গেমস জোন [পর্ব-৭২] :: Modern Warfare (2007/ পেন্টিয়াম ৪/105mb)

টিউন বিভাগ গেমস
প্রকাশিত

গেমস জোন

গেমস জোনের সবচেয়ে বড় পর্ব হতে যাচ্ছে এটি। দেখা যাক কতো বড় টিউন করতে পারি আজ!!!

হ্যাঁ! এখন থেকে পুরোনো গেমস নিয়ে বেশি টিউন করবো। কারণ কোনো গেমসই রিলিজের ১মাস পর “নতুন” থাকেনা। যাই হোক পুরোনো গেমস নিয়ে টিউনের শুরু করছি কল অফ ডিউটি সিরিজ দিয়ে।

মডার্ন ওয়ারফেয়ার। জনপ্রিয় মিলিটারী শুটিং গেম কল অফ ডিউটির ৪তম সংস্করণ এটি। কল অফ ডিউটি সিরিজটি এই গেমটির মাধ্যমে আধুনিক যুদ্ধ জগতে প্রবেশ করে। এর আগে সিরিজের ৩টি গেমস এর পটভূমি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

কল অফ ডিউটি : মডার্ন ওয়ারফেয়ার একটি মিলিটারী বেইসড ফার্স্ট পারসন শুটার ভিডিও গেম, নির্মাণ করেছে ইনফিনিটি ওর্য়াড এবং প্রকাশ করেছে এক্টিভিশন। গেমটি ২০০৭ সালে বিভিন্ন কনসোলে মুক্তি পায়। কল অফ ডিউটি সিরিজের ৪র্থ সংস্করণ এটি। গেমটি এক্সপেনশন প্যাকও রয়েছে। গেমটি কল অফ ডিউটি সিরিজে প্রথম গেম যেটি একই স্টোরি লাইনে ডাইরেক্ট সিকুয়্যাল তৈরি হয়েছে। এছাড়াও কল অফ ডিউটি সিরিজে এটি প্রথম গেম যেটি ম্যাচিউর রেটিং পেয়েছে। গেমটির পটভূমি মর্ডান সময়ে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গেমটি নির্মাণ করতে প্রায় ২ বছর সময় লেগেছে। সেপ্টেম্বর ১০, ২০০৯ সালে জাপানে গেমটি রি-রিলিজ হয় স্কোয়ার ইনিক্স এর দ্বারা।

গেমটি কাহিনী সেট করা হয়েছে ২০১১ সালে। যেখানে একজন র‌্যাডিয়াল লিডার একজন মিডল ইস্ট এর নাম না জানা দেশের প্রেসিডেন্ট এর হত্যার মাধ্যমে গেমটির কাহিনী শুরম্ন হয়। এর মৃত্যুার ফলে রাশিয়ায় একটি সিভিল যুদ্ধ শুরম্ন হয়। গেমটির পটভূমিতে রয়েছে ইউনাইটেড কিংডম, মিডল ইস্ট, এজারবেইজান, রাশিয়া এবং Ukraine. গেমটির মাল্টিপেস্নয়ারে খেলে তুমি গেমটির এডিশনাল অস্ত্র, অস্ত্র এটাচমেন্টস এবং ক্ল্যামোফ্ল্যাগ অর্জন করতে পারো।

গেমটি ব্যাপক সাড়া ফেলে মুক্তি কয়েকদিনের মাথায়। গেমর‌্যাকিংস এবং মেটাক্রিটিক গেমটিকে ৯৪% রেটিং দেয়। অনেকেই কল অফ ডিউটি সিরিজের বেস্ট গেম বলে আখ্যায়িত করে এই গেমটিকে। গেমটি অনেক এওয়ার্ডও জিতে নেয়। ২০০৭ সালে টপ সেলিং গেম এটি। গেমটি ২০০৯ সালের মে মাস পযনর্ত্ম বিশ্বব্যাপি ৭ মিলিয়ন কপি বিক্রি করতে সড়্গম হয়!!

কল অফ ডিউটি : মর্ডান ওয়ারফেয়ার

নির্মাতা:

ইনফিনিটি ওর্য়াড,

এসপায়ার (ম্যাক ভার্সন),

ট্রিয়ার্চ (ঊই ভার্সন)

প্রকাশক:

এক্টিভিশন,

স্কোয়ার ইনিক্স (রি-রিলিজ)

ডিস্ট্রিবিউটর:

এক্টিভিশন (রিটেইল),

স্ট্রিম (অনলাইন)

ডিজাইন করেছেন:

ম্যাকি মিকক্যান্ডলিশ

লিখেছেন:

জেসি স্ট্রিন

কম্পোজার:

হ্যারি গ্রিগসন-উলিয়ামস

স্টিফেন বার্টন

সিরিজ:

কল অফ ডিউটি

ইঞ্জিণ:

IW 3.0

খেলা যাবে:

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,

এক্সবক্স ৩৬০,

ম্যাক ওএস এক্স,

ঊইই

মুক্তি পেয়েছে:

২০০৭ সালের নভেম্বর - ডিস্মেবর মাসে।

ধরণ:

ফার্স্ট পারসন শুটার,

মিলিটারী থীম

খেলার ধরণ:

সিঙ্গেল পেস্নয়ার,

মাল্টিপেস্নয়ার,

অনলাইন কো-অপারেটিভ

মুক্তি দেওয়া হয়েছে:

অপটিক্যাল ডিক্স এবং ডিজিটাল ডাউনলোড এর মাধ্যমে।

খেলতে হলে যা যা দরকার:

কমপক্ষে:

উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ অপারেটিং সিস্টেম,

ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪ ২.৪ গিগাহার্টস অথবা এএমডি এথলন ৬৪ এক্স২ ৩৬০০+ গতির প্রসেসর,

২ গিগাবাইট র‌্যাম,

২৫৬ মেগাবাইট এটিআই রাডিয়ন এক্স১০৫০ গ্রাফিক্স কার্ড,

৫ দশমিক ২২ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স জায়গা,

ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি সাথে নেট কানেক্টশন মাল্টিপেস্নয়ারে খেলতে হলে।

ভাল ভাবে খেলতে হলে:

কোর ২ ডুয়ো ই৪৬০০ অথবা এএমডি এথলন ৬৪ এক্স২ ৪৬০০+ গতির প্রসেসর,

২ গিগাবাইট র‌্যাম (৪ গিগা হলে ভাল)

জিফোর্স ৭৮০০ অথবা রাডিয়ন এক্স১৮০০ গ্রাফিক্স কার্ড,

৮ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স জায়গা,

ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি,

ইএএক্স এডভান্সড এইচডি ৪.০/৫.০ সাউন্ড কার্ড (বস্ন্যাল্টার এক্স-ফাই)

 

স্টোরিলাইন:

চরিত্রসমূহ:

গেমটির সিঙ্গেল পেস্নয়ার ক্যামপেইন মোডে  ছয়টি ভিন্ন ক্যারেক্টার এর হয়ে তোমায় খেলতে হবে। গেমটি অধিকাংশ অংশে তোমাকে ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিস এর সাজের্ন্ট জন “সোপ” ম্যাকটেভিস এর হয়ে খেলতে হবে। রয়েছে ইউএসএমসি ফার্স্ট ফোর্স রিকোন এর সাজের্ন্ট পউল জ্যাকসন, যিনি মিডল ইষ্টে অপারেশনে আছেন। রয়েছে ক্যাপটেইন জন প্রাইস, এনার হয়ে তুমি দুটি ফ্ল্যাশব্যাক মিশন যা ১৯৯৬ সালের পটভূমিতে রচিত তা খেলতে হবে, তখন তিনি সার্জেন্ট ছিলেন।  এছাড়াও একটি বিমান থেকে শুটারের ভূমিকায় তোমাকে খেলতে হবে একজন আমেরিকান থার্মিনাল-ইমেজিং টিভি অপারেটর এর হয়ে। এবং একজন ব্রিটিশ এসএএস অপারেটিভ এর হয়ে খেলতে হবে গেমটির বোনাস মিশনে।

এবং ছয় নম্বর ক্যারেক্টার এ রয়েছে মিডল ইস্ট এর একটি অসংঙ্গায়িত দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আল-ফালানি। যদিও এই ক্যারেক্টারে মাথা এদিক ওদিক ঘুরানো ছাড়া আর কিছুই করা যায় না!!

গেমটি অন্যান্য চরিত্রে আছে:

ক্যাপটেইন প্রাইস এর ডান হাত গ্যাজ, জ্যাকসন এর পস্ন্যাটুন যার লিডে রয়েছে লেফটেনেন্ট ভাসকুইজ, স্টাফ সার্জেন্ট গ্রিজস, সার্জেন্ট ক্যামারোভ, নিকোলাই এবং ক্যাপটেইন ম্যাকমিলান।

শত্রু চরিত্রে:

রাশিয়ান আল্ট্রান্যাশনালিস্ট পার্টির লিডার ইমরান জাকায়েভ, তার ছেলে, মিডল ইস্ট এর রিভোলুশনারি ফোর্স এর কমান্ডার খালেদ আল-আসাদ সহ আরো কয়েকজন।

প্লট:

২০১১ সাল। রাশিয়াকে সোভিয়েত যুগের শাসন ব্যবস'ায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে একটি সিভিল যুদ্ধ চলছে রাশিয়ার সরকার এবং আল্ট্রান্যাশনালিস্ট এর মধ্যে। তবে একটি আলাদা সরকার বিরোধী গ্রম্নপ রয়েছে যার লিডার একটি অসংঙ্গায়িত মিডল ইস্ট এর “ছোট কিন' তৈল সম্পদে পরিপূর্ণ” দেশ এর প্রেসিডেন্ট খালেদ আল-আসাদ।

আসাদ ছিলো পশ্চিমাদের ঘোর বিপড়্গে। যার ফলে তার দেশে আমেরিকা সৈন্য পাঠাতে বাধ্য হয় তাকে গ্রেফতার করার জন্য। মিশনের ২দিনের বিকালে ইউএসএমসি ফার্স্ট ফোর্স রিকম এর একটি পস্ন্যাটুন নিশ্চিত হয় যে আল-আসাদ একটি টিভি স্টেশনে রয়েছে। তারা সেই টিভি স্টেশনে যায়। এরই মধ্যে ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিস দুটি মিশনে যায়, একটি হলো জাহাযে তথ্য খুজতে এবং আরেকটি হলো রাশিয়াতে। এই দুটি মিশনের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে আল-আসাদ একটি রাশিয়ান নিউক্লিয়ার ডিভাইস তৈরি করছে।

৩য় দিনের বিকালের শেষের দিকে, আমেরিকা আল-আসাদের বাসভবন এরিয়ায় ফুল ফোর্স এসাল্ট পাঠায় আল-আসাদকে গ্রেফতার এর জন্য। তবে ফোর্সকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছিল যে একটি নিউক্লিয়ার ডিভাইস থাকতে পারে আল-আসাদের কাছে। মিশনে আল-আসাদকে না পাওয়া গেলেও তার বাহিনীকে পরাসত্ম করতে সড়্গম হয় আমেরিকান সৈন্যরা, এরপর যখন মিশন শেষ করে সৈন্যরা হেলিক্‌পটারে করে ফিরছিল, ঠিক তখনই ওই নিউক্লিয়ার বোমটি ফাটিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে ওই শহরের ৯৩% ধ্বংস হয় এবং প্রায় সবাই এতে প্রাণ হারায়। এর ফলে আমেরিকায় ভেবে নেয় যে আল-আসাদও ওই বোমায় মারা গেছে।

তবে ব্রিটিশ ফোর্স আল-আসাদের মৃত্যুর সংবাদকে বরখাসত্ম করে, রাশিয়ান সরকারের সৈন্যের সাহায্যে আজেরবাইজান এর একটি গ্রামের সেফহাউজে অপারেশনে নামে। অপারেশনের লিডে ছিলেন ক্যাপটেইন প্রাইস। অপারেশনে আল-আসাদকে জীবিত ধরা যায়। এরপর শুরম্ন হয় জেরা  . . . . . . এর মধ্যে আল-আসাদের মোবাইল বেজে উঠে, প্রাইস মোবাইলের কলার এর কন্ঠস্বর শুনে আল-আসাদকে গুলি মেরে হত্যা করেন এবং কলার এর ব্যাপারে বলেন যে, কলারটি ছিল আল্ট্রান্যাশনালিস্ট এর লিডার ইমরান জাকায়েভ এর।

ক্যাপটেইন প্রাইস ইমরান জাকায়েভ এর কাহিনী বলেন। যার ফলে তোমায় ২টি ফ্ল্যাশব্যাক মিশন খেলতে হয়। পটভূমি ইউকরেইন, সাল ১৯৯৬। তখন চেরনোবিল ডিজেস্টার এর পরবর্তী সময় চলছিল। যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর ধ্বংসের সুযোগ নিয়ে ইমরান জাকায়েভ নিউক্লিয়ার অস্ত্রের উপর লাভ তোলা এবং তার নতুন আল্ট্রান্যাশনালিস্ট এর টিমে সোভিয়েত আর্মির সৈন্যকে যোগ দেবার কাজে ব্যসত্ম। তখন প্রাইস ইমরান জাকায়েভ কে মারতে অপারেশনে যায়। একটি পরিত্যাক্ত হোটেলের টপ ফ্লোর থেকে প্রাইস ব্যারেট এম৮২ স্নাইপর রাইফেল দিয়ে জাকায়েভ এর উদ্দেশ্যে গুড়ি ছুড়েন।

তবে দুরত্ব এবং বাতাসের বেগের কারণে গুলিটি মিস করে জাকায়েভ এর হাত বিছিন্ন করে দেয়।

ফ্ল্যাশব্যাক শেষ হলে, ব্রিটিশ দল + আমেরিকান মারিনস দল + রাশিয়ার সরকারী সৈন্যরা একসাথে মিলে জাকায়েভ এর ছেলে ভিক্টরকে গ্রেফতার করতে অপারেশনে নামে। তবে সেখানে ভিক্টরকে ধরতে পারে না , সে আত্মহত্যা করে।

জাকায়েভ তার পুত্র হত্যার প্রতিশোধ নিতে আমেরিকার উদ্দেশ্যে নিউক্লিয়ার মিসাইল ছুঁড়ে, এর আঘাতে প্রায় ৪১ মিলিয়ন মানুষ মারা যেতে পারে। তবে ব্রিটিশ সৈন্য এবং আমেরিকান মারিনসরা কোনোমতো মিসাইল লাঞ্চ ফ্যাসালিটিস তা দখলে নিয়ে মিসাইলগুলোকে Atlantic সাগরে ডিফিউস করতে সড়্গম হয়। তারা ফ্যাসালিটি থেকে ট্রাক এর সাহায্যে পালিয়ে আসার সময় জাকায়েভ এর সৈন্য রা চরম আক্রমণ শুরম্ন করে ।

এরপর জাকায়েভ এর সৈন্যদের একটি এমআই-২৪ হিন্দ হেলিকপটার একটি ব্রিজকে ধ্বংস করে দিয়ে ফোর্সকে ট্রাপে ফেলে। যার ফলে ফোর্সের প্রায় সবাই মারা যায় এবং বাকি সব গুরম্নতর আহত হয়। এরই মাঝে সেখানে জাকায়েভ আসে এবং আহত সৈন্যদের মারতে শুরম্ন করে।

তবে কিছুড়্গণ পর রাশিয়ার সরকরী সৈন্যদের একটি হেলিকপটার এমআই-২৪ হিন্দ হেলিকপটারটিকে ধ্বংস করে ফেলে। এরই মাঝে পেস্নয়ার কে একটি পিসত্মল ছুড়ে মারেন প্রাইস এবং পেস্নয়ার সেই পিসত্মল দিয়ে জাকায়েভকে গুলি করে হত্যা করে।

মেইন কাহিনী শেষ হয় আহত সৈন্যদের হেলিকপটারে উঠিয়ে ফেরত নিতে নিতে।

গেম-প্লে:

সকল কল অফ ডিউটি সিরিজের মতই, এটি একটি মিলিটারী থীম এর ফার্স্ট পারসন শুটার ভিউতে খেলতে হয়। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে কিলস্ট্রিক নামে একটি অপশন রয়েছে যার সাহায্যে গেমটির বোনস ফিচার আনলক করা যায়।

প্লেয়ার ক্যারেক্টার তিনটি পজিশনে থাকতে পারে - দাড়ানো, বসা এবং শোয়া অবস্থায়। এই প্রতিটি অবস্থা প্লেয়ার ক্যারেক্টার এর মুভমেন্ট, একুরেসি এবং স্টেলথ এর উপর প্রভাব ফেলে।

অতিরিক্ত আহত হলে কভার নিয়ে কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করে লাইভ বাড়ানো যায়, তাই গেমটিতে কোনো আরমর এবং হেলথ পাওয়ার আপস নেই। যখন প্লেয়ার এর লাইভ কমে যায় তখন ক্রিণ লাল বর্ণ ধারণ করে এবং প্লেয়ার  এর হার্টবিট বেড়ে গিয়ে ডুম ডুম শব্দ শুরু হয়। এরই মধ্যে কভার নিয়ে যদি হালকা বিশ্রাম নেও, তাহলে লাইভ রিকোভার হবে আস্তে আস্তে।  যখন কোনো গ্রেনেড প্লেয়ার এর দিকে ছোঁড়া হয় তখন গ্রেণেডের উপর একটি গ্রেণেডের চিহ্ন থাকে এবং এটিকে ব্যাক থ্রো করা যায়।

সিঙ্গেল প্লেয়ার মিশনে শুরুতেই ট্রেইনিং মিশন শুরু হয়, যেখানে প্লেয়ার ট্রেনিং দেয় গ্যাজ।

প্রতিটি মিশনে আলাদা করে অবজেক্টটিভ থাকে। যেখানে প্লেয়ারকে প্রতিটি অবজেক্টে লিড করতে হয় হেড-আপ ডিসপ্লে এর মাধ্যমে। কিছু অবজেক্টটিভ পূরণ করে হলে প্লেয়ারকে নির্দিষ্ট চেকপয়েন্টে হাজির হতে হয়, বাকি অবজেক্টটিভে নির্দিষ্ট এরিয়ার সকল শত্রুকে মারতে হয়।

মাল্টিপ্লেয়ার:

গেমটির মাল্টিপ্লেয়ার মোড টিম-বেইসড এবং ডেডম্যাচ বেইসড ফিচার করে। এগুলো খেলা যায় বিভিন্ন ম্যাপে। এবং প্রত্যেকটি মোডের অবজেক্টটিভ পূরণ করতে হয় ইউনিক স্ট্রাটেজি দিয়ে।

যদি প্লেয়ার একসাথে ৩জন মারতে পারে তাহলে ইউএভি স্ক্যান, যদি ৫জন একসাথে মারতে পারে  তাহলে এয়ার স্ট্রাইক এবং পরপর ৭জনকে মারতে পারলে হেলিকপটার এ্যাটাক এর আহ্বান করতে পারবে। মাল্টিপ্লেয়ার গেম শেষ হয় যখন পূর্ব নির্ধারিত পয়েন্ট কোনো দল অর্জন করে অথবা নিদির্ষ্ট টাইম শেষে সবোর্চ্চ পয়েন্টধারী দলকে বিজয়ী করে।

তবে নিদির্ষ্ট টাইম শেষে যদি পয়েন্ট একই থাকে তখন অটোমেটিক্যালী সাডেন ডেড মোড একটিভ হয়, যেখানে যেই টিমের শেষ সদস্য বেঁচে থাকে সেই টিম বিজয়ী হয় অথবা সবার আগে যেই টিম অবজেক্টটিভ পূরণ করে।

মাল্টিপ্লেয়ার মোডে রয়েছে এক্সপেরিয়েন্স পয়েন্ট, যা কিলিং, চ্যালেঞ্জ পূরণ, ম্যাচ রাউন্ড পূরণ করে অর্জন করতে হয়। এর দ্বারা বোনাস অস্ত্র সহ অনেককিছু আনলক করা যায়। গেমটিকে সবোর্চ্চ এক্সিপেরিয়েন্স পয়েন্ট লিমিট রয়েছে ৫৫ লেভেলে।

নির্মাণ:

গেমটি নির্মাণ করেছে ১০০জনের টিম মিলে দুই বছর লাগিয়ে। কল অফ ডিউটি ২ গেমটির পরই এই গেমটির নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয়। কল অফ ডিউটি ২ গেমটির রিলিজের পর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি ওর্য়াড কল অফ ডিউটি সিরিজে আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পটভূমি না আনার সিদ্ধানত্ম নেয়। যার ফলে এই গেমটি ৩টি সংস্করণে বিভক্ত হয়।

গেমটি নির্মাণ করা হয়েছে দুটি একই শক্তির দলের যুদ্ধকে ঘিরে। নির্মাণকারীরা কার্লিফোর্নিয়ার একটি মরম্নভূমি আর্মি ক্যাম্পে ট্যাংক এর মডেল , তাদের যুদ্ধ কে নমুনা করে গেমটি তৈরি করেছেন। গেমটির আর্মি বুদ্ধিযুক্ত গেমপেস্ন তৈরিতে আসল আমেরিকান আর্মির কিছু সৈন্য সাহায্য করেছে নির্মাতাদের।

অডিও:

গেমটির অধিকাংশ অডিও মিউজিক লিখেছেন ব্রিটিশ কম্পোজার স্টিফেন বার্টন। এছাড়াও গেমটির মধ্যে র‌্যাপ মিউজিকটি গেয়েছেন গেমটির লিড এনিমেটর মার্ক গ্রিগসবাই।

গেম ইঞ্জিণ:

গেমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আই ডবিস্নউ ৩.০ ইঞ্জিণ। যা ওর্য়াল্ড ডাইনামিক লাইটিং, এইচডিআর লাইটিং ইফেক্টস, ডাইনামিক ছায়া এবং ডেফট অফ ফিল্ড ইত্যাদি ফিচার করে। এই ইঞ্জিণ ব্যবহার করে এক্টিভিশন তিনটি গেম তৈরি করে। কল অফ ডিউটি ওয়ার্ল্ড এট ওয়ার, কোয়ান্টাম অফ সোলেইস এবং গোল্ডেন আই ০০৭।

গেমটি মুক্তি দেওয়া হয় স্ট্যান্ডার্ট এবং কালেক্টর এডিশনে। কালেক্টর এডিশনে বোনাস হিসেবে রয়েছে গেমটির স্ট্যার্ন্ডাট রিটেইল, একটি ডিভিডি  যাতে একটি ডকুমেন্টারী ফ্লিম রয়েছে, রয়েছে মেকিং অফ, রয়েছে নির্মাতাদের কর্তৃড়্গ গেমটির নির্দেশনা।

Aggregate scores

Aggregator

Score

GameRankings

(X360) 94.16%[36]
(PS3) 93.54%[37]
(PC) 92.29%[38]
(Wii) 78.50%[39]

Metacritic

(X360) 94/100[40]
(PS3) 94/100[41]
(PC) 92/100[42]
(Wii) 76/100[43]

Review scores

Publication

Score

Eurogamer

9/10[44]

Game Informer

10/10[45]

GamePro

[46]

GameSpot

9/10[47]

GameSpy

[48]

GameTrailers

9.4/10[49]

IGN

9.4/10[7]

Official Xbox Magazine

10/10[50]

X-Play

[51]

Awards

Entity

Award

Game Critics AwardsBest Action Game
[52]
GameSpotBest Graphics, Best Shooter, Best Xbox 360 Game, Best PlayStation 3 Game
[53][54][55]
GameTrailersBest Graphics, Best PS3 Game
[56]
GameProBest Overall Game of the Year
[57]
IGNBest Xbox 360 Game, Best Shooter of 2007
[58][59][60]
GameSpyBest PS3 Game, Best Xbox 360 Game, Best PC Game, Game of the Year
[61][62][63][64]
X-PlayBest Shooter, Best Sound Design
[65]
Spike Video Game AwardsBest Shooter, Best Military Game
[66]
Academy of Interactive Arts & SciencesAction Game of the Year, Console Game of the Year, Overall Game of the Year
[67]
Golden Joystick AwardsGame of the Year
[68]

ডাউনলোড:

 * Extract the rar file > Click on Set-Up file > Put this serial-

DL2J-8PY4-4Q22-GE48-88D2

torrent:

http://thepiratebay.sx/torrent/5662572/

http://www.4shared.com/rar/d4FgeIjn/Call_of_Duty_4_Modern_Warfare_.html

উফফ! পাক্কা ৩ ঘন্টা লেগেছে পোস্টি তৈরি করতে। আশা করবো তোমাদের ভাল লেগেছে। এরকমই আরো গেমস নিয়ে সামনে আসছি গেমস জোনের নতুন পর্ব নিয়ে। অপেক্ষায় থাকো।

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

valo laglo,tnkzzz….

Level 0

অসাধারন লেখনি!!!!

Level New

Call of Duty amar poconder game.apnar tune goli osadharon hoy.thnxxxxx

    আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। টিউনটি পড়ার জন্য

Level 0

crack name er kono folder e to nay!!

Level 0

install korar por kon file kothay move korbo?

thanks!
অসাম একটা টিউন!
আশা করছি এসাসিন্স ক্রিড সিরিজের রিভিউ ও পাবো তোমার কাছ থেকে!
অসাধারন টিউন

Level 0

ভাই টিউনটি খুব ভালো লাগলো। আমি এই সিরিজ এর সবগুলো গেম খেলেছি। শুধুমাত্র World at war টা খেলা হয়নি। গেমওয়ালা ভাই আপনার কাছে World at war এর কম্প্রেসড লিঙ্ক থাকলে দিয়েন। এই সিরিজটা আমার খুবই পছন্দের।

    ভাই! সঠিক লিংক খুঁজে বের করা বহুত কষ্টের!!

ভাইয়া তোমার টিউনটি আসাধারন হয়েছে । গেমটা অনেক আগেই খেলেছি । অনেক মজার একটা গেম ।

2nd ar link a to idm dea download kora jai na……..plz help

mss32.dll error ase game ta cholena. tobe amar maone hoi ami windows 8 64 bit chalai saijonno.

ms32.dll error day

দুই বার খেলা হইসে অসাধারন একটা গেমস

install krechi kintu language ta russian…..kibhabe english e convert korbo ektu janale bhalo
hoi……opekhay thaklam……..

Level 0

ms32.dll error day.problm ta ki aktu bolben….