ইদানিং একটু বেশি টিউন করছি! বেশিই!! কারণ হাতে এক সপ্তাহের মতো ফ্রি টাইম ছিল। ফ্রি টাইম মানে ফ্রিইইইইইইই! যাই হোক আর মাত্র ২দিন হাতে আছে, এরপর আবার আগের মতো নিয়মিত বিরতিতে টিউন করবো।
এই গেমটি রিভিউ লিখতে গিয়ে মেট্রিক এর কথা মনে পড়ে গেল। ভৌতিক! জীবনে ভৌতিক ঘটনা একটাই ঘটেছে। ২০১০ সালের শুরুর দিকে মেট্রিক পরীক্ষার আগে নিয়মিত স্কুলে বিকাল বেলা সবাই মিলে কোচিং করতে যেতাম। তো সেদিক কোচিং শেষে মাগরিব এর কিছুক্ষণ আগে আমি স্কুলের টয়লেটে যাচ্ছি লাম লম্বা বারান্দা দিয়ে। আমার দ্বিতীয় তলায় কোচিং করতাম। টয়লেটের দিকে যাচ্ছি , হঠাৎ টয়লেটের দরজার দিয়ে কেউ যেন কিছু ভারী একটা জিনিস বারান্দায় ছুড়ে মারে। টয়লেটে কেউই ছিলনা। পরে স্যারদের ডেকে নিয়ে এসে দেখি সেই ভারী জিনিসটি আর কিছুই নয়, আস্তা একটি সিপিইউ!! লাল রং এর সিপিইউ! দুইতালায় নিচথেকে কেউ সিপিইউ ছুঁড়ে ফেলা পায় অসম্ভব। কলেজে কোনো লাল রং এর সিপিইউ ছিলেনা। যাই হোক,
এই এপিসোডে দুটি গেমস নিয়ে টিউন করছি, তা হলো অবসকিউর গেমস সিরিজ নিয়ে। শুরু করছি সিরিজের প্রথম গেমটি দিয়ে।
অবসকিউর একটি সুরভাইবাল হরর ভিডিও গেম তৈরি করেছে হাইড্রাভিশন এন্টারটেইমেন্ট এবং প্রকাশ করেছে ড্রিমক্যাচার ইন্টারএকটিভ আমেরিকায়, উবিসফট চায়নায় এবং এমসি২-মাইক্রোডস অন্যান্য জায়গায়। গেমটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লে-স্টেশন ২ এবং এক্সবক্স এর জন্য অক্টোবর ২০০৪ সালে মুক্তি পায়।
অবসকিউর
তৈরিকারক:
হাইড্রাভিশন এন্টারটেইমেন্ট
প্রকাশক:
ড্রিমক্যাচার ইন্টারএকটিভ,
ঊবিসফট,
এমসি২-মাইক্রোডস
সিরিজ:
অবসকিউর
ইঞ্জিণ:
রেন্ডারওয়ার
খেলা যাবে:
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,
প্লে-স্টেশন ২ এবং
এক্সবক্স গেমস কনসোলে
মুক্তি পেয়েছে:
২০০৪-২০০৫ সালে
ধরণ:
সুরভাইবাল হরর
খেলার ধরণ:
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
খেলতে হলে লাগবে:
ডুয়াল কোর ১.৮ গিগাহাটস গতির প্রসেসর,
১ গিগাবাইট র্যাম,
রাডিয়ন এক্স১০৫০ গ্রাফিক্স Card,
উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম
স্টোরি:
লিফমোর হাই স্কুল। যেখানে অদ্ভুত সব কান্ড ঘটছে। চারজন টিনএজার স্কুল ছাত্র তাদের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুঁজতে বের হয়। স্কুলে খুঁজতে গেলে তারা আটকা পড়ে স্কুলের ভেতর।
প্লেয়ারকে ৫ জন টিনএজার স্কুল ছাত্র এর চরিত্রে গেমটি খেলতে হবে। যেখানে তাদের স্কুলে তাদের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুঁজতে হবে। তবে এতে তাদের অন্যান্য আক্রান্ত স্টুডেন্ট এর দের বিরুদ্ধে লড়তেও হবে। স্টুডেন্ট গুলো বুঝতে পারে যে শত্রুগুলো আলো সহ্য করতে পারে না, ডাইরেক্ট SUN এর আলোতে তারা ধ্বংসও হয়ে যায়। স্টুডেন্টের হাতে থাকা ফ্ল্যাশলাইট তাদের কে এই বিষয়ে সাহায্য করে।
এরপর স্টুডেন্টরা আবিস্কার করে যে একধরণের ইনজেকশন বাকি স্টুডেন্টগুলোকে এই রকম অদ্ভুত করে তুলেছে। এই ইনজেকশন এর আবিস্কারক Nurse এলিজাবেথ এবং স্কুলটির প্রিন্সিপাল হারবাট। এই ইনজেকশন এর মাধ্যমে আজীবন বেঁচে থাকা যায় তা বিশ্বাস করে এই দুইজন। এই দুইজন ১০০ বছরের বেশি বৃদ্ধ কিন্তু ইনজেকশন নেবার পর তাদের বয়স ৬০ এর মতো দেখাচ্ছিল।
স্টুডেন্টরা যখন হারবাট এর কাছে আসছিলো তখনই হারবাটকে এক টিচার হত্যা করে। কারণ ওই টিচারও হারবাট এই পাগলামী এক্সপেরিমেন্ট এর শিকার। হারবাট রা যমজ দুই ভাই, হারবাট এবং নিওনাড, নিওনাড এই রোগের কিউর বের করে, তবে ওই টিচার হারবাট কে হত্যা করার ফলে নিওনাড রাগানিত্ব হয়ে যায় এবং টিচারকে হত্যা করে সব কিউর ইনজেকশনগুলো নিয়ে যায় আর স্টুডেন্টদের জন্য রেখে যায় সবচেয়ে বড় অদ্ভুত শত্রু।
বড় বসকে হারিয়ে স্টুডেন্টরা লিওনাড কে ভস্ম অবস্থায় একটি জানালার পাশে পড়ে থাকতে দেখতে পায়, এর এর কাজ থেকে কিউর নিয়ে বেঁচে থাকা সবাই সুস্থ্য হয় ।
যে পাঁচজনের ভূমিকায় খেলা যাবে:
১। জশ কারটার - একজন লাজুক এবং সে স্কুলের পেপার রিপোটার।
২। স্ট্যানলি জোনস - সে একজন স্টোনার, চোর এবং হ্যাকার
৩। কেনি ম্যাথিউস - সে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এবং খেলোয়ার, সে শ্যানন এর বড় ভাই।
৪। শ্যানন ম্যাথিউস - কেনি এর স্মাট ছোট বোন। সে পাজল খুব ভালো পারে
৫। এশলে থোম্পসন - কেনির মেয়েবন্ধু এবং একজন চিয়ারলিডার। যে অস্ত্র চালনায় পটু।
গেমটি দুইজন প্লেয়ার মিলে কো-অপারেটিভ ভাবে খেলা যাবে। এছাড়াও দুইজন মিলে একসাথে অনেক কাজ করা যাবে । প্রত্যেক চরিত্রের আলাদা করে বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে খেলার মাঝে কেউ মরে গেলে বেঁচে থাকা অন্যান চরিত্রেদের নিয়ে খেলতে হবে বাকি মিশনগুলো, সবাই মরে গেলে গেমওভার! আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে!
ডাউনলোড:
http://new-games-pc2013.blogspot.com/2012/12/obscure-pc-download.html
অবসকিউর ২
তৈরিকারক:
হাইড্রাভিশন এন্টারটেইমেন্ট
প্রকাশক:
ইগসিশন এন্টারটেইমেন্ট
সিরিজ:
অবসকিউর
ইঞ্জিণ:
রেন্ডার ওয়ার
খেলা যাবে:
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,
প্লে-স্টেশন ২,
পিসএসপি,
ঊইই
মুক্তি পেয়েছে:
২০০৭-২০০৮-২০০৯ সালে
ধরণ:
সুরভাইবাল হরর
খেলার ধরণ:
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
খেলতে হলে যা যা লাগবে:
কোর ২ ডুয়ো ২.৪ গিগাহাটস গতির প্রসেসর,
২ গিগবাইট র্যাম,
জিফোস জিটিএক্স ১০৫০ গ্রাফিক্স Card,
উইন্ডোজ এক্সপি সাভিস প্যাক ২ অপারেটিং সিস্টেম
অবসকিউর ২ একটি সুরভাইবাল হরর ভিডিও গেম। তৈরি করেছে হাইড্রাভিশন এন্টারটেইমেন্ট। গেমটি ২০০৪ সালের অবসকিউর গেমটির সিকুয়্যাল। গেমটি ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সালে বিভিন্ন গেমস কনসোলে মুক্তি পায়।
গেমটির কাহিনী এগিয়ে যায় সিরিজের প্রথম গেমটির ২ বছর পর। শ্যানন এবং কেনি এখন ফলক্রিক বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র।
গেমটির শুরু হয় একটি নতুন ড্রাগ থেকে! ড্রাগটি একটি অজানা ফুল থেকে তৈরি, যা খুব তাড়াতাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনদের উপর ছড়িয়ে পড়ে, এরপর তারা অদ্ভুত হয়ে যায়। তারপর স্টুডেন্ট এর একটি ছোট গ্রুপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কিছু স্টাফ মিলে এই গুলো সমাধান খুঁজে বেড়ায়।
স্টুডেন্টরা একজন বিজ্ঞানী এর সাথে দেখা হয়, যার কাছ থেকে গেমে এইড পাওয়া যাবে।
এই ড্রাগটি ক্যামপাস এরিয়া ছাড়িয়ে পাশের হাসপাতালেও ছড়িয়ে পড়ে। তখন মেই একটি কল পায় যে তার যমজ বো জুন কে বাঁচাতে হবে, তবে তাকে বাঁচাতে পারে না। এরপর প্লেয়ার কোরেয় এর চরিত্রে সুইচ করে এবং শ্যানন এবং তার ভাই কেনি কে খুঁজে পায় গুরুতর আহত অবস্থায়।
তাদের ওয়ারহাউজে নিয়ে যাবার সময় কেনি দৈত্য হয়ে যায় এবং মেই কে নিমিষেই হত্যা করে ফেলে। এরপর সেখান থেকে স্টুডেন্ট গ্রুপ পালিয়ে যায়। আবারো কেনি হামলা করে তবে এবার তাকে ওয়ারহাউজের পিট এ ফালিয়ে আবারো স্টুডেন্ট গ্রুপ পালিয়ে যায়। এভাবেই কাহিনি এগিয়ে যায়।
ডাউনলোড:
http://freepctips4u.blogspot.com/2012/12/obscure-2-pc-game-full-version-free.html
বি:দ্র: ডাউনলোড লিংক শুধুমাত্র ডাউনলোড করা যায় কিনা তা পরিক্ষিত, ডাউনলোড এর চলবে কিনা তা নিশ্চিত নয় তাই প্রতিটি গেমস জোনের ডাউনলোড আপনার নিজ দায়িত্বে করবেন। কারণ ফাইলগুরো আমার আপলোডেড নয়।
www.facebook.com/games.zone.bd
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
Game neye nissarto vabe tune korar jonno apnake dhonnobad