিয়ে ক্যাস্ট্রোকে মারতে চায়।
পরে ডোমিনিককে হাভানাতে পাঠানো হয় স্নাইপার রাইফেল দিয়ে ক্যাস্ট্রোকে হত্যার জন্য। তবে ক্যাস্ট্রোর হাইলি-র্যাঙ্কড অফিসার, ডন এস্টেবেন এর দ্বারা এর্লাট করা হয় সবাইকে তাই ডোমিনিক ক্যাস্ট্রোকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়।
ডোমিনিক যখন তার নেওয়া অর্থ মিটশেল এর কাছে ফেরত দিতে আসে তখন জানতে পারে যে ফ্যাঙ্ক জীবিত আছে এবং কর্নলিওন পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে ডোমিনিক রথ এর কিডন্যাপারদের কাছ থেকে ফ্যাঙ্ক এর ভাইকে উদ্ধার করে এবং সে ফ্যাঙ্ককে অনুরোধ করে য কর্নলিওনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধটি সরিয়ে নিতে, কিন্তু ফ্যাঙ্ক রাজি না হওয়ায় ডোমিনিক বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে তার সব শত্রুকেই সে মেরে ফেলবে।
মিথশেল এবং বাকি তিনটি শহরের সমস্ত পরিবারগুলোকে ধ্বংসের পর, ডোমিনিক তার ফাইনাল মিশনে প্রবেশ করে হাইম্যান রথকে খুন করা!
মায়ামী এয়ারপোর্টে রথের লোকজন + এয়ারপোর্ট সিকুরিটি গার্ড এবং পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ডোমিনিকের চর্তুমুখী সংর্ঘষ হয়। ডোমিনিক রথকে খুন না করে তাকে জীবিত দেশ হতে পালিয়ে যেতে দেয়, কেন? কারণ টা জানতে হলে অবশ্যই তোমাকে গেমটি খেলতে হবে, এখানে কারণটি আমি লিখে বুঝাতে পারবো না তোমাদেরকে।
এর পর মাইকেল কনর্লিওন ডোমিনিককে স্বাগতম জানায় পরিবারে, তাকে গডফাদার উপাধী দেয় এবং গেমটির শেষ হয় “Fredo, I’m sorry” ডায়লগ দিয়ে!
গেম-প্লে:
সিরিজের প্রথম গেমটির থেকে অনেক গেম-প্লে উপাদার গেমটিতে ফিরে এসেছে যেমনি, তেমনি অনেকগুলো আপগ্রেড এবং নতুন উপদানও যুক্ত হয়েছে। সিরিজের প্রথম গেমটির মতোই, গডফাদার ২ গেমটির তৃতীয় ব্যক্তি ভিউতে খেলতে হয় যা একটি ওপেন ওয়ার্ল্ড বা মুক্ত পৃথিবীতে সেট করা হয়েছে এবং স্টোরিলাইন ও সাইড মিশনগুলোতে অস্ত্রের ব্যবহার মারাত্বক। গেমটিতে গেম-প্লে উপাদান হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্রের ব্যবহার, হাত-টু-হাতের মাইর! এবং ড্রাইভিং। গেমটিতে “ব্ল্যাক হ্যান্ড ২.০” সিস্টেম ফিচার করা হয়েছে যেখানে আরো সুন্দর ভাবে হাতের মাইর দেওয়া যাবে! অস্ত্রের ব্যবহারে টার্গেট লক ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে যেখানে অটোমেটির অস্ত্রের এমিং শত্রুর কাছে নিয়ে যাবে অথবা এটি ব্যতিত নিজে নিজে অস্ত্রকে কনট্রোল করতে পারবে। আহত শত্রুর কাছে গিয়ে ইউনিক মাইর দেওয়া যাবে। গেমটিতে এক একটি অস্ত্রের ব্যবহার, পাওয়ার এক এক রকম। গেমটিতে লাইসেন্স ক্রয় করে আরো উচ্চ মানে অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
গেমটিতে নতুন ফিচার হিসেবে রয়েছে নিজস্ব গার্ডদের ব্যবস্থা, যা স্যান এডড্রেস গেমটিতে দেখা যায়। রয়েছে নতুন ৩থ্রি ম্যাপ হাড। গেমটির ২০% অংশে স্ট্যাটেজিক গেম-প্লে রয়েছে। গেমটিতে টাকা-পয়সার মূল উৎস হলো যাবতীয় র্যাকেটসগুলো। যত র্যাকেটস দখলে নেওয়া যাবে তত সাপ্তাহিক ইনকাম বাড়বে। তবে এইসব র্যাকেটসগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গার্ড নিযুক্ত করতে হবে।
এছাড়া ব্যাংকে ডাকাতি করে ১০ হাজার ডলার ইনকাম করা যায়।
গেমটির শুরু হয় ডোমিনিক এর চরিত্রকে নিজস্বতা করিয়ে। যেমন মাথা থেকে পা পর্যন্ত যাবতীয় উপদান তুমি তোমার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারো। ১০ মিনিট এইখানে ব্যয় করলে ভালো ফল পাবে আশা করি!
সিরিজের আগের গেমটির থেকে অবশ্যই গডফাদার ২ গেমটির গ্রাফিক্স আরো উন্নত তবে ততটা উন্নত নয় যতটা আমি আশা করেছিলাম। সর্বনিম্ন গ্রাফিক্স দিয়ে খেললে গেমটি কার্টুনের মতো মনে হবে, যেটা প্রথম গেমটিতে ছিল না। তবে আগুন, গুলি বর্ষন, জানালায় গুলি ইত্যাদি ইফেক্টগুলো আমার ভালো লেগেছে।
গেমটিতে সাউন্ড সিস্টেম আমার ভালো লেগেছে, যেমনটি ভালো লেগেছিল প্রথম গেমটিতে।
চিটকোড:
গেমটি খেলার সময় Esc বাটন চেপে গেমটির পজ মেনুতে যাও এবং নিচের কোডসমূহ লিখ:
corleone – ফুল হেলথ এর জন্য,
stracci – সর্বোচ্চ গুলির জন্য,
cuneo – ৫ হাজার ডলারের জন্য,
tattaglia – সব মুভি এর জন্য
ডাউনলোড:
http://www.gloverzz.net/2012/05/godfather-ii.html
or
http://www.gamerslove.com/the-godfather-2-full-version/
or
http://www.freedownloadgamez.info/2013/07/download-game-godfather-ii-free-pc-game.html
এই সমস্ত লিংকগুলো মোটেই আমার নয় এবং আমি এই সমস্ত ফাইলগুলি আপলোড করিনি। তাই পাসওর্য়াড এবং অন্যন্যা সমস্যার জন্য আমি মোটেই দায়ী নই এবং থাকবোও না। আমি চেয়েছিলাম ডাউনলোড সেকশনটা বাদ দিতে তবে ডাউনলোড ব্যাতিত গেমস জোন অপূর্ণরয়ে যায়। তাই ডাউনলোড নিজ দায়িত্বে এবং নিজ ঝুঁকিতে করবেন। ডাউনলোড লিংক সংক্রান্ত কোনো ধরণের সার্পোট আমি দিতে পারবো না।
একটা কথা স্পষ্ট করে বলে রাখছি, আমার লেখা গেমস জোন শুধুমাত্র ফেসবুকে আমার নিজস্ব এবং গেমস জোনের আসল পেজ http://www.facebook.com/games.zone.bd এই পেজটাতে আমি শেয়ার করে থাকি। বাকি কোনো পেজে আমার গেমস জোনের পোষ্ট শেয়ার করা হয় না। যদি করে থাকে তাহলে তারা আমার পারমিশন ছাড়াই এ কাজ টি করেছে। আপনারা যদি ফেসবুকে আমার গেমস জোনের পোষ্ট সমূহ অন্যান্য পেজে পেয়ে থাকেন তাহলে একটু কষ্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন প্লিজ। বহু কষ্ট করে বহু সময় খরচ করে গেমস জোনের এক একটি পর্ব লিখি আমি।
গেমস জোন মুলত টিউনারপেজ (www.tunerpage.com) ব্লগে আমি নিয়মিত এবং প্রথম থেকে লেখা আরম্ভ করেছিলাম। সেখানে গেমস জোনের মোট পর্বের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৯৬টি। আমি নিজে টিউনারপেজ, টেকটিউনস এবং বাংলা ফ্যামিলি ব্লগে গেমস জোন টিউন করে থাকি। আগে পিসি হেল্পলাইনে করতাম এখন করি না। তাই আপনারা যদি নিচের ৩ টি ব্লগের বাইরে অন্য কোনো ব্লগে আমার গেমস জোনের কপি দেখে থাকেন তাহলে দয়া করে কমেন্টে জানান অথবা ফেসবুকেও আমাকে জানাতে পারেন (fb.com/talented.fahad)
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
বাংলা পোষ্টার গেলো কই?