একে একে টেকটিউনসে গেমস জোনের ৯৯ তম পর্বে এসে পড়লাম। বাহ! কেমন জানি অনুভূতি! আজকে থাকছে আমি খেলি নাই তবে জনপ্রিয়(!!) একটি গেম নিয়ে রিভিউ। বেশ কিছু দিন আগে গেমটি বাজারে এসেছে। আজকের গেম টম্ব রেইডার।
টম্ব রেইডার একট একশন-এডভেঞ্চার ভিডিও গেম। প্রকাশ করেছে স্কোয়ার ইনিক্স, নির্মাণ করেছে ক্রিস্ট্রাল ডাইনামিকস। ক্রিস্ট্রাল ডাইনামিকস এর তৈরিকৃত ৫ম গেম এটি টম্ব রেইডার গেমস সিরিজে। গেমটি ৫ মার্চ ২০১৩ সালে প্লে-স্টেশন ৩ , এক্সবক্স ৩৬০ এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য মুক্তি পেয়েছে।
২০০৮ সালে টম্ব রেইডার: আন্ডারওয়ার্ল্ড মুক্তির পর, ক্রিস্ট্রাল ডাইনামিস টম্ব রেইডার গেমটির নির্মাণ শুরু করে দেয়। তারা সিকুয়্যালের চাইতে সম্পূর্ণ রিবুট করতে চেয়েছিল সিরিজে। গেমটি সেট করা হয়েছে ইয়ামাটাই আইল্যান্ডে যেখানে লারাকে তার বন্ধুদের বাঁচাতে হবে এবং পলায়ন করতে হবে। গেম-প্লে অধিকাংশ ভাবে সুরভাইবালে ফোকাস করবে। গেমটি সিরিজের প্রথম গেম যেটিতে মাল্টিপ্লেয়ার রয়েছে এবং স্কোয়ার ইনিক্স দ্বারা প্রকাশিত সিরিজের ১ম গেম এটি। গেমটি মুক্তি পাবার কথা ছিল ২০১২ সালের শেষের দিকে। তবে তা পিছিয়ে মার্চ ২০১৩ সালে আনা হয়। বিশ্বব্যাপি গেমটি মুক্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১ মিলিয়ন কপি বিক্রি এবং মুক্তি ২০ দিনের মধ্যে বিশ্বব্যাপি ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন কপি বিক্রি করতে সক্ষম হয়!
টম্ব রেইডার
নির্মাতা:
ক্রিস্ট্রাল ডাইনামিকস,
ইডিওস মন্টিয়াল (মাল্টিপ্লেয়ার),
নিক্সেস সফটওয়্যার (পিসি)
প্রকাশক:
স্কোয়ার ইনিক্স
সিরিজ:
টম্ব রেইডার
ইঞ্জিণ:
মডিফাইড ক্রিস্ট্রাল ইঞ্জিণ
খেলা যাবে:
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,
প্লে-স্টেশন ৩ এবং
এক্সবক্স ৩৬০ গেমস কনসোলে
মুক্তি পেয়েছে:
৫ মার্চ ২০১৩,
ধরণ:
একশন-এডভেঞ্চার
খেলার ধরণ:
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
ট্রেইলার ভিডিও:
www.youtube.com/watch?v=wP_MNSngRnA
www.youtube.com/watch?v=nas89rcG7dQ
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:
কমপক্ষে:
উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩,
কোর ২ ডুয়ো ২.০ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
২ গিগাবাইট র্যাম,
এনভিডিয়া ৮৬০০ অথবা রাডিয়ন এইচডি ২৬০০ এক্সটি মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড।
ডাইরেক্ট এক্স ৯ সাথে শেডার মডেল ৩.০
ভালভাবে খেলতে চাইলে:
উইন্ডোজ ৭ কিংবা ৮ ৬৪ বিট,
কোর আই ৫ ২.৮ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
৪ গিগাবাইট র্যাম,
১ গিগাবাইট রাডিয়ন এইচডি ৪৮৭০ অথবা জিফোর্স জিটিএক্স ৪৮০ মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড।
ডাইরেক্ট এক্স ১১ সাথে শেডার মডেল ৫.০
গেমপ্লে:
টম্ব রেইডার গেমটিতে একশন-এডভেঞ্চার, উন্মোচন এবং সুরভাইবাল গেমপ্লে ফিচার করে। গেমটি থার্ড পারসন ভিউতে খেলা যাবে। গেমটিতে প্রধান চরিত্র লার ক্রফট এর ভূমিকায় তোমাকে খেলতে হবে। গেমটির গেম-প্লে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টার। মেইন স্টোরির পাশাপাশি তোমাকে মাল্টিপল সাইড মিশন ও খেলতে হবে যেমন আইল্যান্ডটি উন্মোচন, জায়গা উন্মোচন এবং চ্যালেঞ্জ টম্বস এর খোঁজ করা।
গেমটির মাল্টিপ্লেয়ার ফিচার নির্মাণ করেছে ইডিওস মন্টিয়াল। ইডিওস মন্টিয়াল ডিউস এক্স: হিউম্যান রিভোলূশন গেমটির জন্য পরিচিত। টম্ব রাইডার গেমটিতে তিন ধরণের মাল্টিপ্লেয়ার গেম টাইপ থাকছে, রয়েছে পাঁচ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন ম্যাপ। প্রতিটিতে দুই ধরণের টিম থাকবে, চার জন সুরভাইবরস এবং চার জন স্কেভেঞ্জারস। তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করবে।
কাহিনীচক্র:
গেমটিতে তোমাকে আরচিয়োলজি গ্রাজুয়েট তরুণী লারা ক্রফটের ভূমিকায় খেলতে হবে। গেমটির পটভূমি একটি সমুদ্র বর্তী আইল্যান্ডতে সেট করা হয়েছে। যার নাম ইয়ামাটাই। এটি জাপানের ডেভিল সমুদ্রের পাশে অবস্থিত। আইল্যান্ডে একদা এক কিংডম ছিল যা এখন রহস্যময় এবং এটি এখন আর নেই। ইয়ামাটাই আইল্যান্ডে একদা রাণী হিমিকো রাজ্য পরিচালনা করতেন। কথিত আছে রাণী হিমিকোর শেমেন্সিটিক পাওয়ার রয়েছে তার ফলে তিনি আবহাওয়াকে নিজের ইচ্ছে মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। রাণী হিমিকোর মৃত্যুার পর আইল্যান্ডের ব্যাপারে তেমন কিছু জানা যায় নি। গেমটি খেলতে খেলতে তুমি আইল্যান্ডটির ব্যাপারে আরো অনেক কিছু উন্মোচন করতে পারবে যদি মনোযোগ দিয়ে গেমটি খেলো।
গেমটির শুরু হয় লারার প্রথম জাহাজ ভিত্তিক ভ্রমণ দিয়ে। লারার জাহাজের নাম এন্ডুরেন্স। তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো জাপানের পশ্চিমে ডেভিল সমুদ্রে অবস্থিত ইয়ামাটাই আইল্যান্ডের ধ্বংসপ্রাপ্ত কিংডমের প্রমাণ খোঁজা। লারার শিপ ডেভিল সমুদ্রে আসলে একটি বিরাট সমুদ্র ঝড়ে শিপটি দুখন্ডে ভাগ হয়ে যায়, শিপের যাবতীয় কর্মীরা একটি আইসোলেটেড আইল্যান্ডে চলে আসে, ওদিকে লারাকে একজন অজানা মানুষ বন্দি করে নিয়ে যায় এবং তার বাসার খাঁচায় বন্দি করে রাখে। ওকে হত্যা করে লারা সেখান থেকে পালিয়ে আসতে পারে এবং অন্যান্য সাথীদের সে খুঁজতে থাকে। সাথীদের খুঁজতে খুঁজতে লারা বুঝতে পারে যে এই আইল্যান্ডটি রহস্যময়, মৃত দেহ এবং হরেক রকম প্রাণী দিয়ে ভরপুর।
অন্যান্য সাথীদের সাথে টিম আপ করার পর লারা এবং হোয়াইটম্যান রথ এর খোঁজে টিম হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। রথ তখনো মিসিং ছিল। আর বাকীরা স্যাম এবং ম্যাথিয়াসকে খুঁজতে বের হয়।
লারা এবং হোয়াইটম্যান আইল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে হিমিকোর পূজার সামগ্রী দেখতে পেয়ে নিশ্চিত হয় যে তারা ইয়ামাটাই আইল্যান্ডেই আছে। হিমিকো নামে খোদাই করা একটি শ্রিরিন আবিস্কার করতে গিয়ে তারা আইল্যান্ডের অধিবাসীদের হাতে আটক হয় এবং তাদেরকে ধ্বংসপ্রাপ্ত এন্ডুরান্স শীপের কাছে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। সেখানে গিয়ে লারা দেখে অন্যান্যদেরও অধিবাসীরা আটক করে ফেলেছে। লারা গ্রুপ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে অধিবাসীদের লিডার ভ্লাডামির লারাকে আক্রমণ করে। লারা বাধ্য হয়ে নিচের প্রাণ বাঁচাতে ভ্লাডামিরকে হত্যা করে। অন্যান্যদের হত্যা করে লারা একটি পাহাড়ের উপরে উঠে রথের দেখা পাবার জন্য । পাহাড়ের উপরে উঠে লারা একটি কমিউনিকেশন রিলেই এর চেষ্টা করে যাতে পৃথিবীর অন্যান্যরা তাকে সাহায্য করতে পারে। এরপর কি হলো তা গেমটি খেলেই জেনে নিও।
নির্মাণ:
টম্ব রেইডার: আন্ডারওয়ার্ল্ড গেমটির মুক্তির পর পরই, ক্রিস্ট্রাল ডাইনামিকস দুইটি টিমে ভাগ হয়, প্রথম টিম সিরিজের পরবর্তী সিকুয়্যাল নির্মাণ করবে এবং দ্বিতীয় টিম সিরিজে অন্য কিছু করবে। ২০১০ সালে নিশ্চিত করা হয় স্কোয়ার ইনিক্স দ্বারা যে, টম্ব রেইডার সিরিজে একটি রিবুট আসছে। গেমটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর গেমটির প্রথম কথা শোনা যায়। ২০১১ সালের জানুয়ারীতে গেমটির কভার উন্মোচন করা হয়। এছাড়া সিরিজের এটিই প্রথম গেম যেটি “এম’ রেটিং পেয়েছে।
লারা ক্রফট চরিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে পারফরমেন্স ক্যাপচার সিস্টেম দিয়ে। এটি একটি টেকনিক যা টম্ব রেইডার : আন্ডারওয়ার্ল্ড গেমটিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। লারার চেহারা সিম্পল নেওয়া হয়েছে মডেল মেগান ফারকুহার এর কাছ থেকে।
ডাউনলোড:
Or
http://stepupgamer.net/games-download/download-tomb-raider-2013-full-version-free/
আমার লেখা গেমস জোন শুধুমাত্র ফেসবুকে আমার নিজস্ব এবং গেমস জোনের আসল পেজ http://www.facebook.com/games.zone.bd এই পেজটাতে আমি শেয়ার করে থাকি। বাকি কোনো পেজে আমার গেমস জোনের পোষ্ট শেয়ার করা হয় না। যদি করে থাকে তাহলে তারা আমার পারমিশন ছাড়াই এ কাজ টি করেছে। আপনারা যদি ফেসবুকে আমার গেমস জোনের পোষ্ট সমূহ অন্যান্য পেজে পেয়ে থাকেন তাহলে একটু কষ্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন প্লিজ। বহু কষ্ট করে বহু সময় খরচ করে গেমস জোনের এক একটি পর্ব লিখি আমি।
গেমস জোন মুলত টিউনারপেজ (www.tunerpage.com) ব্লগে আমি নিয়মিত এবং প্রথম থেকে লেখা আরম্ভ করেছিলাম। সেখানে গেমস জোনের মোট পর্বের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭৫টি। আমি নিজে টিউনারপেজ, টেকটিউনস এবং বাংলা ফ্যামিলি ব্লগে গেমস জোন টিউন করে থাকি। আগে পিসি হেল্পলাইনে করতাম এখন করি না। তাই আপনারা যদি নিচের ৪ টি ব্লগের বাইরে অন্য কোনো ব্লগে আমার গেমস জোনের কপি দেখে থাকেন তাহলে দয়া করে কমেন্টে জানান অথবা ফেসবুকেও আমাকে জানাতে পারেন (fb.com/talented.fahad)
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
ভাইয়া , অনেক ধন্যবাদ আমার প্রিয় গেমটি নিয়ে টিউন করার জন্য । তবে গেমটা ২ মাস আগে শেষ করে ফেলেছি । মজা লেগেছে প্রচুর । টিউনটি অসম হয়েছে । আমার টিউন কেমন লাগলো জানাবেন please . https://www.techtunes.io/tag/%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1